![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক এক সময় মনে হয় বেঁচে থেকে আর লাভ নেই এক এক সময় মনে হয় পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত এক এক সময় মানুষের ওপর রেগে উঠি অথচ ভালোবাসা তো কারুকে দিতে হবে এক এক সময় ইচ্ছে হয় সব কিছু ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে ফেলি আবার কোনো কোনো বিরল মুহূর্তে ইচ্ছে হয় কিছু একটা তৈরি করে গেলে মন্দ হয় না।
আমি এক বড় ভাইকে বললাম
ভাইয়া আমাকে একটা টিউশনি জোগাড় করে দেন।
জেনো তা দিয়ে আমি আমার প্রয়োজন মিটিয়ে বন্ধুদের থেকে নেওয়া ধার গুলো মিটিয়ে দিতে পারি।
তিনি বললেন কোন টেনশোন করোনা।
তারপর তিনি একটা কোচিং এ লেকচার দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।
আর বললেন লেকচার শেষে তোমার প্রেমেন্ট পেয়ে যাবে। বাট সহকারী পরিচালক বললেন কয়েকদিন তোমার ক্লাস দেখবো যে তুমি কেমন ক্লাস নিচ্ছো। আমি বললাম ভাইয়া আমার বিষয়টাও দেখিয়েন। আমার তখন একবছর হয়েছিলো নরদান রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ ক্লাস নেওয়ার এক্সপেরিয়েন্স এর তারপরেও আমার ক্লাস দেখবে।ওকে ভাইয়া ডান আপনার কথাই রইলো।
একমাস ক্লাস নেওয়া হল আমকে দিয়ে। কিন্তু কোন সম্মানি পেলাম না।
যে বিপদে পরে টিউশনিতে আসলাম তা বেড়েই গেল আর সলভ হইলোনা। বাদ দিলাম টিউশনি।
পরে জানতে পারলাম কোচিং এর প্রধান পরিচালক ঐ বড় ভাই জার আসসাসে আমি ওইখানে লেকচার দিয়েছিলাম।
জিবনে এই হল আমার প্রতি তার ভালোবাসা
আজ সে গরবের সহিত বলে আমাকে তিনি মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য অনেক হেল্প করেছেন।
যে আন্টি অ্যান্ড আনকেল আমার আব্বু আম্মুকে বলত ছেলের পিছনে পয়সা নস্ট করিওনা।
মেডিকেলে পড়াবি তোর পোলাকে
দিনের বেলা সপ্ন দেখিস না।
আমার ছেলের পিছনে কত টাকা খরচ করি তাই হয়না আর তোর সেলে!!!!!!
আজ সেই আন্টি বলে বাবা আমি জানতাম তুই চান্স পাবিই কেউ না পাইলেও তুও পাবিই পাবি।
আমার বাসায় বেরাতে আসিস তর বইনে খুব সুন্দর পায়েস বানাইতে পারে।
আমার যে কাছের মানুষ টা মেডিকেলে ভরতি হয়ার আগ পর্যন্ত একটা কলম কিনে দেয়নি
সে আজ বলে আমকে নাকি প্রতি মাসে তিনহাজার করে টাকা দিত।
এক বড় ভাই আমকে বায়োলজি পড়াইতো তাই আমি মেডিকেল চান্স পাইছি
অথচ সেই বড় সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র।
আর আমার উপজেলায় কোন মেডিকেল কোচিং নাই।
এইমাত্র কয়েকদিন আগে যারা আমার ফোন রিসিভ কোরতোনা
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করতোনা।
আজ তারাই নক দিয়ে বলে বন্ধু কেমন আছিস।
বেটা ভুইল্লা গেছোস আমাগরে।
না বন্ধু ভুলিনাই
তোদের কিভাবে ভুলবো।
ক্লাস টিচার ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বলে তুই ভালো কিছু করতে পারবিনা।
#মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম বলে #বিজ্ঞান শাখায় পরতে পারবনা।
আজ আমি তাদের নয়নমণি।
প্রাইভেট এর টাকা না দেওয়ায় এক্সাম এর পরেও যে টাকা চাইত আর বলত আমার টাকা মাইরা খেয়ে জিবনে কিছুই করতে পারবিনা।
আজ সেই শিক্ষক কেন বলেনা বেটা টাকা নিয়ে আসবি।
সে বলে ভালোভাবে পড়ালেখা কর টাকার জন্য তুই থেমে থাকবিনা।
সেই স্যার এখন আমার জন্য নিয়মিত দোয়া করে।
মেসে খালা আসেনি তাই রান্না হয়নি
পকেটে টাকা ছিলোনা হোটেল খাবার চাইলাম খাবার দেওয়া হলো।
জখন বললাম বাকি
মুখের সামনে থেকে খাবার টা নিয়ে নিলো অনেক কেদেছিলাম
সেদিন বায়োলজি এক্সাম সিল
পরে একবন্ধুর মিল ভাগ করে খেয়ে এক্সাম দেই।
চোখে জল আসে
মনে হলেই
এই কাহিনী গুলো যদি না ঘটত আমি এইখানে আসতে পারতাম না।
আমি আরো কষ্ট পেতে চাই।
জা পুজি করে আমি বাংলাদেশএর সবচেয়ে ভালো জায়গায় জেতে পারবো।
সবশেষে মনে হলেই কাদতে ইচ্ছা করে।
###নিরব_রংপুর_মেডিকেল_কলেজ
আমি এক বড় ভাইকে বললাম
ভাইয়া আমাকে একটা টিউশনি জোগাড় করে দেন।
জেনো তা দিয়ে আমি আমার প্রয়োজন মিটিয়ে বন্ধুদের থেকে নেওয়া ধার গুলো মিটিয়ে দিতে পারি।
তিনি বললেন কোন টেনশোন করোনা।
তারপর তিনি একটা কোচিং এ লেকচার দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।
আর বললেন লেকচার শেষে তোমার প্রেমেন্ট পেয়ে যাবে। বাট সহকারী পরিচালক বললেন কয়েকদিন তোমার ক্লাস দেখবো যে তুমি কেমন ক্লাস নিচ্ছো। আমি বললাম ভাইয়া আমার বিষয়টাও দেখিয়েন। আমার তখন একবছর হয়েছিলো নরদান রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ ক্লাস নেওয়ার এক্সপেরিয়েন্স এর তারপরেও আমার ক্লাস দেখবে।ওকে ভাইয়া ডান আপনার কথাই রইলো।
একমাস ক্লাস নেওয়া হল আমকে দিয়ে। কিন্তু কোন সম্মানি পেলাম না।
যে বিপদে পরে টিউশনিতে আসলাম তা বেড়েই গেল আর সলভ হইলোনা। বাদ দিলাম টিউশনি।
পরে জানতে পারলাম কোচিং এর প্রধান পরিচালক ঐ বড় ভাই জার আসসাসে আমি ওইখানে লেকচার দিয়েছিলাম।
জিবনে এই হল আমার প্রতি তার ভালোবাসা
আজ সে গরবের সহিত বলে আমাকে তিনি মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য অনেক হেল্প করেছেন।
যে আন্টি অ্যান্ড আনকেল আমার আব্বু আম্মুকে বলত ছেলের পিছনে পয়সা নস্ট করিওনা।
মেডিকেলে পড়াবি তোর পোলাকে
দিনের বেলা সপ্ন দেখিস না।
আমার ছেলের পিছনে কত টাকা খরচ করি তাই হয়না আর তোর সেলে!!!!!!
আজ সেই আন্টি বলে বাবা আমি জানতাম তুই চান্স পাবিই কেউ না পাইলেও তুও পাবিই পাবি।
আমার বাসায় বেরাতে আসিস তর বইনে খুব সুন্দর পায়েস বানাইতে পারে।
আমার যে কাছের মানুষ টা মেডিকেলে ভরতি হয়ার আগ পর্যন্ত একটা কলম কিনে দেয়নি
সে আজ বলে আমকে নাকি প্রতি মাসে তিনহাজার করে টাকা দিত।
এক বড় ভাই আমকে বায়োলজি পড়াইতো তাই আমি মেডিকেল চান্স পাইছি
অথচ সেই বড় সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র।
আর আমার উপজেলায় কোন মেডিকেল কোচিং নাই।
এইমাত্র কয়েকদিন আগে যারা আমার ফোন রিসিভ কোরতোনা
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করতোনা।
আজ তারাই নক দিয়ে বলে বন্ধু কেমন আছিস।
বেটা ভুইল্লা গেছোস আমাগরে।
না বন্ধু ভুলিনাই
তোদের কিভাবে ভুলবো।
ক্লাস টিচার ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বলে তুই ভালো কিছু করতে পারবিনা।
#মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম বলে #বিজ্ঞান শাখায় পরতে পারবনা।
আজ আমি তাদের নয়নমণি।
প্রাইভেট এর টাকা না দেওয়ায় এক্সাম এর পরেও যে টাকা চাইত আর বলত আমার টাকা মাইরা খেয়ে জিবনে কিছুই করতে পারবিনা।
আজ সেই শিক্ষক কেন বলেনা বেটা টাকা নিয়ে আসবি।
সে বলে ভালোভাবে পড়ালেখা কর টাকার জন্য তুই থেমে থাকবিনা।
সেই স্যার এখন আমার জন্য নিয়মিত দোয়া করে।
মেসে খালা আসেনি তাই রান্না হয়নি
পকেটে টাকা ছিলোনা হোটেল খাবার চাইলাম খাবার দেওয়া হলো।
জখন বললাম বাকি
মুখের সামনে থেকে খাবার টা নিয়ে নিলো অনেক কেদেছিলাম
সেদিন বায়োলজি এক্সাম সিল
পরে একবন্ধুর মিল ভাগ করে খেয়ে এক্সাম দেই।
চোখে জল আসে
মনে হলেই
এই কাহিনী গুলো যদি না ঘটত আমি এইখানে আসতে পারতাম না।
আমি আরো কষ্ট পেতে চাই।
জা পুজি করে আমি বাংলাদেশএর সবচেয়ে ভালো জায়গায় জেতে পারবো।
সবশেষে মনে হলেই কাদতে ইচ্ছা করে।
###নিরব_রংপুর_মেডিকেল_কলেজ
২| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
Noman Islam Nirob বলেছেন:
আমি নতুন ব্লগিং শিখতেছি।
ভুলত্রুটি গুলো দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
বিষাদ সময় বলেছেন: মানুষ সফল ব্যাক্তির পিছনে ছোটে, এটাই রুঢ় বাস্তবতা। এ রকম দুঃখ , এ রকম কান্না অনেকের ভিতরে আছে। আপনি কিছুটা হলেও সৌভাগ্যবান যে আপনি এখন শক্ত ভিতের উপর দাড়িয়েছেন যেখান থেকে আপনি লড়তে পারবেন, বলতে পারবেন, যা অনেকের জীবনে হয়ে উঠেনা, চাপা কান্নাগুলো বুকের ভিতরে নিয়েই মরতে হয়।
কামনা করি এমন একজন ডাক্তার হোন সেবাই যার ব্রত হবে।
একই লেখা দুইবার এসেছে আর বানানের বিষয়ে আরেকটু সতর্ক হোন।
ভাল থাকুন সবসময় ।