নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নসটাল-জিয়া

ভাল লাগে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে ভাল লাগে ঐ আকাশের তারা গুনতে ভাল লাগে মেঘলা দিনে নিস্পলক.......... বন্ধু......

নসটাল-জিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

লুঙ্গি সমাচার (২য় পর্ব)

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫১



সম্মানিত সূধি,

লুঙ্গি সমাচার এর প্রথম পর্বে জেনেছি লুঙ্গির ইতিবৃত্ত, ইতিহাস কিংবা আদি অন্ত। আজ বলতে এসেছি আমদের দেশে লুঙ্গির ব্যবহার। এবং পরিশেষে ব্যবহার ভিত্তিক একটি দেশি টোটকা। একজন বাউন্ডুলের লুঙ্গি পরা এবং তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ থেকে ঘটনার সূত্রপাত......

ঘটনাবহুল বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন ঘটনা, একটার নীচে চাপা পড়ে যাচ্ছে আরেকটা…ক্যাসিনো কান্ড, জি কে শামীম তারপর সম্রাট, আবরার হত্যা, ঢাবি'র ছাত্রী ধর্ষণ, শেঁয়ার বাজারে আবারও অজানা কারনে ইনডেক্স গায়েব; মাঝখানে যথারীতি আমরা ম্যাংগো পিপুল...... FB তে like আর share দিয়ে মনে মনে সস্তির ঢেঁকুর তুলছি......

এই সবগুলো ঘটনার ভেতরই কেবল মন খারাপের গান। তাই বরং লুঙ্গি নিয়ে সময় কাটানোই শ্রেয়। লুঙ্গি গ্রাম বাংলার মানুষ গুলোরল মতই সহজ সরল পোশাক, প্যাঁচ-পুচ নাই। শুধু একটা গেরো দিয়ে নিলেই হলো। কেউ কেউ বা অধিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দুই গেরো দেন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি ঘুমোতে যাবার সময় আরো একটি অতিরিক্ত গিট্টু দিয়ে নেয়াটাই সমীচীন মনে করি..

রাজশাহীতে শীত এখন বিদায়ের বারতা ছড়াচ্ছে! প্রতিদিনই বিকেলগুলো একটু একটু করে বয়স ফিরে পাচ্ছে। ক্রমেই শীতের আলিঙ্গন কে পাশ কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে দূরন্ত কিশোরের উদ্যাম ছুটে চলা। রাজশহীতে এখন বিকেলের রোদে সূর্যের চোঁখ রাঙানি নেই, আছে শীতের হিম হিম আবেশ। আহ্হ্! স্কুল সময়ের দিনগুলোতে শীতের দিনে নানা বাড়ী। কুপি বাতির আলোয় রাত সেখানে অতি দ্রুত গভীর হয়ে যেত। রাত্রি বেলা যখন এক লেপের নীচে ৩/৪ জন ঘুমোতে যেতাম, তখন তিন নম্বর গিট্টুটা ভালো মতই রপ্ত হয়েছিলো….. খুব সকালে কুয়াশার দেয়াল ঠেলে মামাদের সাথে খেজুরের রস সংগ্রহ! তখন নানা বাড়িতে শীতের সময় একজন অতিরিক্ত কাজের লোক থাকতো। যার কাজ ছিল খেজুর রস সংগ্রহ থেকে গুড় তৈরী করে বাজারে বিক্রি করা পর্যন্ত। গাছে গাছে রস পেড়ে আনার পর যখন চুলায় উঠানো হতো তখন পাড়ার সহজ সরল মানুষগুলো গোল হয়ে চুলার চারপাশ জুড়ে গুটিশুটি মেরে বসে বসে আগুনের উষ্ণতা নিত। প্রত্যন্ত গ্রামে তখনও সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সকালের কুয়াশা মাখা জুবুথুবু শীতে লুঙ্গিকেই আপন করে রেখেছিল। এখন সেখানে কুয়াশা ঢাকা সকাল আসে কিন্তু আগুন আর উষ্ণতা ছড়ায় না, সিংহভাগ মানুষের পরনে লেগেছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া... বিদায় নিয়েছে লুঙ্গি আর সাথে নিয়ে গেছে লুঙ্গির মতই সহজ সরল নিরাভরণ গ্রাম বাংলার জীবন...

ঠিক করেছি, হায়পথিটিক্যাল কিছু আজ লিখবো না। হায়পথিটিক্যালি ভালোবাসার কথা বললেও অনেকেই সেটা দেখতে পান না, চোখের সামনে যেইটা দেখেন, শুধু সেটুকুই নেন, ওর পেছনে যে ভালবাসা টুকু লুকানো থাকে কিংবা থাকে সমাজ সংস্কারের তাগিদ থাকে, সেইটা আমি দেখাইতে পারি না, আমার ব্যর্থতা!

তবে, নিন্দুক চিরকালই নিন্দুক। ভালোবাসলেও সে বলবে, ওই ভালোবাসার ‘ভ’ টা ছোট। আবার দেখেশুনে সবগুলো অক্ষর বড় বড় করে ‘ভালোবাসি’ লিখলেও নিন্দুক বলবে আমার ক্ষেত্রেই কেবল এই রুচিহীনতার প্রকাশ, নইলে অত বড় বেঢপাকৃতির মতো করে কেউ ‘ভালোবাসি’ লেখে?

এই ফোরামে অতি স্বল্প সময়ে সবার থেকে এত ভালবাসা, স্নেহ আর সম্মান পেঁয়েছি যে কেউ নিন্দে করতে চাইলেও ব্যর্থ হবে, অভ্যাসবশত কারণে সেখানেও ভালবাসা, মায়া, মমতা কিংবা স্নেহ-ই কেবল দেখতে পাই। একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার সচেতন মনে (conscious mind) -এ যখনই কারো জন্য একটি শুভ কামনা জন্ম নেয়, একই সাথে মনের অগোচরে sub conscious/unconscious mind এ নিশ্চয় সেটি একটি দোয়া হিসেবেও বাতাসে মিলিয়ে যায়। সেটি দেখা যায় না। আমাদের ঘুনে ধরা সমাজের শতভাগ মানুষ ই যদি এমন কালচারে তলিয়ে যেত.....

যাই হোক, প্রসঙ্গে ফিরে আসি! লুঙ্গি নিয়ে কি যেন বলছিলাম! ও হ্যা, মনে পড়েছে! বোতাম, হূক কিংবা বেল্ট না থাকলেও বাঙ্গালীর লুঙ্গি পরিধানে সমস্যা হয় না। কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বাসায় ফিরে এদেশের পুরুষ সমাজ লুঙ্গি পরিধান করে তবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। যেন পোশাকের পালাবদল!

প্রিয় সুহৃদ,
দেশি টোটকা: আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে মূলত কয় ধরণের পুরুষ মানুষ আছে?

দিনের শেষ ভাগে পোশাকের এই পালাবদলের চরিত্র বিশ্লেষণে, বাংলাদেশে মূলত চার ধরণের পুরুষ আছে?

একদল কাপড় চেঞ্জ করার সময় লুঙ্গি মাথার উপর দিয়ে ঢোকায়, অন্য দল ঢোকায় পায়ের নিচ দিয়ে। বাকি দুই দলের একদল তোয়ালে ব্যবহার করে, আর অন্য দল শুধু বাতিটা নিভিয়ে দেয়!

শুভ রাত্রি ! lights off

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, উপরে দুই নিচে দুই গিরা দিলে সক্কাল বেলা লজ্জায় লাল হতে হয় না। লেঙট থাকলে আরো মঙ্গল হয়।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৪

নসটাল-জিয়া বলেছেন: শীতের রাতে এইটা বেশি কাজে দেয় কিংবা আত্মীয়ের বাসায়.....

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৫

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: কি আশ্চর্য, আমি এই চার শ্রেণীর কোনটার মধ্যেই পরি না !

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লুঙ্গি আমি পড়ি না।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: চার শ্রেণির মধ্যে আপনি কোন শ্রেণিতে পড়েন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.