নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নসটাল-জিয়া

ভাল লাগে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে ভাল লাগে ঐ আকাশের তারা গুনতে ভাল লাগে মেঘলা দিনে নিস্পলক.......... বন্ধু......

নসটাল-জিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়ীওয়ালাদের নীরব প্রহসণ: শর্তের কারাগারে বন্দী ভাড়াটিয়ার জীবন (শর্তের যত গভীরে যাবেন মজা তত ঘনীভূত হবে !! )

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

এই দিয়ে ঢাকা শহরে আমরা চার নম্বর বাড়ী ভাড়া নিতে যাচ্ছি, প্রথম বারের মত কোন বাড়ীওয়ালা হাতে চুক্তিপত্র ধরিয়ে দিলেন। শর্তাবলি পড়ার পর আমার মুখে আর রা নেই। মনে পড়ে গেল ক্রিস্টোফার মারলো'র ড: ফসটাস্‌‌ নাটকের ট্রজিক্যাল হিসট্রিটা । ড: ফসটাস্‌ নিজের আত্বাকে শয়তানের কাছে বিক্রি করেছিলেন ক্ষমতা ও জ্ঞান লাভের আশায় আর আমি বিক্রি করছি বাড়ীওয়ালার কাছে একটি ভাল বাসা লাভের আশায়...... লুসিফারের দেওয়া শার্তের তালিকা মনে নেই তবে আমার বাড়ীওয়লার দেয়া শর্তের তালিকার যেন কোন শেষ নেই। এতো কোন চুক্তিপত্র নয় যেন শর্তপত্র !!



চার পাতার চুক্তিপত্র নিজেকে কম্পোজ করে ১৫০ টাকা মুল্যের স্টাম্প পেপারে প্রিন্ট নিয়ে উনাকে দিতে হবে.. এ যেন নিজের মৃত্যু পরো্ওয়ানা নিজেই রচনা করলাম.........



শর্তাবলীগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা অনেকেই হয়তো এই শর্তাবলীর সাথে আগেই পরিচিত কিন্তু নীচের শর্তগুলোতে আরও অনেক অনেক মজার মজার উপাদান পাবেন বলেই শেয়ার করলাম।

তবে বড়ীওয়ালাকেও ধন্যবাদ জানাই তার দুরদর্শিতার জন্য.....



নিচের শর্তগুলো পড়ার পর সম্ভব হলে জানাবেন এখানে কি আদৌ কোন ভোক্তা অধিকার সংরকক্ষিত হয়েছে ! নাকি ভোক্তা অধিকার নামক কোন জিনিস এই দ্যাশত নাই ??



১০০% রিয়েল-লাইভ ফান: শর্তের যত গভীরে যাবেন মজা তত ঘনীভূত হবে !! :) :) :D ;) ;)



ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তিপত্র

শর্তাবলীঃ

১। অত্র চুক্তিপত্র ০১/০২/২০১৩ইং হইতে ৩১/০১/২০১৪ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ১ (এক) বৎসর বলবৎ থাকিবে।

২। তফসিল বর্ণিত ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া ১২২০০/- (বার হাজার দুই শত) টাকা যাহা চলতি মাসের অর্থাৎ যে মাসের ভাড়া সেই মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মাধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন।

৩। এক বৎসর মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পর এই চুক্তিপত্র স্বাভাবিকভাবে বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। তবে উভয় পক্ষ সম্মত হইলে চুক্তির মেয়াদ এক বৎসর করিয়া নবায়ন করা যাইতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রতি বৎসর শর্তাবলী পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হইতে পারে এবং মাসিক ভাড়া প্রতি বৎসর ১০% বৃদ্ধি করা হইবে।

৪। উল্লেখিত ফ্ল্যাট ব্যবহৃত মাসিক বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল দ্বিতীয় পক্ষ বহন করিবেন এবং প্রতি মাসে যথা সময়ে বিল পরিশোধ করিয়া পরিশোধিত বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের মূল কপি প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন এবং ব্যবহৃত পানির বিলের টাকা জন প্রতি হারে প্রথম পক্ষের হাতে দিবেন ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য।

৫। ফ্ল্যাট বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কে বা অন্য কোন অভিযোগ থাকিলে তাহা দ্বিতীয় পক্ষ সরাসরি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উত্থাপন করিয়া সমাধান করিবেন। এ ব্যাপারে প্রথম পক্ষের কোন দায়-দায়িত্ব থাকিবে না। কারণ প্রতি ফ্ল্যাটের আলাদা মিটার আছে। উল্লেখ্য কোন বিল সময়মত পরিশোধ না করার কারণে যদি জরিমানা করা হয় বা লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহা হইলে উহার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে দ্বিতীয় পক্ষকে বহন করিতে হইবে।

৬। ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ, গ্যাস, সূয়ারেজ এবং ওয়েষ্ট ওয়াটার পাইপে বা অন্য কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে তাহা সমাধান করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব দ্বিতীয় পক্ষের।

৭। ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটের একাধিক ফ্যামিলি থাকিতে পারিবে না। সাব-লেট করিতে পারিবেন না এবং আবাসিক ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য ব্যবহার করা যাইবে না।

৮। ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কোন প্রকার রাষ্ট্রবিরোধী বা অসামাজিক কোন কার্যকলাপ করিতে বা কোন প্রকার আত্তিজনক/বিপদজনক মালামাল রাখিতে পরিবেন না।

৯। প্রথম পক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় পক্ষ ফ্ল্যাটের কোন প্রকার পরিবর্তন/পরিবর্ধন করিতে পারিবেন না। ২য় পক্ষ তাহার প্রয়োজনে যদি কোন পরিবর্তন/পরিবর্ধন করিতে চান তাহা হইলে ১ম পক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়া করিতে হইবে এবং ১ম পক্ষ লিখিত অনুমতি দিলেও উহার খরচ ২য় পক্ষ বহন করিবেন।

১০। ছোট খাটো রিপেয়ারিং/রিপ্লেসমেন্টের কাজ যথাঃ দরজা, তালা, কমোড, প্যানেল ফ্ল্যাশ, কনসিল শাওয়ার কক, বিব-কক, পিলারকক, ডোর-ডিউয়ার, স্টপার-বাফার, ইলেক্টিক ফিটিংস-কিক্সার্স, পুশ-শাওয়ার ইত্যাদি দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে করিবেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় পক্ষের অবহেলা/অসাবধানতা/খামখেয়ালীর ফলে যদি বড় ধরণের রিপেয়ার বা রিপ্লেসমেন্ট করিতে হয় তাহাও দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে করিতে বাধ্য থাকিবেন।

১১। বৈদুতিক বাল্ব, চুলা, পাখা, কলিংবেল ইত্যাদি দ্বিতীয় পক্ষ তাহার পছন্দমত স্থাপন করিতে পারিবেন। কলিং বেল আবশ্যই লাগাতে হইবে।

১২। ফ্ল্যাটের ফিটিং/ফিক্সার্স ও অন্যান্য মালামাল যাহা প্রথম পক্ষ সরবরাহ করিয়াছেন তাহা দ্বিতীয় পক্ষ যতœ সহকারে ব্যবহার এবং সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করিবেন।

১৩। কমন ইউজের বিদ্যুৎ বিল ও নিরাপত্তা প্রহরীর খরচ দ্বিতীয় পক্ষ হারাহারীভাবে বহন করিবেন।

১৪। ফ্যামিলী/পরিবার বলিতে দ্বিতীয় পক্ষ নিজে, তাহার স্ত্রী, নিজ সন্তান এবং বুয়াকে বুঝাইবে। এদের ছাড়া অন্য কেহ ৩ দিনের বেশি ফ্ল্যাটে থাকিলে অথবা একজন গেল আর একজ আসিল এমনি করিয়া মাসে ৬ (ছয়) দিনের বেশি অতিক্রম করিলে পুরা মাসের পানির বিল দিতে হইবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দ্বিতীয় পক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩ জন। পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কেহ অতিথি হিসাবে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অবস্থান করিলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে তাহা যথাসময়ে অবহিত করিবেন এবং পরিবারের কোন সদস্য কোন কার্য উপলক্ষে অন্যত্র থাকিলেও পুরা মাসের পানির বিল দিতে হবে।

১৫। শান্তি পূর্ণ পরিবেশের স্বার্থে দ্বিতীয় পক্ষ তাহার প্রতিবেশীদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখিতে সচেষ্ট থাকিবেন।

১৬। ফ্ল্যাটে বর্তমানে যাহা আছে তাহার অতিরিক্ত কোন ফিটিংস/ফিক্সার্স, ফ্যাসিলিটি যুক্ত করিতে প্রথম পক্ষ কোন অবস্থাতেই বাধ্য নহে।

১৭। দ্বিতীয় পক্ষ তাহার ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে কোন অবাঞ্চিত ব্যাক্তি বর্গের প্রবেশ/অবস্থান করিতে দিবেন না।

১৮। দ্বিতীয় পক্ষ বা তাহার পক্ষে অন্য কেহ কোন অবস্থায় দেয়ালে তারকাটা বা অন্য কোন জিনিস ডুকাইবেন না।

১৯। বাথরুম, কিচেন এবং ঘরের মেঝে পরিস্কার করার জন্য প্লাষ্টিকের মগ, বদনা এবং বালতি ইত্যাদি ব্যতীত অন্য কোন ধাতব পত্র ব্যবহার করা যাইবে না। দেয়ালে বা দরজায় কোন প্রকার দাগ দেওয়া লেখা-লেখি করা বা পোষ্টার/কাগজ লাগানো যাইবে না।

২০। দ্বিতীয় পক্ষকে যে তালচাবি দেওয়া হইবে তাহা যদি তিনি হারাইয়া/ভাংগিয়া ফেলেন তাহা হইলে তালা ও চাবির ব্যবস্থা তাহার নিজ খরচে করিতে হইবে।

২১। প্রথম পক্ষ কোন কারণ না দর্শাইয়া দুই মাসের নোটিশ দিয়া দ্বিতীয় পক্ষকে উচ্ছেদ করিতে পারিবেন। এবং দ্বিতীয় পক্ষও কোন কারণ না দর্শাইয়া দুই মাসের নোটিশ দিয়া ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে পারিবেন। দুই মাসের নোটিশ না দিয়া দ্বিতীয় পক্ষ যদি ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে চাহেন তাহা হইলে দুই মাসের ভাড়া সমপরিমাণ টাকা প্রথম পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে। তদরূপ প্রথম পক্ষ যদি নোটিশ ছাড়া দ্বিতীয় পক্ষকে ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে বলেন সেক্ষেত্রেও দুই মাসের ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে দিতে প্রথম পক্ষ বাধ্য থাকিবেন। উল্লেখ্য, চুক্তির মেয়াদ শুরুর তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে কোন পক্ষই এইরূপ করিতে পারিবেন না।

২২। প্রথম পক্ষ বা তাহার আইনানুগ ওয়ারিশ বা প্রতিনিধি যে কোন যুক্তিসংগত সময় পরির্দনের প্রয়োজনে ফ্ল্যাটের কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করা হইয়াছে অথবা অন্যান্য মালামাল যথাঃ কিচেন, ব্যলকনি, বেসিন, সিংক, কমোড/টয়লেট, বৈদ্যুৎতিক সুইচ ইত্যাদি সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হয় নাই বা ভাঙ্গিয়া/নষ্ট করিয়া ফেলা হইয়াছে তাহা হইলে দ্বিতীয় পক্ষ অবশ্যই তৎক্ষনিক উহা মেরামত/পরিবর্তন করিয়া দিবেন। অন্যথায়, যথাযথ ক্ষতি পূরণ দিয়া ১(এক) মাসের মধ্যে দ্বিতীয় শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রথম পক্ষকে ফ্ল্যাট বুঝিয়া দিবেন।

২৩। চুক্তিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে যদি কোন কারণে চুক্তিপত্র বাতিল করা হয় অথবা দ্বিতীয় পক্ষ ফ্ল্যাট ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইতে চাহেন সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের পজিশন নেওয়ার সময় ফ্ল্যাট যে অবস্থায় ছিল এবং ফ্ল্যাটের মালামাল যেটা যেখানে যে অবস্থায় ছিল ঠিক সেই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভাবে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে ফ্ল্যাট বুঝাইয়া দিবেন। অন্যাথায় দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে যথাযথ ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য থাকিবেন।

২৪। দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের নিকট ৩৫,০০০/-(পয়ত্রিশ হাজার) টাকা জামানত (সিকিউরিটি) হিসাবে জমা রাখিলেন। চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণান্তে অথবা মেয়াদ বলবৎ থাকাকালীন সময়ে কোন কারণে যদি তিনি চলিয়া যাইতে চাহেন অথবা চুক্তিপত্রের মেয়াদের মধ্যে কোন কারণে যদি চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়, তখন যদি তাহার (২য় পক্ষ) নিকট কোন বাবদ টাকা পাওনা থাকে তাহা কর্তন করিযা জামানতের বাকী (যদি থাকে) টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরৎ দেওয়া হইবে। জামানতের টাকা হইতে কখনো মাসিক ভাড়া কাটা হইবে না।

২৫। ফ্ল্যাট ত্যাগ করিয়া যাওয়ার সময় দ্বিতীয় পক্ষের নিকট যদি এমন পরিমাণ টাকা প্রথম পক্ষের পাওনা থাকে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি বিল বকেয়া থাকে যাহা জামানতের টাকায় সংকুলান হয় না তাহা হইলে যে পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ সমস্ত পাওনা টাকা এবং বকেয়া বিল পরিশোধ না করেন সে পর্যন্ত তিনি তাহার ফ্ল্যাটের মালামাল সরাইতে পারিবেন না। যদি ১(এক) মাসের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ সম্পূর্ণ টাকা এবং বকেয়া বিল পরিশোধ না করেন সেক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের মালামাল বিক্রি করিয়া লইতে পারিবেন।

২৬। চুক্তি পত্রের যে কোন একটি শর্ত ভঙ্গ করিলে এই চুক্তি পত্রের কোন কার্যকারিতা থাকিবে না। ইহা কোন প্রকার নোটিশ ব্যতিরেকে স্বাভাবিকভাবে বাতিল হইয়া যাইবে এবং শর্ত ভঙ্গের একমাসের মধ্যে দেনা (যদি থাকে) পরিশোধ করিয়া দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষ বা তাহার ওয়ারিশ বা তাহার নিয়োজিত এজেন্টের নিকট শান্তিপূর্ণভাবে ফ্ল্যাট ও সমস্ত মালামাল বুঝাইয়া দিয়া ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবেন।

২৭। ফ্ল্যাটের বর্জ/আবর্জনা ভবনের বাহিরে যথাস্থানে সড়াইয়া ফেলার দায় দায়িত্ব দ্বিতীয় পক্ষের। জানালা, ব্যলকনি বা অন্য কোথাও দিয়া আবর্জনা, ঠোঙ্গা, কাগজপত্র এবং অন্য কোন জিনিস, বিড়ি সিগারেটের গোড়া ইত্যাদি ফেলিতে পারিবেন না। বিড়ি সিগারেটের জ্বলন্ত গোড়া সিঁড়িতে ফেলিলে সিঁড়ির ক্ষতি হওয়া ছাড়াও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। বাজার করিয়া আসার সময় মাংসের রক্ত বা মাছের পানি যাহাতে সিঁড়িতে না পড়ে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখিতে হইবে। রক্ত, নোংড়া পানি বা অন্য কোন কারণে সিঁড়ি নোংড়া করা হলে উহা অবশ্যই তৎক্ষনাত পরিস্কার করিয়া ফেলিতে হইবে যাহাতে ভবনের অন্য সদস্যদের অসুবিধা না হয়। কাজের বুয়াকে অবশ্যই এই মর্মে সতর্ক করিয়া দিতে হইবে যে, পানের পিক ও থুথু মেঝেতে, ওয়ালে বা সিঁড়িতে না ফেলে। ধানপান এবং পান কাওয়ার পর রাখা টলি বা প্যান ও কমোড়ের মধ্যে কাগজ, পলিথিন, স্যানিটারী ন্যাপকিন ইত্যাদি কিছই ফেলা যাবে না। মোট কথা আশপাশ এবং সিঁড়ি ইত্যাদি পরিস্কার পরিচ্ছনআন রাখার দায়িত্ব ভবনে বসবাসকারী সকল সদস্যদের।

২৮। কোন অবস্থায় কোন হকারকে ভবনে ঢুুকানো যাইবে না।

২৯। কেঁচিগেট দিন-রাত বন্ধ থাকিবে, তালা খুলিয়া যাওয়া আসা করিতে হইবে। মেইন গেইট রাত ১০.০০ (দশ) ঘটিকায় অবশ্যই বন্ধ হইয়া যাইবে।

৩০। সিঁিড় খিরকি (ছোট জানালা) কখনই খোলা রাখা যাইবে না।

৩১। সম্পাদনের পর এই দলিলের একটি ফটোকপি করা হইবে। উভয় কপি মূল দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং আইনের ক্ষেত্রে সমভাব বিবেচিত হইবে। মূল কপি থাকিবে দ্বিতীয় পক্ষের নিকট এবং ফটোকপি থাকিবে প্রথম পক্ষের নিকট।



এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র দলিল পাঠ করিয়া উহার মর্মার্থ সম্পূর্ণ অবগত হইয়া আমরা উভয় পক্ষ অত্র দলিল অদ্য রোজ............................ বার ........................ইং তারিখে সহি সম্পাদন করিলাম।



মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আপনার সমস্যা কোথায় বা কোন শর্তে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

শহুরে কাউয়া বলেছেন: ভাই আপনে বস্তিতে উইঠা যান
ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা বস্তির মালিকদের চেয়ে খারাপ
আমার প্রতি বছর ভাড়া বাড়ে


৩ রুমে ২ জন থাকি
গেস্ট আনলে দুনিয়ার কথা শোনা লাগে

শালারা ইনকাম ট্যাক্স ও দেয়না

%ঁ&%**&

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

নসটাল-জিয়া বলেছেন: হা হা হা !! হরে ভাই কারো পৌস মাস.........

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

নসটাল-জিয়া বলেছেন: বাসা ভাড়া থাকতে যে এত শত শর্ত মানতে হয় তা আমার জানা ছিল না, ছোট থেকে বাপের (গেরামের) বাসায় থাকছি বলেই এই বোধটা ডেভেলপ করেনি ! বাসায় তারকাটা দেয়া যাবে না, বুয়া কি রকম হবে, দরজা কয়টায় বন্দ হবে এসকল বাপার গুলান স্টম্প পেপারে সীকারোক্তি দিয়ে বাসায় উঠতে নিজেকে বড় অসহায় আর পরাধীন লাগছে ! তবে একজন বাসা আলার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিজোগ নেই ! এই বাপারে একটা নিতীমালা হয়ত আছে ! থাকলে সেইটা কি এতটাই নিস্ঠুর !!

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আমাদের কমন সেন্স এতই কম যে ছোট খাট বাপ্যার গুলানও চুক্তির মাধ্যমে সম্পাদন করা হচ্ছে !

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ড: ফসটাস্‌ নিজের আত্বাকে শয়তানের কাছে বিক্রি করেছিলেন আর আমি বিক্রি করছি বাড়ীওয়ালার কাছে। ফসটাস্‌‌ এমনটা করেছিলেন জ্ঞান ও শক্তি লাভের আশায় আর আমি করছি বাসা ভাড়া লাভের আশায় ......


এই বেটা নিগ্গাত নদী সিকস্তি লুক! আমার আগের বাড়ী ওয়ালার মতোন;)

এক ছেলে এক মেয়ে তাই নাকি লুক বেশী!!
ইউরোপে ওসি ডিসির কাজ কইরা কুনরহমে একখান বাড়ী বাইনাছেতো না নগর জমিদারী ভাব আইসা গেছে!!!

প্রতি বছর দুইবার ভাড়া বাড়ছে?!
ভাড়ার কোন পাকা রশিদ দিচ্ছে না!!?

সরকারী বাড়ী ভাড়া আইন তো কাগজের গরু!

ভোক্তা অধিকার! সত্যই নাই!!!!!

আরে সরকার মিনিমাম ট্যক্সটাতো ঠিকমতো আদায় কর!!!!!! তাও নাই!!!!!!!!!!!!!

ইস্কাটনে ফ্রেন্ড বাসা ছাইড়া দিসে- ভাড়া নিত ২৫ হাজার, রিসিট দিত না, যদি বা দিত ১০ হাজারের!!!!! :-/ :-/

স্বেচ্ছাচারের স্বৈরাচারের দেশে- আমজনতা বলির পাঠা :(( X( X((

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

নসটাল-জিয়া বলেছেন: তব মর্ম-বেদনা হেরি আমারাও থাকি খারাপ....

স্বেচ্ছাচারের স্বৈরাচারের দেশে- আমজনতা বলির পাঠা

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

শহুরে কাউয়া বলেছেন: ভাই
ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াগো মানুষ মনে করেনা
আমি মনে মনে কই "দেখিস একদিন আমিও" X( X( X( X(

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

নসটাল-জিয়া বলেছেন: গোয়ালঘরে রাখা পোষা কুত্তার গলায় মুখ রেখে বলেছি, যদি কোন দিন দিগন্তের পরে মাথা তুলে দাড়াতে পারি.....

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

রবিনহুড বলেছেন: একমাত্র ২৯ নং শর্তের শেষ অংশ ছাড়া আর অন্য কিছুতে আমি সমস্য দেখি না।

বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া দেবার মানে এটা না যে, আপনার কাছে বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে, আপনি যাই খুশি তাই করতে পারবেন। বাড়ির রক্ষনাবেক্ষন বা যত্ন করে ব্যবহার করাটা ভাড়াটিয়ার সবচে বড় নৈতিক দায়িত্ব।

তবে এই চুক্তি পত্রে এমন কোন শর্ত নেই যা আপনার ব্যবহারের উপর সমস্যা তৌরি করবে।

আর সামাজিক রীতি নীতি ও সমাজবদ্ধ হয়ে চলতে গেলে উল্লেখিত সিড়ি ব্যবহার ও বুয়ার বিষয় গুলো আপনা আপনিই মেনে চলতে হয়, যা হয়তো উক্ত বাড়িওয়ালা লিখিত ভাবে প্রকাশ করেছেন। সুতরাং এটা বলাটা বাড়িওয়ালার কোন ভূল নেই।


============================================

তবে শর্ত নং ২৯ নিয়ে আমার আপত্তি আছে { ২৯। কেঁচিগেট দিন-রাত বন্ধ থাকিবে, তালা খুলিয়া যাওয়া আসা করিতে হইবে। মেইন গেইট রাত ১০.০০ (দশ) ঘটিকায় অবশ্যই বন্ধ হইয়া যাইবে।}

বাড়ি ভাড়া নেবার মানে হলো এই বাড়িতে আমি স্বাধীন ভাবে বসবাসের অধিকার পাবার যোগ্য। আমি জেল খানায় আসি নাই যে, আমাকে রাত ১০ টার মাঝে প্রবেশ করতে হবে। আমি আমার প্রয়োজন অনুসারে যে কোন সময় বাড়িতে প্রবেশ ও বাহির হবার অধিকার রাখি....

আমি যে কোন সময় বাড়িতে প্রবেশ বা বাহির হওয়াটা বাড়ির কারো সমস্য তৌরি বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ হতে পারে না। যেখানে আমি নিজেই উক্ত বাড়িতে বসবাস করছি। আমি যদি হুমকি স্বরুপ হয় তা হলে আমাকে বসবাস করতে দেবেন কেন?

==============================================

লেখক আপনি কোন কেনা পয়েন্টে সমস্য দেখতে পাচ্ছেন? দয়া করে কারন গুলো উল্লেখ করে /ব্যক্ষা করবেন কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি। আমাদের নইতিক দায়িত্ববোধ এতটাই কমছে যে জীবর ধারণের স্বাভাবিক নিয়মগুলিকেও চুক্তির আওতায় নিয়ে আসতে হচ্ছে।

তবে শর্ত নং ২৯ নিয়ে আমার আপত্তি আছে { ২৯। কেঁচিগেট দিন-রাত বন্ধ থাকিবে, তালা খুলিয়া যাওয়া আসা করিতে হইবে। মেইন গেইট রাত ১০.০০ (দশ) ঘটিকায় অবশ্যই বন্ধ হইয়া যাইবে।}

এইটা পড়ার পর মনে হয়েছে জেলখানায় ঢুকতে যাচ্ছি .
আপনার বিশ্লেষণ সত্যিই অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

রবিনহুড বলেছেন: রিপেয়ার বা রিপ্লেসমেন্ট ব্যাপারে একটা কথা সবার বোঝা দরকার যে, স্বাভাবিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে কোন জিনিসেরই একটা ক্ষয় আছে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটা নষ্ট বা ব্যবহারের অনপুযোগী হয়ে পরে।

আবার ভাড়াটিয়া যদি তার অসর্তকতা বা খামখেয়ালি পূর্ন কাজ বা ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করেত সেটা দায় ভার তো ভাড়াটিয়ার উপর বর্তায়। তার দায় ভার বাড়িওয়ালা কেন নিবেন?

তাই শর্তটা এই রকম হওয়া প্রয়োজন..... "বাসার ফিটিং ও ফিক্চার ও অন্যান্য জিনিস স্বাভাবিক ব্যবহার ব্যতিত অন্য কোন কারনে যদি ভাড়াটিয়া কতৃক নষ্ট হয়ে থাকে তা হলে সেটা পরিবর্তন বা সমমূল্যের ক্ষতিপূরন ভাড়াটিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।"

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

নসটাল-জিয়া বলেছেন: তাই শর্তটা এই রকম হওয়া প্রয়োজন..... "বাসার ফিটিং ও ফিক্চার ও অন্যান্য জিনিস স্বাভাবিক ব্যবহার ব্যতিত অন্য কোন কারনে যদি ভাড়াটিয়া কতৃক নষ্ট হয়ে থাকে তা হলে সেটা পরিবর্তন বা সমমূল্যের ক্ষতিপূরন ভাড়াটিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।"

সহমত সহমত :)

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: ভাই,আমি সাবলেট বাসি।এক রুমের ভাড়া আট হাজার।আগামি বছর আরো বাড়বে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আমি সাবলেট নিতে পারবো না নইলে আপনার সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতা......................

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

পেটুক ছেলে বলেছেন: বাসা না চিড়িয়াখানা ???

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: মন্তব্য দেখলে বোঝা যায় কে বাড়িওয়ালা আর কে ভাড়াটিয়া। আমি গত প্রায় দেড় বছর এরকম এক খচ্চরের বাসায় ছিলাম। বাড়তি পাওনা হল চিড়িয়া খানায় না গিয়া বিনা পয়সায় খচ্চর দেখা। গত দুই মাস আগে আল্লাহর রহমতে সেই বাসা ছেড়ে একজন ভদ্রলোকের বাসা ভাড়া নিয়েছি। ফলে নিয়মিত খচ্চর দেখা থেকে বন্চিত হচ্ছি। আগের বাসার বাড়িওয়ালার নাম ইন্জিনিয়ার ফরহাদ বাসার ঠিকানা ১৬৫/১ পূর্ব কাফরুল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আমি মহাখালী..... বাসাওয়ালে পুরোপুরি প্রভেশনাল.... তবে ভদ্রলোক বলেই মনে হয়েছে....। কিন্তু শর্তের ব্যাপারে উনি ...............

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ফ্যামিলী/পরিবার বলিতে দ্বিতীয় পক্ষ নিজে, তাহার স্ত্রী, নিজ সন্তান এবং বুয়াকে বুঝাইবে। এদের ছাড়া অন্য কেহ ৩ দিনের বেশি ফ্ল্যাটে থাকিলে অথবা একজন গেল আর একজ আসিল এমনি করিয়া মাসে ৬ (ছয়) দিনের বেশি অতিক্রম করিলে পুরা মাসের পানির বিল দিতে হইবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দ্বিতীয় পক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩ জন। পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কেহ অতিথি হিসাবে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অবস্থান করিলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে তাহা যথাসময়ে অবহিত করিবেন এবং পরিবারের কোন সদস্য কোন কার্য উপলক্ষে অন্যত্র থাকিলেও পুরা মাসের পানির বিল দিতে হবে।



আজব । :| B:-/ :-0

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

নসটাল-জিয়া বলেছেন: সত্যিই আজব.............

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

সুইট টর্চার বলেছেন: আমি নিশ্চিত এই বাড়ীওয়ালার আসল বাড়ী বরিশালে। আমার আগের বাড়ীওয়ালা ছিল বরিশাইল্লা আর এমন খচ্চর। এখনকার বাড়ীওয়ালা এতটা খচ্চর না তবে বছর বছর ভাড়া বাড়ায়। তবে সেও নোয়াখাইল্লা। বাড়ীওয়ালা মুটামুটি ভদ্র তবে বাড়ীওয়ালীটা একটা খাটাশনী :P

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আসলেই ভাই আপনি চোখ বন্ধ করেই সব ঠিক ঠিক বলে দিতে পারেন !!

বাড়ীওয়ালা ইস মেইড ইন বরিশাল !! আপনি ১০০ তে ১০০ !!

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

htusar বলেছেন: ১৪। ফ্যামিলী/পরিবার বলিতে দ্বিতীয় পক্ষ নিজে, তাহার স্ত্রী, নিজ সন্তান এবং বুয়াকে বুঝাইবে। এদের ছাড়া অন্য কেহ ৩ দিনের বেশি ফ্ল্যাটে থাকিলে অথবা একজন গেল আর একজ আসিল এমনি করিয়া মাসে ৬ (ছয়) দিনের বেশি অতিক্রম করিলে পুরা মাসের পানির বিল দিতে হইবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দ্বিতীয় পক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩ জন। পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কেহ অতিথি হিসাবে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অবস্থান করিলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে তাহা যথাসময়ে অবহিত করিবেন এবং পরিবারের কোন সদস্য কোন কার্য উপলক্ষে অন্যত্র থাকিলেও পুরা মাসের পানির বিল দিতে হবে।

তাইলে বৃদ্ধ বাবা- মা কই থাকব? গাছতলায়???

এই একটা ছাড়া বাকি সবই তো একি রকম.।.।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: শর্ত গুলো বিভিন্ন সময় এর বাড়িওলারা সম্মুখিন হয়ে বলেই ,এইগুলো শর্ত হিসাবে আসছে...

আসলে সব ভাড়াটিয়া যেমন একনা আবার বাড়িওলারাও এক না সবাইকে দেখেশুনে ভাড়া নিতে হয় এবং দিতে হয়।

রবিনহুড ভাই ২৯নং শর্ত নিয়ে যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন তা য়ে ঠিক আবার বাড়িওলাকে তার বাড়ির আন্যদের নিরাপত্তরা কথা ভাবতে হয়।
এই ক্ষেত্রে আমি আমার বাড়ির দুইটা ঘটনা বলতেছি....
১।আমাদের কেচিগেইট রাত ১২টা বন্ধ করা হয় এরা পরও যদি কেও কোন ইমারজেন্সিতে পরে আসে তাহলে মোবাইল করলে আমরা নিজেরাই খুলে দিই(দারোন দিয়ে খুলে আনেক সমস্য পড়তে হয়েছে)।
আর তাতেই আনেক ভাড়টিয়া আভিযোগ করে তাদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটে এমনকি তারা ভয় পায়(ভাই আমাদের ঘুমের কথা বাদই দিলাম)।আমার ছোট ভাই এই দায়িত্বটা বেশি পালন করত আবার সকালে উঠে সে আফিসে যেত আর এই কারনে সে দুই তিন মাস আগে বেশ আসুস্ত হয়ে পড়েছিল।
সবাই নিজ নিজ চিন্তটাই বেশী করে ,না খুলার কথা বলেলে বলে আমরা তো মাসে ৫ থেকে ৬দিন এমন হয় বেশিতো হয় কিন্ত ১৬/১৭ টা ফ্লাটে ৩দিন করে হিসাব করলে কি আবস্তা হয় ।এমনও দিন যায় ৫ থেকে ৬ বারা রাতে গেইট খুলতে হয়।
এছাড়াও, আরো একটা বড় ধরনের ঘটনা ঘটনে ২০০৯ সালে আমাদের বাসায় এক ভাড়াটিয় ভাড়া নেয় এক মহিলা সে ভাড়া নেওয়ার সময় বলে তারা স্বামী এবং তার এক চাচতো বোন থাকবে তার সথে পরে দুই তিন মাস যাওর পর যখন দেখি তার স্বামী মাসে একবার কি দুই বার আসে এমনকি তারা আরেক মহিলাকে সবালেট হিসাবে রাখছে এবং তার ভাই রাত একটা দুইটার সময় আসে এবং একদিন তাদের মধ্য কি নিয়ে প্রচন্ড জগড়া হয় তখন সেই মাসে আমরা তাদের নোটিশ দিয়ে দেই আরা সেই মাসেই এক রাতে ঘটল এক ভয়ঙ্কর ঘটানা(আজও মনে পড়লে আমার গা শিওরে উঠে,আল্লাহ তুমি সকল বিপদ থেকে রক্ষা কর) ।একদিন সকলে বাইরের মানুষ এবং দরজার নক শুনে দরজা খুলে দেখি সাবলেট থাক মহিলাটির এক পাশের গালের মাংস ঝুলে পড়ে আছে (আমার জিবনে এই রকম দেখি নাই) আর সে বলতেছে (এই মুর্হতে নামটা মনে নাই)মেয়ের ভাই মেয়ের ভাই ---করছে সব। সেই মেয়ের ভাই রাতে এসে বোনের সাথে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায় এবং গভির রাতে নিজ বোন কে ছুরি দিয়ে গলা কেট হত্যা করে এবং তারা চাচাতো বোনকে হত্যা করে আরা সাবলেট থাকে মহিলাটিকেও হত্য করার চেষ্টা কিন্তু মহিলা আল্লাহ আশেষ রহমতে মারান্তক জখম আবস্তায়ও বেচে যায়।
এইবার আপনারই বুজন পরে পুলিশের কি পরিমান হয়রানির মধ্য ছিলাম ,তারপরও বলব পুলিশ আমাদের এই ঘটনা যথেষ্ট সহয়োগিতা করেছে,আমরা যেটুকো হয়রানি হয়েছি তা পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করছে,আমি তাদের কে আনেক ধন্যবাদ জানাই য়ে আতি দ্রুত তারা আসামিকে ধরতে পেরেছিল।
তাকে ধরার পর এবং আহত মহিলার বক্ত্যব আনুসা খুন করা ঘটনা শুনলে একটা হররর ছবিকে ও হার মানবে।
এই ঘটনায় আমরাদের সেই রুম চার -পাচ মাস খালিছল।

বাড়ি ভাড়া নিয়ে আরো আনেক ঘটনা আছে.......আমি ভাল লিখতে পারিনা বলে আসলে এই সব ঘটনা ব্লগে দিতে পারি না.....
তাই সবাইকে বলি সবার দিক বিবেচনা করা উচিত।
স্বাধিনতার কাথ যেমন ভাব উচিত নিরাপত্তার বিষয় টা ভাবা উচিত সবাইকে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত পোষন না করে পারছি না কিন্তু ভিন্ন ধারার গল্পও আছে। আমি গতবছর যে বাসায় উঠেছিলাম, প্রথমের দিকের ঘটনা। সবে বাসায় উঠছি, বাসার কেয়ার টেকার নিচে থাকেন না, থাকেন পাশে এক বাসায়। ১০:৩০মি এর সময় উনি তালা দিয়ে বাসায় ঘুম। বাড়ীওয়ালা কোন ভাড়াটিয়ার কাছে চাবি দিবেন না। বড় ভাইএর বাসায় গেছিলাম, ফিরতে ফিরতে রাত ১১:৩০। ততক্ষনে আমার মোবাইল চার্জ শেষ। বাসার নীচে এসে এক দোকানদার এর ফোন ধার নিলাম, বউ রে ফোন দিলাম, কিন্তু সে এত রাতে বাড়ীওয়ালাকে কোন ভাবেই ডাকতে পারবে না, (ভদ্রতায় বাধে), আর কেয়ারটেকার বেটা ফোন ধরে না...।

শেষে এক কলিগের বাসায় রাত্রি যাপন করলাম, গিয়ে দেখি লগস্টার রান্না হচ্ছে !! মনে মনে বল্লাম, বাড়িওয়ালা জিন্দাবাদ !!

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ঢাকা শহর ডিলোকালাইজ করলে এইসব বাড়িওয়ালা আর রিয়েল এস্টেট কোম্পানী পরের দিন পথে ভিক্ষা করে খাবে। এই জিনিশটা যে সরকার করবে সেই সরকারকে পরপর তিন টার্ম ভোট দিব।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

শহুরে কাউয়া বলেছেন: সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ঢাকা শহর ডিলোকালাইজ করলে এইসব বাড়িওয়ালা আর রিয়েল এস্টেট কোম্পানী পরের দিন পথে ভিক্ষা করে খাবে। এই জিনিশটা যে সরকার করবে সেই সরকারকে পরপর তিন টার্ম ভোট দিব

মাক্ষাস কইসেন বস ;) ;)

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাই আপনার এই পোস্ট টা প্রিন্ট করে রাখা উচিৎ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

নসটাল-জিয়া বলেছেন: না ভাই প্রিন্ট কইরেন না, বাড়িওয়ালা পোন দিসিলেন, কয়েকটা লাইনে নাকি ভুল আছে, উনার সাথে সত্তর দেখা করতে বলেছেন। চার ৃষ্ঠা কম্পচ এবং বাংলায় যা আমি পারি না...।

পুনরায় ১৭০ টাকার স্ট্যাম্প কিনন লাগবে তা বোঝা সারা......

আগে কারেকশন গুলান নিয়ে আসি তার পর প্রিন্ট দিয়েন.........

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

ভয় বলেছেন: গুড ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

নসটাল-জিয়া বলেছেন: না রে ভাই ব্যাড !! চার পেজের রচনাই এত্তগুলান বানান ভুল ! এ তো আর সামুর পেজ না যে ভুল বানানের জন্য পেদানি খেতে হবে না !

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

বন০০৭ু বলেছেন: এই খচ্চর বাড়িওয়ালা মনে হচ্ছে একটা ছোটলোক, ওর উচিত ছিল জংগলে বা নর‌্দমায় জন্ম নেয়া। এরকম বাড়ি ওয়ালা আমি খুজতাছি, পাইলে ওরে ....... শিখ্খা দিতাম,

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

টেকনিসিয়ান বলেছেন: কমোডে জ্যাম সৃষ্টি হয়ে মল ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠিলে তখনি এমন জমিদারকে ডেকে আনিয়া সেখানে জোর করিয়া জমিদারের মুখ কমোডে চিবিয়া ধরা দরকার।

আমার জমিদারও এ জানু. থেকে ২০০০ টাকা বাড়াইয়া দিল কিন্তু একবছর ধরে রান্নাঘরে ট্যাবের কল জ্যাম হয়ে পানি ধীরে বহিতেছে (এজন্য গিন্নীর খুব কষ্ট হয় পানি টানতে) বেসিন ভাঙ্গল নতুন দিল না, নিজেই লাগিয়ে নিলাম। কিন্তু দীর্ঘ ১৯৯৮ সাল থেকে মাত্র৩৫০০টা ভাড়া থেকে আছি বতর্মান ভাড়া ১২০০হা. আসিল। অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা আত্নীয়স্বজনের মত তাই ছুটতে পারছি না। তারপরও মনে হয় আশে-পাশের অন্য জমিদার থেকে ভাল।

সবচেয়ে আমরা ভাড়াটিয়ারা যেটা উপভোগ করি তা হচ্ছে প্রতিবছর জমিদার-বউ-ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাস গমন করে লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে যায়। বর্তমান জমিদারের পিতা ছিলেন সুদখোর ব্যবসায়ী উনি মারা যাইতে অনেক কষ্ঠ পেয়েছিলেন, সবাই মনে করে ভাড়াটিয়াকে পানির কষ্ঠ দেয় তাই এ দশা।
আসুন সবাই মিলে সব জমিদারের কঠিন কঠিন রোগযুক্ত শরীর কামনা করি।

আমিন।

২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: এই পোষ্টটা স্টিকি না হোক নিবর্চিত এলাকায় থাকলে ভাল হত। বাকিটা মডুর কৃপা।

২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

নসটাল-জিয়া বলেছেন: dhonnobad apnake, asajagania montobber jonno !!

২৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

ধানের চাষী বলেছেন: ঢাকার প্রায় সব বাড়িরই একই অবস্থা, কেউ এরকম লিখিত শর্ত দেয়, আবার কেউ মৌখিক শর্ত দেয়, শর্তের কথা পালন করে প্রায় সব বাড়িওয়ালাই

২৫| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

নসটাল-জিয়া বলেছেন: তাই তো প্রতিটাক্ষণ মনের ভেতর কেমন যেন একটা বন্দিযন্ত্রনা অনুভব করি, আবার যদি ধান চাষ করে খেতে পেতাম !!

গ্রামের বাসায় একটি গাছের নীচে বসে থাকতেও ভালো লাগে ! এ দেশের অন্যতম তথাকথিত আধুনিক সুবিধা সম্বলিত কর্পোরেট হাউজে (খোয়াড়) বসে বসে মনের মধ্যে আমার কেবলই ধান গাছ !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.