নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীফ থেকে শরীফার গল্পে নেতিবাচক কিছুতো দেখছি না!★

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০


এই যে সরকার নতুন কারিকুলামে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে এখানেও অনেক আপত্তির জায়গা আছে। অনেকে বুঝে বিরোধিতা করেছে, অনেকে না বুঝেই তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে। নতুন কারিকুলামটি খুবই চমৎকার একটি কারিকুলাম কিন্তু সেখানে অনেক কিছু সংযোজন ও বিয়োজনের দরকার আছে। এটা নিয়ে কথা বলা যায়, আপত্তি করা যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা এ ধরনের কারিকুলাম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের দরকার অনেক সৃজনশীল শিক্ষক শিক্ষিকার। যেটা সরকারের হাতে নেই এবং তাদেরকে সৃজনশীল করার জন্য সরকারের উদ্যোগও পর্যাপ্ত নয়। যার জন্য এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ।

যাইহোক এই যে সৃজনশীল শিক্ষক-শিক্ষিকার কথা বললাম এটা যে কত গুরুত্বপূর্ণ যারা এই পেশায় আছেন কিংবা বাচ্চাকাচ্চাদের হ্যান্ডেলিং করেন তারা বুঝতে পারবেন। সপ্তম শ্রেণীর বইতে আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে একটি ছোট গল্প আছে। খুবই চমৎকার ভাবে অল্প কথায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দুঃখ-কষ্ট, সম্ভাবনা নিয়ে বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অথচ একজন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক এটার প্রতিবাদ করেছে। মাথায় কি পরিমাণ গোবর থাকলে এ ধরনের স্টুপিডিটি দেখাতে পারে।
গল্পে কিংবা লেখায় যদি সমস্যা থাকে তার সেটা নিয়ে রিচার্স করা উচিত ছিল। সপ্তম শ্রেণীর বাচ্চাদের এ ধরনের গল্পে তাদের মনোজগতে কি ধরনের প্রভাব পড়ে সেটা নিয়ে তার গবেষণা করে তার ফলাফল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে পারতো। এরপর এটা নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করতো এই গল্পটি বাচ্চাদের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাহলে সেটাকে সরিয়ে নিতো। কিন্তু কোন ধরনের গবেষণা কিংবা তথ্য উপাত্ত সরবরাহ না করে এটাকে পাঠ্য বইয়ে রাখা যাবেনা এমন ধারণা পোষণ করা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের যোগ্যতার সাথে যায় কিনা! আমি মনে করি অবশ্যই যায়না। এজন্যই শিক্ষকরা যদি সৃজনশীল ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়, তাহলে জাতিকে সত্যিকার অর্থে সুশিক্ষিত করা সম্ভব নয়।

কিন্তু এই শিক্ষক সেটা না করে শুধুমাত্র সস্তা জনপ্রিয়তা ও সাধারণ পাবলিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একটি সেমিনারে এই বইয়ের দুইটি পাতা ছেড়ে প্রতিবাদ করছে। পাতা ছাড়ার পর আসলে সে কি ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং এটি কেনো সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে থাকার দরকার নেই সে সম্পর্কে কিছুই বলেনি। শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছে এবং বলেছে এটা ধর্ম বিরোধী। তবে আমি মনে করি যারা এই গল্পটি পড়বে এবং ধর্ম সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে তারা নিজেরাও ধর্মের সাথে এটার সাংঘর্ষিকতার কিছুই খুঁজে পাবে না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে একাধিক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সাথে আলাপ করেছি অনেক সময়ে, এছাড়াও ইউটিউব এ ধরনের অনেক গবেষণামূলক ভিডিও পাওয়া যায়। বইতে যে গল্পটি লেখা হয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গ কোন মানুষের সাথে যদি আপনার কখনো কথা হয়, তাকে জিজ্ঞেস করবেন তার গল্পটিও ঠিক হুবহু এইরকমই হবে।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই দেশ শরিয়া আইনে চলেনা। সব কিছুতে ইসলাম খোঁজা নির্বুদ্ধিতা।
এক হুজুর আপত্তিকর ফিল্ম দেখে বলতেছে,"ভাই এরা মরার পরে কি জবাব দিবে"। আরে মিয়া যার জবাব সে দিবে তোমার এসব না ভাব্লেও চলবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ওই গল্পটিতে ইসলামবিরুদ্ধ তেমন কিছুই নেই। তারপরেও তারা কেন ক্ষেপে গেল বুঝে আসছে না!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই সংক্রান্ত কিছু পোস্ট কি আপনার চোখে পড়ে নাই ? হিজরা ও ট্রান্স জেন্ডার এক নয়। হিজরাদের বলা হয় থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ। ট্রান্স জেন্ডার হচ্ছে denoting or relating to a person whose sense of personal identity and gender does not correspond with their birth sex. ক্লাস সেভেন এর পাঠ্য বইয়ে থার্ড ও ট্রান্স জেন্ডার মিলিয়ে মিশিয়ে খিচুরি পাকিয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ট্রান্স জেন্ডার ইস্যূ ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ব্যখ্যা দিয়েছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে তার উচিত ছিল ধর্মীয় ব্যখ্যার পাশাপাশি স্পর্শকাতর এই ইস্যূ ক্লাস সেভেন এর পাঠ্যবইয়ে থাকা উচিত কিনা সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলা। মুসলিম দেশে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টা কোনভাবেই সমর্থন সম্ভব নয়। তবে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যূ নিয়ে ননমুসলিম দেশগুলোও সর্বদা তোপের মাঝে থাকে।খুব দুরের দেশ বাদ দিন খুব কাছের দেশ ইন্ডিয়াতেই দেখুন। India is a country that does not accept the gender diversity concept and is also not accepting towards the LGBTQ people.
কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা হাজির করলেইতো হবে না , সমাজে এর প্রভাব কি হতে পারে তার কথাও ভাবতে হয় বিভিন্ন দেশের সরকারকে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের মানুষের ভিন্নতা ও সাদৃশ্য চ্যাপ্টারের ঐ পুরো গল্পটাই তো পড়েছি। সেখানে ট্রান্সজেন্ডার কথাটি লিখা নেই। বারবার হিজড়া সম্প্রদায় গোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ শব্দ গুলো বলা হয়েছে। তবে গল্পের শুরুতেই একটি একটি ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে হওয়ার অনুভূতির কথা বলেছে। এটাকে একটু ঘুরিয়ে লেখা যেতো। আর পুরো গল্পটিতে হিজড়া তৃতীয় লিঙ্গদের দুঃখ-কষ্ট ও সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। একজন শিক্ষকের এভাবে উন্মুক্ত সেমিনারে কোন রিচার্স ছাড়া বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলাকে কি সমর্থন করেন?
আপনি কি গল্পটি পড়েছেন?

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

বিজন রয় বলেছেন: শরীফ থেকে শরীফার গল্পে নেতিবাচক কিছুতো দেখছি না!.... কি বলেন ভাই? আপনার চোখ আছে?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলুন আমি বুঝার চেষ্টা করি।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার জন্মগত। ধর্মকে অসাধু উপায়ে ব্যবহার করে মানবিক অনুভুতি দাবিয়ে রেখে মানুষের উপড় যাচ্ছেতাই ভাবে খবরদারী করে ফায়দা লোটার বা নেতা সাজার পদ্ধতি এখন অতি প্রাচীন। হিজজরা হোক আর ট্রান্স জেন্ডার হোক তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অর্থই তাদের পার্থিব জীবন বিষাক্ত করে তোলা। আপনার সমাজকে সুরক্ষিত রাখুন আপনি, আপনার মেধায় । কাউকে মন বা দেহ কষ্ট দিয়ে নয়। সরকারী সিদ্ধান্ত সঠিক ও মানবিক।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


বই সম্পাদনা করার মতো লোকজন দেশে আছে টাছে নাকি?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একটি গল্প যেখানে হিজরা সম্প্রদায় কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাপারে আলাপ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু গল্পের শুরুতেই একটি লাইন এমনভাবে লেখা হয়েছে যেখানে ট্রান্সজেন্ডারদের কথা বোঝা যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি মূলত হিজরাদের নিয়েই আলাপ। এখন এই ছোট্ট বিষয়টি যারা লিখেছে তারা বুঝতে পারেনি নাকি ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের ব্যাপারে তাদের ধারণা ছিল না।
পাঠ্যপুস্তক গুলিতে অনেক অসামঞ্জস্যরা থাকতে পারে জানিনা এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলি যারা সম্পাদনা করেন তারা কিভাবে এটি করেন।
এর চেয়েও বড় আরো সমস্যার বিষয় আছে যেগুলি নিয়ে কেউ আলোচনা করছে না। আপনি যদি বইগুলি দেখেন, এত নিম্নমানের কাগজে বইগুলি লেখা হয়েছে ধরলেই বুঝতে পারবেন। এছাড়াও প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা আছে যা বাচ্চাদের চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হয় অথচ এই বইগুলি আরো মান-সম্মত করে ছাপানো যেতো।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন:

গল্পটা না পড়ে একখানা পোস্ট লিখে ফেললে কি হবে ? ঐ শিক্ষক প্রতিবাদ করায় আপনাদের এত গায়ে লাগছে কেন বুঝতে পারছি না। এটাতো বাক স্বাধীনতা । তবে যারা সমর্থন করছে তাদের কারো সন্তান আর যাই হোক বাংলা মিডিয়ামে পড়ে বলে মনে হয় না।

প্রতিমন্তব্য করার আগে আশা করি যে সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্য বই এর এই পাতাটা পুরো পড়ে তবেই কমেন্ট করবেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি আমার আগের প্রতি মন্তব্যটি দেখেননি, নাকি পড়েননি! আমি তো বললামই প্রথম লাইনটি যেভাবে লিখেছে সেভাবে লেখার কারণেই কনফিউশন তৈরি হয়েছে। কেউ যদি প্রতিবাদ করতে হয় সেটা ওই লাইনের প্রতিবাদ করা যেতে পারে। তবে সেটা করলেও সেটা বাদ দেওয়ার মতো কিছু নয়। তার জন্য আলাদা আরেকটি গল্প হয়তো সংযোজন করা যেতে পারে। যাতে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা বাচ্চারা বুঝতে পারে।
বইটির ঐ চ্যাপ্টারের নামই তো মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা।
তারপরেও আমার মূল আলোচ্য বিষয় কিন্তু শুধু এটা না। আমি বলতে চেয়েছি একজন ইউনিভার্সিটি শিক্ষকের প্রতিবাদের ধরন, তিনি চাইলে বিষয়টি অন্যভাবেও উপস্থাপন করতে পারতেন।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। রিসার্চ করা উচিত ছিলো। সবার মতামত নেওয়ার দরকার ছিলো। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্যই তো মনে হচ্ছে...
আমি সিউর যেভাবে এই সমকামিতা নিয়ে লাফালাফি করছে, গুটি কয়েক ছাড়া প্রায় বাকি সবাই বলাৎকারের ব্যাপারে চুপচাপ থাকে। ধর্মটাকে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ, নিজের সুবিধামত ব্যবহার করছে এই হচ্ছে মূল কথা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: গল্পটিতে সমকামিতার কোন লেশমাত্রই নেই। অথচ বলা হচ্ছে সরকার সমকামিতা প্রমোট করছে। দেখুন এটা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত যারা স্ট্রেইট তারা কখনোই সমকামী হবে না।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: @ঢাবিয়ান, বাক স্বাধীনতা আর ডেসক্রিমেনেশন এক হলো? আপনি তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি ঘৃণা দেখিয়ে বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলাকে বাক স্বাধীনতা বলছেন? একজন নাস্তিক যদি ধর্মীয় বই ছিড়ে ফেলে, তাহলেও কি তাহা বলিবেন?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। উনি যেহেতু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই বিষয়ে উনার দ্বিমত থাকলে উনি বিষয়টি সবার সামনে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। সমস্যা হচ্ছে সবাই ধরে নিয়েছে সরকার সমকামিতা কিংবা এলজিটিবি এগুলি প্রমোট করছে যার জন্য আরও বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে প্রচুর মানুষের হয় অলরেডি ব্রেইন ওয়াশ হয়ে গেছে, অথবা প্রচুর মানুষ নির্বোধ। তৃতীয় লিঙ্গ এবং ট্রান্সজেন্ডার গুলিয়ে একাকার করে ফেলেছে।

আমরা এখনও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য খুব বেশী কিছু করতে পারি নি। কিন্তু যেই না কিছু মানুষ "পেনিস" নিয়েও দাবী করছে যে আমি মেয়ে (ট্রান্সজেন্ডার), তাদের অধীকার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছি। ফাঁকতলে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার যেমন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, তেমন মেয়েদের অধিকারে ভাগ বসাতে "পেনিস"ওয়ালা মেয়েরা দৌড় ঝাপ শুরু করেছে!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তৃতীয় লিঙ্গ কিংবা হিজড়া সম্প্রদায় কি ধরনের মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যায় এটা আসলে তারা ছাড়া আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না।
তবে গল্পটিতে প্রথম লাইনটির কারণে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের বিষয়টি বুঝতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আসলে আপনি যদি একটু পড়ালেখা ও বুঝার মানুষ হন তাহলে বুঝতে পারবেন গল্পটির মূল ভাবটা আসলে কি।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন:......তবে গল্পটিতে প্রথম লাইনটির কারণে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের বিষয়টি বুঝতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে...... আমার কাছে তো "মনে মনে একজন মেয়ে" ফ্রেজটা পড়ার সাথে সাথেই ক্লিয়ার হয়ে গেছে; হাজারও মানুষের কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। এজন্যইতো মানুষ এটা নিয়ে ক্ষেপেছে! শুধু ক্লিয়ার হয়নি ব্রেইন ওয়াসড বা নির্বোধদের কাছে!


লেখক বলেছেন:......কিন্তু আসলে আপনি যদি একটু পড়ালেখা ও বুঝার মানুষ হন তাহলে বুঝতে পারবেন গল্পটির মূল ভাবটা আসলে কি।..... আমার মনে হয় কথাটা আপনি নিজেকে বললে ঠিক হতো। আপনারই বিষয়টি ক্লিয়ার না থাকার কারণে আপনি মূল ভাবটা অন্য ভাবে বুঝে নিয়েছেন! আপনি যদি হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষের মনের কষ্টের কথা এতটুকুও জানতেন, তাহলে আপনি গল্পের শুরুটা পড়েই বুঝতেন যে শরিফ কখনোই হিজড়া ছিলো না!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনারই বিষয়টি ক্লিয়ার না থাকার কারণে আপনি মূল ভাবটা অন্য ভাবে বুঝে নিয়েছেন! আপনি যদি হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষের মনের কষ্টের কথা এতটুকুও জানতেন, তাহলে আপনি গল্পের শুরুটা পড়েই বুঝতেন যে শরিফ কখনোই হিজড়া ছিলো না!
দেখুন আপনি যদি গল্পটি পড়ে বুঝতে পারেন এর মূলভাব হচ্ছে শরিফা হিজড়া নাকি ট্রানজেন্ডার, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। গল্পটির মূলভাব কখনোই শরিফা হিজড়া নাকি টান্সজেন্ডার সেটা বোঝানো হয়নি। হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের দুঃখ কষ্ট সম্ভাবনার কথাই গল্পের মূলভাব। ২৩ নং মন্তব্যটি দেখুন উনি খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেশের প্রচলিত একটা পাঠ্য বই প্রকাশ্যে ছিড়ে ফেললেন ! এটা বাক স্বাধীনতা !
বইয়ে ভুল থাকতেই পারে, বইয়ের যে কোন ব্যাপার নিয়ে দ্বিমতও থাকতে পারে । কিন্তু এই ভাবে প্রকাশ্যে একজন শিক্ষক কী এই কাজ করতে পারে? ঢাবিয়ান দেখি এটাকে আবার বাকস্বাধীনতার তকমা দিচ্ছেন !

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

নতুন বলেছেন: @ঢাবিয়ান ভাই।

বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের কথা হিজড়া বলেছে বলে পাঠ্য বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলা প্রতিবাদ।

এখন যদি কেউ কোরানের পাতা ছিড়ে প্রতিবাদ করে তবে তার কেন ফাসি চায় মানুষ?

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাক মুল ইস্যূ হারিয়ে গেছে জনৈক শিক্ষকের বই এর পাতা ছিড়ে ফেলার মাঝে =p~ =p~

বইয়ে কেন শরীফ থেকে শরীফা রুপান্তরকে হিজরা বলা হল তা নিয়ে একজনকেও দেখলাম না একটা কথা বলতে। কিন্ত একসাথে অনেক ব্লগার দৌড়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে কেন ডিফেন্ড করলাম =p~ । পাঠ্য বই এ মিথ্যাচার নিয়ে তারা কোন সমস্যা দেখছেন না , যত সমস্যা শিক্ষকের প্রতিবাদ স্বরুপ বই এর পাতা ছিড়ে ফেলাতে :)

জনাব নতুন ভাই আপনি পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থকে মিথ্যাচারে ভরা একটা পাঠ্যবই এর পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন!! আপনার প্রশ্নের উত্তরতো আর আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না।

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অপু তানভীর

view this link

এই ধরনের প্রতিবাদ অভিনব কিছু নয়।

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: ঢাবিয়ান বুঝতেই পারছিলাম আপনি এমন টাইপের কিছু পোস্ট বা ভিডিও লিংক শেয়ার দিবেন । যাই হোক আমার মন্তব্যটা আবার পড়েন । তারপর দেখেন আপনার শেয়ার দেওয়া ভিডিওর সাথে সেটা যায় কিনা !

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০

নতুন বলেছেন: @ঢাবিয়ান ভাই।

ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া এই গোস্ঠিকে সমাজে যথেস্ট কস্ট দিয়েছে ধর্মের নামে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

আপনার কাছে যেমন ধর্মীয় গ্রন্হ পবিত্র এবং আমার কাছে সরকারী পাঠ্যপুস্তকও সন্মানিত একটা বই।

আর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বইয়ের পাতা ছেড়া যদি সর্মর্থন করেন তখন যে আপনার ধর্ম গ্রন্হকে পবিত্র মনে করেনা সে যদি পাতা ছেড়ে সেটা কিভাবে মেনে নেবেন সেটা জিঙ্গাসা করছি মাত্র।

ঐ ব্যক্তি এই ইসুনিয়ে এটু ভাইরাল হতে চেয়েছে মাত্র... আর বাকীরা হুক্কা হুয়া করছে যাদের বেশির ভাগই ঐ বইতে কি আছে সেটা পড়েনি।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অপু তানভীর, কেন ভিডিওটা আপনার কমেন্ট এর সাথে যায়নি একটু ব্যখ্যা করলে ভাল হয়। কর্নাটকে টেক্সট বুকে বিতর্কিত কনটেন্ট ছিড়ে প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস নেতা, ব্র্যাক ইউনির শিক্ষকও এটাই করেছে। এই গল্প নিয়ে গতবছরও প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্ত শিক্ষামন্ত্রনালয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ব্র্যাক ইউনির এই শিক্ষক এভাবে ভাইরাল হয়েছেন বলেই সোস্যাল মিডিয়ায় এখন ব্যপক সমালোচনা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষামন্ত্রী বরং এই ইস্যূতে ভাল বক্তব্য দিয়েছেন। পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।ব্র্যাকের চাকরিচ্যুত শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করবো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি। সুত্র ঃ মানব জমিন

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: জাতি সংঘের চাপ আছে এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফ এর চাপ থাকতে পারে।আমরা জাতি সংঘ সনদে সই করেছি এবং টাইম লাইন দিয়ে দিয়েছি।আস্তে আস্তে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কোনো এক জায়গায় থেকে তো শুরু করতেই হবে। শুরু করা হয়েছে, হয়তো সামনে আরো পরিমার্জন, পরিবর্ধন করা হবে।আমাদেরকে কর্তৃপক্ষকে এটুকু সময় তো দিতেই হবে।

১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ৩য় লিঙ্গও আল্লাহর সৃষ্টি। ওদেত যারা ঘৃণা করে তারা আসলে গে। শুদ্ধ বাংলায় সমকামী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। মিডিয়ায় গে বেশী। আমি দেখেছি এরা কুকুরের মতো নিজেদের কামড়াকামড়ি করে। প্রচন্ড হিংসা করে একজন আরেকজন কে। আর মানুষের ব্যাক্তিগত বিষয়ে নাক গলায়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একজন হুজুর আছেন যিনি রাজিয়া থেকে রাজ্জাক হয়েছেন। তিনি ওয়াজও করে বেড়াচ্ছেন। এটাকে আমি খারাপ ভাবে বলছি না। একটি উদাহরণ হিসেবে বলছি। দেখুন সেও কিন্তু এ ধরনের কষ্টের ভিতর দিয়ে গিয়েছে কিন্তু একটা সময় সে একটি জায়গায় স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তার জীবনটা কিছুটা হলেও আগের তুলনায় ভালো আছে। সে যদি ওই কমিউনিটিতে ভালো থাকতে পারে তাহলে শুধুমাত্র পাঠ্য বয়ে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কারণে কেনো সরকার ও কর্তৃপক্ষ একটি শ্রেণীর রোষানলে পড়ছে! হ্যাঁ মিডিয়াতে ট্রান্সজেন্ডার ও এলজিবিটি মানুষের বিচরণ আছে। তবে যারা এর ভিতরের খবর রাখে আপনার মত, তারা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারে। আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা জানি কয়েকজনের মারফতে।

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সহমত জানিয়ে গেলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর আপনাকে।

২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফোকাসটা বারবারই একটার সাথে আরেকটা মিশে যাচ্ছে। ৭ম শ্রেণীর বইতে আছে হিজড়া নিয়ে কথা। কিন্তু, কিছু বক্তব্যে মনে হচ্ছে লিঙ্গ পরিবর্তন বা ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে বলা হয়েছে যা আপনি সোনাগাজী'র মন্তব্যর উত্তরে বলেছেন। তবে ৭ম শ্রেণীতে এই বিষয় রাখাটা একদমই উচিত হয়নি...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সপ্তম শ্রেণীর বইতে এটি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা সেটা একটি আলোচনা হতে পারে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বয়সেই বাচ্চারা শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে যায় সুতরাং এ সময় তারা এ ধারণা পেলে এগুলিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই নার্সারি পর্যায়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের যৌন হেনস্তার সম্পর্কে যেনো অভিভাবককে বলতে পারে সেজন্য গুড টাচ ব্যাড টাচ এগুলি শিখানো হয়। আমাদের স্কুলের সহপাঠ্য বইগুলিতে যদি এটা অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেখানেও দেখবেন এর বিরোধিতা করার মানুষ পাবেন।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন পোস্টে আমি আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সৃজনশীলতা নিয়ে কথা বলেছি এবং ওই স্পেসিফিক শিক্ষকের প্রতিবাদের ধরনের কথা বলেছি। তার জায়গায় যদি আমি হতাম তাহলে প্রতিবাদটি এভাবে করতাম। প্রথমে যে যে বিষয়ে আমার আপত্তি সেটা নিয়ে এর সংশ্লিষ্ট অথরিটির কাছে যেতাম। তাদেরকে লিখিতভাবে অভিযোগ করতাম। শিক্ষামন্ত্রী কিংবা সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতাম।
এরপর সেখানে কোন সাড়া না পেলে যে ফোরামে আমি বক্তব্য রেখেছি সেখানে বলতাম, এই যে গল্পটি বাচ্চাদের পাঠ্য বই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেখানে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের মধ্যে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। যেহেতু ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি আমাদের আইন দ্বারা সিদ্ধ নয় তাই এটা পরিবর্তন করা উচিত। আপনাদের সকলের কাছে আমি একটি লিফলেট বিতরণ করেছি আপনারা অনুগ্রহ করে দেখুন। যার যার অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন, সাথে এ বিষয়টিতে আমাকে সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন।

২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: পৃথিবীতে বৈচিত্র্য আছে।বৈচিত্র্য থাকবে।
মানুষ হিসাবে নিজ পরিচয়ে বেঁচে থাকার যে অধিকার সেটা থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে নারীর অধিকারই ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়।সেখানে অন্য ধরনের লিঙ্গবৈচিত্রকে মেনে নেয়া হবে সেটা ভাবাই যায় না।কেউ নিজে জন্মগতভাবে এমন না হলে কিংবা কারো ঘরে এমন সন্তান জন্ম না হলে সে আসলে এই অধিকার পাওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারবে না।

যে বয়স থেকে জেন্ডারের ধারণা স্পষ্ট হতে থাকে সে সময়ে ব্যাপারটা একাডেমিক ভাবে শিখে যাওয়াটা ভালো।এতে মিসগাইডেড হওয়ার চান্স কমে যায়।

বইটিতে লেখার মাঝে কিছু গ্যাপ আছে।আমার কাছে পড়ার পর মনে হয়েছে আসলে শরীফের পক্ষে তার সমস্যার কোনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি।ডাক্তারি পরীক্ষা করা, হরমোন বা সার্জারী পেলে হয়ত সে নারী পরিচয়ে বাঁচতে পারতো।সমাজ বা কারো হেলপ না পেয়ে, সমাজে নিজেকে খাপ খাওয়াতে না পেরে অসহায় ব্যাক্তিটি হিজড়া কমিউনিটিতে যোগ দেয়।সেখানে তার পুরুষ দেহে নারীর আচরণ নিয়ে হাসাহাসি করার কেউ ছিলো না।এজন্যই এটা তার কাছে কম্ফোর্ট জোন। তারাই তাকে সাপোর্ট দিয়েছে।

বাংলাদেশে ইন্টারসেক্স(কমনলি যাকে হিজড়া বলা হয়) হওয়া লজ্জার। দেহগতভাবে এক আর মানসিকভাবে এক হওয়ার ও লজ্জার।এতসব লজ্জার মাঝে শরীফের মত লোকেরা হয় নিজেকে লুকিয়ে রাখে নয়ত জানাজানি হলে হিজড়া কমিউনিটিতে যোগ দিতে বাধ্য হয়।এটাই বাস্তবতা কারণ চিকিৎসা বা সার্জারী কোনোটাই তাদের ভাগ্যে জোটে না।

অধ্যায়টা নিয়ে অনেক ধরনের ডিবেট চলছে।কেউ বলছে শরীফ তৃতীয়লিঙ্গ,কেউ বলছে শরীফ ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরিত নারী।শরীফ কিন্ত বলেছে সে নিজ দেহে কোনো পরিবর্তন করেনি।তাহলে সে ট্রান্সজেন্ডার কিভাবে হয়?বড়জোর রূপান্তরকামী বলা যেতে পারে।যে অনেকটা বাধ্য হয়েই তৃতীয়লিঙ্গ, ইন্টারসেক্স বা হিজড়া কমিউনিটিতে তাদের মত জীবন অতিবাহিত করছে।

তার জন্মগত লিঙ্গের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরনের কারনে সমাজ থেকে বিতাড়িত না হলে সে সাধারণ লোকের মত জীবনযাপন করতে পারতো।ইন্টারসেক্স বাচ্চাগুলোকে পরিবারের মধ্যে যত্ন করে বড় করলেও তারা ভালো কিছু হতে পারতো হিজড়া কালচারে জীবন কাটানো লাগতো না। অধ্যায়টি মূল উপজীব্য বৈচিত্র্য আছে এটা জানা,বৈচিত্র্যকে সম্মান করা সর্বোপরি লিঙ্গ বা জাতিভেদে মানুষকে মানুষের সম্মান দেওয়া।দিনশেষে সব মানুষই কিন্ত আল্লহর সৃষ্টি।

বেশ আগে একটা মুভি দেখেছিলাম নাম- বোল।
মানুষ যে ভিন্ন লিঙ্গের প্রতি কি ধরনের পিশাচ হতে পারে তা এখানে দেখেছি।

মানুষ যে ক্যাচালগুলো করছে তা শুধু শুধু।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

Amar BD বলেছেন: হিজড়া জনগোষ্ঠীর পরিচয় টা শিক্ষার্থীদের মাঝে একজন সত্যিকারের থার্ড জেন্ডার দিয়ে গল্পটা এগিয়ে নেওয়া যেতো। সেরকম হলে তো কোন বিতর্কেই হতো না। গত বছরেও এই টা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলো। তখন তো সরকার কোন কানেই নেয় নি?! কেনো এরা আপত্তি করতেছে সেটা কী সরকারের জানা উচিৎ ছিলো না? গতবছর সরাসরি ট্রান্সজেন্ডার শব্দ ছিলো এই বছর সেটা থার্ড জেন্ডার এ পরিবর্তন করেছে শুধু। একজন পরিপূর্ণ ছেলে নিজেকে নাম পরিবর্তন করে মেয়ে সেঁজে থার্ড হিজড়া হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। সেটা কোমলমতি শিশুদের জন্য উপকার না অপকার গবেষণার দরকার রয়েছে।

কেউ যদি মনে মনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দাবী করে। তখন তো আমরা সবাই থাকে পাগল বলবো। মানসিক চিকিৎসার কথা বলবো সেখানে আমরা কি ভাবে একজন ছেলে কে মেয়ে। মেয়ে কে ছেলে হিসাবে ছাত্রদের কে শিক্ষা দিতে পারি?

এই রকম ব্যক্তিদের কে থার্ড জেন্ডার বলা যাবে কি না সেটা নিয়েও তো যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।



২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: গল্প যেভাবে শুরু হয়েছে সেটাতে ট্রান্সজেন্ডার মিন হয়। কিন্তু মূলত গল্পটিতে হিজড়াদের দুঃখ কষ্ট ও সম্ভাবনার কথা ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করা হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই যেন তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষদের প্রতি বাচ্চাদের বিদ্বেষ না জন্মে সে চেষ্টাটুকু করা হয়েছে। গল্পের শুরুটা হয়তো পরিবর্তন করা হতে পারে কিন্তু গল্পের মূলভাব ঠিকই আছে।

২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

Amar BD বলেছেন: পরিবর্তন হওয়া দরকার। এবং ট্রান্সজেন্ডার (জন্মগত হিজড়া না) বিষয়ে সরকারের নতুন করে চিন্তাভাবনা করা উচিৎ। কয়েকদিন যে ধরে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার ও এই বিষয়ে যা পড়লাম দেখলাম। সত্যি বলতে আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজ ধ্বংস করতে বেশী সময় নিবে না। অধিকাংশ সাক্ষাৎকারে তারা সমকামী হিসাবে নিজেরাই বলেছে। এবং কিছু নিউজ দেখলাম পুরুষরা নারী সেঁজে (ট্রান্স*জেন্ডার) হিজড়ার মতো চাঁদা তুলতে। তা প্রকৃত হিজড়াদের সমস্যা পেলিয়ে দিচ্ছে। LGBTQ এর ওয়েবসাইডে দেখলাম প্রতি বছর তারা ট্রান্সজেন্ডার, সমকামী ইত্যাদির পিছনে ১ বিলিয়নের উপর ফান্ডিং করে। বাংলাদেশে নাকি ২০১৯/২১ সালে ৮৪৯৫৩৫ ডলার এই সবের পিছনে খরচ করেছে USAID নামক সংস্থা। পাঠ্যবই সমূহ ভালো ভাবে দেখে অনুমোদন দেওয়া উচিৎ। দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি, বইয়ের বানান সব। এমন একটা পিকচার দেখলাম জুড়িয়া নামক মানচিত্রে নাকি সম্পূর্ণ ভুল। সেখানে ইসরায়েল স্থান হয়েছে কিন্তু ফিলিস্তিন নাই। আছে গাম্বিয়া?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.