নীলপরী,,,,,,, পর্ব ৮

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

"স্যার আমাকে এমন কোন মেডিসিন দেন যার ফলে আমি নীলপরীকে সপ্নে দেখতে পারি।ডাঃ ভিজিট করতে আসলে বলল নিরব"
হতবম্ব হয়ে, বাবা তোমার কেমন লাগছে?
এক একা লাগছে।
কই তোমার পাশে তো সবাই আছে।
আপনি বুঝবেন না স্যার,আমার ফিলিংস টা বুঝার মত আর কেউ থাকলো না।
আচ্ছা তুমি পাগলামি করছ কেন?
পাগলামো নয় স্যার।মাফ করবেন, আমি অন্যকিছু ভাবতে পারতেছিনা।
তোমার ফিউচার প্লান কি?
আর এখন আমার কোন ফিউচার প্লান নাই, প্রফ পাশ ছাড়া।
আগে ভাবতাম
একজন ভালো মানুষ হব এন্ড সফল মানুষ হব।
তারপর স্যার চলে গেলেন,,,

আমাকে মেডিকেল থেকে রিলিজ দেওয়া হল,,,কিছু ভিটামিন ও ঘুমের মেডিসিন দিয়ে আর বলা হল আমাকে নিয়ে ঘুরতে জাওয়ার।
এরইমধ্যে ইদুল ফিতর আর রোযার ছুটি হয়ে গেল একমাস।
এবার আমি ভাব্লাম ডাঃ আব্বু আম্মুকে বলেছে হাওয়া চ্যাঞ্জ করতে হবে আমার।
এই সুযোগএ সাড়া বাংলাদেশ ঘুরব।।
বাবার টাকা যাবে আমার কি??
দিনাজপুর দিয়েই শুরু হোক.........
দিনাজপুর সরকারি কলেজ এ আমার এক ফ্রেন্ড আরমান ইসলাম আমার ব্যাচমেট আরপিএমসিতে পরে ওকে কল দিলাম..
আসসালামু আলাইকুম দোস্ত
কেমন আসিস?কি করিস?
আমি যাচ্ছি দিনাজপুর একটু সময় হবে এই বেভাগা ছেলেটির জন্য।
কেন নয়?
একটু নয় সবটুকুই দিব।।।।
বন্ধু আমার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে নিজেই আমাকে নিয়ে গেল..
আমরা দিনাজপুর বড় মাঠে এ আড্ডা দিচ্ছিলাম।
এমন সময় আরমানের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি অ কাঁদতেছে।
দোস্ত কি হইছে তর??
না কিছু হয়নি?
এই তোর সুচরিতা সেন কেমন আসে?
মেঘে ডাকা মুখে ববলল ভালো আছে রে?
আমি সিরিয়াস্লি নিলাম না,,,
তারপর বাসায় যায় দোস্তের।
কিরে তোর বাসায় বিয়ে হচ্ছে কার আমাকে বললিও না?
তুই কেমন বন্ধু?
সালা তুই একাই একাই মজা নিচ্ছিস?
আরমান যেন পাথরের মত কিছুই বলতেছেনা। আমি শুধু আরমানকে বকেই যাচ্ছি। চল আমকে নিয়ে বউ দেখব। তারপর বউ দেখতে গিয়ে আমি হতবাক,,,
আকাশ ভেঙে পরল মাথায়,,,চার পাঁচটা ঠাডা আমার ভিতর টা জালিয়ে গেল।
আমি অইখানেই বলে ফেললাম অই সারথপর মেয়ে তুমি কাকে বিয়ে করেছ? জাকে ভালোবাসলে তাকে পর করে অন্যজনকে। অবশেষে একটা সারথপরের সাথে পরিচয় হলাম।
জতটা খুশিতে বউ দেখতে আসসিলাম
তারচেয়েও বেসি কস্ট পেলাম।
চল দোস্ত আর ভাল্লাগসেনা তোর বাসায়,,,
চল নদির ধারে,,
প্রমথ তরিতে গেলাম,,,,
দোস্ত নীলপরী চলে জাওয়ায় আমি শেষ হয়ে গেছি....তোর নীলপরী তো আর নাই।
আমার সুচরিতা যে আমার বাসায়ই থাকবে বড় ভাইয়ের বউ হয়ে।আমি আমার প্রেমিকার বিয়ের সব কাজ নিজ হাতে করেছি।প্রতিটা সেকেন্ড এ আমি একবার করে মারা গিয়েছি।

ভেবেছিলাম অকে ভালোবেসে সুখে থাকব।
কিন্তু অকে ভালোবেসে সুখে থাকাই ভুলে গেছি।
দোস্ত আমি আমার প্রিয় জন এখন আমার ভাবি।
আমি আর অই বাড়িতে যাবোনা।
আমি মরেই জাবো।
নীলপরীকে না পেয়ে ভেবেছিলাম আমিই মরে জাবো কিন্তু আমার চেয়ে বেশি কস্ট পেয়েছে দোস্ত। ৭ বছর থেকে মেয়েটাকে ভালোবাসলি।
মেয়েটা কেম্নে রাজি হল?
দোস্ত মেয়েটাকে আমি ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটি জানত না। আমার ভালোবাসা আমি বুঝাতে পারিনি। অর কোন দোষ নেই। আমি ভাবসিলাম আমার একটা যোগ্যতা লাগবে।নয়ত মেয়েটা রাজি হবেনা।তখন ইগনর করবে সেইটা আরো কস্টকর।জিবনের একটা পজিশ্নে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিব।
সালা তুই একটা বিশাল গাধা...
এখন ত বুঝলি
ভালোবাসা প্রকাস না করতে পারলে সারাজিবন আফসোস করতে হয়।
তুই কোন যুক্তি তে জানাইস নাই?
দোস্ত,,,ভালোবাসা সুন্দর প্রেম সুন্দর নয়।
ভালোবাসার কথা জতক্ষন পরজন্ত প্রকাশ না পায় ততক্ষণ কার ভালোবাসা সুন্দর আর প্রকাশ পেলে তা প্রেমে কনভার্ট হয়। আর প্রেম কখন সুন্দর না বিয়ের আগে।
হ্যা দোস্ত বুজসি।।।
তোর কথা লজিক আছে।
ভালো থাকার জন্যে ভালোবেসেছিলাম।
ভালোবেসে ভালো থাকাই ভুলে গেছি।
ভালোবাসা বুঝি এ রকমই হয়।।
আমার অভিজ্ঞাতা নাই দোস্ত,,,,,,নীলপরীকে ভালোবেসে ছিলাম
ভালোবাসার ফুল ফোটার আগেই ফুল ঝড়ে গেল,,,,
এই দোস্ত আমি যে বিয়ে বাড়ির মেয়েটাকে অনেক বকে আসলাম।
প্রব্লেম হবে না??
না রে আমি আম্মু আব্বু অ ভাইয়াকে বলেসিলাম তুই নীলপুরীর জন্য মানসিক রোগের ট্রিটমেন্ট এ আসিস।
ভালো করেছিস
তুই ত সেই জিনিয়াস!!!

অই কুত্তা তুই আমাকে রুগি বানাই দিসস।
হি হি হি।

খুব খারাপ হইসে দোস্ত।আমাকে পাগল বানাই দিলি।।
আরে এইটা না করলে ত বিয়ে ভেঙে জেত। ভাংলে তুই বিয়ে করতি।
আরে বড় ভাইয়ের বিয়ে ভেঙে আমি বিয়ে করব, আর মেয়েটি ত জানেনা।
গোটা ফ্যামিলিকে বাদ দিয়ে আমি একাই কস্টে থাকাই বেটার।
ভালো থাকার অভিনয় করে জিতে জাবো একদিন আমি

আমাকে পাগল বলার অপরাধের শাস্তি তকে পেতেই হবে।
কি শাস্তি দিবি
তোর প্রথম ভালোবাসা ভাই নিয়ে পালাইছে দ্বিতীয়টা আমি নিয়ে পালাবো হাসতে হাসতে বলল পালাইতে হবেনা এম্নিতেই নিস ......................................................................চলবে.........

০ টি +০/-০