নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস আজঃ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবী বাংলাদেশের

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩


৯ ডিসেম্বর; আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস (ইংরেজি: International Day of Commemoration and Dignity of the Victims of the Crime of Genocide and of the Prevention of this Crime) আজ। ১৯৪৯ সালের ৯ই ডিসেম্বরে প্রথমবারের মত জাতিসংঘে গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ সংক্রান্ত শাস্তি বিষয়ক প্রথাটি (convention) গৃহীত হয়। ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে ৷এরপর থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসটির মূল লক্ষ্য হলো গণহত্যা বিষয়ক প্রথাটির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ ও সম্মান করা। দিবসটি জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এ বিষয়ও স্মরণ করিয়ে দেয় যে তাদের নিজ জনগণকে গণহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য দায়িত্ব আছে। গণহত্যার উসকানি বন্ধ করা ও গণহত্যা ঘটলে তা প্রতিরোধ করা এই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একাত্তরের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বীভৎসতাকেও ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা’র স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘জেনোসাইড-৭১ ফাউন্ডেশন’।

গণহত্যা বলতে নিদিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়। এফবিআই’র মতে গণহত্যা হলো সেই হত্যাকাণ্ড যখন কোন একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাণ্ডের মাঝে কোন বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে। সেই সূত্রে ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা’র স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি বাংলাদেশের। বাংলাদেশে একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানীদের বর্বরতার শিকার হয় ৩০ লাখ শহীদ। গত বছর ১৫ই মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৫শে মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তুলে ধরেন৷ আর ১১ই মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারের শরীক দল জাসদের শিরীন আখতারের উত্থাপিত এক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্থানি সেনাবহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক। আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক৷' তাই এই প্রস্তাব সংসদে গ্রহণ করা হয় ৷বাংলাদেশ চাইছে ২৫শে মার্চের কালরাত্রির গণহত্যাকে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়৷ তবে বাংলাদেশ ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে চাইলেও তার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বাংলাদেশ ২৫শে মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন শুরু করায় এটা আন্তর্জাতিক গুরুত্ব পাবে। বিশ্বের আরো নির্যাতিত জনগোষ্ঠী আমাদের সঙ্গে একাত্ম হবে আর তাতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হবে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ঘর আমার বাড়ি তাকিয়ে দেখি দুঃখ কষ্টের সেখানে অবাধ জমিদারী।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পরের জায়গা পরের জমিন ঘর বানাইয়া আমি রই
আমি তো এই ঘরের মালিক নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.