নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতা না নৈতিকতা: ইশরাক হোসেন ও বিএনপির সামনে আসল চ্যালেঞ্জ কী?

২১ শে মে, ২০২৫ রাত ১:১৮


সম্প্রতি আদালতের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষিত হওয়ার পর, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সামনে এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। আদালতের রায় তাঁর পক্ষে গেলেও, এই রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য, বিভ্রান্তি এবং কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক বার্তা।

অনেকে বলছেন, ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে বসতে চান, যা প্রকারান্তরে "ক্ষমতার প্রতি লোভের" ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে বিএনপির কেউ কেউ সরাসরি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন, নগর ভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি নিচ্ছেন—যা দলটির অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও মতের অমিলকেই সামনে নিয়ে আসছে।

একটি বিকল্প স্ট্যাটমেন্ট কি হতে পারত?

আমার ব্যক্তিগত ভাবনায়, আদালতের রায়ের পর ইশরাক হোসেন যদি বলতেন:

“আমার পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য আদালতকে ধন্যবাদ। আমি আপাতত মেয়র পদে বসছি না। আমি চাই, সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুক। এরপর একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে, সেখানে অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জয়লাভ করলে তবেই দায়িত্ব গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।”

তাহলে সেটি হতো এই দেশের গতানুগতিক রাজনীতির বাহিরে হয়ে দারুন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও নৈতিকতার পরিচয়। এটি যে শুধু সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতো তা না, বরং সাধারণ মানুষের চোখে বিএনপিকে দেখাত আরও পরিণত, দায়িত্বশীল ও ভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে।

স্পেসিফিক একজন উপদেষ্টাকে দোষারোপ, রাস্তা অবরোধ, নগর ভবন ঘেরাও, এসবের মাধ্যমে বিএনপির ভেতরকার সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং রাজনৈতিকভাবে সমন্বয়ের অভাব আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকা একটি দলের কাছ থেকে জনগণ আশা করে একটি আদর্শিক ও নৈতিক নেতৃত্ব—যা দুর্নীতিগ্রস্ত বা আগ্রাসী শাসনের বিকল্প হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারবে।

কিন্তু যখনই ক্ষমতা পাওয়ার সুযোগ আসে, এবং সেটিকে ঘিরে নেতৃত্বের মধ্যেই বিভ্রান্তি, দোষারোপ, অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দেয়—তখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে: এই দল কি সত্যিই প্রস্তুত শাসনের জন্য?

বিএনপির সামনে দুই পথ:

১. নৈতিক অবস্থান ও সংযমের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা গড়া।
২. তাৎক্ষণিক ক্ষমতা ও বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের আস্থাহীন দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
তবে বিএনপি বরাবরই দ্বিতীয় অপশনের রাজনীতিই করে আসছে গত ১৬বছর, যার জন্যই তারা ক্ষমতার স্বাধ নিতে পারছে না!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২৫ রাত ১:২৩

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ইসরাক তখন বলছে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে অথচ এখন নিজেই অবৈধ নির্বাচনের বৈধ মেয়র হতে চায় কি আজব বেপার। বেচারার বয়স কম এখনো অপরিপক্ক। নগরভবনের কর্মচারীরা বিশ্ব হারামি এরা যে উনাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে সেটা উনি এখনো বুঝেই নাই। সাঈদ খোকন মেয়র হওয়ার পর প্রথম দিন যখন নগর ভবনে অফিস করতে গেছিলো সেই দিন উনি দুই ঘন্টাও অফিস করতে পারে নাই। ইচ্ছা কইরা রুমের এসি নষ্ট কইরা রাখছিলো জানালার গ্লাস ফিক্সড বেচারা তাও কষ্ট কইরা দুই ঘন্টা বসছে এর পর ভাগছে।প্রথম দিনেই বুঝায় দিছে আমাদের সাহায্য ছাড়া নগর ভবনে বসতে পারবেন না। এই ছোকরা বিল্ডিং এ ঢুকার আগেই ফাঁদে পা দিয়ে বসে আছে।সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাস্তা আটকে স্টেজ বানিয়ে গান বাজনা করার মানে কি ? ভাব দেইখা মনে হয় উনার বাবা ঢাকা শহরের সব রাস্তা উনার নামে লিখে দিয়ে গেছে । যখন তাপস মেয়রের পদ হাইজ্যাক করলো সেই সময় এই চার্লি গুলা কোথায় ছিলো ? তখন তারা নগর ভবনের গেটে তালা মারে নাই কেন ?

২১ শে মে, ২০২৫ রাত ১:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সবাই দান্ডারে ভয় পায়, এই সরকার প্রশাসনিক ভাবে দুর্বল তাই রাস্তা ঘাট অফ করে গান বাজনা করছে। মাথায় মগজ না রেখে রাজনীতি করার কারণে ১৬ বছর ক্ষমতার বাহিরে ছিলো!

২| ২১ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপির সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। মাঠে যারা আছে এরা বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ না। ইশরাক মেয়র হওয়ার জন্য জেদ দেখাচ্ছে মূলত শক্তি প্রদর্শনের জন্য। অভ্যুত্থানের পর জামায়াত-এনসিপি সবজায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছে। এই কথা খোদ তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ জায়গায় জামাতী ভিসি। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিবির দখল করে রেখেছে প্রক্সি এনসিপির ছত্রছায়ায়। বিএনপি এগুলো দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে। স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ টাকা খেয়ে হিজবুত তাহরীরের একজন সদস্য কে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। যেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার কথা ছিলো সরকারি আমলা থেকে ! ছাত্রদলের পোলাপান মারা যাচ্ছে কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেই। এইজ্যন বিএনপি মাঠে শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছে। এনসিপি আজকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিতে সরকার কে । অবশ্য তারা আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। বিএনপি যদি ইশরাকের বিষয় টা দিয়ে নাড়া না দিতো তবে এনসিপির মুখ থেকে জাতীয় নির্বাচনেরভতারিখ ঘোষণার ব্যাপারে কিছু শোনা যেত বলে মনে হয় না। অন্যদিকে এনসিপি তথা সরকার প্লান করছে ইশরাক কে মেয়র পদে না বসতে দিয়ে বিএনপিকে স্থানীয় নির্বাচনে রাজি করানো। কিন্তু লাভ হবে বলে মনে হয় না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পিনাকি- মজহার, জামায়াত সর্বশক্তি দিয়ে এনসিপিকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। কারণ নির্বাচন হলেই তাদের তাসের ঘর ভেঙ্গে পড়বে। অন্যদিকে দেশে কোনো সংস্কার দৃশ্যমান নয়। বরং সংস্কারের নামে নারীদের সাথে ইসলাম পন্থীদের বিরোধ লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে যার আগুনে ড. ইউনূস নিজেও পুড়তে পারেন।

৩| ২১ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৫০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আরো বড়ো সমস্যা হচ্ছে ছাত্র নেতাদের ইমেজ দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। হান্নান মাসউদ কে মনে করেছিলাম সে শাইন করবে কিন্তু ধানমন্ডিতে আজকে বৈবিছার অব্যহতি পাওয়া কর্মীদের পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়াতে গিয়ে নিজের মুখ নিজেই কালা করেছে। একজন মানুষকে পজেটিভ মন্তব্য করতে দেখিনি। শেষ ভরসা মাহফুজ আলম ও আখতার !

৪| ২১ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: ইশরাখ হোসেনকে দেওয়া উপদেশটা ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.