![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক এক সময় মনে হয় বেঁচে থেকে আর লাভ নেই এক এক সময় মনে হয় পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত এক এক সময় মানুষের ওপর রেগে উঠি অথচ ভালোবাসা তো কারুকে দিতে হবে এক এক সময় ইচ্ছে হয় সব কিছু ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে ফেলি আবার কোনো কোনো বিরল মুহূর্তে ইচ্ছে হয় কিছু একটা তৈরি করে গেলে মন্দ হয় না।
আতেলদের জালায় ডিপ্রেশন না থাক্লেও ডিপ্রেশন জন্ম নেয়,
তাই ভাবছি এদেরকে একটা প্রেম করিয়ে দিতে হবে অথবা পলিটিক্স এ যুক্ত করে দিতে হবে তাইলে একটু শান্তি পাবে নন আতেল রা আমার মানে হয়?
সমাজে জারা টাকা খরচ করার সোরস পায়না মানুষদেরকেও দান করেনা তাদেরকে আরো একাধিক বিয়ে করিয়ে দেওয়া হক অর নির্বাচন করার ব্যাবস্থা করিয়ে দিলে হয়ত কিছু টাকা সমাজের মানুষেরা পাবে। হয়ত চা ও পানের বিনিময়ে একটি ভোট অর একটি শাড়ি একটি ভোট এতে কিছু টা হলেও আমরা উপকৃত হব।
সুমন দোস্ত তুই আতলামি বাদ দে, তোর আতলামিতে আমি পড়ালেখার সাহস হারায় ফেলতেছি।
ক্লাসে এসে ভাব নেস তুই খুব পড়স বেটা, বাসায় কি করিস।
চল ঘুরতে যাই।
কই যাবি?
জানিনা, তুই চলে আয়
সাথে রাকিব খান কে নিয়ে আয়।
অয় কেন?
ঘুড়তে পিক তুলতে হয় তুই জানিস না।
আমার সিটিসেল মার্কা ফোনে যা অস্মভব তরটা ত কেকা আন্টির কোম্পানির মেবাইল চলবেনা।
রাকিব কে নিয়া আয়।
রাকিব সহ দুজনে আসল।
কিবে কই জাবি?
হারিয়ে জাবো।
কোথায়?
জানিনা।
এইটা কোন কথা হইল?
হুম। চল।
দাড়া কিছু চক্লেট কিনে আনি ও রিচারজ করে আসি।
তারপর আমরা অটোতে উঠলাম।
মামা সেই অটো চালাচ্ছে, মাঝে মাঝে গান ধরতেছে, এই পথ যদি সেষ না হত বন্ধু তবে কেমন হত, রাকিব বলে উঠল, তবে ভালোই হত।
এমনভাবে অটো চালাচ্ছে যেন উনি রাস্তার মালিক।
ধীরেধীরে আমরা লালবাগ এ রেলস্টেশন এ গেলাম।
তারপর ত রেল গাড়িতে উঠলাম। আমার জীবন এ ফার্স্ট রেল ভ্রমণ। সত্তিই অনেক মজা লাগছিল।
রেলপথ অনেক লনলি মুডে থাকে, কোন জ্যাম নাই, নেই কোলাহল,শুধু রেলের শব্দ ছাড়া। রেললাইন ও মাঝেমাঝে ভাবে, আমি ব্যাস্ত হতে চাই, আমি কারো কবিতা গানের লাইন হতে চাই।
রাত নেই দিন নেই, বন জংগল নদি বন্দর সব ভেদ করেই জাচ্ছে। মাঝে মাঝে রেললাইন এর পাত গুলো বিদ্রোহ করে উঠে, ঝকঝক শব্দে যেন সে আজ বিরক্তিকর ভাব বয়ে চলছে।
রেলগাড়ির দুই ধারে দুই সারি বসতি,
জীবন্টা আসলে কি তা জানতে চাইলে রাত ১২ টার পর রেলস্টেশন এর মধ্যে দিয়ে হাটতে হাটতে বস্তি এলাকার জীবন পর্যবেক্ষন করা উচিৎ। এতদিন ভাবতাম আমি মনে হয় সবচেয়ে দুখি বাট আজ বুজতেছি,
পৃথিবীর অনেক মানুষ থেকে অনেক অনেক গুন বেশি সুখি।
সুখ ও দুখ আসলে আপেক্ষিক ব্যাপার।
জার জীবনের চাওয়া যত কম সে তত বেশি সুখি।
জানালা দিয়ে আমার দেহের অর্ধেক টা বের করে দিয়ে দুনিয়া দেখতে ছিলাম, আশে পাশের মানুষের মানুষদের জীবন জাত্রা দেখতেছিলাম।
আমি : রেলগাড়ি কে এইখানে ব্রেকদেওয়া যাবে না?
রাকিব: যাবে তো।
সুমন: কেমনে?
রাকিব: অই যে তার টান দিতে হবে তাই রেলগাড়ি থেমে যাবে।
আমি: তারটির কাছে গিয়ে দিলাম টান, আর জানালার পাশে দাড়ালাম।
সংেগ সংগে টিটি চলে আসল কি হইছে, বিনা কারোনে অইটা টান দিলে ৫০০ টাকা জরিমানা। এত টাকা জরিমানা দিলে আজ ফেরত আসা হবেনা। তাই টিটিদের অজান্তে আমার মোবাইল্টি জানালা দিয়ে ফেলে দিলাম, আর বললাম,
ভাইয়া সেল্ফি তুলতে গিয়ে মোবাইল ফোন্টা পরে গেছে। পরে মোবাইল টা নিয়ে আসি।
রেলগাড়ি সব জাত্রি যেন আমাকে খেয়ে ফেলবে এমনভাবে তাকিয়ে আছে।
অবশেষে বাচা গেল।
আমরা প্রায় বদরগঞ্জ চলে আসছি, এই মুহুরতে স্কুল ছুটি হয়েছে।
হাইস্কুল এর ছেলে মেয়েরা রেললাইন এর দুই পাশ ধরে বাড়ির দিকে ছুটে যাচ্ছে। ঠিক এই মুহুরতে আমার জানালার পাশ দিয়ে কয়েকজন ভবিষ্যৎ নায়িকা জাচ্ছিল, আমার মস্তিষ্ক ফিরে গেল আরো ১০ বছর আগে, তারপর কিছু চক্লেট উড়িয়ে দিলাম, সেই অল্প বয়সিনীদের দিকে।
তাদের পায়ের কাছে সে (চকলেট) আশ্রয় নিল।
তারা তো চমকে গিয়ে একবার আমার দিকে একবার চকলেট আরেকবার পাশের বান্ধবীদের মুখের দিকে তাকায়, একপর্যায় এ রেলগাড়ির সামনে এগিয়ে জাওয়ার স্রোতে পরের কথা বলতে পারছিনা।
তবে মনে হচ্ছে তারাও আমাকে খুব মিস করতেছে। হয়ত তারা একজন আরেকজনকে বলতেছে বান্ধবী অই বুড়াটা তোর উপর ক্রাশ খাইছে।
আগের দিনে যেই জিনিস্টায় মানিষ পড়ত এখন তা নিয়মিত খায়(ক্রাশ)
আমি মনে হয় খেলাম।
আমরা পারবরতিপুর নেমে গেলাম।
সুমন আজ খাওয়াবে সকালেই বলেছিল, পেট পুরে খেয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আর ইম্পরট্যান্ট কাজটা সেড়ে ফেললাম।তারপর দিতিয় ইম্পরট্যান্ট কাজ বিল দেওয়া।
এই বেটা নাকি মানিব্যাগ আনে নাই।
পুরাই বিপদে ফেলে দিল। ব্যাটা কাবাব খাওয়ার শোধ এইভাবে নিবি। আমি মোবাইল টিপ্তে টিপ্তে অর বিকাশে ৫০০ টাকা সেন্ড করে বললাম।
তুই যে টাকা পাইতি তা দিলাম।
বেটা এখন বিল দে।
সে আর উপায় না পেয়ে টাকা ক্যাশ আউট করে অবশেষে বিল দেয়।
সুমন: তুই শালা বালের বন্ধু।
রাকিব:এইটাই বন্ধুত্ব, আমরা খাবো তুই বিল দিবি।
আমি:অবভিয়াসলি দোস্ত, মারা খাওয়া ইজ অনলি রিয়েল। তারপর আমরা অটো নিলাম,
মামা মিনিট প্রতি দুইটাকা হিসেবে অটো রিসার্ভ যাবে তবে শর্ত হল আস্তে যাইতে পারবানা।প্রথমে মামা চমকে গেলেও আর যাত্রি না থাকায় রাজি হয়।
কিছুক্ষন পর মামা আপনি তো চালাইতেই পারেননা। একটু সড়ে বসেন তারপর আমি চালাচ্ছিলাম সেই স্পিডে।
আমরা মজাই পাচ্ছিলাম অটয়ালা খুব টেনশন এ ছিল।
স্বপ্নপুরির কাছাকাছি এসে সামনে অারেকটি অটো এমন ব্রেক দিলাম গাড়ি জায়গায় ব্রেক নিলেয় গতিশক্তি স্থিতিশক্তি হতে একটু সময় নিয়ে দাড়ালেও ব্রেক্টা ছিড়ে জায়। লোক্টা বুজতে না দিয়ে দুইশটাকা দিয়ে আমরা স্বপ্নপুরি ডুকে যাই।
ভিতরটা অনেক সুন্দর কিন্তু মানুষ তেমন নাই।শুধু গরম আর গরম।
আমি: আংকেল এত কম মানুষ কেন?
রাকিব: ঢাকা হলে কোন জায়গা ফাকা থাকতনা।
আংকেল: এখানে ইদ পুজা ও শীতকালে মানুষ বেশি হয়।
এখন সিজিন নয় তাই।
সুমন: ও আচ্ছা।
অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস সবগুলোর উপর লেভেলিং করা,,,,,,, টিকেটের মুল্য ২০ টাকা।
ডুক্তেও টিকেট দেখতেও টিকেট
এত বিজনেস হলে কি জীবন চলবে?
অনেক কিছু দেখার পর একটি বাড়ি চোখে পড়ল,
রাকিব দোস্ত এই বাড়িটা তোর ভাবিকে গিফট করব।
বেলকনিতে এসে চাঁদনী রাতে বাড়ির সসামনে সিড়ির উপরে বসে দুজনে পা একসাথে করে ঢেউগোনা খেলা খেলব।চাদের আলো পানিতে প্রতিফলিত হয়ে আমার প্রিয়ার মুখে পড়বে।
তার কোলে মাথা রেখে আমি নতুন ইতিহাস রচনা করব।
রাকিব: আমিন।
সুমন: দোস্ত বাড়িটা আমায় গিফট করিস।
আমি:কেন?
ভাবি পাইলে ত ভাবি কে দিবি?
তোর ত কেউ নাই কিন্তু আমার ত আছে।
আমি: নো নেভার নট।
বাড়ির সামনে লেক টির দিকে তাকিয়ে ভাবতেছি লেক্টির মাঝখান দিয়ে একটি কাচের রাস্তা থাকবে সিড়ি থেকে আমার নিলপরী কাচের রাস্তা পাড়ি দেওয়ার সময় পায়ের গোড়ালির কাপড় উপরে তুলে নিবে এই ভয়ে যেন কাপড় না ভিজে। এই মুহুরতে আমার প্রিয়ার পায়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমি আবার তার প্রেমে পড়ে যাবো।
লেকের মাঝখানে কাচের রাস্তার উপর বসে প্রেম করব। মাছ গুলো আমাদের প্রেম দেখে লজ্জায় লাল হয়ে লপজ বাকা করে তার বেটার হাফ কে খুজতে থাকব। সেইটা দেখে আমার প্রিয়ার মুখ দিয়ে হাসির ঝর্ণা প্রবাহিত হবে।
সেই হাসি আমার মৃত্যুর সময় সামনে থাকলে মনে হয় আমি বুঝতে পারবেনা একটু পর আমি মারা যাবে।
তারপর তার হাত ধরে বলব,,,,,এই পৃথিবী ছেড়ে কখনো যদি তোমার আগে চলে যাই, মৃত্যুর ওপারে তখনও কিগো তুমারি বুকে দিবে ঠ
,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বাকি পর্ব পেতে চলে আসুন
নীলপরী পেজ এ
#নিরব
©somewhere in net ltd.