নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চারপাশের মানুষ গুলো অনেক ভাল।

নিথর শ্রাবণ শিহাব

মাটির মানুষ ভিজলে কাদা হয় না কেন প্রশ্ন জাগে, মানুষ গড়া অন্যকিছুয় আমার শুধু এমন লাগে।

নিথর শ্রাবণ শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অথর্ব মানুষ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

নিথর বাবু চা রেঁধেছেন
দুধ-চিনি তার নাই,
গরম পানিই শর্ট পরেছে
শুঁকনো পাতাই খাই!
সেই সাথে খান আমলকি
আর প্রাণ চানাচুর ভাজা,
বেজায় আছেন এই আরামে
বিশ্বলোকের রাজা!
পেট ফুলিলে ইনো খাবেন
কিনেই রাখেন ডোজ,
বড়ই তিনি রোগ সচেতন
ব্যায়াম করেন রোজ।
ভুঁড়িখানার একটা গতি
করাই লাগে ভাবেন,
রোজ জুমাতে সময় করে
হিল ট্র্যাকিঙ্গে যাবেন।
বেজায় তাহার উৎসাহ আর
ব্যাগ গোছানোর ছিড়ি,
স্যালাইন, গ্লুকোজ সবই নেবেন
বাইতে যাবেন গিরি!
বিরাট দলের সঙ্গে তিনি
মিশেই গেলেন তেজে,
সীতাকুণ্ডের এই গিরিখাদ
আস্ত নেবো ভেজে!
নিলেন তিনি বাঁশের লাঠি
বড়ই কঠিন পথ,
জোঁক, সাপেতে ছড়ায় থাকুক
করবো সবই বধ!
এই না ভেবে ধরেন হাঁটা
বুক চাতিয়ে পা'ড়ে,
দুইটা মিনিট উঠেই বলেন
"বেজায় ব্যথা হাড়ে!"
তিন মিনিটে ঘেমেই নাকাল
চার মিনিটে আছাড়,
কাদায় মেখে নিথর বাবু
হইল বড় নাচার।
লাঠিখানা বুড়োর মত
জড়ায় ধরেন বেঁকে,
হাঁটেন কুঁদে-কক-ককিয়ে
জানান "আছিঃ" হেঁকে!
দলের সবাই মাইল ক'খানা
এগিয়ে গিয়েও ঘুরে,
ডাকছে, "বাবু নিথর সাহেব-
আছেন ক্যামন দূরে?"
নিথর বাবু হাসফাসিয়ে
হেঁচকি তুলে কাশেন,
য্যাম্‌নেতে হোক এই পাহাড়ের
চূড়ার দেশে যাবেন।
হামাগুড়ি দিয়ে হলেও
ভ্রমণ তাহার চাই,
"ভুঁড়িখানার হেনেস্ত আজ
করেই যাব ভাই!"
নিথর বাবু কঠিন মানুষ
কঠিন তাহার পণ,
ঝর্ণা খুঁজেই ফিরবো এবার
শুনবে মানুষজন!
এই ভেবে সে লাগায় হাঁটা
ফের পাহাড়ের গায়ে,
মিনিট ক'খান যেতেই বলেন
"জোঁক ধরেছে পায়ে!"
চোখগুলো তার উলটে আসে
ফিট হয়ে যায় বুঝি!
বাদ বাকি সব মুখ বাঁকিয়ে
"খান না কেন সুজি?"
এই সাহসে পাহাড় বাওয়া
চাট্টি কথা নয়,
জোঁকের ভয়ে ফিট হওয়াটাও
করতে হবে জয়!
মুখ কালো হয় নিথর বাবুর
ঢেঁড় হয়েছে ভাই,
ঝর্ণা খোঁজা বাদ দিয়ে চল্‌
ঘরেই ফিরে যাই।
লাগবে না আর ভুঁড়ি কমার
ভালই লাগে বেশ,
এই ভুঁড়িতেই কাঁপায় দিব
সোনার বাংলাদেশ!
ভুঁড়ি নিয়েও জয় করিবেন
দেশের জনতাকে,
দিল দরিয়া মানুষ হবেন
চিনবে লোকে তাকে।
এই ভেবে ফের ফেসবুকেতেই
আহা উহু ধরেন,
এই দেশটার হইবে কি ভাই
সেই চিন্তাই করেন।
এই ভাবিয়া কিত-কদাচিৎ
দীর্ঘশ্বাসেই সাড়া,
"এই রসাতল থেকে এবার
দেশটা তোলে কারা?"
গালে রেখে হাত তিনি দিন-
রাত্রি ভেবে যান;
এই অসহায় জনগণের
কষ্টে ব্যথা পান।

ঘরে বসেই নিথর সাহেব
দেশের সেবায় রত,
বলেন দেখি আছেন ক'খান
পাক্কা তাহার মত?
শোনেন শোনেন যাই বলে ভাই
দুইটি কদম হেঁটে,
রাজপথের ঐ নাঙ্গা কিশোর
থাকছে কোথায় খেটে?
কি খেয়েছে এই বেলাতে
কি খেয়েছো তুমি?
ওদের পেটে তাই কি আছে-
শুধাই জনম ভূমি?
একই মাটির ওপর বাঁচে
লক্ষ কোটি প্রাণ,
তাও কত যে সেই প্রাণেতে
ভগ্নতারই দান!
নিথর হয়ে লাভটি যে নেই;
একটু মানুষ হয়ে,
"কী খেয়েছো?" এই কথাটা
বলিস পাশে রয়ে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১১

জলমেঘ বলেছেন: অনেক ভাল্লাগলো

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনেকটা নন্দলালের মতো :)

ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা নিবেন ।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুুন্দর ছড়া টাইপ কবিতা । :)

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: সবাইকে অনেক ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.