নীলপরী,,,,,,পর্ব ৩

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

#নীলপরী..........#পর্ব:৩

দিনের শেষে রাত আসে।এভাবেই কেটে যেতে যেতে ফার্স্ট কার্ড পরিক্ষার সময় এগিয়ে আসছে
ইউনাইটেড ৪৩ বড় ভাইয়া আর আপুদের একটা কালচারাল ফাংশনে আমি আমার বন্ধুরা অনেক মজাই করলাম।৪৬ ব্যাচের সবাই অনেক মজা করেছে সবার মুখের এক্টিই কথা এরকম প্রোগ্রামের প্রয়োজন ছিল।যারা যাইনি তাদের কে বলছিনা। তারা বুঝবেনা এর আনন্দ টা কত মজার।রাত ১২টা পর্যন্ত প্রোগ্রাম। কাপল ডান্সের সময় নিজ জায়গায় আমিও নাচতেছিলাম। সবাই লাফালাফি করতেছিল আমি করেছি সেইরাম মজা।
ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে এসে ঘুম দিয়ে দেখি সকাল ৮টা পার হয়ে গেছে। কোনোমতে হাতমুখ ধুয়ে আবার ক্লাসের দিকে ছুটে যাচ্চি। ক্লাসে গিয়ে দেখি কলমের পরিবরতে মেডিপ্লাস পেপ্সুডেন্ট আর ব্রাশ নিয়ে চলে আসছি।ক্লাস শেষে আমি ও সুমন চলে গেলাম চিক্লির বিলে মাইন্ড রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য। টিকেট কাউন্টারে টিকেট নিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখি যে পকেট ফাকা। সুমন কি হল রে এইটা।
আমার টাকা বুজি সব হারাই গেছে। তখন সুমন টিকিট নিল।
চিক্লিতে এসে আমার মাইন্ড পুরাই খারাপ হয়ে গেল।
সবাই নিজেদের নীলপরী সাথে নিয়ে পাশে বসিয়ে গল্প করতেছে।

টুনার কোলে টুনি মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।
টুনা বাদাম ছিলে টুনির মুখে দিচ্ছে আর টুনি খেয়েই যাচ্ছে। আমার তো টুনি নাই। তাই আমার বাদামের খরচ টা বেচে গেল।
সুমনকে ফোন করল আমার ভাবিজান।
বাংলাদেশের ৫কোটি ছেলেকে বেকার বলা গেলে। সুমন বেকার ছেলেটির প্রেমিকাকে ভাবিও বলা যায়।
ভাবিজান নাকি দেখা করবে ও বলল চিক্লিতে চলে আস। আমার তো রাগ হচ্ছে অবশেষএ সুমন ও প্রেমিকার সাথে শুধু আমিই ফাকা। তারপর ওরা দুজন ময়ুরপংখী নাও এ ঘুরতে তে ছিল।
তখন আমি মাল্টা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে চোখ বুজে শুন্তেছিলাম,,,,যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে একলা চল,,,,,,,।
চোখ মেলেই দেখি যে আমার নীলপরী ঘাসের উপর তার গোলাপি পাখনা মেলে বসে আসে। আমি দাড়িয়ে গেলাম
নীলপরী তুমি উপরে বস তারপর নীলপরী বেঞ্চের উপরে বসে আছে।
আমি ঘাসের উপর বসে নীলপরীর দিকে তাকিয়ে আছি।
কি দেখছ এইভাবে?
তোমাকে।
কেন?
তোমার পা দুটি অনেক সুন্দর।
শুধুই পা আমি না?
তুমি তো অসম্ভব সুন্দর ভয়ংকর সুন্দর
মুখ থেকে তো চোখ ফেরানো দায়
তাইতো এই মন তোকে চায়।
তাই পায়ের দিকে চেয়ে আছি।
অ তাই বুজি।

পাশে এসে বস না কেন তাহলে?
যদি তোমার ভালোবাসার আগুনে পুরে মরে যাই।
আসোনা?
পাশে গিয়ে বসা মাত্রই নীলপরী চলে গেল।
আমি চিৎকার করে ডাকছিলাম
নীলপরী নীলপরী ফিরে এসো।এভাবে না আসলেও পারতে।
যদি আগে জানতাম একবারে দুই ঘন্টা সময় না নিয়ে একটু অন্য ভাবে নিতাম।
কিভাবে নিতে?
জখন তোমাকে মনে হত তখন দুই মিনিট করে তোমার কাছে চেয়ে নিতাম। একবারে বেশি না ভালোবেসে অল্প অল্প করে সারাদিন ভালোবেসে যেতাম।

সরি!!!
কেন?
নীলপরীরা কাউকে ভালোবসেনা।
কিন্তু কেন?
নীলপরীরা চায় অদের কে সবাই মিস করুক। সবাই নীলপরিকে ভালোবাসুক।সবাই নীলপরীকে খুজুক রাতের আধারে দিনের আলোতে মেঘের আড়ালে পাহাড়ের ঝরণার মাঝে নদীর কলতানে পাখির গানে।
সুমইন্যা এসে আমার গালে হাত দিয়ে বলল কিবে, একা একা পাগলামি করিস কেন? আরে বে তোর ত সানজিদা আছে। কিন্তু আমার কে আছে।
অই সালা তুই তো নীলপরীর প্রেমে হাবুডুবূ খাচ্ছিস। দুনিয়ায় আর কোন মাইয়া নাই?
আমার সব মাইয়ারেই ভাল্লাগে।
অইখানেই তো প্রবলেম সবার মাঝে নীলপরীকে কেন খুজস?
পৃথিবীতে যত মেয়ে ছেলে আসে কেউ পারফেক্ট না।
আমার নীলপরী তো পারফেক্ট। এইজন্যই তো নীলপরীকে পাবিনা।
দোস্ত তুই আমাকে হারট করলি। তুই দেখিস একদিন না একদিন নীলপরীকে আমি সত্যি সত্যি পাবো। আরে বেটা তুই নীলপরীকে না নীলপরীর মেয়ের সাথে প্রেম করিস।
সানজিদা বলল ভাইয়া একটা কথা মনে রাখবেন
সপ্ন থাকে আকাশ আর বাস্তবতা থাকে বস্তিতে।
নীলপরীকে ছেড়ে সাভাবিক হন।এই মেয়ে আপনার লাইফকে পানি করে দিবে।

কাউকে পাওয়ার আসা করনা,কারণ তাকে পেতে গিয়ে তুমি নিজে ধংস হয়ে যেতে পার...!!নিজেকে এমনভাবে তৈরি কর যাতে মানুষ তোমাকে পাওয়ার আসা করে..
সরি ভাইয়া তুমি বলে ফেললাম
ইটস ওকে।
তুমি আমার ভাবি।
আমাকে দেবর ভাবলেই হয়। তুমিও সুমনের মত নেকামি করছ কেন?
সুমন সত্যিই আপনাকে অনেক ভালোবাসে। সামনাসামনি কারো প্রসংসা করা আর ট্রেনের চাকায় হাওয়া দেওয়া সমান।আর হাওয়া দিয়েন না ভাইয়া।
এই সুমন তোমার বন্ধু নিরবকে কোন দেশ থেকে ইম্পোরট করে আনছ।
ভাবি তোমার সাথে আরি।
এই তুমি আমাকে ভাবি বলবানা।
কেন?
আমাকে কি ভাবি ভাবি লাগে?
লাগালাগি কোন ব্যাপার না।
আমি পারবোনা।
বাই গুড নাইট।
এই তুমি বিকালে গুড নাইট বলতেছ কেন?
কি বলব গুড এভিনিং
ইয়ে।
সরি আমার তাহলে গুড মর্নিং বলা উচিত ছিল।
কেন?
ভাবির উপর রাগ করে।
আর এইটা যেন বিকাল পর্যন্ত না থেকে আগামিকাল সকাল পর্যন্ত থাকে।গুড এভিনিং একটি পরেই শেষ হবে বাট গুড মর্নিং বেশিক্ষণ থাকবে।

..............চলবে.................

০ টি +০/-০