নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
দরজা আঁকলেই চাঁদ ডুবে যায় তেপান্তরের মাঠে
আর গৃহি হয়ে যায় স্বপ্নেরা,
আমি এখন কি এক দরজা বন্দি মানুষ
দরজা ভিজিয়ে দরজা নাড়ার প্রহর গুনি!
চাঁদ নেমেছে তেপান্তরের মাঠে মানুষ মুখে কানাঘুষা শুনি।
২।
দূরে আছো! দূরের কি কোন ডাক ঠিকানা নেই?
সেই দূরে কি চিঠিওয়ালা আসে?
খুব দুপুরে ভেতর বাড়ির দরজা মুখে ক্রিং ক্রিং সাইকেলে বেল পড়ে?
দূরে আছো দূরে, একটা চিঠি হলুদ খামে যায় না কি আর উড়ে!
৩।
কাঁধ থেকে রাতের নদী কে তুমি এবার নামিয়ে দিতে পারো
খুলে দিতে পারো সব বাঁধ
বাতাসে অবাধ্য হোক ঢেউ
আমি পৌঁছাতে পারিনা সেখানে সঙ্কোচে তবু বাতাস অবাধ্য খুব
সে এলোমেলো ঢেউ থেকে তুলে আনে জলের সুবাস।
৪।
তোমার শহরে সর্বোচ্চ রের্কড বাজে
আমার এখানে জলের বেহালা
পথ মাঠ ভেতর বাড়ি সন্ধা দুপুর
ছলাত্ শব্দে ঘুমের ভেতর বৈঠা ফেলে জলের শেকড়..,
ঝপ করে তীর ভাঙে দুঃস্বপ্ন নদী তোমার যদি
এখানে এসো, গড়ে দেব নরম পলির নিঃশব্দ ভূমি।
৫।
সেকেলে পালঙ্ক নতুন চাদর পরে
সেকেলে বাড়ির বাহির ভেতর নতুন রং চড়ে
মানুষ গুলো যুগ পেরিয়ে যায় ফটো এ্যলবামে
আয়না শুধু জানে বয়স কোথায় বাড়ে
স্লেটে এখন ভুল হয়ে যায় কলম খাতার টানে।
৬।
নেই, তবু নেই নেই করেও কিছু রয়ে গেছে
কিছু বয়স থেমে আছে ছবির এ্যালবামে,
কিছু হাসি কিছু মুখ কিছু সম্পর্ক স্থির ফ্রেমে
ধূলো ঝেরে পড়া যায় সব
শব্দ কথা কন্ঠ রা জেগে উঠে অবিকল বর্তমানে...
৭।
নদীর কি আর দেশ আছে?
অরণ্য কি আর মানে কাঁটা তার?
শুধু এক মানুষে ই যত বাঁধা
পা বাড়ালেই সীমানা পাঁচিল আঁটা,
বসত বাড়ি মানেই সব দাগ মৌজা খতিয়ান
সংরক্ষিত এলাকা, এইখানে মানুষ এর নিবাস কুকুর হইতে সাবধান।
৮।
এক পুকুর ভরা জল কতক্ষণ আর বাঁধতে পারে ঘাটের ধারে
কতক্ষণ আর মুখ দেখাবে আয়না হয়ে
পুকুর কি আর বাঁধতে জানে
ঘরকে করতে জানে পর?
মানুষ কি আর পুকুর নিয়ে ঘরেতে ফেরে
কেউ কি বলে স্নানের শেষে ফেরার পথে ভালোবেসে চল?
৯।
জলের শরীর কাদায় গড়া পা
ঢিল ফেলেছো ইচ্ছেমত -শরীর কাঁপে পা নড়ে না,
তবু তোমার মুখ দেখার ঐ আর্শি হয়েই সুখ
স্নানের বেলা সাঁতরে বেড়াও
সে সুখেতেই শাপলা ফোঁটায় ক্ষতয় ভরা বুক।
১০।
সংগোপনে ধীরে যেন সঙ্গমপ্রত্যাশী জোনাকদের মিলন না ছোটে
নীরবে যেন ঘুম না ভাঙে নিমগ্ন নগরের
চাঁদের মত এসো জ্যোত্স্নার অবাধ্য প্রণয়ে
সহস্র বছর যাবে ছবি হবে সব সম্রাট
ধূলো হবে সব সাম্রাজ্য, জেনো জেগে আছি।
১১।
মাথার উপর পূর্ণ যৌবনা চাঁদ
অথচ শহর টা অন্ধকার তাড়াতে বেছে নিলো সারিসারি সোডিয়াম লাইট
পৃথিবীর মানচিত্রে জ্বলে উঠলো একঝাঁক হলুদ জোনাক..
১২।
এ রাত প্রেমে পড়ার মত,
লুটপাট হয়ে যেতে পারে আজ
জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি নদী ঝরা ফসলের মাঠ,
এ রাতে তুমি এলো চুল বনলতা সেন
কোন কথা নয়
ফোনের দুপাশে দুজন নীরব নিঃশব্দ নিঃশ্বাসে
বুকের ধুক ধুক শুনি আরো কিছু কাল।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: এন ইসলাম রনি ,
নরম পলির নিঃশব্দ ভূমিতে বেশ বুনে গেছেন কবিতা । জেগে থাকার ভেতরেও কবিতার লাইনগুলো সঙ্গমপ্রত্যাশী জোনাকের মতো জ্বলছে আর নিভছে যেন । ছলাত্ শব্দে মনের মাঝপুকুরে ঘাঁই মেরে গেছে ত্যাদোর এক কাব্যময় পোনামাছ ।