নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভেজাল অসাম্প্রদায়িক মন

ভূইফোঁড়

যা কিছু শুধুই বিশ্বাস করতে হয় তা অবিশ্বাস করি। সোজা বাঙলায় খাঁটি নাস্তিক।

ভূইফোঁড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমদের আধুনিকায়ন ও বিশ্বশান্তিঃ প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায় (একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

মুসলমান যাত্রী ভাই ও বোনেরা আপনারা জানেন কি, মুসলিমদের সারা বিশ্বে এত পিছিয়ে পড়ার, জঙ্গি হয়ে উঠার কারণ তারা 'প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে'

আপনারা যে সব মুসলিমদের নিয়ে গর্ব করেন তারা প্রশ্ন করেছে বলেই ওই অবস্থানে যেতে পেরেছে এবং আপনারা তাদের নিয়ে গর্ব করতে পারছেন।



আজকাল কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত হুজুররা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে নানা রকম বয়ান দেন। সত্য মিথ্যা মিলিয়ে নানান কিচ্ছা কাহিনী বলেন। আর আমরা সোবহান আল্লাহ বলে সব কিছু নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে বাড়ি ফিরি।



এটা হচ্ছে অন্ধত্বের প্রথম ধাপ।



ইসলাম নিয়ে যে যাই বলে তা বিশ্বাস করার আগে একটু খতিয়ে দেখুন, সে ঠিক তথ্য দিচ্ছে কিনা।



যেমন, অনেকেই বলে থাকে বা অনেক বই পত্রেও লেখা থাকে যে 'আইয়ামে জাহেলিয়ামের যুগে কন্যা শিশু জন্ম নেয়া মাত্রই জ্যান্ত কবর দেয়া হত'



এইক্ষেত্রে আপনি ছোট ছোট প্রশ্ন করতে পারেন, যেমন



প্রশ্ন ১। কবর দেয়া হত নাকি পুড়িয়ে মারা হত?



প্রশ্নের পেছনে যুক্তিঃ পুড়িয়েও মারতে পারত, কারণ সেখানে তখন পৌত্তলিকদের(মূর্তি পূজারী) রাজত্ব ছিল। আর এইসব করত মূলত তারাই(কথিত আছে) আর পৌত্তলিকরা সাধারণত কবর দেয়না, পোড়ায়।



প্রশ্ন ২। সত্যিই কি কন্যা শিশু জন্ম নেয়া মাত্রই মেরে ফেলা হত?



প্রশ্নের পেছনে যুক্তিঃ ১। কন্যা শিশু জন্ম নেয়া মাত্রই যদি মেরা ফেলা হত তাহলে সেখানে বিয়ে করার জন্য পর্যাপ্ত নারী পাওয়া যেত না। সেটা হয়ে যেত নারীহীন এক পুরুষ সমাজ। মানুষের বংশবৃদ্ধি থেমে যেত। কিছুদিনের মধ্যেই সে সমাজ বিলুপ্ত হয়ে যেত।



যুক্তি ২। তখনকার মানুষেরা একাধিক বিয়ে করত। কেউ কেউ ৪-১০ পর্যন্ত বিয়ে করত বলে বিভিন্ন বই থেকে জানা যায়।

যদি কন্যা শিশুদের কে জন্মের পরপরই মেরে ফেলা হত তাহলে একজন পুরুষের এতগুলা বিয়ে করা সম্ভব হত না।



উপরে প্রক্রিয়া অনুসরন করে আমরা যেকোন ঘটনার সত্য মিথ্যা নিরুপন করতে পারি এবং নিজের বিশ্বাসকে একটা শক্ত ভিত দিতে পারি।



কুরানকে বলা হয় 'বিজ্ঞানময় কুরান'! আর আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে যদি নূন্যতম ধারনাও থাকে তাহলে আপনি নিশ্চই জানেন 'বিজ্ঞানে অন্ধবিশ্বাসের কানাকড়ি মূল্যও নাই'



তাই কোন কিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করার আগে এর কার্যকারণ, যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলুন।



দেখুন, আপনি আগের চেয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। আপনার ভিতরের জঙ্গি মনোভাব দূর হয়ে যাচ্ছে। আপনি হয়ে উঠছেন আগের চেয়ে অনেক বেশী সহনশীল। আপনার ধর্ম নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলেও আপনি আর আগের মত হিংস্র হয়ে উঠছেন না। অন্য ধর্মাবলম্বিদেরকেও শত্রু মনে হচ্ছে না। তাদেরকেও আপন মনে হচ্ছে। এমনকি নাস্তিকদেরও। জীবনটা আগের চেয়েও মধুর মনে হচ্ছে।



প্রকৃত শিক্ষাতো মানুষকে এসবই শিখায়।



এসব যদি আপনার ভিতরে না থাকে তাহলে আপনার ধর্মের গৌরব কোথায়? অশান্তি সৃষ্টিতে কোন গৌরব নেই।



একটা শান্তিপূর্ণ নির্মল পৃথিবী কি খুব অসম্ভব?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অশান্তি ধর্ম নয়
ধার্মিক বিপথে গেলে ধর্ম কলংক হয়
ঈদ শুভেচ্ছা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

ভূইফোঁড় বলেছেন: সত্য।
ঈদের শুভেচ্ছা।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হিংস্র ঈগল বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন। দুঃখের কথা কি বলব?? একবার এই কন্যা শিশুর কবর দেয়া নিয়ে এই প্রশ্নগুলোই করেছিলাম ক্লাসের কিছু বন্ধুর কাছে। আর যায় কই, নগদে নাস্তিক, মুরতাদ খেতাব জুটেছিল।
পোস্টে+++

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

ভূইফোঁড় বলেছেন: আমরা আমাদের গন্ডি প্রতিনিয়ত ছোট করে আনছি।
এইসব অন্ধ বিশ্বাস যে ধর্মের কী পরিমান ক্ষতি করছে তা বুঝার জ্ঞান এদের এখনো হয়নি।

গন্ডির বাইরে কেউ একপা দিলেই গোলাবর্ষণ শুরু হয়ে যায়। আফসুস!

ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কাফের বলেছেন: ভালো লাগছে পোষ্ট

এই ধরনের প্রশ্ন কইরা মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা আছে আমি একবার বিপদে পরছিলাম!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ভূইফোঁড় বলেছেন: হাল ছেড়ে দিলে হবে না। সমাজ পরবর্তনের কিছুটা দায়ভারতো আমাদের উপরও বর্তায়।

ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আরিফআশিক বলেছেন: অর্ধ শিক্ষিত কি হুজুরের কারনে আজ মুসলমানরা এত পিছিয়ে পড়েছে।
কিন্তু কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হত এটা তো পবিত্র কোরানে আছে।
তাই এটা নিয়ে এত প্রশ্ন-উত্তরের কি আছ?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫

ভূইফোঁড় বলেছেন: অর্ধশিক্ষিত হুজুরেরা আমাদের নানারকম অবাস্তব, কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট কাহিনী শোনায় যা অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।

জীবন্ত কবর দেয়ার কথা কুরানের কোথায় আছে একটু বলবেন কী?
কুরানে এসব কথা থাকেনা, এইরকম কথা হাদিসে থাকতে পারে। কিন্তু জীবন্ত কবর দেয়ার কথা রেফারেন্স দেয়ার মত কোন জায়গায় আছে বলবেন কী?

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

আরিফআশিক বলেছেন: জি ভাই,জীবন্ত কবর দেয়ার ব্যপারে রেফারেন্স দেয়ার মত কুরানে দুই দুইটা আয়াত আছে।
পবিত্র কুরানের ৩০তম পারায় সুরা তাকবীরের ৮ ও ৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-
"(৮)আর যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে । (৯)কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?"
সুরা আত তাকবীর।
আশা করি বুঝার চেষ্টা করবেন।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬

আরিফআশিক বলেছেন: "অর্ধশিক্ষিত হুজুরেরা আমাদের নানারকম অবাস্তব, কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট কাহিনী শোনায় যা অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।"
এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
আমার আগের মন্তব্যে 'কি' টা টাইপিংয়ে ভুলের কারনে অতিরিক্ত আসছে। এ জন্য দু:খিত।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

অপরিপক্ক বলেছেন: এক সাহাবী ইসলাম গ্রহণ করার পর রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কে তার নিজের মেয়েকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কথা বলেছিলেন, যা আমি অথেন্টিক হাদিসে পেয়েছি

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: পড়াশুনা একটু যে কর তা বুঝতে পারতেছি, কিন্তু পইড়া যে কিছু বোঝ না সেটা খুবই স্পস্ট।
অবশ্য মাথায় ঘু পোরা থাকলে কোনো আশা নেই।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: কন্যা সন্তানদের কবর দেওয়া হত মানে এমন না যে সব কন্যা সন্তানদেরই কবর দেওয়া হত। শতকরা যদি ২% ও দেওয়া হয় তাহলেও তো সেটা বর্বরতা তাই না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.