নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
বাঙ্গালীদের জন্য এবারের কুরবানীর ঈদ অন্য বারের মত ছিলনা। আমার জানামতে পরিচিতদের ভিতর অনেককেই কুরবানীতে অংশগ্রহণ করতে দেখিনি। অনেকের কুরবানীর জন্য যে বাজেট থাকে তার থেকে অনেক কমে কুরবানীতে অংশগ্রহণ করেছে। এমন অনেককে দেখলাম শুধুমাত্র সামাজিক লজ্জার ভয়ে ঋণগ্রস্ত হয়েও কুরবানীতে অংশগ্রহণ করেছে। কুরবানী ধর্মীয় একটা আচার কিন্তু সমাজে এটা এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে এটা এখন না করলে অপমানিত হতে হয় কিংবা নিজের মধ্যে হীনমন্যতা চলে আসে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দরকার ছিল সবার জন্য কুরবানী বাতিল করা। এটার জন্য আমাকে আবার ভেজিটেরিয়ান বা পশুপ্রেমী ভেবে বসবেন না। মানুষ পশুপ্রাণী খায় এটা বাস্তুসংস্থানের প্রক্রিয়া, এটার বিরোধী হওয়ার কিছু নেই। সমস্যা হচ্ছে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং সমাজে ধনী গরিবের পার্থক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা লোকলজ্জার ভয়ে কুরবানী দিয়েছে, আগামী দুই তিনমাস তাদের অনেক হিসেব করে চলতে হবে। বর্তমানে নগদ আয় এদের নিন্মমুখী এবং বেশিরভাগই কর্মহীন হয়ে যাচ্ছে।
সরকারি চাকুরিজীবীরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো আছে। সরকারেরও উচিত ছিল প্রাইভেট সেক্টরের মত সরকারি লোকজনদের বেতন কিছুটা কমিয়ে দেওয়া। এবারের করোনা সময়ে যখন সবাই আর্থিক সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছিল তখন সরকারি লোকজন এই মেয়াদের বাজেটে তাদের যে স্কেল বাড়ানো হয়েছে তা নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। ১ লা আগস্ট ঈদ হওয়াতে তারা বোনাস কিছুটা বেশি পেয়েছে। তবে সেটা সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে যখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ১লা আগস্ট, না ৩১ই জুলাই ঈদ হবে তার আগেই তারা ১লা আগস্ট ধরে তাদের বেতন বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় উপকারে সরকারি বেশিভাগ সেক্টরের লোকজনই কাজে লাগেনা। এরা যে পরিমান কাজ করে তার পারিশ্রমিক বড়জোর ৮-৯হাজার টাকা হতে পারে। এদের চাকুরী অনেকটা পার্ট টাইম জবের মত। দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ না করেও এরা বিশাল পরিমান অর্থ নিয়ে যায়। জাতি বিশাল পরিমান হাতির পাল পালে অকারণে। সরকারি লোকজনের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে সঠিক সেবা দেওয়া ও সীমিত সুযোগ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ পরিমান সম্পদ সৃষ্টি করা। তবে যে হারে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া যায় তাতে মনে হচ্ছে এরা সর্বোচ্চ সম্পদ ব্যবহার করে জাতির জন্য সীমিত সুযোগ সৃষ্টি করছে!
তারেক রহমান ও বেগম জিয়া যে দুর্নীতি পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছে সেটা এখনো চালু আছে। তবে আওমীলীগের লোকজন ও তাদের আমলারা সে পথে অনেক গুলো অলিগলি তৈরি করে নিয়েছে যাতে মানুষ ধাঁধায় পরে যায় এবং দুর্নীতি অনিয়ম কিভাবে হচ্ছে সেটা সঠিকভাবে বুঝতে না পারে।
আমাদের আমলারা হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে অদক্ষ ও অদূরদর্শী আমলা। জাতির জন্য এরা সঠিক সিদ্বান্ত নিতে বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থ হয়। এদের ব্যর্থতার দায় জাতি যুগের পর যুগ দিয়েই যাচ্ছে এবং আরো অনেকদিন দিয়ে যেতে হবে। যেভাবে জাতি শিক্ষিত হচ্ছে তাতে এখান থেকে উত্তরণের পথ এখনো দেখা যাচ্ছে না আর এটাই সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা!
০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ওরা মুরগি না শিয়াল, আমরা মুরগী।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: সারা বছর এই কোরবানীকে উদ্দেশ্য করে গরু ছাগল লালন পালন করল তাদের কথা-ওতো ভাবতে হবে?
আর চামড়া নিয়ে নয় ছয় যাই হোক, যে যাই বলেননা কেন- কোরবানীর চামড়া দেশের অর্থনীতিতে বড় একটা অবদান রাখে।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: যারা ব্যবসার উদ্দেশ্য লালন পালন করেছে তাদের জন্য সরকার প্রণোদনা দিতে পারতো। কুরবান ছাড়াও আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা প্রচুর। কুরাবানে পশুর দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অত্যাধিক রাখা হয় যা ঠিক নয়।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: ব্যবসা আর ব্যবসা, চতুর ব্যবসা।
মানুষ ধর্মকর্ম করবে কখন।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম একটি বিশাল ব্যবসায়িক মূলধন।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারে অদক্ষ লোকজনের অভাব থাকবে নাকি দক্ষ লোকজনের অভাব থাকবে? আপনার পোস্টের টাইটেলে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেয়া উচিত। এবারে কোরবানি পুরোপুরি বন্ধ করার পক্ষপাতি আমি ছিলাম না। কারণ এতে অনেক গরীব বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আর মানুষ যদি ধর্মের চেয়ে সমাজ মানে বেশী তখনই সমস্যা। লোক লজ্জায় ধর্ম পালন করা উচিত না।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ শিরোনাম ঠিক করে দিয়েছি। কুরবানী বিশাল একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। তবে এবারের জন্য বন্ধ রাখলে অনেক মানুষের জন্য উপকার হতো। এই খরচের জের অনেক দিন টানতে হবে। লোক লজ্জায় ধর্ম পালন করার সংখ্যা অনেক।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
একাল-সেকাল বলেছেন:
আমার চোখে দুটো কারনঃ
১ প্রশ্নফাঁস জেনারেশন তৈরি
২ রাজনৈতিক দুর্বলতা
এই দুটোর লাগাম টানতে না পারলে কস্মিন কালেও মুক্তি মিলবেনা। দিন দিন এইডস এর রোগীর মত অবনতির দিকে যাবে এই দেশ। তখন মনে হবে, "ইস, গতকালটাই ভাল ছিল।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারী চাকুরী পেলে বেশীরভাগ মানুষের স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সোনার হরিণ ফেলে কেউ কাজ করতে চায়না।
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের আমলারা হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে অদক্ষ ও অদূরদর্শী আমলা।
............................................................................................................
আপনার এই বক্তব্যর সাথে মোটেই একমত নই ।
আমাদের অনেক দক্ষ সরকারী কর্মকর্তা আছে যাদের দক্ষতার প্রশংসা করতে হয় ।
তবে, বেশ কিছু আমলা আছে যারা যোগ্যতার বিচারে ঐ পদ পায়নি, লবিং আর অর্থ ব্যয় করে
উচ্চ আমলার পদ নিয়েছে , এরাই দেশের মাথা ব্যথার কারন ।
......................................................................................................................
আমাদের গ্রামীন অর্থনীতি ও সেনিটেশন ব্যবস্হাপনা আশেপাশের দেশ থেকে যথেষ্ট
উন্নত ও প্রশংসনীয়, এই বিষয়গুলি আপনি বুঝতে পারবেন যদি আমার মতো পার্শ্ববর্তী
দেশ সমূহের গ্রাম অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখেন ।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি অবশ্য আগেই বেশিরভাগ বলেছি, এখানে হয়তো বলিনি। আপনি যাদের কথা বলছেন এরা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। আমাদের দেশের সাথে অন্য দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি গুলোতে আমাদের আমলাদের অদক্ষতা স্পষ্ট ধরা পড়ে।
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ ,
ধর্ম এখন আর আচরণের নয়, লোকলজ্জার ফল। কোরবানীর সামর্থ্য নিয়ে যা বলেছেন তা প্রায় ঘরে ঘরেই বাস্তব। ঐ যে লোকলজ্জা!
চামড়া একটা সম্পদ। এই সম্পদকে নিয়ে গেল অনেকগুলো বছর থেকে আজ পর্যন্ত্ সিন্ডিকেট বাজীই চলে আসছে।
জাতির জন্যে কোনও সরকারেরই রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছিলোনা এবং এখনও নেই বলেই সমূহ অন্ধকার জাতির সামনে।
যারা এতো কিছু দেখেও টানেলের অপর দিকে আলোর দেখা পান , বলতে হবে তাদের চোখ নষ্ট!
ভালো পোস্ট।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: চামড়া নিয়ে যারা এমন সিন ক্রিয়েট করে যাচ্ছে এদের থামানো বেশি কঠিন কিছু না। আমাদের আমলারা এসবের সাথে জড়িত থাকে। টানেলের ঐ পাশে আলো দেখা যাওয়ার সম্ভবনা নিকট ভবিষ্যতে নেই।
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মীয় লোকজন যতটা সংঘটিত,প্রগতিশীল লোকজন ততটা সংঘটিত না।এই বিষয়টা ৭৫ এর পর থেকে ক্রমশঃ বেড়েই চলছে।সরকারও সেভাবেই চলছে,দিন দিন সবকিছুতেই অবনতি।সবকিছুই খারাপের দখলে চলে যাবে।জনগনকে সংঘটিত করার লোক নেই বললেই চলে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মীয় লোকজন সংগঠিত কারন তাদের মাঝে মৃত্যুভীতি কাজ করে না, প্রগতিশীলদের এই মৃত্যুভীতি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়। প্রগতিশীলদের এই সরকার প্রথম দিকে কিছুটা সমর্থন দিয়েছে তবে পরবর্তীতে ধর্মীয় লোকজনের চাপে তাদের পাশে আর থাকতে পারেনি।
১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৭
আলআমিন১২৩ বলেছেন: ৭নং মন্তব্যের সাথে একমত। এখন সরকারের দক্ষ আমলার প্রয়োজন নেই। ১০০ ভাগ অনুগত আমলাই তাদের প্রয়োজন।দক্ষ আমলারা suffocation এ আছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এত বিশাল জনসংখ্যার দেশকে পরিচালনা করতে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় দক্ষ নয়।
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমলারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেও তা পাশ করেন মূর্খ সাংসদ! আমলারা হচ্ছেন জনগণের সেবক আর সাংসদ হচ্ছেন জনগণের নেতা - বড় কে? মূর্খ সাসংদের সাথে থেকে থেকে শিক্ষিত আমলারা গাধা গর্ধভে পরিণত হোন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাংসদদের নাকে দড়ি লাগিয়ে আমালারাই ঘুরায়। তবে বেশিরভাগ সময়ই দুই পক্ষই উইন উইন সিচুয়েশনে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মন্ত্রী এমপি পর্যন্ত অদক্ষ অযোগ্য। এই জন্যই দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। মূরগী দিয়ে তো আর হাল চাষ হয় না।