নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খ্যাতিমান বাংলাদেশী গীতিকার মাসুদ করিমের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকেতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪


গীতিকার মাসুদ করিম বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। ‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা’, ‘শত্রু তুমি বন্ধু তুমি’, ‘তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছ মানুষ কিনা’, ‘কিছু বলো, কিছু বলো’, ‘তন্দ্রা হারা নয়নও আমার’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাব’ এসব হৃদয়ছোঁয়া গানের স্রষ্টা গীতিকার মাসুদ করিম। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের জন্য গান রচনা শুরু করেন। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে তিনি চলচিত্রের জন প্রচুর গান লিখেছেন। রচনা করেছেন অনেক গীতি নকশা, যার মধ্যে অন্যতম স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে গানের অনুষ্ঠান, ঈদের অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ১৯৮২ সালে ‘রজনীগন্ধা’ এবং ১৯৯৪ সালে ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ ছবির গানের জন্য গীতিকার মাসুদ করিম শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দুইবার। গীতিকার মাসুদ করিম চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। তার প্রযোজিত ছবিগুলো- ‘অচেনা অতিথি’, ‘ওয়াদা’, এবং ‘ভালো মানুষ’। দেশ বিদেশের অনেক খ্যাতিমান সুরকারেরা তার রচিত গানে সুর দিয়েছেন এবং বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীরা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ নবেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়েলে খ্যাতিমান এ গীতিকার মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। খ্যাতিমান গীতিকার মাসুদ করিমের মৃত্যুবার্ষিকেতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

গীতিকার মাসুদ করিম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার দুর্গাপুর কাজীপাড়ায় ১৯৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা রেজাউল করিম ছিলেন একজন সরকারী চাকরিজীবী, মা নাহার গৃহিনী। মাসুদ করিমের সহধর্মিনী দিলারা আলোও একজন সুনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী। বাংলাদেশ রেডিও ও টিভিতে তিনিও কয়েক যুগ ধরে সংগীত পরিবেশন করে এসেছেন। মাসদু করিম প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেডিও’তে। কয়েক বছর চাকরি করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের সেক্রেটারি হিসেবে। মাসুদ করিম গান লিখতে শুরু করেন ১৯৫৫ সাল থেকে। তাঁর গানের সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে কিছু প্রিয় গান গুণী শিল্পীরা গেয়েছেন। বশীর আহমেদের কণ্ঠে-‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা’, আব্দুল জব্বারের কন্ঠে-‘শত্রু তুমি বন্ধু তুমি’, খুরশিদ আলমের কন্ঠে- ‘তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছ মানুষ কিনা’, সৈয়দ আব্দুল হাদীর কন্ঠে- ‘কিছু বলো, কিছু বলো’, মুহাম্মদ আলি সিদ্দিকীর কন্ঠে-‘বাঁশি বাজে ওই দূরে, হাসিনা মমতাজের কন্ঠে-‘তন্দ্রা হারা নয়নও আমার, ফেরদৌসী রহমানের কন্ঠে- ‘দুটি চোখে চোখ রেখে’। রুনা লায়লার কন্ঠে- ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাব’, 'যখন আমি থাকবো নাকো' 'আমি সুজন দেখে ভাব করেছি', শাহনাজ রহমতুল্লার কন্ঠে-‘ওই আকাশ ঘিরে সন্ধা নামে’, মাহমুদুন্নবীর কন্ঠে-‘সঙ্গীতা যদি ডাকি’,‘বাতাসে তোমার সংলাপ শুনি’, ‘তোমরা যারা আজ আমাদের’, সাবিনা ইয়াসমিনের কন্ঠে-‘আমি রজনী গন্ধ ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘সন্ধারও ছায়া নামে’, ‘সামিনা নবীর কন্ঠে- ‘বেইমান বাঁশি, দিলারা আলোর কন্ঠে- ‘জোনাক জোনাক রাত, আনোয়ার উদ্দিনের কন্ঠে-‘যদি নীল সাগরের মুক্ত তুমি চাও, মাকসুদের কন্ঠে- ‘ঘর ছেড়েছি দুজনে, শুভ্র দেবের গাওয়া ' যে বাঁশি ভেঙে গেছে’ এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার মাসুদ করিম। প্রখ্যাত গজলসম্রাট মেহেদি হাসান, ভারতের শ্যামল মিত্র, ভূপেন হাজারিকা, ঊষা উত্থুপ, কুমার শানু, অনুরাধা পাড়োয়াল, উদিত নারায়ণও তাঁর লেখা গান করেছেন।

১৯৯৬ সালের ১৬ নবেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়েলে খ্যাতিমান এ গীতিকার মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। মাসুদ করিম আজ নেই, কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন তাঁর সৃষ্টিকর্মে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই তাঁর গান সম্পর্কে জানে না। সে কারণে মাসুদ করিমের স্ত্রী প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী দিলারা আলো তাঁর লেখা গানগুলো সংগ্রহের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাসুদ করিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর স্ত্রী কন্ঠ শিল্পী দিলারা আলো,তার ছেলে ও তিন মেয়ে মিলে গঠন করেছেন ‘মাসুদ করিম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’। এই মহৎ প্রাণ গীতিকার এর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাদের এই আন্তরিক প্রয়াস হিসাবে শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, গীতিকারদের মাসুদ করিম অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। খ্যাতিমান গীতিকার মাসুদ করিমের মৃত্যুবার্ষিকেতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মাদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

সাহিদুর রহমান তুর্য বলেছেন: খ্যাতিমান এই গীতিকারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: খ্যাতিমান, চোর, ডাকাত, বিখ্যাত, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ সনাইকেই মরতে হয়।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: খ্যাতিমান, চোর, ডাকাত, বিখ্যাত, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ সনাইকেই মরতে হয়। কিন্তু যারা ভালো। ভালো কাজ করেন তাদের মৃত্যুর পর আমরা তাদের স্মরন করি শ্রদ্ধা ভরে।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: খ্যাতিমান, চোর, ডাকাত, বিখ্যাত, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ সনাইকেই মরতে হয়। কিন্তু যারা ভালো। ভালো কাজ করেন তাদের মৃত্যুর পর আমরা তাদের স্মরন করি শ্রদ্ধা ভরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.