নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯


বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী। বিশ শতকের মধ্যভাগে প্রাঞ্জল ভাষায় প্রবন্ধ রচনা করে যাঁরা খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি ছিলেন মুসলিম কৃষ্টি ও সমাজজীবনের একজন ব্যাখ্যাকার এবং একজন আদর্শবাদী সাহিত্যিক। নিজ সাধনায় অর্জিত প্রজ্ঞাবলে উন্নতমানের জীবনী, নকশা, সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রভৃতি রচনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। দু শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের লেখক ওয়াজেদ আলীর জীবৎকালে প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা খুবই কম। ছোট ও মাঝারি আকারের জীবনী, অনুবাদ ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর আটটি গ্রন্থ পাওয়া যায়। সেগুলি হলো মরুভাস্কর, স্মার্ণানন্দিনী (অনুবাদ), ছোটদের হজরত মোহাম্মদ, কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মোহাম্মদ আলী, ডন কুইজসোটের গল্প, মহামানুষ মুহসিন ও সৈয়দ আহমদ। এগুলির মধ্যে মরুভাস্কর ও স্মার্ণানন্দিনী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি বাংলা একাডেমী থেকে তাঁর রচনাবলির অংশবিশেষ দুখন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াজেদ আলী প্রথম দিকে ইংরেজিতেও কিছু প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তিনি খুব পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও যুক্তিবাদী মন নিয়ে সবকিছুর বিচার করতেন। সহজ সরল প্রকাশভঙ্গি তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। তিনি মুসলিম সমাজের নানা দোষত্রুটি, নতুন রাজনৈতিক পটভূমিতে সমাজ ও জীবন বিকাশের ধারা এবং ভাষা ও সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সমকালীন পত্র-পত্রিকায় বহু মূল্যবান প্রবন্ধ রচনা করেন। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী সরকারি চাকরি পরিত্যাগ করে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সমাজসেবাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম সমাজের নানা দোষত্রুটি, নতুন রাজনৈতিক পটভূমিতে সমাজ ও জীবন বিকাশের ধারা এবং ভাষা ও সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সমকালীন পত্র-পত্রিকায় বহু মূল্যবান প্রবন্ধ রচনা করেন। তিনি যুক্তিবাদী মন ও পরিচ্ছন্ন চিন্তার অধিকারী ছিলেন। কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে ছাত্র থাকাকালীন তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান। এরপর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি মাসিক মোহাম্মদী, দৈনিক মোহাম্মদী, দৈনিক সেবক, সাপ্তাহিক সওগাত, সাপ্তাহিক খাদেম, ইংরেজি দি মুসলমান ইত্যাদি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেনআজ তার ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৫৪ সালের আজকের দিনে স্বগ্রামেই তাঁর মৃত্যু হয়। সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ১৮৯৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুনশি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ছিলেন একজন পল্লিচিকিৎসক। তাঁর ডাক্তারখানায় সংবাদপত্র পাঠ ও নানা বিষয়ে বিতর্ক চলত। এসব বিষয় কিশোর ওয়াজেদ আলীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। এ থেকেই ভবিষ্যৎ জীবনে একজন সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর মধ্যে দৃঢ়মূল হয়। ওয়াজেদ আলীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাঁশদহের মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে। স্থানীয় বাবুলিয়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ এন্ট্রান্স পাস করার পর তিনি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে এফএ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু মওলানা আকরাম খাঁর প্রভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে তিনি পরীক্ষার পূর্বে কলেজ ত্যাগ করেন এবং ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। দুই শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের লেখক ওয়াজেদ আলীর জীবৎকালে প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা খুবই কম। ছোট ও মাঝারি আকারের জীবনী, অনুবাদ ইত্যাদি মিলিয়ে তার ৮টি গ্রন্থ পাওয়া যায়। এগুলো হলঃ ১। মরুভাস্কর, ২। স্মার্ণানন্দিনী (অনুবাদ), ৩। ছোটদের হজরত মোহাম্মদ (সাঃ), ৪। কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ৫। মোহাম্মদ আলী, ৬। ডন কুইজসোটের গল্প, ৭। মহামানুষ মুহসিন ও ৮। সৈয়দ আহমদ। এগুলোর মধ্যে মরুভাস্কর ও স্মার্ণানন্দিনী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলা একাডেমি থেকে তার রচনাবলির অংশবিশেষ দুইখণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৩৫ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি কলকাতা ছেড়ে নিজ গ্রাম সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৪ সালের ৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। সর্বজন শ্রদ্ধেয় লেখক ও সাংবাদিক জনাব মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম এই সাংবাদিক সম্পর্কে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যথাসময়ে এই সমস্ত ব্যাক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: রাজীব নুর স্যারের সাথে আমি একমত।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.