নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মোঃ নোমান ইসলাম (নিরব) \nএমবিবিএস (রংপুর মেডিকেল কলেজ), ডিএমইউ (আল্ট্রাসাউন্ড),বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন নম্বর :১২৪৩৭৯জেনারেল ফিজিশিয়ান ও ক্লিনিক্যাল সনোলজিস্ট।

Noman Islam Nirob

এক এক সময় মনে হয় বেঁচে থেকে আর লাভ নেই এক এক সময় মনে হয় পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত এক এক সময় মানুষের ওপর রেগে উঠি অথচ ভালোবাসা তো কারুকে দিতে হবে এক এক সময় ইচ্ছে হয় সব কিছু ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে ফেলি আবার কোনো কোনো বিরল মুহূর্তে ইচ্ছে হয় কিছু একটা তৈরি করে গেলে মন্দ হয় না।

Noman Islam Nirob › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলপরী,,,,,,, পর্ব ৭

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩১



এই মনের ঘরে যে প্রেম দেখেনা
যাক না সে জাক না।
এই প্রেমের মানে যে আজ বুঝেনা
যাক না সে যাক না।
কিছু অভিমানি ঝড়ে
দুচোখ জলে ভরে
দূর থেকে আরো দূরে
স্ম্রিতি যাক সরে
তার ব্যাথা মনে জমে থাকনা।।।।।। বেলাল খান ও মেরির এই গান্টির প্রেমে পরে গেছি, কয়েকদিন একটি গান শুনেই কাটিয়ে দিলাম।
জতই শুনি ততই ভালোলাগে। আজকের ব্রেকফাস্ট হিসেবে এই গান্টা শুনতে শুন্তেই ঘুম ভাংল।কেননা এলার্ম টোন হিসেবে সেট করা ছিল।
ছাদ থেকে নেমে এসে আবার রুমে শুয়ে
পড়লাম।
হঠাৎ মুড অফ হয়ে গেলে কারন বুঝতে পারলাম না।
মন্টার বুঝি কোন রোগ হয়েছে।যার ট্রিটমেন্ট হয়না। রোগটির নাম ভাল্লাগেনা। এই রোগি বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে।
মোবাইলে ডাটা অন করতে না করতেই ইউটিউব এর একটা নোটিফিকেশন _ভালোবাসার মুল্য দিতে গিয়ে মরন কে বরণ করল নীলা; তখন ইউটিউব এ ডুকে দেখা সুরু করলাম শুধু সাক্ষাতকার মেয়েটির মুখ দেখা জাচ্ছেনা।সাক্ষাতকার এ বলতেছিল।
নীলা অনেকদিন ধরে বেলাল কে ভালোবাস্ত। বেলাল অ ভালোবাস্ত। বেলাল অনেক মিশুক ছিল।
মুল কথায় আসি।
বেলাল সুইটিকে জিবনের চেয়ে বেশি ভালবাসত, সুইটি ঢাকা ইউনিভারসিটি তে চান্স পাওয়ার পর।
বেলাল এক দিন ডেকে নিয়ে বলল।
তুমি আমার জীবন থেকে সরে যাও।
তোমার মত চাল চুলোহিন ন্যাশনাল ইউনিভারসিটির স্টুডেন্টএর সাথে আমাকে মানায় না।সেদিন বেলাল মেয়েটির পায়ে ধরেও কান্নাকাটি করেছিল।
মেয়েটি তখন আরেক ছেলের গাড়িতে উঠে চলে গেল। সেই থেকে বেলাল মনে জেদ তোর চেয়ে ভাল কাউকে জীবনে পাবার। সে চিন্তা করল আর মেয়ের পিছে না ঘুরে টাকা আয় করতে হবে।
ঢাকা শহরে আপন বলে কেউ নাই।
পড়ালেখা নন কম্পলিট। কে তাকে চাকরি দিবে।তাই সে রিক্সা চালানো দিয়ে সফল হওয়ার প্রদক্ষেপ শুরু করল।
প্রথম রিক্সা চালাচ্ছিল অনভিজ্ঞ ভাবে।
পিছনে বসা এক সুন্দরি তরুণী বলল।
জত্তসব রাবিশ কোথাকার।
je vikkha tao thik moto korte parbena let alone rickshaw driving
disgusting matter.
ছেলেটি ইংলিশ এ থার্ড সেমিস্টার এ পড়ে। সে সহ্য করল।পরে রিকসা একটু জোরে মোড় নিচ্ছিল মেয়েটি ভয় পেয়ে বলেই ai sotolok tham
ami neme jabo.
tor vara ne.
সে বলল just wait madam.
no more today.
hote pari ami ricshachalok.
but ami apnar motoi rokto mangse gora manus.
I don't like your rough behave.you can go now.
I don't wnat jatry this type in my ricksa.
মেয়েটি তার ভুল বুঝতে পারল।
সরি ভাই আমকে মাফ করবেন।
আপনি কিসে পরেন।
ঢাকা কলেজ এ ইংলিশ এ অনার্স করতেসি।
তো আপনি রিক্সা কেন?
টিউশনি করিয়েই তো জীবন সুন্দর চলত।
হুম চলত।
সে অনেক কথা বলেই চলে গেল।
এই ভাড়াটা নিয়ে যাও।
লাগবেনা।
আবার কিছুদিন পর ল্যাবএইড হস্পিটাল এ পুনরায় দেখা। এক যে ভাই সেদিন চলে গেলেন কিচ্ছু না বলেই। আপনি এখানে কেন? আমার মা অসুস্থ।
আপনার? বাবা।
রিপোর্ট এর জন্য অয়েট করতেছি।
আচ্ছা বসুন।
আপনার জিবনের গল্প শোনাবেন আমাকে।
আচ্ছা শুনুন,
আমি সুইটি নামের এক রাজকন্যাকে লাভ করতাম। আমি প্রথমে টিউশনি করতাম।কিন্তু সুইটির জন্য আমাকে টিউশনি ছেড়ে দিতে হয়েসে অর বিকালে প্রতিদিন অকে টাইম দিতে হবে। মেয়ে স্টুডেন্ট পড়ানো জাবেনা। তার সে কথাও শুনলাম। পাগলের মত লাভ করতাম তাই। কিন্তু অ আমার জীবন থেকে চলে জাওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে জাই।
আমার ফ্যামিলি জানতে পারল জখন
বাবার কস্টে উপার্জিত টাকা মেয়ের পিছনে ব্যায় করেছি। তখন মা স্ট্রোক করেন। উনার রিপোরটের জন্য অপেক্ষা করতেছি। আচ্ছা সুইটির খবর কি??
অ অন্যজনকে লাভ করে।
আজ আমার জন্য মার এই অবস্থা।তুমি দোয়া করিও।

ছেলেটির সেকা খাওয়ার গল্প শুনে নীলা তার প্রেমে পরে যায়।
এই তোমার নাম কি?
বেলাল।তোমার?????
নীলা।
কোথায় পড়??
ঢাকা ইউনিভারসিটি।
আমি আপনার কাজের ব্যাবস্থা করে দিলে করবেন কি??
কি কাজ?
টিউশনি করাবেন?
কে পড়বে?
আমি।
নাহ আমি পড়াবোনা।
এখনও সারথপর মেয়েটার কথা মেনে চলআর প্রয়োজন আছে কি? কখন কোথায়?? এই নাও আমার কারড, কালকে বিকালে অয়েশটার গ্রিন এ আসবা। অকে ডান।
আগামি দিন নীলা বিউটিপারলার থেকে সেজেগুজে পরীর মত হয়ে আসল।
গায়ে ছিল নীল শাড়ী তাকে নীলপরীর মত লাগসিল।
মুখোমুখি হয়ে দুজন বসল।নিলা বেলালের সব পরিচয় শুনে নিয়ে অর ডাইরিতে নোট করে নিল। তার পর।
হঠাৎ করেই নীলা বেলালের হাতটি ধরে বলে উঠল,,,,,,, I LoVe YoU.

বেলাল আকাশ থেকে পড়ল যেন। না আমার দাড়া ভালোবাসা হবেনা।
ভালোবাসার জন্য জা সিল
আমার সব হারিয়ে গেছে।
আর আমি প্রেম ভালোবাসা বিলিভ করিনা।

কেন যায়না?? আমাকে সুইটির মত মনে হচ্ছে? নাকি আমি ভারজিন না?
তুমি যাকে বিয়ে করবে তার কি গ্যারান্টি দিতে পারবে তুমি??

আসলে তা নয়?
তো কি??
এক মন দুজনকে দেওয়া জায়না।
আর ভালোবাসা কখনও ভাগ করা যায়না

আমি তোমাকে ছাড়া বাঁঁচবোনা।
আমাকে তোমাকে ভুলে জেতে বলনা।
এত দ্রুত কোনদিন প্রেম হয়না।
আর কারো সাথে হেসে কথা বললেই ভালবাসা হয়ে জায়না।
তার পর নীলা বাসায় ফিরে আসল।
নীলা বেলাল কে কল দিলে সে কল রিসিভ করত না। ধরলেও বিরক্তিভাব নিয়ে কথা বলত।

তুমি কেমন ছেলে, আমি মেয়ে হয়ে তোমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি
আর তুমি ছেলে হয়ে ধরতে পারছনা।

ধীরে ধীরে বেলালের মনে জেন নীলা জায়গা করে নিচ্ছিল।
একপর্যায়ে সেও ভালোবেসে ফেলল।
তারা কাজি অফিসে লুকিয়ে বিয়ে করে বাড়ি ফিরার পথে বিশাল সড়ক দুরঘটনায় দুজনেই রাস্তায় পড়ে থাকলে সেলেটি ঘটনাস্থলেই মারা জায়।

আর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে থাকে তিন্দিন। তারপর হুশ ফিরে আসলে বেলাল কে খুজতে থাকে। টিভিতে অইদিনের এক্সিডেন্ট এর নিউজ পুনরায় প্রকাশ করছিল। সেখানে বেলাল্কে মৃত ঘোষণা করা দেখে। সে দৌরে বাইরে চলে যায়। ফিরে আসে লাল বেনারশি পড়া রক্তমিশ্রিত লাশ হয়ে। সাক্ষাতকার সেষ হওয়ার পর মুখ দেখাচ্ছিল।

এ তো আমার নীলপরী।
নীলপরী না তুমি হতে পারোনা।
তুমি আমাকে ছেড়ে জেতে পারোনা।
চিৎকার করে কান্তে কান্তেই বেহুশ। রংপুর মেডিকেল কলেজ এ ভরতি করা হল নীলপরীর নিরব কে
....................................................................................................চলবে.................................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.