ডিপ্রেশন কি? ডিপ্রেশন এর লক্ষ্মণ ও প্রতিরোধ এ যা করনীয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২

বিষণ্ণতা হতাশা (ডিপ্রেশন)

(মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার) একটি সাধারণ মানসিক ব্যাধি। আন্তর্জাতিকভাবে সমস্ত বয়সের 264000000 এরও বেশি মানুষ হতাশায় ভুগছেন। হতাশা ছয়জনের মধ্যে আনুমানিক একজনকে প্রভাবিত করে বা ১৬.৬ % মানুষের জীবনে কোনও সময় হতাশার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
হতাশা বিশ্বব্যাপী অক্ষমতার একটি প্রধান কারণ এবং এই রোগের বিশ্বব্যাপী ভারতে বড় অবদানকারী।
মহিলারা বিশ্বের পুরুষদের তুলনায় হতাশায় বেশি আক্রান্ত হন।
হতাশা আত্মহত্যার প্রধান কারণ।

হতাশার লক্ষণ:

১. কখনও খুশি, কখনও দু: খিত (যাকে মুড সুইং বলা হয়)।
২. জীবনকে ভাল করে বোঝা যায় না।
৩. জীবনের প্রতি ঘৃণা। তাই এই জীবন অর্থহীন। আমি মনে করি অনেক কিছু করার ছিল, করার আছে, আবার করার ছিল না।
৪. মাঝে মাঝে আপনাকে যদি ভাল না বলে থাকেন তবে তা ঠিক আছে তবে আপনি যদি নেতিবাচক সমালোচনা পান, তবে আপনি আপনার মানসিক ভারসাম্য হারাবেন।
৫. রাসায়নিক পরিবর্তন শরীরে অযথা ব্যথা করে।
6. মানসিক ভাঙ্গন।
৮. মানসিক ভয় (ফোবিয়া), অন্ধকারের ভয়, কোনও পোকার কামড়ের ভয়, প্রাণী, জল, আগুন বা অজানা সন্ত্রাস, ভুত বা ভৌতিক ভয়।
৯. বার বার হাত পা ধোয়া, গোসল করা, হাহাকার করা ইত্যাদি
১o. অযথা চিন্তা এবং উত্তেজনা আবার
১১. আতঙ্কজনক অবস্থা
১২. কাজ করার ইচ্ছা নেই। পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা আছে তবে ইচ্ছা না থাকার কারণে কিছু করতে চায় না।
১৩. খাবার দেওয়া, গোসল করা, কাপড় ধোওয়া। তিনি নোংরা পোশাক পরতে চান, এক্ষেত্রে তাকে বুঝতে হবে যে তিনি হতাশায় ভুগছেন।
১৪. কখনও কখনও কম ঘুমায়, কখনও কখনও সমস্ত সময় বেশি ঘুমায়।
১৫. হতাশাজনিত পরিবর্তনগুলি প্রধানত কৈশোরে হতাশার কারণ হয়
১৬. দাবির কোনও শেষ নেই। এক বা অন্যটির সাথে কখনও সন্তুষ্ট হন না। বারবার হরফ বা বাইন বিভিন্ন ধরণের হয়।
১৭. প্রেম বা স্নেহ। প্রেমে ব্যর্থতা আসলে ভালোবাসা সফল না হলে হতাশা। ফলস্বরূপ, তারা নেশায় পরিণত হয় বা আত্মহত্যা বা অপরাধমূলক কাজ করে।
১৮. ক্রোধ, আগ্রাসন, অস্থিরতা, বিরক্তি, উদ্বেগ।
১৯. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, কৈশিক নল এবং নিউরনের ক্ষয়ও হতাশার কারণ হতে পারে।
২o. দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতাশার কারণও।
২১. হতাশাই আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ যা একটি মানসিক ব্যাধি। হতাশার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করে।
২২. খালি, দু: খিত এবং নিরাশ বোধ করা।
২৩. আগ্রহ হারাতে, পছন্দের কাজে আর আনন্দ পাওয়া যায় না, সহজে ক্লান্ত বোধ করা, অতিরিক্ত মদ্যপান করা,
২৪. হ্রাস যৌন ইচ্ছা, যৌন পারফরম্যান্সের অভাব
২৫. কথোপকথনের সময় বিলম্ব প্রতিক্রিয়া
২৬. ঘনত্বের অভাব
২৭. ক্লান্তি, ব্যথা এবং হজমের লক্ষণগুলি
২৮. সামাজিক ব্যস্ততা থেকে সরে আসা
২৯. হতাশার পারিবারিক ইতিহাস
৩o. শৈশব অপব্যবহার বা ট্রমা।
৩১. সামনের লব কম সক্রিয় এছাড়াও হতাশার কারণ।
৩২. মনোযোগ ঘাটতি হাইপার-ক্রিয়াকলাপ ব্যাধি

হতাশার জন্য আমরা দায়ী।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাবা-মা দায়বদ্ধ, তরুণদের ক্ষেত্রে তারা দায়ী, বড়দের ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজই দায়ী।
হতাশা যে কোনও বয়সে হতে পারে। শিশু, ছাত্র, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সবাই হতাশায় ভুগতে পারে।
এটি একটি মানসিক অসুস্থতা, আপনি যদি নিজের শিক্ষক হতে পারেন তবে সেই রোগের আক্রমণটি অনুভব করা খুব উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, যদি হতাশা কেন ঘটছে তা যদি আপনি বুঝতে পারেন তবে ধ্যানের পাশাপাশি ভাল চিকিত্সকের পরামর্শ আপনাকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে পারে।
হতাশা আত্মহত্যা এবং অক্ষমতার প্রধান কারণ, বড় ছড়িয়ে পড়া ব্যাধি।


হতাশা প্রতিরোধ:
১,নিয়মিত ব্যায়াম
২,ইয়োগা
৩,মন পরিবর্তন কাজ
৪,কাউন্সেলিং
৫,ধ্যান
৬,উপযুক্ত ডাক্তার দ্বারা উপযুক্ত চিকিত্সা
হতাশার চিকিত্সার জন্য এন্টিডিপ্রেসেন্টস এবং সাইকোট্রপিক এজেন্ট ব্যবহার করুন।
সাইকোথেরাপি আরও সহায়ক
৭,ইলেক্ট্রোকনভুলসিভ থেরাপি (ইসিটি) হতাশার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।


তথ্যসূত্র ঃ[link|http://www.doctorsgang.com/2020/08/Depression-symptoms-and-treatment-of-depression.html?m=1|view this link
[link|view this link

০ টি +০/-০