নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আধুনিক বিশ্বে যেসব দেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে তারা কোনো আলাদিনের প্রদীপ পেয়ে এগিয়ে যায়নি! তারা এগিয়েছে তাদের নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। একজন দক্ষ নাগরিক দেশের জন্য সম্পদ। প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। তাদের নাগরিকদের জন্য আধুনিক বাকি বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার জন্য যা যা করার দরকার তাই পদক্ষেপ নেয়। এতে তার নাগরিক তার প্রতিযোগী দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য সব রকমের দক্ষতা অর্জন করে।
আমাদের দেশের আমলা ও রাজনীতিবিদদের নিজেদেরই দক্ষতা নেই যে তাদের নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্বি করবে। অদক্ষ রাজনীতিবিদ ও দূর্ত আমলাদের কারনে দেশে চোর ডাকাত বেড়ে যায়। আজকের বাংলাদেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে এর থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক পদক্ষেপ সঠিকভাবে না নিলে আগামী দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে পড়বে। কুয়েত, কোরিয়া, জাপান, ইতালি এবং সর্বশেষ চীন যেসব বাঙ্গালীদের এয়ারপোর্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা ও তাদের পরিবার এক অনিশ্চয়তার মাঝে প্রবেশ করেছে। অথচ তাদের ফিরে যাওয়াকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়ার দরকার ছিলো। তাদের প্রত্যেককেই যাওয়ার আগে ঢাকায় এনে বাধ্যতামূলক ১৪দিনের দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার দরকার ছিল। তাদেরকে পুনঃ পুনঃ টেষ্ট করে নিশ্চিত হয়ে, টেস্টের রেজাল্ট অফিশিয়ালি সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতের মতমতসহ সমন্বয় করে পাঠানো যেত। কেননা তাদের এই যাওয়াটা সহজ হলে পরবর্তীতে যারা যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান আছে তাদের যাওয়াটাও সহজ হতো।
যেভাবে প্রতিটা দেশ বাংলাদেশের সাথে ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে এতে বাংলাদেশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। গার্মেন্টস এর চেয়ে বড় সেক্টর এই হার্ড রেমিটেন্স সেক্টর, এমন সেক্টর নিয়ে হেলাফেলা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়! নিজের দেশে কাজ না পেয়ে এসব লোক গুলো জমি বন্ধক দিয়ে, বউয়ের কানের দুল বিক্রি করে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রবাসী হয়েছে। এদের পাঠানো টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে, দেশের প্রবৃদ্বি বাড়ে। বিদেশে যাওয়ার কালে এমনিতেই বাংগালীরা বিদেশ যেতে অনেক কাগজপত্রে জালিয়াতি করে। তবে এমন দুর্যোগকালীন সময়ে টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে যেন জালিয়াতি না হয় সে দক্ষতাটুকু অন্তত দেখানো দরকার ছিলো।
যাইহোক যা ভুল হওয়ার হয়ে গেছে, আগামীতে বিদেশগামীদের যাওয়ার আগে সবাইকে ঢাকায় এনে কোয়ারেন্টাইনে রেখে একাধিকবার টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে তাদের ফ্লাইট করতে হবে। টেস্ট করানোর সময় যেন কোন ভাবেই রিজেন্ট সাহেদরা পরামর্শ দিতে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনারা নিজের আশেপাশের খবর ঠিকভাবে রাখেনা। বাকি বিশ্ব কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে প্রসেস উনাদের মগজে ঢুকে না।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা দক্ষ না। তারা পরিশ্রমী না। তারা জানেন না, বুঝেন দেশের কিভাবে ভালো করা যায়। তারা শুধু পারেন আরাম আয়েশ করতে। সব চেয়ে ভালো পারেন দূর্নীতি করতে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মন্ত্রী এমপিদের সাথে সাথে সরকারি কর্মকর্তাদেরও দক্ষ হতে হয়। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের দেশের মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে জানতে হয়।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদেশের সরকারি লোকেরা দক্ষতার সাথে যখন দুর্নীতি করতে পারেন তখন চাইলে তারা এই দুর্দিনে দক্ষতার পরিচয় দিতেও পারার কথা। অন্য দেশের করোনার রিপোর্ট আরেক দেশে চলবে বলে মনে হয় না। প্রত্যেক দেশ তাদের নিজস্ব নীতি অনুযায়ী
সম্ভাব্য করোনা রোগীকে পৃথক করবে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশ চালানোয় দক্ষতা দেখাতে হলে, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বিশ্বরাজনীতি, টেকনোলজি, বিজ্ঞান সব কিছুইতেই খেয়াল রাখতে হবে। দুর্নীতি করতে হলে শুধু হিসেব নিকেষ আর উপরের মহলের দিকে নজর রাখলেই চলে। করোনা রিপোর্ট বাংলায় হোক ইংরেজিতে হোক সেটা সমস্যা নেই। টেস্ট রেজাল্ট ভিন্ন হওয়ার সম্ভবনা নেই।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে গরু ছিল এখন গোরু হয়েছে । কচুরি পানা খায় ওরা ।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: গরু নাকি আগে থেকেই বাংলা অভিধানে গোরু লেখা ছিল। মানুষ জানতো না, বাংলা একাডেমির ঘুম ভাঙ্গছে গরুর শিং এর গুঁতোয়।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩০
একাল-সেকাল বলেছেন:
কতগুলা বইয়ের পৃষ্ঠা মুখস্ত করে বিসিএস দেয়, মামা চাচার পকেটে বান্ডেল গুঁজে চাকরিতে আসে। সেই বান্ডেল ফেরত পেতে শুরু করে দুর্নীতি। ফাও টাকার তেল যখন দাঁতে লাগে, তখন চালু হয় বে হিসেবী ধান্দা।
কোথায় মেরিট ? আর কোথায় দক্ষতা ? অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বিশ্বরাজনীতি, টেকনোলজি, বিজ্ঞান সব কিছুই দুর্নীতির SSD card এর ভিতর অবিরত Synchronize হতে থাকে।
সচিব নির্ভর মন্ত্রিদের কথা বলে আর কি হবে। অফিসে, বাড়ীতে গাড়িতে এসিময় জীবন। সূর্যের ভিটামিন ডি ক্যাপস্যুলে পুরে খায়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ৫০ বছর তো হলো, এসবের অবসান হওয়ার দরকার আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যুরোক্রেটদের ও মন্ত্রিদের দক্ষতা এত কম যে, এরা গার্মেন্টস'এ ভালো চাকুরী পাবার কথা নয়।