নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেরাগ আলী

মনকে আমি যত চাইযে বুঝাইতে, মন আমার চায় রংয়ের ঘোড়া দৌড়াইতে। (আমার চেরাগ এ আলো কম তাই আলোর আশায় ব্লগ এ ঘুরি )

টাইম পাস

নিজে জানি না, অন্যরা ভালো বলতে পারবে?

টাইম পাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোড়া ভাঙা পাখী নিয়ে আদালতে মামলা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭

বাংলাদেশে একজোড়া পোষা পাখির মালিকানা এবং পাখি দুটোর একসাথে থাকা না থাকা নিয়েতাদের মালিক দুই ব্যক্তির এক দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।



ঢাকায় একজন ব্যবসায়ী একরাম সেলিম বিদেশ থেকে আনা ম্যাকাও প্রজাতির একটি পাখিকে তার এক বন্ধুর হেফাজতে দেওয়ার কয়েক বছর আবার ফেরত চাইতে গেলে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।



সম্পর্কিত বিষয়বাংলাদেশ

ততদিনে সেই বন্ধু ড. আবদুল ওয়াদুদ - যিনি পাখিটির দেখাশোনা করছিলেন - তিনি আরেকটি ম্যাকাও পাখি কিনে তার সঙ্গী বানান এবং এই জোড়ার একটি বাচ্চাও হয়েছে।



ড. ওয়াদুদ এখন বলছেন, জোড়া ভাঙলে দুটি পাখিই চরম একাকীত্বের সঙ্কটে পড়বে, যা হবে নির্যাতনের সামিল।



পাখি দুটোকে একসাথে রাখার জন্য তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। নজিরবিহীন এই মামলার চূড়ান্ত রায় হবে বৃহস্পতিবার।



নাটকীয় এই ঘটনার শুরু আজ থেকে চার বছর আগে ।



ঢাকার ইস্কাটন এলাকার বাসিন্দা মি. সেলিম বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত কিছু ঝামেলার কারণে তাদের পোষা একটি ম্যাকাও পাখি ড. ওয়াদুদের হেফাজতে দিয়ে আসেন।



মি. সেলিম জানান, সিঙ্গাপুর থেকে ১৯৯৭ সালে ছেলে একরাম সেলিমের জন্য পাখিটি কিনেছিলেন তিনি। তিনি বলেণ, ওইসময় বাসায় যথেষ্ট জায়গার সংকুলান না থাকায মি. ওয়াদুদের প্রস্তাবেই তার কাছে দিযে আসেন, কেননা আগে থেকেই তার আরো কিছু পোষা পাখি ছিল।





কিন্তু এবছর মি. সেলিম এবং তার ছেলে পাখিটি ফেরত চেয়ে না পেয়ে তারা কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।



অন্যদিকে এতদিন যিনি এই পাখির দেখভাল করেছেন - সেই পাখি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ড. ওয়াদুদের দাবি, ২০০৮ সাল থেকে এতদিন তিনি এই পাখির যত্ন নিয়েছেন, তার জন্য সঙ্গী খুঁজে এনেছেন, এর পেছনে শ্রম এবং অর্থ ব্যয় করেছেন, তার জন্য সহাযক পরিবেশ তৈরি করেছেন। ফলে পাখি দুটোকে নিজের হেফাজতে রাখার জন্য তিনিও পাল্টা জিডি করেন।



তিনি দাবি করেন বাংলাদেশে তার তত্বাবধানেই প্রথমবার ম্যাকাও পাখি বাচ্চা দিয়েছে।



এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ালে দুজনের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত পাখি দুটোকে যার যার মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিতে এ মাসের শুরুতে নির্দেশ দেন এবং সেই মোতাবেক পুলিশ মি. সেলিমের পাখিটিকে তাদের কাছে পৌছে দেয়।



তবে মি. ওয়াদুদের দাবি, দুটো পাখিকে আলাদা করায় তাদের সংসার ভেঙে গেছে। সেজন্য আবারও তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ।



কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, মি. ওয়াদুদ পুনরায় পাখি দুটোর একসাথে অবস্থানের জন্য নির্দেশনার আবেদন জানানোর পর আদালত আগামি দশ জানুয়ারি দুইপক্ষকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেদিনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।



তবে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ দামি প্রজাতির এই পাখি দুটোর গন্তব্য এখন কি হবে, তারা কি বিচ্ছিন্নভাবে যার যার মালিকের কাছেই থাকবে, নাকি একসাথে নির্দিষ্ট কারও হেফাজতে থাকবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুদিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৩

মাগুর বলেছেন: ঘটনা কি সত্যি? পাখি গুলোকে আলাদা করা একেবারেই অন্যায় হয়েছে :(
তবে বনের পাখি খাচায় রাখাটাও অন্যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.