নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের হার্টথ্রব মানবহিতৌষী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ৪২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪২


মানবহিতৌষী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার, এবং বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। রূপালী পর্দার অন্তরালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন প্রায় সময়ই গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে। ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্রাড পিটের সাথে। পরবর্তীতে সকলের সাথেই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। জোলি-পিট যুগলের দাম্পত্য সম্পর্ক বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বারংবার আলোচিত হয়েছে। তাঁদের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়; এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের তিন সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান; এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা। মানবহিতৌষী ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। হলিউড হার্টথ্রব অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভইট ১৯৭৫ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা জন ভইট এবং মা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড। মা-বাবা উভয়েই ছিলেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। এছাড়া জোলির আত্মীয়বর্গের ভেতরেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ছাপ সুস্পষ্ট। সম্পর্কের দিক থেকে জোলি, চিপ টেইলরের ভ্রাতুষ্পুত্রী, জেমস হ্যাভেনের বোন, এবং জ্যাকুইলিন বিসেট ও ম্যাক্সিমিলিয়ান শেলের ধর্মকন্যা। বাবার দিক থেকে জোলি চেকোস্লোভাকীয় ও জার্মান বংশোদ্ভূত। আর মায়ের দিক থেকে ফরাসি কানাডীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৭৬ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি ও তার ভাই উভয়েই তাদের মায়ের কাছে বেড়ে উঠতে থাকেন। বিচ্ছেদ-পরবর্তী এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে তার মা নিজের অভিনয়ের উচ্চাশা বিসর্জন দেন, এবং সন্তানদের সাথে নিয়ে নিউ ইয়র্কের প্যালিসেডে চলে যান। শৈশব থেকেই জোলি নিয়মিতভাবে ছবি দেখতেন ও ছবি দেখার পর মায়ের কাছে, অভিনয় করার ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করতেন। জোলির বয়স যখন এগারো, তখন তার পরিবার আবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে আসে। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে তিনি অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই সূত্র ধরে তিনি লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। সেখানে তিনি দুই বছর ধরে অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই থিয়েটার ইনস্টিটিউটে থাকাকালীন সময়ে তিনি বেশ কিছু মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। ষোলো বছর বয়সে মঞ্চ থেকে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু, এবং তাঁর প্রথম চরিত্রটি ছিলো একজন জার্মান প্রতাপশালীর। মূলত বাবার থেকেই জোলির অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিনয় শেখার জন্য তিনি তাঁর বাবার শিখন প্রক্রিয়া লক্ষ করতেন। তিনি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতেন, এবং আচরণ ও বাহ্যিকতায় ঠিক তাদের মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেন। বহু বছর ধরে গ্ল্যামার আর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সারা পৃধিবীর সিনেমা প্রেমীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেছেছেন তিনি। সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই অভিনেত্রী মাত্র ১১ বছর বয়সে মায়ের অনুপ্রেরণায় জোলি মডেলিং শুরু করেন।
লুকিং টু গেট আউট দিয়ে জোলি সিনেমার জগতে পা দেন। সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন জোলির বাবা।

১৯৯৫ সালে জোলি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একটি হচ্ছে স্বাধীন চলচ্চিত্র উইদাউট এভিডেন্স, এবং অপরটি রহস্য চলচ্চিত্র হ্যাকারস। হ্যাকারস-এ তিনি কেট ‘এসিড বার্ন’ লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী জনি লি মিলারের পরিচয় হয়। ১৯৯৭ সালে জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র জর্জ ওয়ালেস-এ কর্নেলিয়া ওয়ালেস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জোলির পরিচিতি বাড়তে শুরু করে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন ও এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। উঁচুমানের অভিনয় প্রতিভা ও দক্ষতা থাকাসত্ত্বেও জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো প্রায়ই আন্তর্জাতিকভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হতো; তাঁর এই অপূর্ণতা পূর্ণ হয় ২০০১ সালে লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে জোলির অভিষেক ঘটে ২০০৭ সালে, তথ্যচিত্র আ প্লেস ইন টাইম পরিচালনার মাধ্যমে। ২০০৭ সালে নাট্যচলচ্চিত্র আ মাইটি হার্ট এ মারিয়ান পার্ল চরিত্রে অভিনয় তাঁকে তাঁর চতুর্থ গোল্ডেন গ্লোব ও তৃতীয় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়। ২০১১ সালে জোলি ড্রিমওয়ার্কস ধারাবাহিক কুং ফু পান্ডা ২-এ মাস্টার টিগ্রেসের ভূমিকায় কণ্ঠ প্রদান করেন। আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ৬৬.৩ কোটি ডলার আয় করা এই চলচ্চিত্রটি তাঁর পূর্বের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ বছর তিনি পরিচালক হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। ছবির নাম ইন দ্য ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি। ছবিটি সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জোলিকে সারায়েভোর সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

কম্বোডিয়াতে যখন জোলি টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন, তখন থেকেই জোলি ব্যক্তিগতভাবে মানবতার অভাবকে উপলব্ধি করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এসে আন্তর্জাতিকভাবে পীড়িত ও দুঃস্থ অঞ্চলগুলো সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য জোলি ইউএনএইচসিআর-এর দ্বারস্থ হন। মানবতার এই বিপর্যয়কে ভালোভাবে জানা ও বাস্তবতা উপলব্ধির জন্য তৎপরবর্তি কয়েক মাস জোলি বিশ্বের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ও দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। ফেব্রুয়ারি ২০০১ সালে তাঁর প্রথম সফরে জোলি ১৮ দিনের জন্য সিয়েরা লিওন ও তানজানিয়া ভ্রমণ করেন। এ সম্পর্কে তাঁর ব্যথাতুর উপলব্ধির কথা তিনি পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানান। পরবর্তী মাসগুলোতে তিনি যেসকল স্থানে সফর করেন তার মধ্যে, দুই সপ্তাহের জন্য কম্বোডিয়া সফর ও পরবর্তীতে পাকিস্তানের আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। ইউএনএইচসিআর-এর জরুরি অনুদান প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে আফগান শরণার্থীদের জন্য ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান দেন। এসমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর সকল সফরের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন এবং তিনি ঠিক সেই সুযোগ-সুবিধাটুকুই গ্রহণ করেন, যা ইউএনএইচসিআর-এর একজন মাঠপর্যায়ের কর্মীর জন্য বরাদ্দকৃত। ২০০১ সালের ২৭ আগস্ট জেনেভায় অবস্থিত ইউএনএইচসিআর-এর সদরদপ্তরে জোলিকে ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ভূষিত করা হয়। সময়ের সাথে সাথে জোলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, মানবতার পক্ষে সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কাজে আরও বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি নিয়মিত ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে বিশ্ব শরণার্থী দিবসে অংশগ্রহণ করে আসছেন। জোলি তাঁর মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি ভালো পরিচিতি ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। বর্তমানে জোলি, বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। কিউ স্কোরের ভাষ্যমতে ২০০০ সালে অস্কার জয়ের পর জোলি পরিচিত ছিলেন ৩১% আমেরিকানের কাছে; পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এসে দেখা যায় ৮১% আমেরিকানের কাছে জোলি এক পরিচিত মুখ। ২০০৬ সালে এসিনিলসেন পরিচালিত বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রশিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ৪২টি আন্তর্জাতিক বাজারে জোলি-পিট জুটি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এন্ডোর্সার। ২০০৬ ও ২০০৮ সালে জোলি টাইম ১০০-এ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিলেন। ২০০৬ সালে পিপল-এর ‘ওয়ান হানড্রেড মোস্ট বিউটিফুল’ সংখ্যায় তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ গু্ঞ্জনঃ ২০১৬ সালে ব্র্যাড পিটের সাথে তার সংসার ভেঙ্গে যাবার পর হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন। গুঞ্জন চলছে, ব্রিটিশ এক ধনাঢ্য সমাজকর্মীর সঙ্গে এক বছর ধরে প্রেম করছেন এই অভিনেত্রী। অপেক্ষায় ছিলেন অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া কাগজে-কলমে সম্পন্ন হওয়ার। এ বছর সব হিসাব চুকিয়ে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ হচ্ছে জোলি ও পিটের। তাই হলিউড অভিনেত্রী জোলি আবার নতুন করে সংসার সাজানোর পরিকল্পনা শুরু করেছেন। জোলির এই বিয়ের খবর লাইফ অ্যান্ড স্টাইল ম্যাগাজিনকে জানান শিল্পীর কাছের এক বন্ধু। বিয়ের পরিকল্পনার ছোট ছোট বিষয়ও ওই বন্ধু ম্যাগাজিনের কাছে খোলাসা করেন। জানান, আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে কিংবা আগস্টের শুরুতেই হতে পারে বিয়ে। এটি হবে লন্ডনের বাইরে জোলির রাজকীয় বাংলোতে। এই বিয়ে নিয়ে জোলির ছয় সন্তান নাকি বেজায় খুশি। এরই মধ্যে ছেলে প্যাক্স বিয়েতে কোন গান বাজবে, কোন শিল্পী গাইবেন-এসব ঠিক করে ফেলেছে। তা ছাড়া বিয়ের পরের পার্টির কেক কেমন হবে, সেটা ঠিক করে ফেলেছে প্যাক্স। মেয়ে জাহারা ও ভিভিয়েন হবে জোলির ব্রাইডসমেইড ও ছেলে ম্যাডক্স হবে বরের বেস্টম্যান। আর আরেক মেয়ে শিলোহর হাত ধরে বিয়ের আসরে আসবেন জোলি। অন্যদিকে ছেলে ম্যাডক্স খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে চায় এই বিয়েতে। তাই সে বিয়ের আংটি নিয়ে আসবে বর ও কনের সামনে।

আজ মানবহিতৌষী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ৪৩তম জন্মদিন। জন্মদিনে আমরা তার আগামী সংসার জীবনের সুখ ও সমৃ্দ্ধি কামনা করছি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: শুভ কামনা রইলো তার প্রতি। এবং নতুন জীবনের প্রতি রইলো অভিনন্দন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে কলি আপু
খুব ভালো লাগলো আপনার আগমনে,
ভেবেছিলাম রেগে আছেন। যা হোক
শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আমি জোলির চতুর্থ বিয়ের বরযাত্রীর দাওয়াত পেয়েছি।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুড !!
খাবার দাবার সাবধানে খাবেন,
ডেট ফেল করা কিছু খাবেন না
পানও করবেন না !!

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: মহিয়সী নারী।

শুনুন, স্বামী বিবেকান্দ, বিদ্যা সাগর আর সত্যজিৎ কে নিয়ে লিখবেন।
আমি অপেক্ষায় আছি।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
আপনার ফরমায়েসি লেখা লিখতে হলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবেঃ
১। স্বামী বিবেকানন্দ
জন্মঃ ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩
মৃত্যুঃ ০৪ জুলাই ১৯০২
২। বিদ্যাসাগর
জন্মঃ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০
মৃত্যুঃ ২৯ জুলাই ১৮৯১
৩।সত্যজিৎ রায়
জন্মঃ ০২ মে ১৯২১
মৃত্যুঃ ২৩ এপ্রিল ১৯৯২

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ওমেরা বলেছেন: চন্দ্র মুখী কোথায় !!

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চন্দ্রমুখীকে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে
ইফতারীর পরে ! অপেক্ষা করুন !

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কিছুদিন আগে ইউএনএইচসিআরের (UNHCR) একটি সেমিনারে হলিউড অভিনেত্রী এঞ্জোলিনা জোলির একটি বক্তব্য শুনেছিলাম। যদিও ছোটবেলা থেকে হলিউড, বলিউড, ঢালিউড কোন মুভির প্রতি আমার আগ্রহ নেই; এজন্য চলচ্চিত্র তারকাদের কেউ আমার আইডল নয়। কিন্তু এঞ্জোলিনা জোলিকে পছন্দ করতাম তার সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, পারিবারিক জীবন, শিশুদের জন্য মানবিকতা ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জন্য।

সেমিনারে তিনি বলেন, আমি অনেক ভাগ্যবতী এজন্য যে আমার সামর্থ্য আছে ভাল মানের খাবার কিনে খাওয়ার; আছে থাকার জন্য বিলাসবহুল একটি বাড়ি; নিজেরও সন্তানদের জন্য আছে নিরাপদ আবাস। আমি প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করি আমার নিজেরও পরিবারের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন। ইদানিং খুব অনুধাবন করি, অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমরা এখানে যারা বসে আছি সবাই খুব ভাগ্যবান। আমি এখনো বুঝতে পারি না কেন পৃথিবীর কিছু মানুষ আমার মতো বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেঁড়ে উঠে? অপরদিকে পৃথিবীতে হাজারো মহিলা আছেন যারা আমার মতো সমান দক্ষতা, সমান ইচ্ছাশক্তি নিয়ে বেড়ে উঠেন।

যাদের অনেকেই সুযোগ পেলে আমার চেয়ে ভাল অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, আমার চেয়ে ভাল বক্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের কেউ আজ রিফিউজি ক্যাম্পে, কেউ নির্যাতিত হচ্ছেন, কেউবা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছেন। আমি তাদের চেয়ে অনেক বেশী সুযোগ পেয়েছি নিজেক প্রমাণ করার, বিশ্বমঞ্চে অংশগ্রহণ করার। এটা আমাকে আঘাত করে, আমাকে ভীষণ রকম ভাবায়। আমার মা বলতেন, Nothing would mean anything, if you didn't have a life of use to others. অর্থাৎ "সুযোগ থাকার পরও তুমি যদি নিজের জীবনকে পরোপকারে বিলিয়ে দিতে না পার তাহলে এ জীবনের কোন মূল্য নেই"। আমি বাকী জীবনটা এভাবেই কাটাতে চাই।

ধন্যবাদ, নূরু ভাই। প্রিয় এ অভিনেত্রীকে নিয়ে সুন্দর একটি আর্টিকেল লেখার জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কাওসার ভাই
কি সুন্দর শ্বাস্বত, পবিত্র বানী!
"সুযোগ থাকার পরও তুমি যদি নিজের জীবনকে পরোপকারে বিলিয়ে দিতে না পার তাহলে এ জীবনের কোন মূল্য নেই"
সকল ধর্মের মূল কথা তাই, কিন্তু আমরা কি তা মানি?" জীবে দয়া করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর" _ স্বামী বিবেকানন্দ'
মানুষের প্রতি, সব প্রাণীর প্রতি দয়া-মায়া ও মমতা-করুণা করার জন্য নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সৃষ্টির প্রতি রহম বা দয়া করলে স্রষ্টার দয়া-করুণা-রহমত লাভ করা যায়।

হাশরের দিন বলিবেন খোদা- হে আদম সন্তান
তুমি মোরে সেবা কর নাই যবে ছিনু রোগে অজ্ঞান।
মানুষ বলিবে - তুমি প্রভু করতার,
আমরা কেমনে লইব তোমার পরিচর্যার ভার?
বলিবেন খোদা- দেখনি মানুষ কেঁদেছে রোগের ঘোরে,
তারি শুশ্রূষা করিলে তুমি যে সেথায় পাইতে মোরে।
খোদা বলিবেন- হে আদম সন্তান,
আমি চেয়েছিনু ক্ষুধায় অন্ন, তুমি কর নাই দান।
মানুষ বলিবে- তুমি জগতের প্রভু,
আমরা কেমনে খাওয়াব তোমারে, সে কাজ কি হয় কভু?
বলিবেন খোদা- ক্ষুধিত বান্দা গিয়েছিল তব দ্বারে,
মোর কাছে তুমি ফিরে পেতে তাহা যদি খাওয়াইতে তারে।
পুনরপি খোদা বলিবেন- শোন হে আদম সন্তান,
পিপাসিত হয়ে গিয়েছিনু আমি, করাও নি জল পান।
মানুষ বলিবে- তুমি জগতের স্বামী,
তোমারে কেমনে পিয়াইব বারি, অধম বান্দা আমি?
বলিবেন খোদা- তৃষ্ণার্ত তোমা ডেকেছিল জল আশে,
তারে যদি জল দিতে তুমি তাহা পাইতে আমায় পাশে।

কবি আব্দুল কাদিরের "মানুষের সেবা" কবিতার উদ্ধৃতি

আবদুল্লাহ ইবনে আমর [রা.] থেকে বর্ণিত রাসুল [সা.] বলেছেন, ‘দয়াকারীদের প্রতি মহান দয়াময় আল্লাহ রহম ও দয়া করেন। দুনিয়াতে যারা আছে; তাদের প্রতি তোমরা দয়া করো, তাহলে আসমানে যিনি আছেন; তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। [আবু দাউদ ও তিরমিজি]। ইমাম আহমাদ ও তাবারানি [রহ.] বর্ণিত বিশুদ্ধ সনদে ও নির্ভরযোগ্য সুত্রে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা মিম্বরে দাঁড়ানো অবস্থায় বলেন, তোমরা দয়া করো, দয়া পাবে। ক্ষমা করো, ক্ষমা পাবে’(আহমদ)।'

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.