নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজ গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক এবং শান্তি কর্মী জন লেননের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১


পপ গানের এক কিংবদন্তি শিল্পীর নাম জন লেনন। পুরো নাম জন উইনস্টন লেনন। তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক এবং শান্তি কর্মী। জন লেনন জনপ্রিয় ব্যান্ড দ্য বিটলস এর প্রতিষ্ঠাতা। লেনন ও পল ম্যাককার্টনি যৌথভাবে বিটলস ও অন্যান্যদের জন্য গান লিখতেন যা বানিজ্যিক ভাবেও বেশ সফল ছিল। তিনি নিরীক্ষামূলক অনেক গান গেয়েছেন। ছোট বয়স থেকে আঁকাআঁকিতে ঝোঁক ছিল জনের। স্কুলের শিক্ষকরাও তার আর্ট দেখে মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতেন। আর তাই সতেরো বছর বয়সে লিভারপুল আর্ট কলেজে ভর্তি হতে দু’বার চিন্তা করেননি জন। তখন তিনি এলভিস প্রিসলের গানের ভক্ত। বন্ধুদের নিয়ে একটা গানের দল খুলেছেন, ম্যাথু স্ট্রিটের ক্যাভার্ন ক্লাবে তখন জন আর তার বন্ধুরা গান করতেন। তিনি ভালবাসেন গান গাইতে। কোনো শিক্ষকের কাছে তার প্রাতিষ্ঠানিক গান শেখা হয়নি। মাউথ অর্গান বাজাতে পারতেন অসাধারণ। প্রতি বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি এডিনবরাতে তার মাসির বাড়ি যেতেন। তখন লিভারপুল থেকে এডিনবরা গোটা রাস্তা তিনি বাসের জানালার ধারে বসে মনের আনন্দে মাউথ অর্গান বাজাতেন। জন লেনন তার জনপ্রিয়তাকে শান্তি কর্ম, শিল্প কর্ম ও লেখায় কাজে লাগিয়েছেন। ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর। গানের জগতে অভিশপ্ত এক রাত। রাত শেষ না হতেই দাবানলের মতো দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন জন লেনন। ডেইলি মিরর বড় করে হেডলাইন ছাপালো ‘ডেথ অব আ হিরো‘। টাইম পত্রিকা লেননকে বর্ণনা করলো কবি বলে।বরফ ঝরা সেই শীতের রাতে টরন্টো শহরে লেননের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ৩৫,০০০ যুবক-যুবতী মোমবাতি জ্বালালেন। আজ শান্তি কর্মী এই গায়কের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক এবং শান্তি কর্মী জন লেননের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জন লেনন ১৯৪০ সালের ৯ অক্টোবর লিভারপুলের লিভারপুল মাতৃসদন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলফ্রেড ফ্রেডি লেনন এবং মাতা জুলিয়া লেনন। ব্রিটেনের জাতীয় নেতা উইনস্টন চার্চিলের প্রথম নামটিই জুলিয়া তার পুত্রের জন্য বেছে নেন। মা আদর করে সন্তানের নাম রাখলেন জন উইনস্টন লেনন। জুলিয়া তখনও জানতেন না, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে জন্মেছে যে শিশু, একদিন সে গান গেয়ে সারা পৃথিবীর জনগণকে উদ্দীপ্ত করে তুলবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে। গিটারের ঝংকারে গেয়ে উঠবে ‘ গিভ পিস আ চান্স’, ‘ইমাজিন’ বা ‘পাওয়ার টু দা পিপল’ এর মতো গান। মাত্র ১৮ বছর বয়সে মাতৃহারা হন জন। এই দুঃসহ পরিস্থিতিতে গানকেই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন করে নিলেন তিনি। সাথে ছিল তার দুই অন্তরের বন্ধু পল ম্যাককার্টনি আর জর্জ হ্যারিসন। তারাও লিভারপুলের ছেলে। জন পড়তেন কেয়ার ব্যাক স্কুলে, অন্য দুজন লিভারপুল ইনস্টিটিউটে। জর্জ গিটার বাজান, পল আর জন দুজন মিলে গান লেখেন। ড্রাম বাজায় জনি হাচ বলে আর একটি ছেলে। কয়েক মাসের মধ্যে এই চারজন কিশোর তৈরি করল এক গানের দল, নাম ‘কোয়ারিম্যান’; লেনন, ম্যাককার্টনি আর জর্জ হ্যারিসনের তৈরি প্রথম গ্রুপ। দু’বছর পর এই কোয়ারিম্যান দল গান গাইতে গেল জার্মানির হ্যামবুর্গে। ততদিনে ড্রামার হিসেবে হ্যাচ আর নেই, দলে এসেছে রিঙ্গো স্টার নামের এক তরুণ। সময়ের সাথে সাথে কোয়ারিম্যান নামটাও পালটে গেছে। ১৯৬০ সালেই কোয়ারিম্যান নাম বদলে দলের নাম রাখা হলো ‘বিটলস্’।জনের বাবা ফ্রেডি লেনন ছিলেন জাহাজের এক নাবিক। পুত্রের জন্মের আগেই কর্মসূত্রে জাহাজে করে পিতাকে পাড়ি দিতে হয়েছিল অন্য দেশে। এরপর থেকেই তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কুড়ি বছর পর হঠাৎই একদিন ছেলের সামনে উপস্থিত হন ফ্রেডি। ইংল্যান্ডব্যাপী যখন বিটলম্যানিয়া শুরু হয় তখন আবার পিতা-পুত্রের মিলন ঘটে। শোনা যায়, যে জাহাজে করে তিনি যাচ্ছিলেন সেটি শত্রু দেশের হাতে পড়েছিল। ফলে তাকে কয়েক বছর কারাগারে কাটাতে হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সন্তানের মুখ দেখতে ফিরে আসেন হতভাগ্য পিতা। এদিকে স্বামী নিরুদ্দেশ, একমাত্র সন্তানকে পালনে জুলিয়ার বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। জনের যখন চার বছর বয়স, জুলিয়ার সাথে ফ্রেডির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জুলিয়া সংসার পাতেন অন্য এক পুরুষের সাথে। জুলিয়ার বোন মিমি ও তার স্বামী জর্জের কোনো সন্তান ছিল না। মিমি বেশ আদরেই এই সদ্যজাত শিশুটিকে তার কাছে এনে রাখলেন। মা জুলিয়া স্বভাবে ছিলেন একেবারেই মিমের উলটো পিঠ। মিমি স্নেহশীলা হলেও কঠোর নিয়মানুবর্তী। জুলিয়া হাশিখুশি, আমোদ প্রমোদে থাকতে ভালবাসেন। কোনো নিয়মশৃঙ্খলায় বাঁধা থাকতে পছন্দ করেন না। মিমির স্নেহ, ভালবাসা ও যত্নে দুরন্ত শিশুটি আস্তে আস্তে বেড়ে উঠতে থাকে। তাকে ভর্তি করে দেওয়া হলো ডোভডেল প্রাইমারি স্কুলে। ছোট্ট বয়স থেকেই জন ভীষণ দুরন্ত, সমবয়সী ছেলেদের সাথে সবসময় তার মারপিট লেগেই থাকে। বারো বছর বয়সে ডোভডেল প্রাইমারি স্কুল ছেড়ে জনকে ভর্তি করানো হয় কেয়ারি ব্যাক স্কুলে। কিন্তু স্বভাবে তার খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। আন্টি মিমিকে ছাড়া আর একজনকেই সে বেশ ভালবাসে। তিনি আর কেউ নন, জনের মা জুলিয়া লেনন। দ্বিতীয় বিয়ে করলেও জনের সাথে কখনোই তার সম্পর্কের ছেদ ঘটেনি। প্রায় সময় তিনি জনকে দেখতে মিমির বাড়িতে আসতেন। ছেলের আবদার মেটাতেন খুশি মনেই। জনের মা-বাবা দুজনেই ভালো ব্যাঞ্জো বাজাতে পারতেন। জুলিয়া ছেলেকে খুব অল্প বয়সেই ব্যাঞ্জো বাজাতে শেখান। কিন্ত ছেলের নেশা অন্য একটি যন্ত্রে। মা জুলিয়ার কাছে সেটি কেনার আবদার করেন জন। জুলিয়া ছেলের সেই আবদার রেখেছিলেন। মায়ের কাছে আবদার করা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্টটি ছিলো একটি গিটার। লেননের জীবনের প্রথম গিটার কিনে দিয়েছিলেন তার মা জুলিয়া।

১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে সিনথিয়া পাওয়েলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জন। ১৯৬৩ সালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। জন তার মায়ের নামে সন্তানের নাম রাখেন জুলিয়ান লেনন। কিন্তু সিনথিয়ার সাথে জনের বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৬৪ সালেই বিটলস্ মন জয় করে নেয় আমেরিকার শ্রোতাদের। ১৯৬৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছলো বিটলস। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ব্যান্ডের সদস্যরা পেলো বিশাল সম্বর্ধনা। দু’দিন পর টিভি শো। ৭৪ মিলিয়ন দর্শক দেখেছিল সেই শো। আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বিক্রির রেকর্ড সেবার ‘আই ওয়ান্ট টু হোল্ড ইউর হ্যান্ড’, লেনন-ম্যাককার্টনির অমর সৃষ্টি। হিথ্রো বা ফ্রাঙ্কফুর্ট, সর্বত্র এয়ারপোর্টে এই তরুণদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে কাতারে কাতারে উৎসুক জনতা। ১৯৬৫ সালের ১২ জুন। তখনও লেননের বয়স পুরোপুরি পঁচিশ হয়নি। সঙ্গীতের সব আগল ভেঙে দিয়েছেন পঁচিশ বছরের এই যুবক। মহারানীর তরফ থেকে বিটলসের সদস্যদের দেওয়া হয় এমবিই মেডেল। তখন বিটলস্ মানেই লেনন, লেনন মানেই একটা যুগ। ভিয়েতনামের যুদ্ধে আমেরিকাকে ব্রিটেনের সমর্থনের প্রতিবাদে চার বছর পরে লেনন তার মেডেল মহারানীকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে। ১৯৬৯ সালের ২০ মার্চ জন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন ধনী জাপানি পরিবারের মেয়ে ওকো ওনো-কে। ওকো ওনো ছিলেন মূলত আভা গার্ড পেইন্টার এবং মানবতাবাদী পলিটিক্যাল অ্যাকটিভিস্ট। তাই লেননের সাথে সম্পর্কে জড়াতে খুব একটা দেরী হয়নি ওকো ওনোর। দুঃর্ভাগ্যজনক ভাবে ১৯৭৩ সালে ওকো ওনোর সাথে জনের সম্পর্কের ছেদ পড়লে তারা কিছুদিন আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন তবে ১৯৭৫ এ এসে তারা নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে সক্ষম হন, আবার একত্রে বসবাস করতে থাকেন। এ সময় জন্ম নেয় তাদের একমাত্র সন্তান সিন লেনন। এ সময় লেনন পরিবার স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে থাকেন। হ্যামবুর্গের সফলতার পরে আর তাদেরকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্যাভার্ন ক্লাব থেকে শুরু করে বিবিসি রেডিও, পার্লোফোন রেকর্ড, টেলিভিশন- সর্বত্র শুধু বিটলস্ আর বিটলস্। স্কাউজ উচ্চারণে গান গাওয়া লিভারপুলের সেই অদম্য তরুণ। ‘টপ টেন চার্ট’ মানেই বিটলস্। ২০০৪ সালে রোলিং স্টোন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পঞ্চাশজন শিল্পীর তালিকায় লেননকে ৩৮তম অবস্থানে স্থান দিয়েছিল এবং তার প্রতিষ্ঠান দ্য বিটলসকে এক নম্বরে রেখেছিল।

গায়ক ও গীতিকার পরিচয় ছাপিয়ে লেনন ছিলেন একজন আলোকিত জিজ্ঞাসু মানুষ-যিনি বিশ্বাস করতেন: স্বর্গ-নরকে বিশ্বাস অমূলক, মানুষকে বাঁচতে হবে বর্তমানে আর যুদ্ধ করা অনুচিত, কেননা, মানুষের প্রয়োজন কেবলি ভালোবাসা। তার এই বিশ্বাসই লেননের মৃত্যু কারণ হয়ে উঠেছিল। মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যান নামক এক আততায়ীর হাতে মারা যান লেনন। চ্যাপম্যান ছিলেন বিটলসের বড় ফ্যান। নিউ ইয়র্কে প্রিয় শিল্পী জন লেননের খোঁজ পেয়ে সেখানে চলে যায় সে। হোটেল ভাড়া করে কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করে। লেননের গান ভালোবাসলেও তাঁর একটি সমালোচিত উক্তি খুব ভোগাতো এ যুবককে। “The Beatles are more famous than Jesus” – এ একটি বাক্যের কারণে লেনন কম আক্রোশের শিকার হননি। হঠাৎ করেই প্রিয় গায়কের প্রতি তীব্র ঘৃণা জন্ম নেয় চ্যাপম্যানের মনে। ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত তখন এগারোটায় পয়েন্ট থার্টি এইট স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন রিভালভারটি পকেটে নিয়ে ড্রাইভওয়ের অন্ধকারে অপেক্ষা করছিল মার্ক চ্যাপম্যান। স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে স্টুডিওতে যাচ্ছিলেন লেনন। যথারীতি এক দঙ্গল ভক্ত দৌড়ে আসে। লেননকে ঘিরে ধরে চারপাশ থেকে। সে ভিড় ঠেলে নিঃশব্দে এগিয়ে যায় চ্যাপম্যান। তার হাতে নতুন অ্যালবামের একটা কপি। বিনা বাক্যব্যয়ে সেটা লেননের দিকে এগিয়ে দেয় চ্যাপম্যান। মুচকি হেসে তাতে অটোগ্রাফ দেন লেনন। তারপর বলেন, “Is this all you want?” চ্যাপম্যান নিশ্চুপ। শুধু একবার মাথা নাড়ে। পরমুহূর্তেই নিস্তব্ধ সেই ড্রাইভওয়ে কাঁপিয়ে শোনা গেল গুলির আওয়াজ। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি চালাচ্ছেন মার্ক চ্যাপম্যান। একবার নয়, বারবার। ওভারকোটে লুকানো রিভলবার থেকে বের করে পেছন থেকে লেননকে ৫ টি গুলি করে। একটি বুলেট লেননের মাথার পাশ কেটে চলে যায়, বাকি চারটা আঘাত করে তাঁর বুকে। জন লেননকে খুব কাছ থেকে চারবার গুলি করেছিল মার্ক চ্যাপম্যান। তখনো তিনি জীবিত ছিলেন। মিনিটখানেকের মধ্যে পুলিশ আর অ্যাম্বুলেন্স আসে। নিকটস্থ রুজভেল্ট হসপিটালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত ঘোষণা করা হয় সঙ্গীতের এ রাজপুত্রকে। কিন্ত কেন? মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যান-এর উত্তর: “আমি তাঁর গান শুনেছি। গান শুনে আমি রেগে গেছি। সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না ...
আজ শান্তি কর্মী এই গায়কের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। মাত্র ৪০ বছরের জীবনে জন লেননের ক্যারিয়ার সত্যিই বিস্ময়কর। একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ তাঁর হৃদস্পন্দন থামিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু কালজয়ী গানগুলো মানুষ ভালোবেসে যাবে চিরকাল। গীতিকার, গায়ক, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক এবং শান্তি কর্মী জন লেননের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

নূর মোহাম্মদ নুরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তাঁকে শ্রদ্ধা....
মৃত্যুটা আকস্মিক....

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স।
সত্যি মার মৃত্যুটা ছিলো মর্মান্তিক ও আকস্মিক।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জিব্রান কাদির বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ জিব্রান কাদির ।
আমার ব্লগে স্বাগতম। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: চ্যানেলে কাজ করে এই রকম পোষ্ট তৈরি করার সময় কখন পান? এরকম পোষ্ট রেডি করতে অনেক সময় লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.