নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রিকালদর্শী বিপ্লবী রাজনৈতিক নেতা ফণিভূষণ মজুমদারের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪


অগ্নিযুগের বিপ্লবী ফণিভূষণ মজুমদার। ফণিভূষণ মজুমদার ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ বিপ্লবী রাজনৈতিক নেতা।ব্রিটিশ-ভারত, পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশ; এই ত্রিকালজুড়ে রাজনৈতিক ভুবনে প্রবল পদচারণা ছিল তার। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত প্রায় সকল বিপ্লবী ও রাজনৈতিক নেতার সংস্পর্শে আসেন। তিনি বিপ্লবী পূর্ণ চন্দ্র দাস, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মহারাজ ত্রৈলক্ষ্যনাথ চক্রবর্তী, মাষ্টারদা সূর্যসেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, পঞ্চানন চক্রবর্তী, সন্তোষ কুমার মিত্র, মুজাফফর আহম্মদ, মহাত্মা গান্ধী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখের সহকর্মী হিসেবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে সব মিলিয়ে সর্বমোট ৩২ বছেরেরও অধিককাল তাঁকে কারান্তরীণ থাকতে হয়। কেবলমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র উপমহাদেশে রাজবন্দী হিসেবে জেল খাটার এ এক অনন্য নজির। তিনি যে সময়ে জন্ম গ্রহণ করেন তখন বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠে। বস্তুতঃ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাংলায় বিপ্লববাদের বিকাশ ঘটে। এসব বিপ্লবী সংগঠনের মধ্যে অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর গোষ্ঠীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উক্ত সংগঠন দু’টির শাখা-প্রশাখা বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিস্তৃত হয়। ‘বাংলার চিতোর’ বলে পরিচিত মাদারীপুরে এসব সংগঠনের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে ফণিভূষণ মজুমদার যুগান্তর গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলেও অনুশীলন সমিতির নেতাদের সাথে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। উদ্দাম ছন্দে বহমান আড়িয়াল খাঁ নদীটি যে মাদারীপুরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতীক ছিল তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল ফণিভূষণ মজুমদারের চিন্তা-চেতনায়। ফণিভূষণ মজুমদার এমনই একজন দুঃসাহসী যুবক ছিলেন যার ফলে তখনকার বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনের ভিতর সেতুবন্ধ রচনায় সক্ষম হয়েছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক শাসনামলে দীর্ঘদিন ফণিভূষণের সাথে জেলখানায় ছিলেন স্বনামখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত। ১৯৮১ সালের মারাত্মকভাবে হৃদরোগাক্রান্ত হয়ে অনেকটা হঠাৎ করেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ফণিভূষণ মজুমদারের মতো ত্যাগী, নিরহঙ্কারী, সৎ, নিষ্ঠাবান, আত্মপ্রচারবিমুখ, আদর্শবান, নির্ভীক এবং দেশ ও জনদরদি এক মহান বিপল্গবী জননেতার অভাবের কথা আজও বারবার স্মরণ করি আমরা। আজ তার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ত্রিকালদর্শী বিপ্লবী ফণিভূষণ মজুমদারের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯০১ সালে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা সতীশচন্দ্র মজুমদার। ফণীভূষণ মজুমদার মাদারীপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, বাঁকুড়া কলেজ থেকে আইএসসি এবং কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি কলকাতা রিপন কলেজ থেকে ল’ ডিগ্রি লাভ করেন। ফণীভূষণ মজুমদার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯১৯ সালে বিপ্লবী পূর্ণ চন্দ্র দাসের সাহচর্যে গুপ্ত সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে ফণিভূষণ মজুমদারের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। এরপর একে একে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাষ্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া, ১৯৩৯ সালে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিতকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করা, ১৯৪০ সালে নেতাজীর নেতৃত্বে ‘ফরওয়ার্ড ব্লুক’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন এবং এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘বেঙ্গল ফরওয়ার্ড ব্লুক’ নামে প্রকাশিত পত্রিকার ম্যানেজার পদে নিযুক্তি, ঐ বছরই নেতাজীর নেতৃত্বে হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলন ইত্যাদি রাজনৈতিক ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে সফলভাবে তিনি অংশগ্রহণ করেন। নিজ জন্মস্থান মাদারীপুরে ফণিভূষণ মজুমদার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর এক পর্যায়ে সেখানেই ১৯৪৮ সালে তখনকার টগবগ তরুণ্যে উদ্বেলিত উদীয়মান রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা ও সরাসরি পরিচয় ঘটে। ১৯৪৯ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ফণিভূষণকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে পূর্ববাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়ান। ঐ বছরই পাকিস্তান সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর জেলে প্রেরণ করে। কিছুদিনের মধ্যে পাকিস্তাানিরা বঙ্গবন্ধুকেও গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর জেলেই প্রেরণ করে। বঙ্গবন্ধু এবং ফণিভূষণ এই জেলের একই কক্ষে দুই বছর রাজবন্দী হিসেবে অবস্থান করেন। এ সময়ে এই দুই মহান দেশপ্রেমিক বাঙালি নব্য পাকিস্তানি উপনিবেশ থেকে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। ১৯৭১সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত সরকারের দেয়া প্রথম অস্ত্র চালানটি ফণিভূষণের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। তিনি মুজিবনগরে স্থাপিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ফণিভূষণ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটির সদস্য, যশোর-ফরিদপুর সেক্টরের চেয়ারম্যান এবং ঐ সময়ে ভারতে বাঙালি আশ্রিত ১১টি শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। তিনি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনকল্পে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী বর্ণনা করেন। ভারতীয় পার্লামেন্টের যুক্ত অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে তিনি এক হৃদয়স্পর্শী ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিষদ বর্ণনা তুলে ধরেন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে তিনি জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার সপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনকল্পে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হওয়ার পরপরই ফণিভূষণ সরাসসি ঢাকায় চলে আসেন। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পূর্বক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন করেন। তিনি ফনিভূষণকে খাদ্য এবং বেসামরিক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রিসভার পূর্বতন দায়িত্বলাভ করেন। এ সময় তিনি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান প্রভৃতি দেশ ভ্রমণপূর্বক যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহার্থে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৪ সালে ষড়যন্ত্রমূলক ও কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ফণিভূষণ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

১৯৮১ সালে যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাঁকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিশেষ মাত্রার আবহ বিরাজমান ছিল। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন তখন বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারী এবং সামরিক-স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুর রোষানলে নিপতিত। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী মূল রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা দিশেহারা, ঘরছাড়া এবং শত-শত ছিলেন কারান্তরীণ। ফণিদাকেও ১৯৭৭ সালে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারপূর্বক কারাগারে নিক্ষেপ করে সামরিক-স্বৈরাচার। তবে এক বছরের অধিক সময় পর হাইকোর্টের আদেশবলে ১৯৭৮ সালে তিনি মুক্তিলাভ করেন। জেলের ভিতরে কি বাইরে, সে সময়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম মূল নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদকে। পিপিআর-এর অধীনে সীমিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দেখভাল করা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে কমিটি গঠন, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন- এসবের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডে ফণিভূষণ মজুমদারের ইতিবাচক ভূমিকা নিজ দলের ভিতরে এবং দলীয় গণ্ডি পেরিয়ে তাঁকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করে তুলে। ফলে চিকিৎসারত ফণিভূষণের প্রতি চিকিৎসকদের পূর্ণমাত্রায় বিশ্রামের কঠোর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ নম্বর কেবিন হয়ে ওঠে তৎকালীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীর্থভূমি। দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের সভা অনুষ্ঠানসহ তত্কালীন রাষ্ট্র ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সশরীরে খোঁজ-খবর নেয়া, দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক প্রমুখের ভিড় লেগেই থাকতো তাঁর শয্যাপাশে। ফণিভূষণের বয়স উনআশি বছর হওয়া সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক গঠন, মনের জোর এবং রোগশয্যায় রাজনৈতিক কর্মতত্পরতা দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি তিনি সহসাই না ফেরার দেশে চলে যাবেন, বরঞ্চ তিনি সুস্থ্য হয়ে সবার মাঝে ফিরে এসে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু করবেন- এটাই ছিল সকলের প্রত্যাশা। কিন্তু ঐ বছর (১৯৮১ সালের) ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪০মিনিটে মারাত্মকভাবে হূদরোগাক্রান্ত হয়ে অনেকটা হঠাৎ করেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জনপ্রিয় এই বিপ্লবী ও সর্বত্যাগী জননেতার মৃত্যুতে সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর পরে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ জীবনাচার নিয়ে একাধিক শোক ও স্মরণসভা আয়োজিত হয়। বিদুষী কবি বেগম সুফিয়া কামালকে সভাপতি এবং প্রথিতযশা সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় ‘ফণিভূষণ মজুমদার স্মৃতি সংসদ’। ফণীভূষণ মজুমদারের মতো ত্যাগী, নিরহঙ্কারী, সত্, নিষ্ঠাবান, আত্মপ্রচারবিমুখ, আদর্শবান, নির্ভিক এবং দেশ ও জনদরদী এক মহান বিপ্লবী জননেতার অভাবের কথা আজও বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। তাইতো মৃত্যুর পরেও তিনি যুগ-যুগ বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্তৃক সাধনকৃত মহান সব কর্মগুণের মাঝে। বিপ্লবী ফণিভূষণ মজুমদারের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

হাবিব বলেছেন:

নূর ভাই প্রিয়তে রাখিলাম। পরে পড়ে নিবো।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ স্যার,
প্রীত হরাম প্রিয়তে রাখার জন্য।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাত্র ত্রিকাল? আরো ২/১ কাল যোগ করলে, ফনী বাবুর ওজন বাড়তো!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আশা করি আপনার বেলায়
আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবো।
ততদিন নিরাপদে থাকুন, ছোক ছোক করিবেন না
মুরগী ছানা দেখে !!

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আশা করি আপনার বেলায় আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবো। "

-সবই সম্ভব, ভালো খাওয়া দাওয়া করেন, নিয়মিত ব্যায়াম ট্যায়াম করেন, টেনশন কম করেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজের দেশে কাজ করে খাই
পরবাসী হয়ে তৃতীয় শ্রেণির
মর্যাদা চাইনা।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সারাদিন অফিসের কাজ করে এই রকম পোষ্ট লেখার সময় কই পান। এই রকম একটা পোষ্ট তৈরি করতে অনেক সময় লাগে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যথার্থই বলেছেন রাজীব ভাই
ইতিহাস নির্ভর পোস্ট তৈরী করতে
যথেষ্ঠ সময় প্রয়োজন হয়। তাই
একটা লেখা সম্পূর্ণ করে পোস্ট করার
পরে অন্যদের লেখা পড়ার সময় করতে
পারিনা। এ কারণে অনেকে উষ্মা প্রকাশ
করেন। আপনার বোঝার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.