নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার জহির রায়হানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭


বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র জহির রায়হান। স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ববর্তী এবং স্বাধীনতার পরেও অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। চলচ্চিত্র প্রতিভার পরবর্তী আশ্রয়স্থল হলেও তার আবির্ভাব ঘটেছিল কথাসাহিত্যে। সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক, রাজনৈতিক কর্মী, চিত্রপরিচালক- নানা পরিচয়ে তার কর্মক্ষেত্রের পরিধি স্পষ্ট। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণের দ্বারা এদেশে সৎ শিল্পীর ভূমিকা কীরকম হবে- জীবন দিয়ে তিনি তার উদাহরণ হয়ে আছেন। কথাসাহিত্যে তার অবদান যেমন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করতে হয়, তেমনি চলচ্চিত্রে তার দান মেনে নিতে হয় বিস্ময়ের সঙ্গে। এই উভয় মাধ্যমেই তিনি মানুষের কথা বলেছেন। তাঁর রচিত রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে , আরেক ফাল্গুন, বরফ গলা নদী , আর কত দিন। ১৯৬১ সালে রুপালি জগতে কখনো আসেনি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জহির রায়হান। ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র সঙ্গম নির্মাণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- কখনো আসেনি, কাঁচের দেয়াল, সংগ্রাম, বাহানা, আনোয়ারা। পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে তাকে আপস করতে হয়েছিলো বলে, হয়তো তাকে আভিধানিক অর্থে বামপন্থী বা কমিউনিস্ট বলা যাবে না। কিন্তু বামপন্থী রাজনীতি বা কমিউনিজম যে প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ এবং মুক্তি, জহির রায়হানের সাহিত্য ও শিল্পের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো তা-ই। তার সমসাময়িক লেখক শিল্পীদের ভেতর তিনি ছিলেন সবচেয়ে আধুনিক। কিংবদন্তি এই চলচ্চিত্রকারের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৫ সালের আজকের দিনে বর্তমান ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জহির রায়হান। সু-সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের জন্মদিবসে ফুলেল শুভেচ্ছা।

জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তার বোনের দাবী জহির রায়হানের জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট। তাঁর পারিবারিক নাম আবু আবদার মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। তবে ছেলেবেলায় তাঁকে ডাকা হতো জাফর বলে। বাবা-মা: বাবা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি তার পরিবারের সাথে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। নিজ পরিবারেই জহির রায়হানের পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। শৈশব-কৈশোর ও স্কুল জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে কলকাতায়। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা মডেল স্কুলে ভর্তি হন। তাঁর বাবা তখন কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। মডেল স্কুলে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর তাঁকে মিত্র ইনস্টিটিউশনে (মেইন) ভর্তি করা হয়। এখানে সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি আলীয়া মাদ্রাসার অ্যাংলো-পার্শিয়ান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাবার সঙ্গে মজুপুর গ্রামে চলে আসেন। ওই সময় তিনি গ্রামের আমিরাবাদ স্কুলে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। গ্রামের আমিরাবাদ হাই স্কুল থেকে ১৯৫০ সালে তিনি প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। ঢাকা কলেজে পড়াশুনার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৩ সালে জহির রায়হান ঢাকা কলেজ থেকে আই.এসসি. পাস করেন। ওই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন। এক বছর পর তিনি অর্থনীতি ছেড়ে বাংলা বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর এম.এ. ক্লাসে ভর্তি হন।

জহির রায়হানের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি 'খাপছাড়া' পত্রিকায়। তিনি তাঁর বড় বোনের স্বামী এমএ কবীর ও ড. আলিম চৌধুরী সম্পাদিত 'যাত্রিক' পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে 'প্রবাহ' নামক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। 'এক্সপ্রেস' পত্রিকার কার্যকরী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জহির রায়হান 'সমকাল', 'চিত্রালী', 'সচিত্র সন্ধানী', 'সিনেমা', 'যুগের দাবী' প্রভৃতি পত্রিকার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি 'চিত্রালী'-তে 'প্রবেশ নিষেধ' শিরোনামে কিছুদিন একটি ধারাবাহিক ফিচার লিখেছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ হবার আগেই '৫৬ সালের শেষদিকে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক এ জে কারদারের সঙ্গে পরিচিত হন। সে সময়ে কারদার 'জাগো হুয়া সাবেরা' ছবি করার জন্য ঢাকায় আসেন। কারদার জহির রায়হানকে এই ছবির সহকারী পরিচালক নিযুক্ত করেন। এখান থেকেই শুরু হয় জহির রায়হানের চলচ্চিত্র জীবন। 'জাগো হুয়া সাবেরা'র পর তিনি পরিচালক সালাউদ্দিনের 'যে নদী মরুপথে' এবং পরিচালক এহতেশামের 'এদেশ তোমার আমার' ছবিতে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় স্থাপিত হয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসি)। এবার তিনি নিজেই ছবি তৈরিতে হাত দিলেন, সহকারী নয়- পরিচালক হিসেবে। ১৯৬১ সালে তার প্রথম পরিচালিত ছবি 'কখনো আসেনি' মুক্তি লাভ করে। এরপর তিনি পরিচালনা করলেন 'সোনার কাজল' (১৯৬২), 'কাঁচের দেয়াল' (১৯৬৩), 'সঙ্গম' (উর্দু : ১৯৬৪), 'বাহানা' (১৯৬৫), 'বেহুলা' (১৯৬৬), 'আনোয়ারা' (১৯৬৭) এবং 'জীবন থেকে নেয়া' (১৯৭০)।

চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি জহির রায়হান অনেকগুলো ছবি প্রযোজনা করেন। সেগুলো হলো, 'জুলেখা' (১৯৬৭), 'দুই ভাই' (১৯৬৮), 'সংসার' (১৯৬৮), 'সুয়োরাণী-দুয়োরাণী' (১৯৬৮), 'কুচবরণ কন্যা' (১৯৬৮), 'মনের মত বউ' (১৯৬৯), 'শেষ পর্যন্ত' (১৯৬৯) এবং 'প্রতিশোধ' (১৯৭২)। এর আগে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেন জহির রায়হান। তাঁর 'আর কতদিন' উপন্যাসের ইংরেজি ভাষান্তরিত ছবি 'লেট দেয়ার বি লাইট' সমাপ্ত হবার আগেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এ সময় তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাচারকে কেন্দ্র করে তৈরী করেন প্রামাণ্যচিত্র 'স্টপ জেনোসাইড' ও 'বার্থ অব আ নেশন'। তাঁর তত্ত্বাবধানে বাবুল চৌধুরীর 'ইনোসেন্ট মিলিয়ন' এবং আলমগীর কবীরের 'লিবারেশন ফাইটারস' নামক প্রামাণ্যচিত্র দু'টি নির্মিত হয়। কলকাতায় তার নির্মিত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেওয়ার বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এবং চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ তিনি মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন।

দেশ স্বাধীন হবার পর জহির রায়হান তাঁর নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যিনি স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে পাকিস্তানী আর্মির এদেশীয় দোসর আল বদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মীরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। মীরপুর ছিল ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত বিহারী অধ্যুষিত এলাকা এবং এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে সেদিন বিহারীরা ও ছদ্মবেশী পাকিস্তানী সৈন্যরা বাংলাদেশীদের ওপর গুলি চালালে তিনি নিহত হন। নিখোঁজ ভাইকে খুঁজতে গিয়ে তিনি নিজেই চিরকালের জন্যে নিখোঁজ হয়ে গেলেন। বাঙালি জাতিসত্তা এবং বাংলাদেশ গঠনে এক অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করা এই মহান বীরের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। সু-সাহিত্যিক ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের জন্মদিবসে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

বিজন রয় বলেছেন: জহির রায়হানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছ।

ঈদ মোবারক নূরু ভাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ বিজন'দা
জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

শরিফুল ইসলাম (ফরহাদ) বলেছেন: জহির রায়হানের অকাল মৃত্যু হয়েছে।
আল্লাহ্ উনাকে জান্নাত নসীব করুক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফরহাদ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে
শুভ কামনার জন্য।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: খালুজান, আস সালামুআলাইকুম, কেমন আছেন? বাসার সবাই ভালো তো? আমি কিন্তু নিয়মিত আপনার লেখা পড়ছি!
কলেজের পড়াশোনার ব্যস্ততায় লগইন করিনা, লিখিও না। তবে কাল রাতে একটা গল্প লিখলাম।
জহীর রায়হানের বিষয়টা আজো আমায় ভাবায়, ৩০ তারিখ ওনাকে ধরে নিয়া গেলো!! দুঃখজনক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভালো আছি ভাগ্নে !
তোমাকে অনেক দিন না দেখে চিন্তিত ছিলাম
কানাঘুষা শুনতেছিলাম কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়াও,
অবশ্য বয়সের দোষ !! যা হোক ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট একজন মানুষ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জি গুণী মানুষ !

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: প্রিয় উপন্যাসিকের প্রতি রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা! আপনি অনেক কষ্ট করেই এসব লিখে চলেছেন! বাংলা ব্লগারগন অনেক কিছুই জানছে!

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
সহব্লগার যদি উপকৃত হয় তাতে
ভালোই লাগার কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.