নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সঠিক দক্ষতা না দেখাতে পারলে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে জাতির জন্য।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯



সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক মন্দা খুব ব্যপক আকার ধারন করতে যাচ্ছে। এই অর্থনৈতিক মন্দা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে হওয়া অর্থনৈতিক মন্দার থেকেও ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পুরো পৃথিবীর প্রায় ৪০০মিলিয়ন মানুষ চাকুরী হারিয়ে ফেলবে অচিরেই। বিশ্ব অর্থনীতি মোটামুটি আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনীতির উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। আমেরিকার মাথা মোটা প্রেসিডেন্টের কারণে তাদের অর্থনীতিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। ইউরোপের অবস্থা এখনো রিসেশনের দিকে যায়নি তবে যেভাবে সার্বিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে, বলা যায় অচিরেই তারাও রিসেশনে পড়ে যাবে।
দক্ষিণ, পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলো মোটামুটি মাঝারি ধরনের উৎপাদন শিল্পের উপর নির্ভরশীল আর তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপ। সুতরাং ক্রেতাদের দেশে স্থিরতা না আসলে এই অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক স্থিরতা আসবেনা।

বাংলাদেশ মাঝারি ও ছোট উৎপাদন শিল্পের উপর বেশি নির্ভরশীল, তাই অর্থনৈতিক মন্দা হলে অনেক বেশি বিপাকে পড়বে দেশ। তবে বাঙ্গালীদের দুটি গুণ আছে যার কারণে এমন অর্থনৈতিক মন্দা বাঙ্গালীদের খুব বেশি কাবু করতে পারে না। বাঙ্গালীরা নিম্নমানের জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এবং আর্থিক সমস্যায় পতিত হলে আল্লাহর পরীক্ষা বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারে। কিন্তু এবারের সমস্যা বাঙ্গালীদের এই দুটি গুণ ভেঙ্গে দিতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা তার উপর বন্যা, সবকিছু মিলিয়ে বিশাল এক সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বাঙ্গালীরা। সরকারে যদি সেরকম ভাবে দক্ষ লোকজন থাকতো তাহলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথে হাঁটতে পারতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় করোনা পরিস্থিতি আসার আগে, সবকিছু জেনেও যেমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক মন্দা আসতেছে জেনেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

এই মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহ যেন ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা নেওয়া, কৃষি উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। সার, বীজ, কীটনাশক এসবের স্টকের উপর গুরুত্ব দেওয়া। কৃষকের সাথে কৃষি অফিসার কিংবা সরকারের লোকজন যারা এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সরাসরি যোগাযোগ শুরু করে দেওয়া। কৃষকদের সুবিধা অসুবিধা শুনে তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উৎপাদনে রাখা। অতীতে তারা সরকারি লোকজনের কাছ থেকে যেসব খারাপ ব্যবহার পেয়েছে সেগুলি আর হবেনা এই মর্মে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া। যেসব আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে সেগুলিকে আবাদি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মোটামুটি রেসিশনকে কিছুটা সামাল দিতে হলে কৃষি উৎপাদন দেড়গুন কিংবা দ্বিগুণ করতে হবে।
একমাত্র কৃষি এবং কৃষকই পারে এই সমস্যাকে কিছুটা থামিয়ে দিতে তবে সে ক্ষেত্রে সরকারি লোকজনকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

দেশের অন্যান্য সেক্টরগুলোর তুলনায় কৃষি সেক্টরকে পরিচালনা করা সহজ। চীন, ভারত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকোচন হলেও আইএমএফ বলছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ১%। সম্ভবত কৃষি উৎপাদনের কথা মাথায় রেখে এমন প্রেডিকশন করা হয়েছে। তাই সরকারের উচিত হবে কৃষি উৎপাদন ঠিক রেখে বাকি সেক্টর গুলিকে ঠিক রাখা।
তবে মনে হচ্ছে সরকার নিজের ভারে নিজেই বেশি কষ্ট পাবে অর্থাৎ সরকারি লোকজনের বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে হিমশিম খাবে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এতগুলো এন জি ও যারা কৃষিখাত সহ সামাজিক বিবিধ বিষয়ের জন্য বিদেশ থেকে টাকা পয়সা পান তারা কোথায়? এখন দরকার বন্যা কাটিয়ে ওঠা এলাকায় বীজ ধান দ্রুত রোপণের মাধ্যমে ধান উৎপাদন কিছুটা হলেও সক্ষম রাখা । লোকাল কমিউনিটি গড়ে কৃষককে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া একমাত্র কাজ হবে । দক্ষিণাচল বন্যামুক্ত বলে এখানে যে ধান রোপণ করার কথা তা চলছে । আশা করছি জনগন নিজেরাই সামাল দেবে নিজেদের সমস্যা । অপ্রতুল সরকারি সাহায্য নিয়ে মানুষের চরিত্র নষ্ট করা ঠিক না ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক। তবে সরকারি লোকজনের সহযোগিতার দরকার পড়ে। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সহযোগিতা করলে জাতির জন্য ভালো পদক্ষেপ হবে।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকারি এবং দলীয় লোকদের চুরি বন্ধ করে সরকার সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিলে দেশ ঠিক থাকবে। কষৃক অতীতেও অবহেলিত হয়েছে ভবিষ্যতেও এমন থাকবে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ধেয়ে আসতেছে তার বিপরীতে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে না। কৃষি ছাড়া এটাকে কিছুটা ট্যাকেল দেওয়া সম্ভব হবে না।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: না এতটা কঠিন পরিস্থিতি হবে না।
পৃথিবীর বহুদেশ থেকে আমরা অনেক ভালো আছি।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পরিস্থিতি এখনই অনেক খারাপ দিকে, আরো দুই,তিনমাস পর পরিস্থিতি খারাপই হওয়ার কথা।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩২

জনৈক অপদার্থ বলেছেন: কিছুই হবে না ভাই

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো কিছু হওয়ার সম্ভবনা নেই। নিজেদের বাঁচার মত ব্যবস্থা নিজেরাই করতে হবে। অনাবাদি জমি থাকলে সেখানে চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির আশেপাশে সবজি চাষ করতে হবে।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ধানের সিজন টিজন জানেন? এখন আউষ সিজন; সেখানে বন্যা হচ্ছে, ঐসব এলাকায় আউষ চাষ করেছিলো?

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধানের একাংশের ক্ষতি হয়েছে। এই সিজনে লক্ষমাত্রার কম উৎপাদন হবে তবে করোনার কারনে যে মন্দা আসতে পারে সেটা স্থায়িত্ব কয়েক বছর হবে। বন্যা আগামী মাসে মাঝামাঝিতে দিকে কমতে শুরু করবে। এর পরবর্তীতে কৃষি উৎপাদনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কিংবা, আপনাদের পরিবারের ধানের জমি আছে? থাকলে চাষ হয়? আমাদের সামান্য জমি আছে, বেশিরভাগ চাষ হয় না।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের কিছু ধানী জমি আছে, সেগুলো অন্য একজনে চাষ করে। তিনভাগের দুইভাগ সে নেয় একভাগ আমাদের দেয়(যদিও ঠিকভাবে একভাগও দেয়না)। আমাদের বাড়ির উঠান ও পুকুর দুই পাশে সবজি চাষ হয়। মোটামুটি বাজার থেকে খুব একটা সবজি কিনতে হয় না।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রয়োজন মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়।জমি এখন আর অনাবাদি থাকে না,তবে অনেক মানুষেরই জমি নেই।অর্থনৈতিক অবস্থা সচল না হলে তাঁরাই না খেতে পেয়ে মারা যাবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব ঝড় যে ধেয়ে আসছে এটা সরকারের মধ্যে কোন বিকার দেখা যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ বাঁচার জন্য নিজ থেকে যা পারবে করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.