![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতা যখন শুরু হয়েছিল তখন আমার জন্ম,যুদ্ধ তখন থেকেই...তারপর অনেক দুরের যাত্রা শেষে আমি আজ পৃথিবীর বাতাসে চোখ ফেলে দেখি হাহাকারের মিছিলে আমার দর্শক, আমার জীবন চলার পথে যে ঘাম কপাল থেকে মাটিতে পড়েছিল,সেখানে থেকে বেড়ে উঠেছিল নবপ্রজন্ম,তারাও দর্শক হয়েছি………… ………... তারপর আকাশে একদিন সাদা মেঘে উড়ে গিয়েছিল দূরে কোথাও স্বাধীন বলাকা ,হয়তো সমুদ্দুরের কাছে ,কিংবা পাহাড়ের কাছে একেবারে শীর্ষচূড়ায়-তারপর সেখান থেকে নীরব আঁধার পেরিয়ে আলোকের সহযাত্রি---সেতো আমিইইইইই....
বিষয়টা তোমাকে জানাবো জানাবো করে আজও জানানো হলো না বলে আমার মনটাও বিশেষ একটা ভালো নেই ।প্রতিদিন ভাবি ,আজ তোমাকে জীবনের ঘটে যাওয়া একেবারে ছোট্ট ঘটনাটিও জানাবো ।কিন্তু সময়ের এই দুরহ বাস্তবতায় তোমার কাছাকাছিও আসতে পারি না ।কত অসহায় আমি,একবার চিন্তা করে দ্যাখ ।বিশ্বাস কর ,আমি তোমার খুব কাছে যেতে চাই ।যতটা কাছে গেলে একেবারে তোমার নরম নরম হাত পায়ের নখ -এ আমার আনন্দ কিংবা অসচ্ছলতার কষ্টগুলো তুলে ধরতে পারি ।তোমাকে নিয়ে আমি খেলতে চাই,দৈীড়াতে চাই । সবুজ ঘাসের উপর দাড়িয়ে দিগন্তের পানে আনমনে তাকিয়ে থাকতে চাই ।কত কিছু যে চাই তা বলে বোঝাতে পারবো না ।কিংবা ধরো চাইলেই কি মানুষ সবকিছু পারে ।হয়তোবা,হয়তোবা না ।মানুষের যে কত সিমাবদ্ধতা তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না ।
যাই হোক,বহুদিন পর তোমাকে লিখতে বসলাম ।এই লেখা তোমাকে আমি অনেকদিন আগে থেকেই লিখব বলে ভাবছিলাম ।কিন্তু বললাম না,সময় । থাক সেদিকে আর যাচ্ছি না ।তুমি কেমন আছ বলতো । ভালো নেই তাইতো ? আমার উপর খুব রাগ করে আছো । কি করবেই বা তাছাড়া ।জীবনের অদ্ভুত টানে তুমি বারবার আমার কাছে ধরা পড়ছ বেখেয়ালি করে ,সে তুমি দুরে থেকেও ।মাঝে মাঝে আমি ভাবি , কত দূরে তুমি ?কিংবা আসলেই এত দূরে যেকোনদিনও তোমাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছেটা কমবে না ।
প্রিয় বন্ধু আমার,
আমি তোমায় খুব কাছে পেতে চাই,খুব কাছে ।যতটা কাছে পেলে আমার বুকের ভেতরের চাপা কষ্ট গলে গলে পড়বে জলন্ত মোমের মত করে ।এটাতো ঠিক যে আমিই তোমাকে দূরে পাঠালাম ।মাঝে মাঝে প্রশ্ন করি নিজেকে ,হয়তো দরকার ছিল না কিংবা মানিয়ে নিতে পারতাম ।কিন্তু এ যে দুটি জীবন ।থাক সে তোমাকে আরেকদিন বলব । জানো-এখন শুধু তোমাকে অনধিকারে খুজে বেড়াই ।কিযে কষ্ট হয় তা তোমাকে কোনদিনও জানানো হবে না ।তোমাকে আমি খুজি অনেকগুলো যায়গায় । আমার কিছু খারাপ অভ্যাস আছে,খুব ছোট ছোট ।সেখানে তুমি আলোছায়ার মত ওঠানামা করো ।
তারপর -র্দীঘশ্বাসে নীরব সপ্ন উকি দেয় নতুন করে । হায় জীবন! সব আনন্দ একদিন পুরোনো হয়ে আসে । কিন্তু সবকিছুর অগোচরে তবুও আমরা ফিরে পেতে চাই জোস্নার আলো যা কোনদিনও আমাদের নয় । বহু শতাব্দি পর আমাদেরকে নিয়ে আর আলোচনা হবে না । বিশ্ব চরাচর ভুলে যাবে আমাদেরও একদিন পথচলা ছিল ।আমরাও হাসতাম,কাদতাম,ভালোবাসতাম।আমাদের হাসিতে রংধনু উটত উৎসব করে,কান্নায় বাতাসে মেঘের লুকোচুরিতে সবকিছু ভারি হয়ে আসত ।ভালোবেসে কখনো হারাতাম সমুদ্রের প্রতিটি নতুন ঢেউয়ে কিংবা আকাশ যেখানে সবচেয়ে শেষে গিয়ে মিশেছে সেখানে ।প্রজন্মের কাছে আমরাও একদিন সত্যই পুরোনো হয়ে আসবো । ওরাও হাসবে,ওরাও কাদবে,ওরাও ভালোবাসবে ।
উজ্জল নক্ষত্র আর সপ্নের জলরাশিতে আমরা মাঝামাঝি র্বতমানে ।এভাবেই হয়তো বেচে থাকা মৃত্য র্পযন্ত ।আমরা নক্ষত্রও হতে পারবো না,না পারবো জলের মধ্যে সপ্ন আকতে ।মাঝখানের চোরাবালিতেই একদিন জীবন হয়ে আসবে ক্ষয়ে ।কিন্তু নষ্ট ব্যস্ততায় ধংস জীবন ঠাঁই করে নিতে পারবে না কখনই অলোকিত সভ্যতার কাছে । যা কোনদিনও আমাদের মানুষ বানাতে পারেনি কিংবা শেখায়নি মানুষ কিভাবে গড়ে উঠতে হয় ।একটা জীবন কিবা দিতে পারে, শরীরের চামড়া যেদিন শুকিয়ে আসবে,সেখানে অপ্রিয় কিছু বাক্য হবে অলিখিত সত্য ।কি হলো ?প্রশ্ন ?যার উত্তর গণিতের ভাষায় কোনদিনও প্রমানিত হতে পারবে না কিংবা সম্ভব না ।এখানেই বির্তক । প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম । শুধু প্রশ্নটা বিশাল আকারে প্রশ্নই থেকে যায় নিরবধি ।বয়ে যাওয়া অথবা চলে জীবনের সাইকেলে কত কিছুই অব্যক্ত থেকে যায় । আমরা বলতে পারিনা । কোনদিনও বলতে পারবোনা । পরিবেশ যখন বিরুদ্ধচারন করে তখন ঈশ্বর কে মাঝেমাঝে বিপন্ন মনে হয় । তার সিমাবদ্ধ নিয়ে প্রসঙ্গ তুলতে ইচ্ছে করে ।কিন্তু কোথায় তুলে ধরা যায় ।ছবি আকতে গেলেওতো প্রচুর উপকরণ প্রয়োজন ।গ্রহনের সমাপ্তির পর সন্ধ্যার অবকাশে ভরা চন্দ্রিমার কাছে প্রজন্ম তবুও মাথা নত করে না। জোরে জোরে হাসে ।বিদ্রুপ করে হাসে ।আগামী শতাব্দির জন্যে অপেক্ষা করে ।অগ্নিশিখায় বিপ্লব শুরু হবে বলে জ্বলতে থাকে ভেতরে ভেতরে । হুট করে মনে পড়ে যায় আমাদের কাছে পৃথিবী বিগত যৈীবনা । নতুনের কাছে একেবারে আগুন্তুক।
শোন,বহু শতাব্দি পেরিয়ে গেল ।আমরা বুড়ো হয়ে গেলাম,কলমের কালি ফুরিয়ে এলো ।সকালের সূর্য উটতে এখন দেরি করে ,বিকেলের গোধূলীতে আর ধূলোর পরিমান নেই আগের মত ।সে জন্যেই কি আমরা কাছাকাছি আসিনা ।বহূ শতাব্দি একদিন এভাবেই পুরোনো হয়ে আসবে । শীতকালের সেই চিঠি গুলিই একদিন হবে সম্ভব রকমের বড় বড় সাহিত্য ।
মাঝে মাঝে ভাবি, ধরো- দূরে কোথাও যাচ্ছি ।যাত্রায় বাতাস এসে যখন যখন আমার চুল গুলোতে হাতছানি দিয়ে যায় ।ভাবনায় আসো তুমি ।পরিচিত - তবুও যেন কত অপরিচিত । উড়ে যায় সাদাকালো মেঘের ফাকে দিয়ে কতগুলো পাখির পাল ।তাদের বলে দেই ,জানিয়ে দিও তাকে--ভালো আছি । আর এও বলে দিও এখনো অনেক হিসেব বাকি । যা শেষ করা হয় নি ।
থাক আজ আর বিদ্রোহ নয় ।অন্য আরেকদিন ।
জানো-ইচ্ছে করে সেই সপ্ন গুলিকে আবার দু হাত ধরে জড়িয়ে প্রচন্ড আদর করি । তারপর হয়তো আমি একসময় কেদেই ফেলব ।তবুও চিৎকার করে নি:শব্দের ভেতর থেকে কষ্টের ডানা কেটে দিতে বিদ্রোহে গর্জন করে উঠে তপ্ত হৃদয় ।সেখানে হাহাকারই বেশি । আর ভালোবাসা,দূরে বহুদূরে- অন্যকোথাও ।জটিল সমীকরণ বন্ধু ।
তোমার বিশ্বাসকে আমি ভাঙ্গতে চাইছিনা ।তোমার ভালোলাগাতে আমি কি আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারি । কখনোই না ।যে বৃষ্টির ধারায় তোমাকে স্নান করিয়ে পবিত্র করার চেষ্টা আমি একদিন করেছিলাম । সেই জলের ধারাবাহিকতায় আজ আমি কলঙ্কিত । দুরে উড়ে যায় গাংচিল । সভ্যতা তার ডানায় বাস করে ।দেখি- হয়তো তা কোনদিন ছুতে পারবো বলে আশা করছি ।সে পর্যন্তই থাক ।
আদর রইল ।
( to b continue)
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৫
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: স্বাগতম.....সামহোয়্যার ইন ব্লগ পরিবারে।
হাত খুলে লিখে যান.......
শুভেচ্ছা রইলো ।
ভালো থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭
তামিম ইরফান বলেছেন: স্বাগতম ব্লগে। টেবিলের উপর হাত খুলে পা দিয়ে লিখে যান।