নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসার বাইরে সবথেকে বেশি খেয়েছি সিঙাড়া আর ধোকা...

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৩





এসাইনমেন্ট জমা নেয়ার তারিখ আসলে শিক্ষার্থীদের বোধোদয় হয় যে, ফেসবুকের বাইরে একটা বাস্তব দুনিয়া আছে। সেই দুনিয়ায় লেখাপড়া নামক যে মিথটা এখনো বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার অংশ হিসেবে প্রতিটি কোর্সে দুটো এসাইনমেন্ট জমা দিতে হয়। তো সোস্যাল প্রসেস এন্ড ইনস্টিটিউশনস কোর্সের এসাইনমেন্ট জমা নেয়ার তারিখ চলে এলো, ব্যাচের সবাই ডেডলাইন মেনে এসাইনমেন্ট জমাও দিলো। Good. Very Good!

সামনে রাখা এসাইনমেন্টগুলোর প্রথমটার উপর চোখ পড়তেই, খেয়াল করলাম কাভার পেইজে আমার নামের বানান ভুল। খুব সাধারণ ভাবে দ্বিতীয়কপিটা হাতে নিলাম। এটাতেও কাভার পেইজে আমার নামের বানান ভুল। এরপর সামনে রাখা সবগুলো এসাইনমেন্ট একটা একটা করে উল্টে দেখলাম- আমাকে অবাক নয় বরং হতাশ করে সবগুলো কাভার পেইজে আমার নামের বানানে একই ভুল!

এর তো একটা বিহিত করতে হয়। বোর্ডে মার্কার দিয়ে ১৬বর্ণের নাতিদীর্ঘ নামটি লিখলাম। এবং ক্লাসের সবাইকে নামটি ১০০বার করে লিখতে হবে বলে জানিয়ে দিলাম। লিখতে হবে মানে লিখতে হবে, দ্যাটস ফাইনাল। শিক্ষার্থীরা যখন নিরুপায় ভংগীতে লিখে যাচ্ছে- লিখে যাচ্ছে আর লিখে যাচ্ছে আমি ক্লাসরুমের পিছনে দাঁড়িয়ে হেসে খুন।

এমন একটা ইনসিডেন্টের পরে, পড়াশোনা -লেকচার-স্লাইড সব শিকায় তুলে বললাম, এত পড়াশোনা করে আর কি হবে বলেন, তারচেয়ে বরং আসেন গল্প করি। বলার জন্য ফিদেল কাস্ত্রো সম্পর্কে একটা গল্প মনে পড়লো। কিউবার রাজনৈতিক নেতা। ক্লাসে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা নিশ্চয় ফিদেল কাস্ত্রোকে চিনেন। নাম তো অন্তত শুনেছেন। নাহ কেউ ফিদেল কাস্ত্রোকে চিনে না, এমনকি নামও শুনে নাই। ক্লাসরুমে এতটা অপ্রস্তুত এর আগে কখনো হইনি। বললাম, আমি খুবই দু:খিত। আসলে ভুলে গিয়েছিলাম ফিদেল কাস্ত্রো নামের কেউ তো আপনাদের ফেসবুক আইডিতে এড নাই। না চেনাটাই স্বাভাবিক।

আচ্ছা ঠিক আছে, আজকে আমরা ভিন্ন কিছু করি। আপনারা চাইলে আমার সম্পর্কে যে কোনো প্রশ্ন একটা করে করতে পারবেন। দেখি আমি উত্তর দিতে পারি কিনা।

➤শিক্ষক না হলে জীবনে অন্য কোন পেশায় যেতেন?

শিক্ষক না হলে, সম্ভবত উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতাম। তবে আমার আর্কিটেক্ট হতে ইচ্ছে করে। যদিও আমার সাইন্স নিয়ে পড়া হয়নি। তবে শুরু থেকে শুরু করে শিক্ষাক না হলে আমি অবশ্যই আর্কিটেক্ট হবো।

➤ প্রিয় বই?
অবশ্যই ফর্টি রুলস লাভ (অথার এলিফ শাফাক)

➤ কেমন আছেন?
আনন্দে আছি।

➤ ম্যামের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি কে?
আমার ছোট ভাইগ্নাটা, ওর নাম তাসবীর হাসান। প্রায় যার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

➤আপনার শিক্ষকতা পেশা বেছে নেওয়ার কারণ কী?
পরীক্ষা ইনভিজিলেশন দেয়ার জন্য। হা হা হা। আসলে
আমার বাবা এই পেশাটা অনেক পছন্দ করেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতিতে সাবলীলভাবে বেঁচে থাকার এমন সুবর্ণময় জীবন আর কোনো পেশাতে নেই।

➤ আপনি অনেক বই পড়েন। কেন পড়েন?
আমি অনেক বই পড়ি না, হ্যাঁ বই পড়ি এটা ঠিক। আসলে আমার কিছু করার নাই তো তাই বই পড়ি।

➤ আপনার ফেসবুক আইডি নাই কেন?
নিজের ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ করা এবং অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়াদি শোনা বা জানার ব্যাপারে আমার কিছু রিজার্ভেশন আছে। তাই ফেসবুক আইডি থেকে আমি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখি।


➤ আজকে সকালে আপনি কি খেয়ে এসেছেন?
Kellogg's এর গ্রানোলা। আর কফি।

➤ কিভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা যায় আপনার মতো?

বই পড়েন। বই মানুষের অনুভূতি প্রকাশের স্কিল ডেভেলপ করে।

➤ কোন বিষয়ে আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন?

শত্রুতার বিষয়ে। আমি যার তার সাথে শত্রুতা করি না। মিনিমাম নয় শত্রুতার ক্ষেত্রে আমি ম্যাক্সিমাম স্টান্ডার্ড মেইনটেইন করি। যাকে তাকে শত্রুর মর্যাদা দিয়ে নিজের প্রোফাইল লো করার কোনো মানে হয় না।


➤ ছোটবেলায় বড় হয়ে কী হতে চেয়েছিলেন?
দোকানদার। একজন মুদি দোকানদার হতে চেয়েছিলাম।


➤ যে তিনটা বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করেন।
সীমিত আহার করা, গভীরভাবে চিন্তা করা আর ধীর স্থির ভাবে চলাফেরা করা।


➤ কখনো কাউকে মন থেকে ভালবেসেছিলেন?
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ বেসেছি। পাকিস্তানের জুলফিকার আলি ভুট্টো'র দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম 'তার জন্য আমার দু:খ হয়, যার জীবনে প্রেম আসেনি '।

➤ প্রিয় খাবার কী?
বাসায় থাকলে গরম ভাত। গরম ভাতের সাথে আমি যে কোনো তরকারি খেতে পারি। আর বাসার বাইরে হলে সিঙাড়া। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কি জানেন; বাসার বাইরে আমি সবথেকে বেশি খেয়েছি সিঙাড়া আর ধোকা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: আমি তো শিঙ্গাড়াও খাই নি খুব একটা। বাসার বাইরে কেবল ধোকাই খেয়েছি। এমন কি বাসার ভেতরেও ধোকাই খেয়েছি।

ফোর্টি রুলস অব লাভ অনেক চমৎকার একটা বই। বইটা পড়ে যখন শেষ করেছিলাম, মনের ভেতরে এমন এক অনুভূতি হয়েছিল যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আজকাল ধোকাতে ভ্যাজাল!

এই বইয়ের প্রতিটা পাতায় পাতায় স্বকীয়তা....

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি জানতাম না আপনি শিক্ষিকা। আপনার শিক্ষার্থীদের দেওয়া উত্তরগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে আপনার জীবনবোধ গভীর। ঈদের শুভেচ্ছা।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা সাজিদ।

কমপ্লিমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থীরা জীবনবোধ ব্যাপারটা শিক্ষকের কাছে থেকে শিখবে, এই ব্যাপারে আমি দৃঢ় ভাবে আশাবাদী।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ফিদেল সিঙারা একবার ট্রাই করলে,প্রেমে পড়ে যেতো মনে হয়।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সেক্ষেত্রে সিঙাড়া গরম হতে হবে। আর সাথে কাঁচা পেয়াজ সার্ভ করতে হবে।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার ছাত্র ছাত্রীরাও দেখা যাচ্ছে শিক্ষক । ঢাবির আই ই আর এ আছেন ?

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সবাই আসলে শিক্ষক। কেউ প্রাতিষ্ঠানিক আর কেউ অনানুষ্ঠানিক।

ধন্যবাদ ঢাবিয়ান। না, আমি ঢাবি'র আইইআরএ'র নই।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ঈদ মোবারক!

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈদ মোবারক!

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: সরল বিশ্বাসী মানুষরা সবথেকে বেশি ধোকায় পড়ে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সম্ভবত।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৩৩

কিরকুট বলেছেন: সিংগাড়া আমার প্রীয় খাদ্য। ধোকা প্রীয় না হলেও খেতে বাধ্য হয়েই খাচ্ছি। আজকাল সিংগাড়ার মধ্যে আলুর থেকে ধোকাই বেশি পাচ্ছি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:২৩

এম ডি মুসা বলেছেন: ইদ মোবারক

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈদ মোবারক

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: নামের বানান ভুল হলে রাগ হয়। রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ঈদ মোবারক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈদ মোবারক

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সিঙারা ধোকা কিছুই খাইনি বাহিরে

লেখা সুন্দর
ধন্যবাদ মেডাম

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈদ মোবারক ফাতেমা আপু।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: টিচারের নাম ভুল হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটা আসলে এমন যে, ভালো ছাত্র ভুল লিখে ফেললে বাকীরাও অইটা ফলো করে। ইউনিভার্সিটিতে তো আমিও একবার প্রপফেসরের নাম ভুল লিখেছিলাম। আমি তো কিবোর্ড টেনে নিয়ে বসেছিলাম সে ভুলের কাফফারা হিসেবে আপ্নারর নামই ১০০ বার লিখে দেব কিনা।

ভালো লেগেছে ক্লাস টক! The Forty Rules of Love পড়া হয়নি। পড়তে হবে।

ধন্যবাদ ! :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আসলে হয়েছেও তাই। কেউ একজন কাভার পেইজ বানিয়েছে, অন্যরা সেটা অন্ধের মতো কপি করেছে।

কীবোর্ডে কী খাতা কলমের শাস্তি পূরণ হবে? করবেন তো সেই কপি-পেস্ট!

বইটা আদতেই অসাধারণ। পড়ে নিন। সময় ভালো কাটবে।
নাম প্রসঙ্গে বই থেকে একটা ছোট্ট অংশ শেয়ার করি। শামস তাবরিজী একজন কুষ্ঠ রোগীকে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। রোগীটি খুব ধীরে সুস্থে উত্তর দেন এভাবে 'আমার মা এবং স্ত্রী,আমাকে হাসান বলে ডাকতো'। জাস্ট এ লাইন, বাট ইট মিনস আ লট।

ভালো থাকবেন।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: অনেক দিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত । সিঙ্গাড়া আর ধোঁকা খাওয়া কি কমে নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ফিরে আসতে হলে তো চলে যেতে...
খুব তাড়াতাড়ি ফিরবো , ইনশা আল্লাহ।


সিঙাড়া আর ধোঁকা খাওয়া; চলছে, চলবে ...

ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান ।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: শীতে গরম ধোয়া ওঠা সিঙ্গারা খেতে খারাপ না । ধোঁকা তো খেতেই হয় । বুদ্ধির বুস্টার হিসেবে কাজ করে । ধোঁকা ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'শীতে গরম ধোয়া ওঠা সিঙ্গারা খেতে খারাপ না' বলে তো?
গরম গরম সিঙাড়া মানেই তো দারুন কিছু!

আমার ধারনা যে জীবনে ধোঁকা খায় নি, তার তো বিলম্বিত শৈশব চলছে...
ধোঁকা খাওয়া মানেই তো 'স্টার' পাওয়া। আর স্টার স্টার পেতে পেতে আমি মাশ আল্লাহ 'তারকা' বনে গেছি!

ধন্যবাদ রানা।

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ➤ব্যাংকার না হলে জীবনে অন্য কোন পেশায় যেতেন?

সম্ভবতঃ সাংবাদিক হতাম, রেডিও-টিভি মেরামতকারী হতাম। বুক বাইন্ডিং এর কাজ বা পেপার ক্র্যাফটিং এর কাজ আমার পছন্দের। নীলক্ষেতে বুক বাইন্ডারদের কাজ ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে দেখতাম। তারপর একবার নিজেই সেলাই করে ডায়েরী বানিয়ে তাতে নিজের লেখা কবিতা লিপিবদ্ধ করে ফেললাম।

➤ প্রিয় বই?
অবশ্যই একাত্তরের দিনগুলি, চাকা ঘোরে কিসের জোরে, রহস্যময় পৃথিবী, ভয় (মুখতার লুবিস রচিত এবং ফজলে রাব্বি অনুদিত)।

➤ কেমন আছেন?
যুদ্ধ করার আনন্দে আছি। এমন জীবন যুদ্ধে আগে কখনও জড়াইনি। বেশ উপভোগ করছি।

➤ জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি কে?
আপনাদের ভা্বীর ছোট ভাই, ওর নাম রাহাত ইয়াসির । যার গল্প কখনই করিনি। কানাডা প্রবাসী। পুরো কানাডায় এআই এ মাইক্রোসফটের এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া দুইজনের মধ্যে ও একজন।

➤আপনার ব্যাংকার পেশা বেছে নেওয়ার কারণ কী?
কারন আমার তাতে উর্পাজন হবে। তাতে আমি বিয়ে করতে পারব। কারন তখনও জীবনের ঐ পর্যায়ে আমার প্রেম করা হয়ে ওঠেনি।

➤ আপনি অনেক বই পড়েন। কেন পড়েন?
আমি অনেক বই পড়ি না, তবে অনেক বই কেনার চেষ্টা করি। কারন বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়নি। পাঠক অনেক বই কিনলে বরং লেখকরা নিশ্চিন্ত মনে তারা তাদের সৃষ্টিশীল কাজ জারী রাখতে পারেন। বই অনেক পড়তে পারি না কারন একলাইন পড়লে সেই লাইন নিয়ে অনেক চিন্তা করি। মানে চিন্তা না করে এগুতে পারি না, তাই অনেক বই আর পড়া হয়ে উঠে না। বুক শেল্ফে কত যে না পড়া বই পরে আছে, আমার নিজেরও হিসেব নেই।

➤ আপনার ফেসবুক আইডি নাই কেন?
ফেসবুক আইডি আছে। মূলত নিজের অনুভূতি প্রকাশ করি।


➤ আজকে সকালে আপনি কি খেয়ে এসেছেন?
সজিবের কর্নফ্লেক্স । আর কফি।

➤ কিভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা যায় আপনার মতো?
না গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। বিশেষত বউয়ের সাথে আমি কথা একেবারেই গুছিয়ে বলতে পারি না। গুবলেট করে ফেলি। তবে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করি।

➤ কোন বিষয়ে আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন?
গালিগালাজ করার ব্যাপারে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করি।

➤ ছোটবেলায় বড় হয়ে কী হতে চেয়েছিলেন?
বিমানের পাইলট হতে চেয়েছিলাম। আর ছোটবেলায় হুডখোলা জীপে জিয়াউর রহমানের প্যারেড পরিদর্শনের দৃশ্য দেখে ইচ্ছা হয়েছিল বড় হয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার।

➤ যে তিনটা বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করেন।
চোখের দৃষ্টি সংযত করা, গভীরভাবে চিন্তা করা আর ধীর স্থির ভাবে চলাফেরা করা।

➤ কখনো কাউকে মন থেকে ভালবেসে ছিলেন?
না বাসিনি।

➤ প্রিয় খাবার কী?
স্যুপ, স্যুপ নুডুলস, শীতের সময় সীম ফুলকপি আর টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল, নিহারী, লেবুর সরবত।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, নিজেকে আপনি কতটা কাছ থেকে জানেন এবং বোঝেন সেটা প্রকাশ করার জন্য।

অবশ্যই নিজের যত্ন নিবেন এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ন কথা হলো নিজেকে শর্তহীন ভাবে ভালোবাসবেন।

বই না পড়ে ফেলে রাখা ঠিক না, ওদেরও তো মন খারাপ হয়; উপেক্ষা কারই'বা ভালো লাগে বলেন?

আমার ব্লগ পাতায় আপনার প্রথম মন্তব্য! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




নন্দিনীর নতুন পোষ্টে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি পোষ্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে :(


১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লেখাটা ড্রাফটে রাখা আছে। খানিকটা অগোছালো মনে হচ্ছিল। পরে ঠিকঠাক করে পোস্ট করবো ইনশা আল্লাহ।

ভীষণ দুঃখিত আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.