নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব দেহের নীরব ঘাতক ফরমালিনঃ ব্যবহারে চাই সুষ্ঠ নীতিমালা

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২০


ফর্মালিন (-CHO-)n হল ফর্মালডিহাইডের (CH2O) পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মত। পানিতে সহজেই দ্রবনীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফর্মালিনের জলীয় দ্রবনকে ফর্মালিন হিসাবে ধরা হয়। ফর্মালিন সাধারনত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিকঃ
১। ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২। তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
৩। ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
৪। ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
৫। মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে।
৬। ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল সামগ্রী সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা দিন দিন কমছে।
৭। গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
৮। এ ধরনের খাদ্য খেয়ে অনেকে আগের তুলনায় এখন কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভুগছেন। দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিন পরপর একই রোগী ডায়রিয়ায় ভুগছেন, পেটের পীড়া ভালো হচ্ছে না, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ফরমালিন, মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এক প্রকার বিষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রামের গবেষণায় মানুষের শরীরে ক্যান্সার রোগ সৃষ্টির জন্য সরাসরি দায়ী করা হয় ফরমালিনকে। এছাড়া ফরমালিনের প্রভাবে অন্ধত্ব, পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়। এ রাসায়নিক যৌগ ধীরে ধীরে মানবদেহের লিভার, কিডনি, হার্ট ও ব্রেন ধ্বংস করে। এর প্রভাবে মানুষের স্মৃতিশক্তিও কমে যায়। ফরমালিনের ব্যবহার হয় পরীক্ষাগারে এবং শিল্পকারখানায়। কিন্তু পরীক্ষাগারের নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছেড়ে ফরমালিন ঠিক কবে, কোন উর্বর মস্তিষ্কের ধারণা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল তার ইতিহাস আমাদের জানা নেই।

কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেনঃ
১।পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
২। লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
৩। প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
৪। সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।
৫। ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিন দূর করতে খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।

ফরমালিন এখন আমাদের প্রায় প্রতিটি খাদ্য দ্রব্যে। যেহেতু এটি পচন প্রক্রিয়াকে রোধ করে, তাই পচনশীল দ্রব্য যেন ভালো থাকে, লাভের অংকে যেন টান না পড়ে, তাই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে রাসায়নিকটি। গণমাধ্যমের কল্যাণে আজ সবার জানা ফরমালিনের ক্ষতিকারক দিক। বিভিন্ন দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাজারগুলোতে বিক্রি করা ফল ও মাছে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যারা এটি খাদ্য দ্রব্যে ব্যবহার করেন তারা নিজেরাও জানেন, এর ক্ষতিকারক দিক, কিন্তু ক্ষতির চেয়ে তাদের লাভের অংক যেহেতু বড়, তাই জেনে-শুনে মানুষকে বিষ খাওয়াতে কৃপণতা নেই। ফরমালিনের দামও হাতের নাগালে। ১ কেজি ফরমালিনের দাম মাত্র ২৫০ টাকা। এ টাকা বিনিয়োগ করে যদি কয়েক হাজার টাকার পচনশীল দ্রব্য বাঁচানো যায়, তাহলে এর ব্যবহারে লোভের ছায়া তো পড়তে বাধ্য। এর প্রমাণ স¤প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যে জানা যায়, গত বছর দেশে ফরমালিন আমদানি হয়েছে ২৫০ টন, যদিও প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০০ টনের। চাহিদার অতিরিক্ত দেড়শ’ টন খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে প্রবেশ করেছে আমাদের শরীরে। ফরমালিন আমদানির হার ফি বছর বাড়ছে। কারণ এর সহজলভ্যতা, সহজপ্রাপ্যতা এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। ফরমালিন আমদানির অনুমোদন নীতিমালা বেশ নমনীয়। আমদানি লাইসেন্স ফিও হাতের নাগালে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমদানিতে সরকারি তহবিলে জমা দিতে হয় দুই হাজার ১০০ টাকা।

এবার আসি ফরমালিনের গোঁড়ার কথায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের রসায়নবিদ আলেকজান্ডার বুতলারভ ১৮৫৯ সালে বর্ণহীন, দুর্গন্ধযুক্ত একটি রাসায়নিক যৌগের অস্তিত্ব জানতে পারেন। পরবর্তীকালে এ রাসায়নিক যৌগটিকে ফরমালডিহাইড বা মিথান্যাল নামে চিহ্নিত করা হয়। দেখতে সাদা পাউডারের মতো পানিতে দ্রবীভূত ফরমালিন টেক্সটাইল শিল্প, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন এবং মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এই যৌগটির প্রধান বৈশিষ্ট্য, এটি সংক্রমিত হতে দেয় না এবং পচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংস করতে পারে। তবে উপকারী দিকের চেয়ে যৌগটির ক্ষতিকারক দিকই বেশি। রুশ বিজ্ঞানী ফরমালিন আবিষ্কার করলেও তিনি হয়তো দুঃস্বপ্নের ভেতরেও ভাবতে পারেননি, দুইশ’ বছর পেরিয়ে এ রাসায়নিক যৌগটি একটি জাতির ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত হবে। এটা একটি জাতিকে ধ্বংস করতে অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
ফরমালিনের ক্ষতিকারক নানা রকম দিক বিবেচনা করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ফরমালিনসম্পৃক্ত জিনিসপত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমাদেও দেশেও এ বিষয়ে আইন আছে। পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯ অনুযায়ী খাদ্যপণ্যে ফরমালিনের ব্যবহার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। ফরমালিনের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশও রয়েছে। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে খাদ্য নিরাপত্তার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবুও কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই-এ প্রবাদ যেহেতু আমাদের জানা, তাই আইনের প্রয়োগ যেমন নেই, তেমনি ব্যবসায়ীদেরও তা মানার বালাই নেই। বাস্তব কারণেই ফরমালিন আমদানি নিষিদ্ধ সম্ভব নয়। এটা যুক্তিসঙ্গতও নয়। কারণ এর মূল যে ব্যবহার শিল্পকারখানা এবং পরীক্ষাগারে, তা সচল রাখতেই আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু ফরমালিনের ব্যবহার যেন যথাযথ হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার। আমদানির পর ফরমালিন কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

খাদ্যে ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধে জনগণের যে সচেতনতা প্রয়োজন, সে বার্তা ইতিমধ্যে মানুষের কাছে চলে গেছে। সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পাশাপশি ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় ফরমালিনমুক্ত বাজারের। প্রথম পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপে রাজধানীর সাতটি কাঁচাবাজারকে ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং মাছ মাংশ সহ শাক সবজিতে ফরমালিন চিহ্নিত করতে নিযুক্ত করা হয় পরীক্ষক। তবে ফলাফলে খুব উন্নতি নেই। কারণ এখানেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ফরমালিন পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত টেকনিশিয়ানদের যুক্তি, খাদ্যে দশমিক ৯৯ পিপিএম পর্যন্ত ফরমালিন সহনীয়। অথচ ফুড অর্ডিন্যান্স স্পষ্ট বলছে, ফরমালিন এক প্রকার বিষ এবং মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই খাদ্যপণ্যে কোনো মাত্রার ফরমালিনই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিষের কোনো সহনীয় মাত্রা থাকতে পারে না। বিষের ভংগ্নাংশও বিষ। অথচ ফুড অর্ডিন্যান্সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের নিযুক্ত টেকনিশিয়ানরা খাদ্যপণ্যে ফরমালিনের মাত্রা ঠিক করে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবী অনুযায়ী যেহেতু এসব বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যে ফরমালিন নেই, তাই পণ্যের দামও অন্য বাজারের তুলনায় বাড়িয়ে দেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। দুষ্টের যেহেতু ছল-চাতুরির অভাব নেই, তাই এসব বাজারে এসব খোঁড়া যুক্তির কাছে সত্যিকার অর্থেই অসহায় ক্রেতারা। সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!

সরকার আইন তৈরি করেছে, ফরমালিনের অস্তিত্ব পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু কমছে না এর ব্যবহার। এ জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের লোভ। কারন আইন প্রয়োগের দায়িত্ব যার বা যাদের ওপর, তারা যদি আন্তরিক না হন, একবারও না ভাবেন যে, তাদের সন্তানও এই নীরব বিষের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাহলে সর্ষের ভেতরের ভূতের আছর কোনো দিনই যাবে না। জনগনের পক্ষে এর সমাধান সম্ভব নয় কারণ তারা সচেতন হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাদের প্রয়োজন মেটাতে পণ্য কিনতেই হবে, যেহেতু সামনে কোনো বিকল্প নেই। তাই বাধ্য হয়েই, জেনে, বুঝে, শুনেই ফরমালিন মেশানো খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে, ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে সরকারের প্রচেষ্টা আরেকটু সফল হতে পারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের আন্তরিকতায়। দায়িত্ব পালনের সময় তারা যদি কোনো লোভের কাছে পরাজিত না হন, তাহলে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আর অপরাধীর দণ্ড নিশ্চিত হলে, পরবর্তী সময়ে অপরাধ করার আগে অপরাধী দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবে। আমাদের তো আইনের অভাব নেই। ফুড অর্ডিন্যান্স আছে, আছে ভোক্তা অধিকার আইন। কিন্তু তার প্রয়োগের বেলাতেই যত গণ্ডগোল। কারণ অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা জেনেছি, সর্ষের মাঝেই থাকে ভূত। সেই ভূতের আছর থেকে আমরা প্রায়ই মুক্ত হতে পারি না। তবে ভূতের আছর যে সর্ষের ওপরও কখনো কখনো পড়ে তা কিন্তু তলিয়ে দেখি না আমরা। ফরমালিন মেশানো খাবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য বাজার থেকে কেনেন, সেই খাবার তাদের সন্তানের মুখেও তুলে দিতে হয়। সরকারের একার পক্ষেও এই অপরাধ দমন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে জনবল সংকট একটি বড় বাধা। এর সঙ্গে রয়েছে দক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাব। লোকবলের অভাব আমাদের আছে, কিন্তু যা আছে, তারও কি সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে?

ফরমালিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ সচেতনভাবে বা অচেতনভাবে ফরমালিনযুক্ত ফলমূল খাচ্ছে এবং পড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। যে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পুষ্টির বড় অংশের জোগান পাওয়ার কথা, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে তা থেকে উল্টোটিই মিলছে। পুষ্টির জোগান তো মিলছেই না বরং এগুলো শরীরের ক্ষতি করছে।
কীটনাশক ব্যবহার করা হয় শাকসবজি বা ফলমূলে যেন পোকা না ধরে। গ্রোথ হরমোন ব্যবহার হয় ভালো ফলনের জন্য। রাইপেনিং বা কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় কার্বাইড।
শাকসবজি ও ফলমূল যাতে দ্রুত নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য ফরমালিনসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। শাকসবজি ও ফলমূল দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুটা ফরমালিনমুক্ত করা গেলেও গ্রোথ হরমোন ও কীটনাশক থেকে মুক্ত করা যায় না, এগুলো শাকসবজি ও ফলমূলে থেকেই যায়।
মিথানল ও ফরমালিনে থাকা ফরমালডিহাইড পলিমার মানব শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতি প্রথমে ‘ফরমালডিহাইড’ এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তর করে, যা শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারীসহ সব বয়সীদের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রোথ হরমোন, ফরমালিন, কীটনাশকসহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থযুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে মানুষ মরণব্যাধি ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিকলাঙ্গতা, সন্তান প্রসবে জটিলতা, প্যারালাইজড, এলার্জি, চোখের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, কিডনি নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য ফরমালিনযুক্ত খাদ্য উপাদান দায়ী।

রমজান মাসের শুরু থেকেই গ্রীষ্মের রসালো ফলে বাজার ভরে গেছে। কিন্তু ফরমালিনমুক্ত ফল ও শাকসবজি পাওয়া খুবই কঠিন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কেবল নিজেদের স্বার্থে শাকসবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন মেশায়। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, এসব দেখার যেন কেউ নেই। রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে যেসব ফল পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশে রয়েছে এই বিষাক্ত ফরমালিন, যা শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। শাকসবজি ও ফলমূলে ফরমালিনসহ অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ দরকার। কোনো অসাধু ব্যক্তি ফলমূল ও শাকসবজিতে ফরমালিন ব্যবহার করলে তাকে জেল-জরিমানাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শুধু তাই নয়, কেউ যাতে অপরাধ করার পর লঘু শাস্তি ভোগ করে পার পেয়ে না যায় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে ফরমালিন পরীক্ষা করার যে সীমাবদ্ধতা আছে সে সমস্যার সমাধান করতে হবে। শাকসবজি ও ফলমূলে ব্যবহার্য সবরকম বিষাক্ত পদার্থের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি দরকার। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে শাকসবজি ও ফলমূল বাজারজাতকরণ পর্যন্ত মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে কেউ এ ধরনের সমাজবিরোধী কাজ করতে না পারে। ফল মজুদের স্থান, আড়তসহ ছোট ও বড় বাজারে ফরমালিন, কীটনাশকসহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ শাকসবজি ও ফলমূলে আছে কিনা, তা শনাক্তকরণের জন্য ল্যাবরেটরি থাকাও বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর বাস্তবায়ন এখনো সুদূর পরাহত। যদিও আইন ও বিধির কমতি নেই। কমতি কেবল বাস্তবায়নে। কিন্তু নিরাশ হলেতো চলবে না এই চক্র তো ছিন্ন করতে হবে। ফরমালিন মেশানোর ফলে যে ক্ষতি তা থেকে মুক্তির জন্য যে অচ্ছেদ্য চক্র, তা ছিন্ন করতে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই। তারা যদি নীতির পরিবর্তন করেন, তাহলেই ফরমালিনমুক্ত খাদ্যপণ্য পাওয়া সম্ভব। তাই জনগণের আগে সচেতন হতে হবে ব্যবসায়ীদের। তাদেরকেও ভাবতে হবে ফরমালিন মেশানো বিষাক্ত খাদ্যদ্রব্য কোনো না কোনোভাবে তিনি নিজে খাচ্ছেন, তার সন্তানকেও খাওয়াচ্ছেন। পিতা সবসময় তার সন্তানকে ভালোবাসেন। সন্তানের দুঃখে দুঃখী হন। সন্তানের ভালোবাসার জন্য পিতার ত্যাগের ইতিহাস পৃথিবীতে অনেক। সন্তানের জন্য পিতার জীবন দেয়ার ঘটনাও বিরল নয়। আমরা সবাই যদি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একবার ভাবি, শুধু লাভের আশায় যে বিপজ্জনক পথে হাঁটছি, তা থেকে আমার সন্তানও বিপদের মুখে পড়ছে, তাহলেই হয়তো মুক্তির দেখা মিলবে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল পোস্ট।

কিন্তু বাংলাদেশে কোন নীতিমালা দিয়ে কাজ হয়।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নীতিমালায় অবশ্যই কাজ হবে
যদি তা সঠিক বাস্তবায়ন করা যায়।
বাস্তবায়ন করার জন্য যুদ্ধে নামতে হবে।
কে করে দিবে সেই ভরসার দিন শেষ।
কারন কেউ কিছু করে দেয়না, করে নিতে হয়।
ধন্যবাদ বিজন'দা, তবে হতাশ হলে চলবেনা,
আশা নিয়ে বাঁচতে হবে।

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

বিজন রয় বলেছেন: ওই সমস্যা তো ওখানেই, নাীতিমালার বাস্তবায়ন হয়না এদেশে।

ধন্যবাদ নূরু ভাই।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হয়নি বলে হবেনা
এ কথা মানিনা,
আসবে শুভদিন
অশুভ হবে বিলিন!

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফরমালিন শক্তিশালী কেমিক্যাল, আমরা এটার উপর আপনার একটা কবিতা আশা করছি!

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফরমায়েসি কবিতা আসেনা আমার
যখন মন প্রফুল্ল থাকে তখন কোন
বিশেষ কোন বিষয়ের উপর লিখতে
ইচ্ছা হলে নিজের ইচ্ছাতে লিখি।
তবে আপনার খায়েশ পুরণে যত্নবান
হবো। দেখি আসে কিনা!! তবে নিরাশ
হবার সম্ভবনা ৯৯%,
আপনার খুশির খবর আছে
শিঘ্রই আপনার বেকার ভাতার
পরিমান ও শ্রেণি বর্ধিত হচেছ।
বিজয় দিবস ভাতা নাম শুনেছেন?

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ফরমালডিহাইড বা মিথান্যালের ( সংকেতঃ HCHO বা CH2O) ৩০-৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালিন ফরমালডিহাইড এর পলিমার নয়, এটাকে এলডিহাইড (-CHO) এর জাতক বলা হয়।

লেখাটা পরে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। ব্লগে এমন লেখা আরো বেশি প্রত্যাশা করছি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। কষ্ট করে এমন একটা লেখা পোস্ট করার জন্য।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ইব্রাহীম ভাই
লেখাটি গুরুত্বসহকারে পাঠ করার জন্য।
আশা করি আগামীতেও সাথে থাকবেন,
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সভ্য মানুষ যখন লোভে পড়ে অসভ্য হয়ে যায়, তখন সমাজে ভয়ংকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। মানুষের সীমাহীন লোভই মানুষকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার পোস্টে বিস্তারিত ভাবে ফরমালিন, কার্বাইড, গ্রোথ হরমোন ও পেস্টিসাইডের অপকারিতার কথা বলেছেন। এসবের অপকারিতার কথা কমবেশি অনেকেই জানে। কিন্তু লোভী ব্যবসায়ীদের কাছে পুরো সমাজটাই জিম্মি। আর সরকার হলো কাঠের পুতুল। কিছু ফলমূল ও মাছ মাংস ধংস করে, কিছু রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করে এসব অনাচার কখনোই দূর করা যাবে না। প্রতি বছরই এইসব এ্যাকশন নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে ব্যবসায়ীদের লোভ লালসা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া আদৌ কমেনি। এ কথা বুঝার মতো জ্ঞান বুদ্ধি আমাদের নীতি নির্ধারক ও আমলাদের মাথায় নেই। খুবই সামান্য বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তারা দেশ চালায়।

খাদ্যপন্যে ভেজাল ও রাসায়নিক মেশানোর একমাত্র শাস্তি হলো ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যা। এর কোন বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই
চমৎকার মন্তব্য প্রদানের জন্য।
মুনাভালোভীদের দুনিয়া ও আখেরাতের
ভীতি নাই। তারা শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।
খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক মিশ্রণের
উপযুক্ত একমাত্র শাস্তি গুলি করে হত্যা।
কিন্তু বিশ্ব থেকে মৃত্যুদন্ড উঠেই যাচ্ছে।
অচিরে হয়তো আমাদেরও দেশও সেই
চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: মাদকের মতো ফরমালিন ব্যবহারকারীদের ও ক্রসফায়ারের আওতায় আনলে আমি নিশ্চত এর ব্যবহার অনেকটা কমবে।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাদক আর খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণকারীদের
প্রকাশে গুলি করে হত্যা করলে এর ব্যবহার
ও ব্যবসায় নিঃসন্ধেহে ভাটা পড়বে।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিচার না হলে এগুলো বন্ধ হবে না...

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিন্তু বিচার করবে কে, আর মানবে কে ?
আইনের যথার্থ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হওয়া চাই।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

নতুন বলেছেন: ফলে মনে হয় ফরমালিন দেয় না। আপেল সংরক্ষনের প্রকৃয়ার জন্যই বেশি দিন থাকে।

আম, কলা এই রকমের ফল পাকানোর জন্য অন্য ক্যামিক্যাল দেয়।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আমের মোহনীয় গন্ধ আর স্বাদের রাজ্যে হারিয়ে যায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সেই আমে আজ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেশাচ্ছে ফরমালিন এবং রাসায়নিক পদার্থ। ফলে হারিয়ে গিয়েছে আমের সেই প্রাকৃতিক মোহনীয় গন্ধ আর স্বাদ।
কিছু দিক লক্ষ্য করে আম কিনলে আপনি পেতে পারেন ফরমালিন এবং রাসায়নিকমুক্ত আম। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাজার থেকে আম ক্রয়ের সময় কিভাবে ফরমালিন এবং রাসায়নিক মুক্ত আম ক্রয় করবেন।
১. প্রথমত দেখুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা, কেননা ফরমালিন দেওয়া আমে মাছি বসে না।
২. আম গাছে থাকা অবস্থায় কিংবা গাছ পাকা আমের ক্ষেত্রে গায়ের মাঝে একটি সাদাটে ভাব থাকে। ফরমালিন কিংবা রাসায়নিক পদার্থে ডোবানো আমের ক্ষেত্রে এই সাদাটে ভাব চলে যায়।
৩. কার্বাইড কিংবা ফরমালিন ডোবানো আমের ক্ষেত্রে আমের শরীর হয় দাগমুক্ত। গাছ পাকা আমে দাগ থাকবে। কিন্তু কাঁচা আম গাছ থেকে এনে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানোর ফলে এর গায়ে কোন দাগ থাকে না।

ফলে ফরমালিন না দেওয়া হলে এত শতর্কতার আবশ্যক হতো কি?

৯| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফল বা সব্জীতে ফরমালিনের ইউজ নেই, যেটা আমরা জানি সেটা হুজুগে জানি। তবে প্রানীজ আইটেমে ফরমালিন ইউজ এতদিন হতো বাজারে সহজলভ্যতার জন্য। বর্তমানে সম্পুর্নরূপে উৎসেই বন্ধ হয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় ডিসিশনের কারনেই। আপনি চাইলেই এখন ফরমালিন কিনতে সক্ষম হবেন না।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রান্না করার আগে বা খাওয়ার আগে গরম লবণ পানিতে ১০ মিনিট ফল ও শাক-সবজি ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।

পরীক্ষাগারে প্রমানিত মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন থেকে রেহাই পেতে কিছু উপায় সম্পর্কে বলা হল। ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায় : ১. নরমাল পানিতে ১ ঘণ্টা ফল ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাএ়া প্রায় ৬১% কমে যায় । ২. লবনাক্ত পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাএ়া প্রায় ৯০% কমে যায় । ৩.প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফরমালিন যুক্ত ফল ও সবজী ধুলে ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয় । ৪.ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট ফল ও সবজী ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয় । ৫.খাওয়ার আগে ১০ মিনিট হালকা গরম লবন মিশ্রিত পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখলে ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয় । ৬, লিচুতে বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে গাঁড় মেজেনটা রং তৈরি করা হয়, তাই গাঁড়ও মেজেনটা রঙ্গের লিচু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এখানে ফলমুল ও শাক সব্জির ফরমালিন মুক্ত করার পরামর্শ আছে।

১০| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পর পর দুই বার পড়লাম।
ফরমালিন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিস্তারিত আমার জানার ইচ্ছা ছিল। সময় সুযোগ হয়ে উঠছিল না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
বাঁচতে হলে জানতে হবে,
জানার ও শতর্কতার বিকল্প নাই।

১১| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ লেখা, অনেক ধন্যবাদ নূরু ভাই।

ফরমালিন আমদানি এবং বিক্রয়ের উপর কঠোর নজরদারি ছাড়া কোন বিকল্প নাই।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ বোকা মানুষ
আমার মনে হয় সরকারের
কড়া নজরদারি আছে, আইনের
প্রয়োগও আছে, তাই ফরমালিনের
ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।

১২| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নতুন বলেছেন: বেশ কয়েকজন মানুষ এই ভ্যাজালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

https://www.facebook.com/search/top/?q=Mahbub Kabir Milon ফরমালিন 

https://www.facebook.com/groups/publicserviceinnovationblog/permalink/353334044868489/

Mahbub Kabir Milon
18 February 2015
না ফরমালিন নেই। মোটামুটি নিশ্চিন্তে সবকিছু খেতে পারেন। গত দুইমাস ধরে অনবরত আমি বিভিন্ন ফলমূল মাছে ফরমালিন পরীক্ষা করেছি, কিন্তু ফরমালিন পাইনি। আঙুর কমলা আপেল মাল্টা...... ফরমালিন নেই। সদিচ্ছা থাকলে সব কিছুই করতে পারি আমরা। এই ফরমালিন আইন তৈরি করতে কিছুটা ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছিল আমার। আগেও ফরমালিন আইন ছিল কিন্তু ফাঁক ফোঁকর দিয়ে অন্যনামে হাজার হাজার টন ফরমালিন আমদানি করা হতো। ২০১৩ সাল এবং ২০১৪ এর জুন পর্যন্ত প্রায় ১৭৫০০ মেঃ টন ফরমালিন ঢুকেছে এই দেশে। নতুন ফরমালিন আইনে (২০১৪) এই ফাঁকগুলো অর্থাৎ অন্যনামে আমদানির সুযোগ বন্ধে প্রচেষ্টা নিয়েছিলাম। জোঁকের মত লেগেছিলাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে তাঁকে বোঝাতে পেরেছিলাম। ফলে বাণিজ্য নীতি সংশোধন করা হয় আগস্ট ২০১৪ সালে। এতে অন্যনামে ফরমালিন আমদানির সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে যা পুরানো স্টক ছিল সেটাও শেষ। গত পরশু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সব ফাঁক ফোঁকর।

ঢাকার নবাবপুর ফরমালিনের ডিপো ফরমালিন শূন্য। গত কয়েকমাসে অবৈধ উদ্দেশ্যে আনা একটি চালানো বন্দর দিয়ে খালাস হয়নি।

গত বছর এপ্রিলে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪জন ছাত্র সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে গোসলে নেমে করুণভাবে মৃত্যু বরণ করার পর কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে নেটিং এবং ফেন্সিং দেয়ার একটি প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরি করে ইআরডি-তে পাঠিয়েছিলাম। ইআরডি’র মৌখিক আবেদনে প্রাথমিকভাবে KOICA এবং JAICA রাজি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেটাতে কোন সাড়া না দিলে সরকারী ফান্ডে তা করার জন্য কাগজপত্রগুলি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয় বরাবর প্রেরণ করি। মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে সরকারী ফান্ডে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার সৈকতে নেটিং ফেন্সিং করে দেবার জন্য।

মন্ত্রণালয় থেকে পর্যটন কর্পোরেশনকে বলা হয়েছে নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠাতে। কাজ চলছে। হয়ত একদিন আর কেউ গোসলে নেমে নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যাবে না, খালি হবে না কোন মায়ের বুক।

খাদ্য ভেজাল রোধে ২০১৩ সালে আইন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। থাকবে ট্রাইব্যুনাল আধুনিক ল্যাব। এই কর্তৃপক্ষ হবে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংস্থা। যাদের কথা সবাই শুনবে এবং যাদেরকে সবাই ভয় পাবে। কিন্তু আইনে একটি দুর্বলতা ছিল যা এই সংস্থাকে দুর্বল করে তুলত। কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা নিয়োগের বিধানে বলে হয়েছে, কৃষিবিদ উদ্ভিদবিদ প্রাণীবিদ চিকিৎসক এই সংস্থায় নিয়োগ দিতে হবে। মাঠে অভিযান পরিচালনা এবং মোবাইল কোর্ট নির্ভর একটি সংস্থায় প্রশাসনে অভিজ্ঞ পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়া ভেজাল বিরোধী এই শক্তিশালী সংস্থাটি পরিগণিত হবে একটি নাম সর্বস্ব অকার্যকর সংস্থায়। শুরু করলাম প্রচেষ্টা।

খাদ্য সচিব মহোদয়ের সাথে একাধিকবার কথা বললাম। সংশোধনী প্রস্তাব পাঠালাম। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে এই সংস্থা সাজাতে হবে। সেখান থেকে সৎ ডেডিকেটেড এবং কমিটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেই কেবল সম্ভব শক্তিশালী একটি কর্তৃপক্ষ গঠন। সম্ভব হবে সর্ব প্রকার ভেজাল দূর করা। আমরা পাব একটি সুস্থ জাতি। আমার সে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়ে সেখানে সৎ দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন অতিরিক্ত সচিব মহোদয় চেয়ারম্যান এবং একজন উপ সচিবকে কর্তৃপক্ষের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এরপর শুরু হবে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নিয়োগ। এখন যে কোন সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা যেতে পারবে সেখানে।

আর একটি স্বপ্ন দেখছি। কাজ শুরু করেছি। উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবি ও আধুনিক পদ্ধতিতে আমাদের বিশাল এই সমুদ্রে মৎস্য বিচরণ ক্ষেত্রগুলি নিরূপণ করে তা জেলেদের কাছে সরবরাহ করা। যাতে আমাদের মাছ ধরা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার জন্য অন্ধের মত চষে বেড়াতে না হয়। তারা তখন সমুদ্রের সুনির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে জাল ফেলতে পারবে। এতে সাশ্রয় হবে অর্থ জ্বালানী ও কর্ম ঘণ্টার। পৃথিবীর সব দেশ এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারত ও শ্রীলঙ্কা এই প্রযুক্তিতে মাছ ধরছে। হাতড়ে বেড়ানোর যুগ শেষ। এখন সোনালি আলোর যুগ।

আমি সবসময় বলি একজন কর্মকর্তার থাকবে দশটি মাথা, দশ জোড়া হাত পা। আমরা জনগণের চাকর। মনিবের কল্যাণে একটি টেবিলে নয়, একজনের কর্ম হবে হাজার টেবিলে। আই এ্যাম বাউন্ড টু সার্ভ। মনিবের হাসিই আমার ধর্ম।


‎Mahbub Kabir Milon‎ to Public Service Innovation Bangladesh
24 February 2015
আমাদের দেশে খাদ্য ভেজালে ফরমালিনের পর আর একটি ভয়াবহ নাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড। ক্যান্সার সহ মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতিকর এই ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড একটি নিয়ন্ত্রিত পণ্য। এটি আমদানি মজুদ পরিবহণ এবং ব্যবহার করার জন্য বিস্ফোরক অধিদফতরের অনুমতি বা লাইসেন্স নিতে হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড শুধুমাত্র শিল্প ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হয় যা দিয়ে এসিটিলিন গ্যাস তৈরি করা হয়। এসিটিলিন গ্যাস ঝালাই বা লোহা কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিস্ফোরক অধিদফতর হতে এ পর্যন্ত মোট ১১ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারের অনুমতি বা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি ২০১৪ সালে ১৮৬৯ টন ক্যালসিয়াম কার্বাইড বৈধপথে আমদানি করেছে। শিল্পে ক্যালসিয়াম কার্বাইড এর ব্যবহার যদি বিস্ফোরক অধিদফতর মনিটরিং করে থাকে, তাহলে একটা সহজ প্রশ্ন মাথায় আসে। তা’হলো ফলমূল পাকানোর কাজে ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণ মানুষের হাতে যাচ্ছে কিভাবে??

২০০৩ সালে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের জন্য সরকার একটি আলাদা বিধিমালা করেছিল। যা কার্বাইড বিধিমালা ২০০৩ নামে পরিচিত। এই বিধিমালাটি হাতে নিয়ে ফাঁকটি স্পষ্ট হয়ে গেল!! তাহলে এইভাবে নিশ্চিন্তে কার্বাইড বাইরে চলে আসছে!! বিধানে কিছু ফাঁক থাকাতে সেটার সুযোগ নিয়ে চতুর বাঙ্গালী এই অপকর্মটি সারছে।

বিধিমালার ৮ (৩), ২৪, ২৫, ২৯ ধারা অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি ৪ কেজি পর্যন্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড মজুদ এবং পরিবহন করতে পারবে। এর জন্য কোন লাইসেন্স লাগবে না বা বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া লাইসেন্সের শর্তের ৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে কোন লাইসেন্স গ্রহীতা (১১ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান) যে কোন ব্যক্তির কাছে ২০ কেজি পর্যন্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে। কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। এখানে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, এই ধারাসমূহ এবং লাইসেন্সের ঐ শর্তের সুবিধা নিয়ে কার্বাইডের মারাত্মক অপব্যবহার হচ্ছে।

২০ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে কয়েকটি বাগানের সব আম পাকানো যায়। কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ২০ কেজি করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিক্রি করা যাবে, এই বিধিমালা ২০০৩ অনুযায়ী কোন বাঁধা নেই। এইভাবে ২০ কেজি করে শতশত টন কার্বাইডের অপব্যবহার হচ্ছে যা ফলমূলের মাধ্যমে আমাদের পেটে যাচ্ছে।

কার্বাইড অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে হলে “কার্বাইড বিধিমালা ২০০৩” এর ঐ ধারাগুলি সংশোধন ছাড়া কোন উপায় নেই। ধারাগুলো সংশোধন পূর্বক এই মুহূর্তে মাত্র ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ফল পাকানোর এই বিষ হতে রক্ষা পেতে পারব আমরা।

এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ফরমালিন এখন ইতিহাস হতে চলেছে। ক্যালসিয়াম কার্বাইডকেও ইতিহাসে নিক্ষেপ করতে হবে। একটি সুস্থ জাতি গড়ার লক্ষে এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা আছি............ আলো আসবেই।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নতুন দেশ,
ফরমালিনের বিরুদ্ধে নেওয়া
আপনাদের পদক্ষেপের যথার্থ
বাস্তবায়নে আজ দেশে ফরমালিনের
অবাধ ব্যবহার কমে গেছে সত্য। তার পরেও
শতর্কতার বিকল্প নাই।

নিচের ১৪ নম্বর মন্তব্যটির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এতে কি প্রতিয়মান হয়না যে দেশে এখনও পুরোপুরি ফরমালিনের
ব্যবহার বন্ধ হয়নি? ধন্যবাদ

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২১

লায়নহার্ট বলেছেন: ২য় প্রশ্ন

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ১ম প্রশ্নটি যেন কি ছিলো ? (!)

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৭

টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: প্রায় ১০ দিন আগে মোবাইল ক্যামেরায় উঠানো। ছবি দেড় মাসে আগে কেনা কমলালেবু এটা। আপনার এই পোস্টে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না ।



০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ
ছবিটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

১৫| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:২৭

নতুন বলেছেন: কমলা কাউন্টারে ১-৩ সপ্তাহ এবং ঘরের রেফ্রিজারেটরা রাখলে.... ২ মাস পযন্ত থাকতে পারে।

ফরমালিন লাগেনা। আপেলও দীঘ`দিন ভাল থাকে তার উতপাদন এবং সংরক্ষন তরিকার জন্য।

http://www.eatbydate.com/fruits/fresh/how-long-do-oranges-last-shelf-life-expiration-date/

http://www.eatbydate.com/fruits/fresh/how-long-do-oranges-last-shelf-life-expiration-date/

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে,
আমরা চাই ফরমালিনের
অপব্যবহার রোধ হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.