![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক এক সময় মনে হয় বেঁচে থেকে আর লাভ নেই এক এক সময় মনে হয় পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত এক এক সময় মানুষের ওপর রেগে উঠি অথচ ভালোবাসা তো কারুকে দিতে হবে এক এক সময় ইচ্ছে হয় সব কিছু ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে ফেলি আবার কোনো কোনো বিরল মুহূর্তে ইচ্ছে হয় কিছু একটা তৈরি করে গেলে মন্দ হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম। প্রিপারেশন ভালই ছিল আশা করি আল্লাহ্র রহমতে আমার নিজের একটা জায়গা করে নিতে পারব। বাসে করে যাচ্ছিলাম একদিন আগেই রওনা দিয়েছিলাম শুক্রবার পরিক্ষা বুধবার রাত নাবিল পরিবহনেই কাটল।বাইরে থেকে ঢাকায় গেলে থাকার আর খাওয়ার প্রব্লেম হয়। আমার পরিচিত বড় ভাই ছিল তারপরেও গাড়িতে উঠার সময় দুই তা Dextrose এর প্যাকেট নিলাম।
নিউরনের প্রধান খাবার গ্লুকোজ তাই Dextrose নিউরনের ক্ষুধা মিটাবে।
ব্যাগের ভিতর প্রয়োজনিয় যা লাগে তা নিয়ে অতিরিক্ত একটি কফির জার ও কফি হিটার নিলাম আরো সাথে নিলাম
ডম্পেরিডন ট্যাবলেট ও কয়েকটা প্রাণ চাটনি। ব্যাগ টা সিটের নিচে দিয়ে পদার্থবিদ্যা বই পরতেছিলাম আর নিউটনএর সুত্রের জড়তার সুত্র মিলাচ্ছিলাম। যতক্ষণ জেগে ছিলাম ততক্ষন পড়ার চেষ্টা করেছি মাঝে মাঝে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রিমিক্স গান শুনেছি। ফেসবুক আইডি ডিয়াকটিভ ছিল। ঢাকায় চলে আসলাম পরিক্ষার জন্য চলে আসা শতশত ছাত্রের মধ্যে আমি একজন সার্জেন্ট জহরুল হক হলের ৩০০৫ নম্বর রুমে উঠলাম। আমার মত আরো ৫ জন ছিল। পরিচিত হলাম।
বড় ভাইয়েরা আমাদের এমনভাবে দেখাশোনা করল মনে হল আরো আগে কেন আসিনি। খুব আদর করেছে আমাক। ভাইয়ারা খুব ফ্রেন্ডলি ছিল। অবশেষএ শুক্রবার সকালে পরিক্ষা দিতে গেলাম আমার সামনেপিছনে দুইটাতেই দুইটা মেয়ে বসেছিল। সামনে বেঞ্চএর বাম পাশে এক নিলপরী বসে ছিল। নিল উরনায় মেয়েটিকে এত সুন্দর লাগতেছিল সেখানেই আমার পরিক্ষা প্রায় শেষ। কিছু প্রস্নের গোল্লা ভরতি করে নিলপরীকে দেখতেছিলাম।পরিক্ষা শেষ হলে সিট থেকে তার রোল নম্বর তা দেখে নিলাম। সেইদিন থেকেই নিলপরী বুকের বাম পাসের ঘরটি মালিকানা নিয়ে ফেলেছে। নিজের বানানো ঘর এ নিজে ভারা থাকি। পরে আর কোন ইউনিভারসিটি তে আর পরিক্ষা দেওয়া হয়নি। তিনদিন পর জানলাম আমি চান্স পাইনি। পর দেখিজে নীলপরী চান্স পেয়েছে তখন একটু ভালোলেগেছিল।
আমার অন্যবন্ধু যারা চান্স পেয়েছে তাদের কাছে জানতে পারি যে নীলপরীর নাম নিলা। সে ভর্তি হয়েছে কিন্তু ক্লাস করেনা। এমন কোনদিন ছিলনা যেদিন নীলপরী আমার ভাবনায় আসেনাই।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় হয়েও কোথায় চান্স না পাওয়ায় লাস্ট বয় টাও আমকে বলে
কিবে ফইন্নি পরে পরে টাকলু হয়ে গেলি তাওতো আমাদের সিরিয়ালে।
পাড়াপ্রতিবেশিরা আমার আম্মু আর আব্বুকে বলে টাকা দিয়া পোলাডার নষ্ট করলি। আমার আরেক বন্ধু প্রাইম মেডিকেল কলেজ(প্রাইভেট) এ ভরতি হয়।
সাইকেল দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাত দেখা
সে আমাকে বলল দোস্ত কোথাও তো চান্স পাইলি? পাইনি রে। ও নো টেনশন তুই ত সুন্দর সাইকেল চালাইতে পারিস। আমি আগে ডাক্তার হইয়া লই তারপর তুই দোকানএ দোকানে সাইকেল দিয়ে ঔষধ বিক্রি করিস।
আমি কেঁদে চলে আসছি তার কাছে থেকে সারারাত কেদেছি।
নীলপরীকে হারাইছি চান্স ও পেলাম না সবার চোখের কাটা হয়ে গেছি। পরদিন সকালে বাবাকে বললাম আব্বু আমি সেকেন্ড টাইম মেডিকেল কোচিং করবো। দেন আমি রাজশাহী চলে আসি আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি যদি এইবার সাদা এপ্রোন গায়ে না দিতে পারি সাদা কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে বাড়ি যাব।
চান্স নিবই ইনশাল্লাহ।
রাজশাহী তে কোচিং করলাম। একটা এপ্রোন কিনে পড়ার টেবিলএর সামনে রেখেছি যখন পরতে ভালো লাগতো না তখন এপ্রনের দিকে তাকাইতাম আর এনার্জি নেওয়ার চেষ্টা করতাম। ফেসবুকে লগ ইন করে ডিএক্টিভেট করি
আর ভাবি যতদিন না ফেসবুকে প্রোফাইল এ মেডিকেল কলেজ না লিখতে পারব ততদিন আর ফেসবুকে তে অাসবোনা। একহাতে বই আরেক হাতে ভাতের প্লেট এইভাবে চলল তারপরেও নীলপরী কে নিয়ে কবিতা লিখতাম আবার ছিরে ফেলতাম। আর ভাবতাম নীলপরী চান্স না পাওয়া ছেলেকে টাইম দিবেনআ।
নিজের জন্য না হলেও নীলপরিকে পাওয়ার জন্য হলেও আমার চান্স নিতেই হবে।এই ভেবেই আবার পড়া শুরু করি।
নামাজ পড়ি আর আল্লাহ কে বলি এ আল্লাহ আমকে দুইটা সিটের প্রয়েজন একটা মেডিকেল কলেজের আরেকটি নীলপরীর মনের।
অবশেষএ রংপুর মেডিকেল কলেজ এ একটা সিট আল্লাহু আমকে গিফট করেন। চান্স পাওয়ার পর আমার সারথপর বন্ধুটাকে বলেছি আরে তুই ক্লিনিক বানাইস আর রোগি না পাইলে বলিস আমি রোগি পাঠাবো। আমি আমার জেদ পালন করেছি। তারপর কলেজে ভরতি হয়ে ক্লাস শুরু করলাম।
সবসময় নীলপরীকে সব মেয়েদের মাঝে খুজতাম। নীল উরনা পরা মেয়েদের প্রতি বেশি বেশি নজর দিতাম
মেডিকেলের ক্লাস গুলো গ্রুপ আকারে ভাগ করে দেওয়া হয়। সব গুলতেই বি গ্রুপে ছিলাম কিন্তু মাইগ্রেশনের ফলে রোল পরিবরতন হয়ে বায়োকেমিস্ট্রি ক্লাস বি ব্যাচ থেকে ই ব্যাচ এ চলে গেলাম।
ই ব্যাচ এ কয়েকদিন ক্লাস করলাম এর মধ্যে হঠাত ক্লাসের মধ্যে বি ব্যাচ টিচার মনে করে ই ব্যাচ টিচারকে সালাম দেই। সবাই আমকে অনেক হাসল কিন্তু আমি কিছুই বুজতে পারিনাই। কেনই বা পারবো আমি জেন দেখতেছি ই ব্যাচ এর জায়গায় আগের বি ব্যাচ টিচার নিলপরীকে পাশে দাড় করিয়ে প্র্যাকটিকেল খাতা সাইন করতেছিল
.......................................
চলবে............................... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম। প্রিপারেশন ভালই ছিল আশা করি আল্লাহ্র রহমতে আমার নিজের একটা জায়গা করে নিতে পারব। বাসে করে যাচ্ছিলাম একদিন আগেই রওনা দিয়েছিলাম শুক্রবার পরিক্ষা বুধবার রাত নাবিল পরিবহনেই কাটল।বাইরে থেকে ঢাকায় গেলে থাকার আর খাওয়ার প্রব্লেম হয়। আমার পরিচিত বড় ভাই ছিল তারপরেও গাড়িতে উঠার সময় দুই তা Dextrose এর প্যাকেট নিলাম।
নিউরনের প্রধান খাবার গ্লুকোজ তাই Dextrose নিউরনের ক্ষুধা মিটাবে।
ব্যাগের ভিতর প্রয়োজনিয় যা লাগে তা নিয়ে অতিরিক্ত একটি কফির জার ও কফি হিটার নিলাম আরো সাথে নিলাম
ডম্পেরিডন ট্যাবলেট ও কয়েকটা প্রাণ চাটনি। ব্যাগ টা সিটের নিচে দিয়ে পদার্থবিদ্যা বই পরতেছিলাম আর নিউটনএর সুত্রের জড়তার সুত্র মিলাচ্ছিলাম। যতক্ষণ জেগে ছিলাম ততক্ষন পড়ার চেষ্টা করেছি মাঝে মাঝে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রিমিক্স গান শুনেছি। ফেসবুক আইডি ডিয়াকটিভ ছিল। ঢাকায় চলে আসলাম পরিক্ষার জন্য চলে আসা শতশত ছাত্রের মধ্যে আমি একজন সার্জেন্ট জহরুল হক হলের ৩০০৫ নম্বর রুমে উঠলাম। আমার মত আরো ৫ জন ছিল। পরিচিত হলাম।
বড় ভাইয়েরা আমাদের এমনভাবে দেখাশোনা করল মনে হল আরো আগে কেন আসিনি। খুব আদর করেছে আমাক। ভাইয়ারা খুব ফ্রেন্ডলি ছিল। অবশেষএ শুক্রবার সকালে পরিক্ষা দিতে গেলাম আমার সামনেপিছনে দুইটাতেই দুইটা মেয়ে বসেছিল। সামনে বেঞ্চএর বাম পাশে এক নিলপরী বসে ছিল। নিল উরনায় মেয়েটিকে এত সুন্দর লাগতেছিল সেখানেই আমার পরিক্ষা প্রায় শেষ। কিছু প্রস্নের গোল্লা ভরতি করে নিলপরীকে দেখতেছিলাম।পরিক্ষা শেষ হলে সিট থেকে তার রোল নম্বর তা দেখে নিলাম। সেইদিন থেকেই নিলপরী বুকের বাম পাসের ঘরটি মালিকানা নিয়ে ফেলেছে। নিজের বানানো ঘর এ নিজে ভারা থাকি। পরে আর কোন ইউনিভারসিটি তে আর পরিক্ষা দেওয়া হয়নি। তিনদিন পর জানলাম আমি চান্স পাইনি। পর দেখিজে নীলপরী চান্স পেয়েছে তখন একটু ভালোলেগেছিল।
আমার অন্যবন্ধু যারা চান্স পেয়েছে তাদের কাছে জানতে পারি যে নীলপরীর নাম নিলা। সে ভর্তি হয়েছে কিন্তু ক্লাস করেনা। এমন কোনদিন ছিলনা যেদিন নীলপরী আমার ভাবনায় আসেনাই।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় হয়েও কোথায় চান্স না পাওয়ায় লাস্ট বয় টাও আমকে বলে
কিবে ফইন্নি পরে পরে টাকলু হয়ে গেলি তাওতো আমাদের সিরিয়ালে।
পাড়াপ্রতিবেশিরা আমার আম্মু আর আব্বুকে বলে টাকা দিয়া পোলাডার নষ্ট করলি। আমার আরেক বন্ধু প্রাইম মেডিকেল কলেজ(প্রাইভেট) এ ভরতি হয়।
সাইকেল দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাত দেখা
সে আমাকে বলল দোস্ত কোথাও তো চান্স পাইলি? পাইনি রে। ও নো টেনশন তুই ত সুন্দর সাইকেল চালাইতে পারিস। আমি আগে ডাক্তার হইয়া লই তারপর তুই দোকানএ দোকানে সাইকেল দিয়ে ঔষধ বিক্রি করিস।
আমি কেঁদে চলে আসছি তার কাছে থেকে সারারাত কেদেছি।
নীলপরীকে হারাইছি চান্স ও পেলাম না সবার চোখের কাটা হয়ে গেছি। পরদিন সকালে বাবাকে বললাম আব্বু আমি সেকেন্ড টাইম মেডিকেল কোচিং করবো। দেন আমি রাজশাহী চলে আসি আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি যদি এইবার সাদা এপ্রোন গায়ে না দিতে পারি সাদা কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে বাড়ি যাব।
চান্স নিবই ইনশাল্লাহ।
রাজশাহী তে কোচিং করলাম। একটা এপ্রোন কিনে পড়ার টেবিলএর সামনে রেখেছি যখন পরতে ভালো লাগতো না তখন এপ্রনের দিকে তাকাইতাম আর এনার্জি নেওয়ার চেষ্টা করতাম। ফেসবুকে লগ ইন করে ডিএক্টিভেট করি
আর ভাবি যতদিন না ফেসবুকে প্রোফাইল এ মেডিকেল কলেজ না লিখতে পারব ততদিন আর ফেসবুকে তে অাসবোনা। একহাতে বই আরেক হাতে ভাতের প্লেট এইভাবে চলল তারপরেও নীলপরী কে নিয়ে কবিতা লিখতাম আবার ছিরে ফেলতাম। আর ভাবতাম নীলপরী চান্স না পাওয়া ছেলেকে টাইম দিবেনআ।
নিজের জন্য না হলেও নীলপরিকে পাওয়ার জন্য হলেও আমার চান্স নিতেই হবে।এই ভেবেই আবার পড়া শুরু করি।
নামাজ পড়ি আর আল্লাহ কে বলি এ আল্লাহ আমকে দুইটা সিটের প্রয়েজন একটা মেডিকেল কলেজের আরেকটি নীলপরীর মনের।
অবশেষএ রংপুর মেডিকেল কলেজ এ একটা সিট আল্লাহু আমকে গিফট করেন। চান্স পাওয়ার পর আমার সারথপর বন্ধুটাকে বলেছি আরে তুই ক্লিনিক বানাইস আর রোগি না পাইলে বলিস আমি রোগি পাঠাবো। আমি আমার জেদ পালন করেছি। তারপর কলেজে ভরতি হয়ে ক্লাস শুরু করলাম।
সবসময় নীলপরীকে সব মেয়েদের মাঝে খুজতাম। নীল উরনা পরা মেয়েদের প্রতি বেশি বেশি নজর দিতাম
মেডিকেলের ক্লাস গুলো গ্রুপ আকারে ভাগ করে দেওয়া হয়। সব গুলতেই বি গ্রুপে ছিলাম কিন্তু মাইগ্রেশনের ফলে রোল পরিবরতন হয়ে বায়োকেমিস্ট্রি ক্লাস বি ব্যাচ থেকে ই ব্যাচ এ চলে গেলাম।
ই ব্যাচ এ কয়েকদিন ক্লাস করলাম এর মধ্যে হঠাত ক্লাসের মধ্যে বি ব্যাচ টিচার মনে করে ই ব্যাচ টিচারকে সালাম দেই। সবাই আমকে অনেক হাসল কিন্তু আমি কিছুই বুজতে পারিনাই। কেনই বা পারবো আমি জেন দেখতেছি ই ব্যাচ এর জায়গায় আগের বি ব্যাচ টিচার নিলপরীকে পাশে দাড় করিয়ে প্র্যাকটিকেল খাতা সাইন করতেছিল
.......................................
চলবে...............................
©somewhere in net ltd.