নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক খাঞ্জালি পীর নামে খ্যাত খান জাহান আলী(রঃ) ৫৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭


( খুলনা জেলার বাগের হাটে অবস্থিত যরত খান জাহান আলী (রঃ)'র মাজার শরীফ)
সভ্যতার নির্মাতা ‘খাঞ্জালি পীর’ নামে পরিচিত হযরত খান জাহান আলী (রঃ)। তিনি ছিলেন একজন সূফি, সিপাহ্সালার, ইসলাম প্রচারক ও স্থপতি। ১৪৪২ খ্রিস্টাব্দে ইলিয়াস শাহী বংশের নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। মাহমুদ শাহের রাজত্বকালে (১৪৪২-৬০ খ্রি.) খুলনা অঞ্চলে (যশোর-খুলনা) আবির্ভাব ঘটে খান জাহান আলীর। কথিত আছে, তিনি সুলতান নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সনদের মাধ্যমে সুন্দরবনের ভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে জনবসতি স্থাপন করেন। ড. এমএ রহিম লিখেছেন, ‘তিনি বঙ্গদেশে মুসলিম শাসন সম্প্রসারণ ও ইসলাম বিস্তারের ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রেখে গেছেন। সুলতানের প্রতিনিধি হিসেবে খান জাহান আলী বাগের হাট অঞ্চলে জনপদ সৃষ্টি করে "খলিফাত-্-আবাদ" নামকরণ করেন। জনপ্রবাদে তাঁকে আধুনিক খুলনা জেলার দুর্গম অঞ্চলগুলো জয়ের এবং ঐ এলাকাসমূহে আবাদি গড়ে তোলার কৃতিত্ব দান করে। তাঁর প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল খলিফাতাবাদ, যা বর্তমান বাগেরহাট জেলা। বাগেরহাটে খান জাহান আলীর যে খানকা গড়ে উঠেছিল, সেখানে প্রায় ৩০০ মসজিদ গড়ে ওঠে। ষাটগম্বুজ মসজিদ খান জাহান আলীর সবচেয়ে বিখ্যাত কীর্তি। মসজিদটি নামাজ আদায়ের পাশাপাশি খান জাহানের দরবার হিসেবেও ব্যবহার হতো। মসজিদটি ব্রিটিশ আমলে লর্ড কার্জনের এনসিয়েন্ট মনুমেন্টস প্রিজারভেশন অ্যাক্টের অধীনে সংস্কার করা হয়েছিল। এ অঞ্চলে মিঠা পানির অভাব ছিল বলে খান জাহান আলী অনেক পুকুর, দীঘি খনন করিয়েছিলেন। ৩৬০ সংখ্যাটি খান জাহান আলীর কিংবদন্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কথিত আছে, তাঁর ৩৬০ জন বিশ্বস্ত শিষ্য ছিলেনভ তাদের স্মৃতির স্মরনার্থে তিনি ৩৬০টি মসজিদ নির্মাণ এবং ৩৬০টি পুকুর খনন করিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, তখন বছর গণনা হতো ৩৬০ দিনে এবং এই সংখ্যাটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হতো। তাই হয়তো এ রকম কিংবদন্তি গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলসমূহ আয়ত্তাধীনে আনয়ন করার পর, তিনি লোকদের মধ্যে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।’ ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে সংগ্রহ করা স্থানীয় এক লোকগাথায় আছে, ‘খান জাহান আলী এ অঞ্চলে এসেছিলেন সুন্দরবনের জঙ্গলে আচ্ছাদিত জমি পুনরুদ্ধার ও চাষাবাদ করতে। তিনি সম্রাট অথবা গৌড়ের রাজার কাছ থেকে এ জমির জায়গীর পেয়েছিলেন। এবং সে অধিকারে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর কাচারির (দরবার) বিবরণী থেকে তাঁর এই অবস্থান ও বিরাট কর্মযজ্ঞের বিষয়টি বোঝা যায়। তিনি যে কর্মসম্পাদন করেছেন, সেজন্য শ্রমিকদের একটি বিরাট ফৌজ দরকার। এছাড়া এটাও জানা যায় যে, তিনি আবাদি জমির খাজনাও গ্রহণ করতেন। ...অনেকটা সময় তিনি বিরাট জমিদার হিসেবে কাটানোর পর জাগতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ফকিরের জীবন যাপন শুরু করেন’।” আজ এই আউলিয়ার ৫৫৯তম ওফাত দিবস। ১৪৫৯ সালের আজকের দিনে তিনি ষাট গম্বুজ মসজিদের দরবার গৃহে এশার নামাজ রত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক খান জাহান আলী(রঃ) ৫৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

(বাগের হাটের ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদ)
হযরত খানজাহান আলি (রঃ) ১৩৬৯ খ্রিষ্টাব্দে (জন্ম তারিখ অজ্ঞাত) দিল্লিতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আকবর খাঁ এবং মাতার নাম আম্বিয়া বিবি। হজরত খান জাহান আলী (রহ.)-এর প্রকৃত নাম উলুঘ খান। তাঁর উপাধি ছিল খান-ই-আযম, খান জাহান তার উপাধি বিশেষ। নাম দৃষ্টে ধারণা করা হয় যে তার পূর্বপুরুষগণ তুরস্কের অধিবাসী ছিলেন। বৃহত্তর যশোর-খুলনা অঞ্চলে তিনি পীর খাঞ্জালি নামে সমধিক পরিচিত। খানজাহান আলির প্রাথমিক শিক্ষা তার পিতার কাছে শুরু হলেও তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন দিল্লিস্থ বিখ্যাত ওয়ালি এ কামিল পির শাহ নেয়ামত উল্লাহর কাছে। তিনি কুরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও ফিকহ শাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞানার্জন করেন। খান জাহান আলী ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক সেনাবাহিনীতে সেনাপতির পদে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান সেনাপতি পদে উন্নীত হন। ১৩৯৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি জৈনপুর প্রদেশের গভর্ণর পদে যোগ দেন। পরবর্তী জীবনে নানা ধাপ পেরিয়ে জৈনপুর থেকে প্রচুর অর্থসম্পদ এবং প্রায় চল্লিশ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন। তার এই বাহিনীতে কয়েকজন সূফি ও প্রকৌশলী ছিল। তিনি তদানীন্তন বাংলার রাজধানীর দিকে না যেয়ে অজ্ঞাত কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের দিকে আসেন। তিনি প্রথম বর্তমান যশোর শহর থেকে ১১ মাইল উত্তরে অবস্থিত বারোবাজারে এসে ছাউনি ফেলেন। প্রাচীনকালে এই বারোবাজার গঙ্গারিডীর রাজধানী ছিল। খানজাহান আলীর আগমনে এই প্রাচীন নগরী নতুন করে প্রাণ লাভ করে। এখানে একটি দীঘি খনন করা হয় এবং নির্মিত হয় একটি মসজিদ। তবে এখানে তিনি বেশিদিন থাকেননি। কিন্তু তার স্মৃতি থেকে যায়। মসজিদটি খাঞ্জালি মসজিদ হিসেবে অভিহিত। বারোবাজার থেকে খান জাহান আলী মুরলিতে এসে অবস্থান করেন। তার বিশাল বাহিনীর আগমনে এখানেও একটি শহর গড়ে ওঠে। এখানেও তিনি অবস্থান করেননি। অনেক পথ সফর শেষে খান জাহান আলী সদলবলে বাগেরহাটে এসে স্থায়ী বসত স্থাপন করেন। নির্মাণ করেন ষাট গম্বুজ, নয় গম্বুজ মসজিদ। ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা আসলে ৭৭টি। এটা যেমন ছিল নামাজের স্থান, তেমনি ছিলেএকটি সেনানিবাস। তিনি এই বৃহৎ অঞ্চলে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। নোনা পানির এই অঞ্চলে মিঠা পানির ব্যবস্থা করেন অসংখ্য বিশাল বিশাল দীঘি খনন করে, যার অনেকই খাঞ্জালির দীঘি নামে পরিচিত। অনেক সুরম্য রাস্তা নির্মাণ করেন। তার নির্মিত রাস্তা খাঞ্জালির জাঙ্গাল নামে অভিহিত। তিনি এই অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা স্থাপন করেন।

(বাগেরহাটের খাঞ্জেলী দীঘির উত্তর পাড়ে হজরত খান জাহান আলী (রঃ) এর মাজার)
ব্যক্তিগত জীবনে হযরত খান জাহান আলীর দুইজন স্ত্রী ছিলো তবে তাদের কোন সন্তান ছিলোনা। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম সোনা বিবি। কথিত আছে সোনা বিবি ছিলেন খানজাহানের পির নুর-কুতুবুল আলমের একমাত্র কন্যা। খানজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী রূপা বিবি ওরফে বিবি বেগনি ধর্মান্তরিত মুসলমান ছিলেন। খানজাহান আলি তাঁর দুই স্ত্রীর নাম অনুসারে সোনা মসজিদ এবং বিবি বেগনি মসজিদ নামে মসজিদ নির্মাণ করেন। কোনো দলিল কিংবা প্রচলিত বিবরণীতে খান জাহান আলীর কোনো সন্তানের বিবরণ পাওয়া যায় না। এর কারণ হিসেবে প্রচলিত রয়েছে যে, তিনি নপুংসক ছিলেন। কথিত আছে তার দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, তখন একজন বিষ খেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্যজনও মারা যান। ইতিহাসবিদরা অনেকেই এই দুজন নারীকে খান জাহান আলীর স্ত্রী নয় বরং পরিচারিকা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁহার বিবাহিতা কোন স্ত্রী থাকিলে তাঁহার সমাধি খাঁ জাহানের সমাধির পার্শ্বেই দেখা যাইত, শহরের এক কোণে অতি হীনাবস্থায় একটি এক গুম্বজ মসজিদ দেখা যাইত না। হিজরি ১৪৩৬ সালের ২৬ জিলহজ আরবি তারিখের হিসাব অনুযায়ী হিজরি ৮৬৩ সালে হজরত খান জাহান আলী (রহ.) প্রায় ৯০ বছর বয়সে বাগেরহাটের নিজ বাড়িতে নামাজরত অবস্থায় এই নশ্বর দুনিয়া থেকে চিরস্থায়ী আবাসভূমিতে প্রস্থান করেন। ইংরেজি তারিখ মতে সেদিন ছিল ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ অক্টোবর। ২৬ অক্টোবর তাঁকে দাফন করা হয়। খাঞ্জেলী দিঘীর উত্তর পাড়ে তাঁর সমাধি সৌধ নির্মাণ করা হয়। খান জাহান আলী (রহ.)-এর মাজারের সামনেই রয়েছে বিশাল দীঘি। কিছুদিন পূর্বেও এই এই দীঘিতে বিশালাকারের কুমির ছিল। এই কুমির নিয়ে নানা ধরনের জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমার সময় খান জাহান আলীর মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হয় এবং লক্ষাধিক লোক তাতে সমবেত হয়। বর্তমানে মোড়ল বংশ তারই সবচেয়ে নিকটবর্তী বংশধর হিসেবে খুলনা ,রামপালসহ বিভিন্ন দেশ বিদেশ এ বসবাস করছে। আজ এই মহান সাধকের ৫৫৯তম ওফাত দিবস। সভ্যতার নির্মাতা হজরত খান জাহান আলী(রঃ) এর ওফাত দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 'খলিফাত-্-আবাদ' নামে থেকে আবার বাগেরহাট নামকরণ কিভাবে হলো জানতে কৌতূহল হচ্ছে। অজানা তথ্যগুলো জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

উনার কিছু কেরামত উল্লেখ করলে লেখা আরো সমৃদ্ধ হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সত্যপথিক শাইয়্যান আপনান মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
খলিফাত-আবাদ নামকরণ করা হলেও প্রাচীন নামকরণ বাগেরহাটই
রয়ে গেছে কালের পরিক্রমায়।
হযরত খান জাহানআলী (রঃ) এর বহু কেরামতির কথা আমাদের সকলেরই
কম বেশী জানা। তাই সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়নি।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ইসমত বলেছেন: আমার বাড়ি বাগেরহাটে। বেশ ভালো লিখেছেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইসমত
আপনার বাড়ি বাগেরহা্টে, অনেক বেশী
পূণ্য অর্জন করার সুযোগ পেয়েছেন আপনি।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: খান সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা।

আচ্ছা, জৈনপুর কোথায়??

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ পাঠকের প্রতিক্রিয়া
আমার জানা মতে ভারতের
উত্তর প্রদেশে অবস্থিত জৈনপুর।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার পবিত্র আত্মার প্রতি সম্মান ও সালাম

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য

+++

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগু'দা
পবিত্র আত্মর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

রাহে নাজাত বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রাহে নাজাত ভাই।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ততকালীন বাংগালীদের উনি কি কোনভাবে সাহায্য করেছিলেন বলে মনে হয়?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার লেখায় তার যথেষ্ঠ উল্লেখ আছে।
তিনি বাগেরহাটের বৃহৎ অঞ্চলে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। নোনা পানির এই অঞ্চলে মিঠা পানির ব্যবস্থা করেন অসংখ্য বিশাল বিশাল দীঘি খনন করে, যার অনেকই খাঞ্জালির দীঘি নামে পরিচিত। অনেক সুরম্য রাস্তা নির্মাণ করেন। তার নির্মিত রাস্তা খাঞ্জালির জাঙ্গাল নামে অভিহিত। তিনি এই অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা স্থাপন করেন।
বাকীটা আপনাকে হোম ওয়ার্ক দেওয়া হলো।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খান জাহান আলী(রঃ) মসজিদ নির্মান ছাড়া আর কিছুই করেন নি?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার মনে হয় গাজীসাবকে দেওয়া মন্তব্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে।
একটু মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়বার অনুরোধ করা হলো।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: খান ই জাহান এর স্ত্রী সম্মন্ধে জানা ছিল না বা এখনো জানিনা।

পীর সাহেবের দুটো কুমির পোষা ছিল, ধলা পাহাড়, কালা পাহাড়। দীঘিতে জেলে দের অবৈধ মাছ শিকারের জন্য প্রথমে একটা মারা গিয়েছিল, কারেন্ট জালে। অন্যটা স্বাভাবিক ভাবেই মারা গিয়েছিল। আমি একটা দেখেছি অনেক ছোট থাকতে।
বিগত বিএনপির আমলে ইন্ডিয়া থেকে সম্ভত ছয়টা এনে পুনরায় দীঘিতে ছাড়া হয়। এখন মনে হয় বাচ্চা কাচ্চা সহ আরো বেশি হবে।
পীর সাহেবের পোষা গুলো কখনো হিংস্র ছিল না।মানুষ গোসল করত কুমিরের পাশে। কিন্তু পরের গুলো অনেক মানুষের জীবন নিয়েছে। এমন কি দীঘিতে খাচা ও বানাতে হয়েছিল গোসলের জন্য।।

বাগেরহাট

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে আবু তালেব ভাই,
খান-ই-জাহান এর স্ত্রী সম্পর্কে আগে না
জানলেও এখন আর জানেন না, তা বলা
যাবেনা। তার ২ জন স্ত্রী ছিলো।
তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম সোনা বিবি। কথিত আছে সোনা বিবি ছিলেন খানজাহানের পির নুর-কুতুবুল আলমের একমাত্র কন্যা। খানজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী রূপা বিবি ওরফে বিবি বেগনি ধর্মান্তরিত মুসলমান ছিলেন। খানজাহান আলি তাঁর দুই স্ত্রীর নাম অনুসারে সোনা মসজিদ এবং বিবি বেগনি মসজিদ নামে মসজিদ নির্মাণ করেন।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: খান ই জাহানের মাজার এখন ফকিরদের ব্যবসায় রমরমা। পবিত্র স্হান কে ওরস,মেলা,গানবাজনা, গাজা, নারী পুরুষের একত্রে বেহায়াপনা অপবিত্র। যেটার আসলে সমাধান হয়নি বা কেউ করেনি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তালেব ভাই
কেউ মদ বিক্রি করে দুধ খায় আবার
কেউ দুধ বিক্রি করে মদ। এতে দুধেরই কি দোষ
মদেরই বা কি দোষ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.