নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান এবং বাস্তবতা

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১১


প্রতিবছর সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র মাহে রমজান। পৃথিবীর সব দেশেই আসে। লোভ, হতাশা, সংকীর্ণতা, কাম, ক্রোধ, দুর্নীতি অসততা ইত্যাদি অসৎগুণাবলি সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। এগারো মাস চলে আসা এ পঙ্কিল জীবন থেকে মুক্তির পথ বাতলে দেয় সিয়াম। সিয়াম কুপ্রবৃত্তিগুলোকে দমন করে নির্লোভ, নিরহঙ্কার, সমাজ হিতৈষী, হতাশামুক্ত জীবন গঠনে সহায়তা করে। সালাতের পরই সার্বজনীন গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত রমজান মাসের সিয়াম। এর মধ্যে আত্মিক বা আধ্যাত্মিক এবং স্বাস্থ্যগত দ্বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। সিয়ামে অসৎগুণাবলি থেকে যেমন আত্মাকে রক্ষা করা যায় তেমনি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রিত হয়ে স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। সারাবছরের পাপ ও আত্মশুদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মাগফেরত কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বিগত দিনের ভুলত্রুটি ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু আমাদের মাঝে আসা এই পবিত্র রমজান যেন হাজির হয় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। রমজান আসলেই যেন এদেশের বাজারে আগুন লাগে। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে সে আগুন আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টা করলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব চেষ্টা ও কলা কৌশল। "মজুদদার-মুনাফাখোর-তোলাবাজদেও গ্রেফতার কর, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া রুখো" এই সকল শ্লোগান ধ্বনিত হয় সর্বত্র। প্রতিবছর রমজানের আগে এই মহড়ার পূনরাবৃত্তি ঘটলেও মজুদার,মুনাফাখোর-তোলাবাজরা অঘোষিত আর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নিজ নিজ দায়ত্ব পালনে থাকেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে সাধারণ জনগন প্রতি রমজানেই পুড়তে থাকে এক অদৃশ্য অনলে। মহান আল্লাহর দরবারে তার এবাদত বন্দেগী দ্বারা তার পাপ মোচন করতে পারলেও বাজারের আগুনে সে ঝলসাতে থাকে প্রতিনিয়ত। এর থেকে তার কোন পরিত্রান নাই। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মূল্যবৃদ্ধির জুয়া খেলা কেবলমাত্র আমাদের দেশেই সম্ভব। বিশ্বের আর সব মুসলিম দেশেই শুনেছি পবিত্র রমজান এলে জিনিষপত্রের মূল্য কমে, সকল জনগণের মাঝেই সংযম বাড়ে। আর আমাদের দেশে মানুষের মাঝে অসংযমতা বৃদ্ধি পায় আর সেই সুযোগে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধিপায়। জনগণ যেন এই মাসে বেহিসেবীর মত খরচ করতে পিছপা হন না। তারা ভুলে যান রমজান সংযমের মাস। এ থেকে মনে হয় মানুষ মানুষকেই বেশি ভয় করে, আল্লাহকে নয়। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারী ও সেহরীতে বাহুল্য অতিআয়োজন ও অপচয় করার নাম সংযম বা রোজা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।

এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত রাখা হয়। ফলে অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে অপরাধের সংখ্যা থাকে কম। কিন্তু পবিত্র এ মাস বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে আবারও অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কারণ সমাজব্যবস্থায় এমন সব অপরাধের ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত, ব্যক্তি যা থেকে কখনও নিষ্কৃতি পায় না। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করো না।’ (২: ২০৭) সিয়ামের আধ্যাত্মিক শিক্ষা নিয়ে আসুন আমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করি। তবেই শয়তান অন্য মাসে আমাদের ধোঁকা দিতে পারবে না। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কি তাদেরকে (কাফের মুশরেক) ভয় কর? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে বেশি প্রয়োজন যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সূরা তাওবা : ১৩), প্রকৃতপক্ষে প্রবৃত্তির অনুসরণ, সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষার নামে কুসংস্কৃতির প্রসার ও মনগড়া নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করার ফলে নিজের আত্মা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাকি এগারোটি মাস আত্মাকে সংযমে রাখা যাচ্ছে না। তাই আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বৃথাই হয়ে যাচ্ছে। কেবল আহার থেকে বিরত থাকলেই সিয়ামের উদ্দেশ্য হসিল হয় না। বরং জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্তে প্রত্যেকটি খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মাকে পবিত্র রাখাই সিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। সুদ, ঘুষ, জিনা, ব্যভিচার, মিথ্যা, প্রতারণা, গিবত, জালিয়াতি, ভেজাল, দুর্নীতি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের জন্যই সিয়াম পালনের নির্দেশ।
আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শন করে প্রকৃত আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের লোকজন রমজান মাসের অপেক্ষায় বসে থাকে।
দেখুন, জিনিসপত্রের এত দাম তবু বাজারে গেলে মানূষের ভিড়ে হিমসিম খেতে হয়। মানুষ পাগলের মতো কেনা কাটা করছে।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লোভের কাছে পরাজিত ইসলামের শিক্ষা !

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২০

জোকস বলেছেন: বাজারে গেলে এক বালতি করে পানি নিয়ে যাওয়ার দরকার X((



আল্লাহ মুনাফাখোরদের সংযমী হওয়ার তৌফীক দান করুন।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে
হেদায়েত দান করুন।
আমিন

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৪

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: বাজার যে গরম তাতে জাওয়ায় মুশকিল

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাজারের গরমে
ঝলসে দেয় মন
সুবাতাস আসবে জানি
জুড়াবে মন প্রাণ।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রমযান এলে, দেশের দরিদ্রদের জন্য জীবন খুবই কষ্টকর হয়ে যায়, সবকিছুর দাম বেড়ে যায়, কাজকর্ম কমে যায়, খাবারে ভেজাল বেড়ে যায়, অখাদ্য কুখাদ্য বিক্রি হয়; রমযান না এলে কেমন হয়?

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিন্তু এটা রমযানের শিক্ষা নয়।
আমার কি তা হলে ভুল শিক্ষা
গ্রহণ করছি?

রমযান আসে, আসবে
হবেনা ব্যতিক্রম,
রমযানের শিক্ষা নেও
নইলে ছাড়ব্নো তো যম।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

পবন সরকার বলেছেন: এখানেই চাঁদগাজী ভাই তুলনাহীন। তার মনে কোন হিংসা নাই। আমার আগেই দোস্তের লেখায় মন্তব্য করে গেল।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তুলনাহীনতো বটেই
সমুদ্রের মতো,
যার বুকে ঠাই পায়
ভালো মন্দ যতো।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সংযম শব্দটা রমজানে বাদ দেওয়ার সময় এসে গেছে।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সংযোজন, বিয়োজন কোনটা ভালো জানি
পরকে ঠকাই নিজের ক্ষতি, তা কি আমরা মানি?
জবাব একদিন দিতে হবে সকলেরই জানা
তার পরেও দেখে শুনে হয়ে আছি কানা।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৪

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: তাহলে কি দেশের ধর্মভীরু জনতার মধ্যে নৈতিকতার অভাব আছে। কিভাবে জনতার মধ্যে নৈতিকতা বোধ জাগ্রত করা যায়।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্মভীরুদের মাঝে নয়, নৈতিকতার অভাব জ্ঞানপাপীদের মাঝে,
ধর্মভীরুরা কখনোই অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে পারেনা তা রমযানে
হোক কিংবা রমজানের পরে। তারা সব সময়ই নৈতিকতার ধ্বজা
বহন করে দৃঢ় হাতে।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মনে হয়, যুদ্ধের মতো রমজানের বাজারও বেশ লাভের
জায়গা!

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রান্তর পাতাঃ ইসলাম কোনো ক্ষেত্রেই বল্গাহীন স্বাধীনতা দেয়নি। সব ক্ষেত্রেই রয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালা। আয়-উপার্জন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। ব্যবসা-বাণিজ্য সকল অবস্থায় বৈধ পন্থায় হতে হবে। অর্থাৎ সেখানে কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল ও ফাঁকফোকর থাকতে পারবে না। প্রিয় রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম উপার্জন হলো কল্যাণকর বেচাকেনা। কোরআন শরিফে উল্লেখ রয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাবে না। জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।’ব্যবসায়-বাণিজ্য তথা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করে চলা ফরজ। মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেওয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে ধোঁকা দেওয়া, ওজনে নিজের স্বার্থরক্ষায় কমবেশি করা, বেশি দামি বস্তুর সঙ্গে কম দামি বস্তু বা অন্য কোনো ভেজাল মিশিয়ে খাঁটি জিনিসের চড়া দামে বিক্রি করা প্রতারণা। এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে হাদিস শরিফে পরিষ্কার ঘোষণা, ‘যে ব্যক্তি ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতারণা করে, পণ্যে ভেজাল মেশায় সে আমার দলভুক্ত নয়।’ মুসলিম শরিফ, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা
ইসলামের দিকনির্দেশনা হ’ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করা। হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ ভোগ করে ইবাদত-বন্দেগী করলে তা আল্লাহ্র নিকট গৃহীত হবে না। কারণ ইবাদত কবুলের আবশ্যিক পূর্বশর্ত হ’ল হালাল উপার্জন।

৯| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:১২

শহীদ আম্মার বলেছেন: আমাদের আসলে একটা বড়সড় ঝড় দরকার।

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আসবে, ঝড় অবশ্যই আাসবে!
আল্লাহর বিচার খুব সুক্ষ্
তিনি সব জানেন ও দেখনে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.