নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চারপাশের মানুষ গুলো অনেক ভাল।

নিথর শ্রাবণ শিহাব

মাটির মানুষ ভিজলে কাদা হয় না কেন প্রশ্ন জাগে, মানুষ গড়া অন্যকিছুয় আমার শুধু এমন লাগে।

নিথর শ্রাবণ শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিস্মরণের আমি এবং আপনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

স্বপ্নে দেখলাম সিলেটের ক্যান্টনমেন্টের অপজিটের বিশাল হাওড়টার কাছে চলে গেছি আমি। আগে সিলেটে ছিলাম প্রায় পনেরো বছর। হাওড়ের ধারে, ঠিক কিনারেই ছোট একটা পাহাড় ছিল। বৃষ্টির দিনে হাওড়ে পানি জমত অনেক। সেই পাহাড়টায় উঠে হাওড়ে বৃষ্টি নামা দেখতাম ভিজতে ভিজতে। অদ্ভুত সুন্দর একটা দৃশ্য ছিল সেটা। হাওড়ের মাঝে মাঝে খুব ছোট ছোট দ্বীপের মত ছিল। কোথাও আবার পানির মাঝে ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবে গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিরাট হাওড়টার যতদুর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। হঠাৎ হঠাৎ দু একটা ডিঙ্গি নৌকার দেখা মেলে। মাঝি কিংবা মাঝির মেয়ে সেই খোলা ডিঙ্গিতে দাঁড়িয়ে জাল ছুড়ে মাছ ধরতে থাকে। বৃষ্টির মাঝেই সব। পাহাড়ের ওপর থেকে তাকিয়ে থাকলে মনে হবে যেন মেঘগুলো সব ঠিক হাত বাড়ালেই অল্পতেই ছুঁয়ে ফেলা যাবে। আমি প্রায়ই একা একা সেখানে গিয়ে বসে বসে ভিজতাম সন্ধার দিকে। সাগর আর হাওড়ের সূর্যাস্তের মাঝে অদ্ভুত একটা মিল রয়েছে। কেমন যেন একটা হাহাকার নিয়ে সূর্যটা ডুবে যায়। বৃষ্টির দিনে সূর্য ডোবার দৃশ্যটা ঠিক স্পষ্ট বোঝা যায় না। কেবল বুঝতে পারবেন চোখের সামনে থেকে যেন বৃষ্টি নামা দিগন্ত আর হাওড়ের ঐ শেষ জগতটা হারিয়ে যাবে। সাদা কালো একটা পৃথিবী সৃষ্টি হবে তখন। না আলো, না অন্ধকার। সব দেখতে পাবে, আবার কিছুই দেখতে পাবে না। ডিঙ্গি নৌকা, গাছ পালা, দ্বীপ সব দেখা যায়, আবার রহস্যময় একটা আড়ালও সৃষ্টি করে রেখেছে। অনেক দূরে হাওড়ের উলটো এবং পাহাড়ের পেছন দিকে মফস্বল শহর আর সভ্যতা। আমি পিঠ ফিরিয়ে সভ্যতা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে এক দৃষ্টিতে নিঃশব্দ সেই হাওড়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কেবল বাতাসের ফিনফিনে একটা আওয়াজ আর মৃদু ধাক্কা। পাহাড়ের গায়ের ওপর হাজার হাজার চোরাকাঁটার রাজ্য। মৃদু বাতাসে সেই চোরাকাঁটার রাজ্যে ঢেউ খেলে যেতে থাকে অনন্ত কাল যাবত।
বহু বছর পর কাল রাতে সেই জগৎটায় ফিরে গিয়েছিলাম আমি। আমার সাথে আপনিও ছিলেন। প্রথমে একা একাই বসে তাকিয়েছিলাম। বয়সটা ঠিক আগের মত ছেলে বেলায় পৌছে গেছে যেন। আগের ঠিক সেই আমিটাই। স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম ক্লাস নাইন টেনের সেই ছেলেটা হয়ে গেছি। শুকনো, রোগাটে মানুষটা। মাথায় ছোট ছোট আর্মি ছাটের চুল, গায়ে পোলো শার্ট, খালি পা। টিপ টিপ করে বৃষ্টি নামছিল। হাওড়ে খুব বেশি পানি জমেনি। সন্ধ্যার ম্লান আলোতেও হাওড়ের নিচের ধানক্ষেতের মত আ'ল গুলো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। এর মাঝ দিয়েই কিনা ডিঙ্গি নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে নয় দশ বছরের একটা মেয়ে। এক প্যাঁচে শাড়ি পরেছে মেয়েটা। আ'লে নৌকা আটকে গেলেই হাঁটু পানিতে নেমে সেই মেয়ে ঠেলে ধাক্কিয়ে নৌকাটাকে ছোটাচ্ছে, অন্যপাশে নিয়ে গিয়ে আবার লাফিয়ে উঠে যাচ্ছে নৌকায়। ডিঙ্গির ছই নেই। জাহাজের মাস্তুলের মত চিকন একটা বাঁশ খাঁড়া ভাবে লাগানো ডিঙ্গির মাঝে। ওটার সাথে হারিকেন ঝুলছে। সন্ধ্যার আধো অন্ধকার হাওড়ের মাঝে টিমটিমে সেই হারিকেনের আলোটাকে নক্ষত্রের মত লাগছে। আমি অবাক হয়ে বৃষ্টি নামা সেই হাওড়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ডিঙ্গিটা আমার থেকে অনেক নিচে আর দূরে। ওটার হারিকেনের আলোটা খুব সামান্য অংশই আলোকিত করে বাকি হাওড়টাকে আরো অন্ধকার করে দিয়েছে। ছোট্ট ডিঙ্গিটার চারপাশের বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে হলদে হলদে ক্ষুদ্র মরিচবাতির মত পানিতে আছড়ে পড়ছিল হারিকেনের আলোয় স্নান করে।
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিলাম বলে টের পাইনি আপনি কখন আমার পাশে এসে বসেছেন। মিষ্টি একটা গন্ধ শুধু পাচ্ছিলাম। পাশে তাকাইনি। কতক্ষণ এভাবে কেটেছে তাও বলতে পারি না।
হঠাৎ আমার পাশ থেকে খুব স্বাভাবিক গলায় আপনি নিচু স্বরে বললেন, "অনেক সুন্দর লাগছে জানেন পৃথিবীটাকে? ইচ্ছে করছে হাওড়ের আ'লগুলোর মাঝে পা ফেলে হেঁটে যাই........."
আমি পাশ ফিরে তাকাতেই আপনার আবছা মুখটা দেখতে পেলাম। মিহি আলোতেও বোঝা যায়; হালকা নীল রঙের একটা ওড়না আপনার গলায়। হাঁটু ভাঁজ করে দুহাতে জড়িয়ে চিবুক রেখে এক দৃষ্টিতে সম্মোহিতের মত তাকিয়ে রয়েছেন হাওড়ের দিকে। আপনার মুখের ওপর চুল এসে বাতাসে দুলছে। আমি কেন যেন খুব একটা অবাক হইনি। যেন এটাই স্বাভাবিক ছিল। এটাই বাস্তব ছিল।
আমি হালকা গলায় বললাম, “যেতে চাইলে নিয়ে যেতে পারি। তবে হা ফস্কালে আ’ল থেকে সরাসরি হাঁটু কিংবা কোমর পানিতে ঝপাস করে পড়ে যাবেন।”
আপনি আমার দিকে তাকালেন না কেন জানি। কেবল মাথা ঝাঁকালেন বাচ্চা মেয়েদের মত। আপনাকেও কেন যেন অনেক ছোট ছোট লাগছে। যেন আমার মত আপনিও ছোট হয়ে পেছন দিকে ফিরে গেছেন। মোহাবিষ্টের মত তাকিয়ে রয়েছেন ডিঙ্গি নৌকার মেয়েটার দিকে।
আমি উঠে দাঁড়ালাম, “চলুন। পাহাড় দিয়ে নামার সময় সাবধানে নামবেন। ভিজে পিচ্ছিল হয়ে আছে। আমি নামতে গিয়ে অনেকবার আছাড় খেয়ে গড়িয়ে গেছি। ভাগ্য ভাল ঘাস খুব বেশি, তেমন কিছু হয়নি কখনই। তাও সাবধান থাকা ভাল।”
আপনি মুখ তুলে আমার দিকে এই প্রথম তাকালেন। আবছা অন্ধকারে এবারেও মুখটা বোঝা গেল বা পুরো পুরি। শুধু বুঝলাম আপনি শঙ্কিত দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন। ভেজা পাহাড় বেয়া নামার ব্যাপারটায় দমে গেছেন খানিকটা। আমি মৃদু হেসে বললাম, “ভয়ের কিছু নেই। পা ফসকাবে না। আমি সামনে সামনে থাকবো নামার সময়। পড়লে আমার ঘাড়ের ওপরেই পড়বেন।”
আপনি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে অনিশ্চিত মুখে, দ্বিধা জড়ানো গলায় বললেন, “আমার যে শরীর, আমি পড়লে আপনাকে না, পুরো পাহাড়ের একপাশ মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে নেমে যাবো। উল্কা পড়লে যেমন বিশাল খাদ টাইপের সৃষ্টি হয় না? ওরকম হবে।”
আমি হাসি চাপতে গিয়েও হো হো করে হেসে ফেললাম। নিঃশব্দ হাওড়ের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে সেই হাসির শব্দ দৌড়াতে লাগলো পানির ওপর দিয়ে।
“আমি হাসির কিছু বলিনি।” পা থেকে চোরাকাঁটা ছোটাটে ছোটাতে বিরক্ত হলেন সামান্য।
আমি হাসি থামিয়ে ফেললাম জোর করে। তারপর সাবধানে পাহাড়ের কিনার ঘেষে নামতে শুরু করলাম। আমার পেছন পেছন পা টিপে টিপে নামছেন আপনি। দুই হাতে আপনার দুই স্যান্ডেল। পায়ের আঙ্গুল দিয়ে মানুষ যেভাবে মাটি খামচে খামচে নামে, আপনিও ঠিক একই ভাবে খুব ধীরে ধীরে সেরকম নামছেন। বার কয়েক পা পিছলে যাচ্ছিল, সামনে থাকা আমার পিঠের দিকের গেঞ্জি টেনে ধরে কোনমতে সামলে নিচ্ছিলেন।
হাওড় পর্যন্ত নামতে নামতে চারদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে প্রায়। তবে উৎস ছাড়াই কেমন যেন একটা আভা রয়েছে পানির ওপর দিয়ে। সে আভাতে খানিকটা অস্পষ্ট হলেও বোঝা যায় আলগুলো কোথায় রয়েছে। আমি হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুঁটিয়ে নেমে গেলাম সেই আ’লে। নামার সাথে সাথে ঠাণ্ডা পানি আর পায়ের নিচের ঘাসের অস্তিত্ব বিচিত্র একটা জগতে টেনে নিয়ে গেল যেন আমাকে। আমার পেছন পেছন আপনিও পাজামা টেনে ধরে পা রেখেছেন সেই পানিতে। একটু এদিক ওদিক হলেই কোমর কিংবা হাঁটু গভীর পানিতে পড়ে যাব। আপনি আমার পোলো শার্টের পেছনের নিচের দিকটা এক হাতে মুঠো করে ধরে রেখেছেন, অন্য হাতে এখন স্যান্ডলগুলো। একদম আস্তে আস্তে এগোচ্ছেন। বৃষ্টি নামছে। আমি আপনার জন্য জোরেও হাঁটতে পারছি না। আবার দাঁড়িয়েও থাকতে পারছি না। দাঁড়িয়ে গেলে আপনি ধাক্কা দিচ্ছেন এগোতে, জোরে হাঁটলে গেঞ্জি টেনে থামিয়ে দিচ্ছেন। পড়ে যাওয়ার ভয়ে কোথাও বলছেন না।
আমি হাসছি কেবল নিঃশব্দে সামনের দিকে তাকিয়ে। ডিঙ্গি নৌকার মেয়েটার দিকে হাত নাড়ছি এদিকে আসার জন্য। বেশ খানিকটা দূরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু তবুও অন্ধকারের মাঝে আমাদের দেখতে পেয়েছে মেয়েটা। নৌকা ঘুড়িয়ে এদিকেই আসছে।
বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি নামা শুরু করেছে। আপনি তাড়াহুড়ো করে মাথায় ওড়না চাপালেন ভিজে যাওয়ার ভয়ে। দূরের হারিকেনের আলোয় ডিঙ্গির মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছি মাথায় পলিথিন বেঁধে এদিকে দাঁড় বাইছে। কি যেন বলছে চেঁচিয়ে। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না। বাতাসের শব্দ বাড়ছে বৃষ্টির সাথে সাথে।
নৌকাটা এগিয়ে আসছে......... এগিয়ে আসছে......... এগিয়ে আসছে.........
কিন্তু যতক্ষণে নৌকাটা আমাদের কাছে এসে পৌছালো, হতচকিত হয়ে দেখলাম নৌকায় কেউ নেই। দাঁড় রাখা পাটাতনে। সেই মেয়েটা বেমালুম মিলিয়ে গেছে কোথাও। আমি অবাক মুখে আপনার দিকে তাকালাম। হারিকেনের আলোয় এই প্রথম স্পষ্ট আপনার মুখটা দেখলাম। ফ্যাকাশে হয়ে গেছে ভয়ে।
কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “এতক্ষন একটা মেয়ে ছিল না নৌকাটায়? কোথায় গেল? পানিতে পড়ে যায়নি তো?”
আমি কি উত্তর দিয়েছিলাম ঠিক মনে নেই। তবে দুজনেই অল্প বিস্তর ভয় পেয়েছি। আমি নৌকাটার এক প্রান্ত ধরে কাছে টানার চেষ্টা করতেই আপনি আবার গেঞ্জি টেনে ধরলেন। ভয়ার্ত স্বরে বললেন, “নৌকায় উঠবো না। ভাল্লাগছে না কেন জানি। প্লিজ, চলুন ফিরে যাই!”
আমি আস্বাস দেয়ার মত করে বললাম, “ভয়ের তো কিছু নেই। চলুন উঠে পড়ি।” স্বপ্ন ছিল দেখে নিজের কিউরিসিটি লেভেল ডাউন ছিল নিশ্চয়। নাহলে আমার মধ্যে কোনোরকম প্রশ্ন আসছিল না কেন?
এরপর আর স্বপ্নের তেমন কিছু মনে নেই। আবছা হয়ে গেছে। নৌকায় উঠেছিলাম আমরা। দাঁড় টেনেছিলাম ভাগা ভাগি করে। কিছুক্ষণ আমি, কিছুক্ষণ আপনি। অসম্ভব ঠাণ্ডা বৃষ্টিতে ভিজে রীতিমত কাঁপা শুরু করেছি। আপনি ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারলেও কেন যেন আমি পারছিলাম না। অথচ আমারই ঠাণ্ডা সয়ে নেয়ার কথা।
সময়ের সাথে সাথে আপনার ভয় কেটে গেছে অনেকখানি। আপনি খিলখিল করে হাসছেন বাচ্চা মেয়েদের মত। আমি কাঁপছি ভয়ংকর শীতে। স্বপ্নের ওই মুহূর্তে আমার রুমের ফ্যানটার বাতাসে আমি বরফ হয়ে যাচ্ছিলাম আসলে। তারওপর বাহিরে বৃষ্টিও হচ্ছিল। ঘরের ভেতরটা ফ্রিজের মত ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।
আপনি ভিজতে ভিজতে চিৎকার করে বললেন, “জানেন আমার কি ইচ্ছে করছে এখন?”
মাথা নাড়লাম এপাশ ওপাশ। কাঁপছি খুব।
“আপনাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে! হি হি হি!”
আমি দাঁড় টানছি আর বিমূঢ়ের মত তাকিয়ে আছি আপনার দিকে। হাওড়ের এই বৃষ্টির মাঝে সায়ানের গানটা মৃদু সুরে কোথাও থেকে যেন ভেসে ভেসে আসছে লাগছে। কণ্ঠটা বদলে গেছে। গানটা যে আপনিই গাইছেন ধরতে পারিনি প্রথমে। এক হাতে নীল ওড়নার এক প্রান্ত হাওড়ের পানিতে ডুবিয়ে সেদিকে মুখ ফিরিয়ে গান গাইছেন আপনি। আমি বৃষ্টির কারণে হারিকেন থাকা সত্বেও আপনাকে ঠিক ভাবে দেখতে পারছিলাম না। অসম্ভব সুন্দর গলায় গানটা গাইছিলেন আপনি............

“হঠাৎ করেই চোখ পড়েছে
আমার পড়ে আমার,
মাঝখানে তো পাইনি সময়
একটুখানি থামার।।
পেছনটাতে চোখ বুলাতে
ভাবছি মনে মনে,
আড় চোখেতে সেই আমিকে
দেখছি সংগোপনে।
আমার চোখের সামনে দিয়েই
বদলে গেছি আমি,
নিয়ম হল, যা হারানোর
হারিয়ে গেলেই দামী।”


কাল সারাদিন গানটা শুনছিলাম, হয়ত এ কারণেই গানটা স্বপ্নের মাঝেও আপনার কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ধীরে ধীরে সবকিছু মিলিয়ে যেতে লাগলো এক সময়। হাওড়, নৌকা, আপনি, বৃষ্টি, পাহাড়- সব হারিয়ে যাচ্ছে একে একে। বিস্তির্ণ শূন্যতার মাঝে কেবল রয়েছি আমি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩

খেলাঘর বলেছেন: আপনি স্বপ্ন দেখেননি।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সবকিছু গোলমাল করে ফেললেন ভ্রাতা ! সপ্নকথন ভালো লাগলো ।

ভালো থাকবেন :)

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৯

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: দারুন অনূভুতির প্রকাশ। রেট করে দিলাম।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: সবাইকে অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: সিলেটের প্রতি ভালোলাগা আপনার মানসপটে স্থায়ী হয়ে আছে । ভালো লাগলো স্বপ্নকথন ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: B-) :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.