নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার ধন তার ধন নয়; নেপো মারে দই! দারওয়ান গেল কই?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৫


যার ধন তার ধন নয়;
নেপো মারে দই

বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ প্রবচন।
নেপো এর বাংলা অর্থ হলো অনধিকারী ধূর্ত লোক বা বাটপাড়। যারা পরিশ্রম করে তারা পরিশ্রমের ফল ভোগ করতে পারেনা না, অথচ চালাক- বাটপাড় লোক ফাঁকি দিয়ে সে ফল ভোগ করে।
One sows, another reaps .
One cannot enjoy his riches always.
অথবা
পরের ধনে পোদ্দারী
যার অর্থ অপরের টাকা অথচ নিজের গর্ব প্রকাশ। পরের মাথায় কাঁটাল ভাঙ্গা, পরের মাথায় হাত বুলানো- কৌশলে অপরের ধন আত্মসাৎ করা। পরের মাথায় বাড়ি দেওয়া- অপরের সর্বনাশ করা ইত্যদি।
মোদ্দা কথা পরিশ্রমী ব্যক্তিকে বঞ্চনা করে ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি। আবার কেউ কেউ পরের ধনে পোদ্দারীও করে থাকেন যা আপনারা অনেক শুনেছেন। ইদানিং সামুতে এমনি কয়েকজন নেপোর উপস্থিতি লক্ষনীয়। অন্যদের লেখা যদি তাদের মতের সাথে কনফ্লিক্ট করে অর্থাৎ তাদের মতের সাথে না মিলে তা হলেই তারা রাগন্বিত হন। আজে বাজে মন্তব্য করেন যা কখনো কখনো মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তারা এতটাই রাগন্বিত হন যে হিতাহিত জ্ঞাণ হারিয়ে অশালীন ও অশ্লীল বাক্য প্রয়োগে কুণ্ঠিত হন না। এতে করে যে তিনি তার অজান্তে নিজের মন্দ চরিত্রটি মুখোশের অন্তরাল থেকে জন সম্মূখে প্রকাশ করে দিচেছন তা বুঝতেও পারেনা। রাগ হলে অনেকের অবস্থা এমন হয় যে তিনি যেন নিজেকে সামাল দিতে পারছেন না, কিছুতেই আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছেন না। নেপোরা দই মারায় ব্যস্ত সময় পার করছেন যাদেরকে কেন্দ্র করে তাদের কিন্তু দই নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই। কে কতটা দই মারছে, কে কতটা নষ্ট করছে তার হিসাব নেই তাদের কাছে। তারাতো আ্ছে ঠিক আগের মতোই। তাদের সহ্যকরার অসীম শক্তি! তারা যদি নিজেরা নিজেদের খুচিয়ে ঘা করে ফেলে আনন্দ পায় তা হলে আপনাদের জ্বলে কেন? আপনারা কেন গায়ে পড়ে লাগতে আসেন দুজনের বারণ করা সত্বেও। অতি উৎসাহ কখনোই মঙ্গল বয়ে আনেনা। বাচ্চারা তাদের সহজাত প্রবিত্তিতে ঝগড়া করে, আবার মিটেও যায়। কিন্তু ছাড় দেয়না নেপোরা। কারণ ছাড় দিলেই তাদের ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকারের সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাবে। গ্রামে কিছু মামলাবাজ আছেন তাদের কাজই হলো কথায় মামলা রজ্জু করা। দুই বাড়ির মুরগীর মারামারিতেও তারা মামলার উপসর্গ খুঁজে পায়। নেপোরা সেখানে বাদী বিবাদীর পক্ষ নিয়ে উত্তাপ ছড়ায়, মামলায় জড়িয়ে ফেলে উভয় পক্ষকে। তারা সামুকে সার্বজনীন না ভেবে সাম্প্রদায়িক মনোভাব ব্যক্ত করছেন। তারা নিজেদের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন। খালি ময়দানে তাদের আস্ফলন ও লম্ফ ঝম্প দেখে হাসি লুকাচ্ছেন বিজ্ঞ জনেরা। তাদের কারো কারো পাহাড় সমান বিত্ত-বৈভব, কারো কারো সত্তর হাত পানির নীচ থেকে শিকার ধরার অভিজ্ঞতা কারো আবার শীরায় বহে নীল রক্ত। সেই তাহাদের ব্যপারে যদি কেউ উচ্চবাচ্য করে তা হলেতো তাদের শাস্তি হবারই কথা। থাকুক তারা তাদের বিত্ত-বৈভব আর নীল রক্তের উন্মাদনায় বুঁদ হয়ে তোমরা বাপু সেখানে নাক গলাও কেন? তার পরেও যদি কেউ আপনাদের ব্যাপারে নাক গলায় তা হলে দিননা তাদের নাকটি টিপে! তাতেও যদি আপনাদের নীল রক্ত শীতল না হয় তাহলে শক্তির খড়্গ দিয়ে অযাচিত গলানো নাকটি ঘ্যাচাং করে কেটে নিয়ে সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন যাতে ভবিষ্যতে কেউ আপনাদের ব্যাপারে নাক গলানোর দুঃসাহস না দেখায়। এবার একটু শীতল হোন!! আত্মনিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ রাগ খুবই মন্দ অভ্যাস

ক্রোধ বা রাগ একটি অতি মাত্রার ক্ষতিকর উপসর্গ যা শারীরিক ও পারিবারিক এমন কী সামাজিক জীবনকেও বিষিয়ে তুলতে পারে। রাগলেন তো হারলেন এই চির সত্য কথাটি আমরা সকলে জানলেও কার্যক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত। সম্প্রাতি ডেইলী মেইলের এক রিপোর্টে প্রকাশ, অপরাধবিজ্ঞাণীও সামাজিক-বিজ্ঞানীরা অনেক দিন থেকেই বিশ্বাস করেন যে, যাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কম, তারা সুযোগ পেলে সহিংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। তাঁরা দেখেছেন যে, আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের আগ্রাসী মনোভাব খুবই গভীরভাবে সম্পর্কিত। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কাউকে কিছু সময়ের জন্য নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাধ্য করলে পর তারা আরও আগ্রাসী চরণ করেন। রাগ প্রশমনের বেশ কিছু নিয়ম আছে তবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বার্ড বুশম্যান রাগের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন চিনি রাগ উপশমে সাহায্য করে| সম্প্রতি তাঁর এ গবেষণার ফল এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে| তিনি বলেছেন, চিনি রক্তপ্রবাহকে ঠিক রেখে মসত্মিষ্কে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। আপনারা যদি এই মন্দ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে চান তাহলে আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ আপনারা রেগে গেলে মিষ্টি খাবার অভ্যাস করুন। হাতের কাছে রাখুন মিষ্টি নিদেন পক্ষে একমুঠো চিনি। তিনি যদি চিনি-গস্নুকোজ বা মিষ্টি কোন খাবার রাগের সময় খানিকটা খেয়ে নেন তাহলে দ্রুত সেই মিষ্টি তাঁর মেজাজ স্বাভাবিক করতে মস্তিস্কে সাহায্য করবে অর্থাৎ সেখানে শক্তি যোগাবে| রাগে অগ্নিশর্মাদের জন্য যে ভাল দাওয়াই পাওয়া গেছে এতে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই| রাগ হলে মেজাজ হয় গরম, সঙ্গে সঙ্গে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে মিষ্টি মিষ্টি হয়ে গলে যাবে মেজাজটাও, রাগ পালাবে, চমৎকার ওষুধ !

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১০

পবন সরকার বলেছেন: উপদেশ মূলক ভালো পোষ্ট। এখন আপনার দোস্ত কি মন্তব্য করেন সেইটা দেখা দরকার।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: তার মাথায় সমস্যা দেখা দিছে। উল্টা পালটা বলে। তার জন্য দোয়া করবেন।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ভাইসাব গৌরনদীর দই, নিতাইয়ের রসগোল্লা আর গুটিয়ার সন্দেশ অনেকদিন হইল খাইনা-ঢাকার মিস্টিতে স্বাদ ঠিকমতো পাই না; আপনার ছবি দেইখা !!!!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গৌরনদীর দধির
নিমন্ত্রণ রইলো।
মেইন রোডের পাশেই
পাবেন। নিজের মনে করে
খেয়ে রসনা তৃপ্ত করবেন।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো রিফাত ভাই।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯

হাবিব বলেছেন: এক্কেবারে ঠিক কইছেন নূর ভাই

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অনেকেই তা বুজউতে চায়না হাবিব ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভোটের ফলাফল নিয়ে জাতি ভয়ংকর অস্বস্তিতে আছেন; আপনি এখন কিসব নেপো/মেপো নিয়ে ওয়াজ শুরু করেছেন!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বাঙালি জাতি ৭১ এর মত ভোটে জিতে উতসব করছে, আর আপনি বলছেন ফলাফল নিয়া অস্বস্তিতে আছে? জানতাম চোখের সমস্যা! এখনতো দেখি মাথায়ও সমস্যা! আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। আমিন

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হা হা হা জাতী একসাথে দুঠো উৎসব পালন কৈল্য --সমস্যা পালি কুনে! ;)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ব্লগতো ওয়াজ মাহফিল না। উতসবে দোষ কি। ১০টা উতসব করবো, জিতছে এবার নৌকা। জয় বাংলা।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪০

যোখার সারনায়েভ বলেছেন: যাক অবশেষে আপনার ভিন্নধর্মী (জীবনীর বাইরে) পোস্ট পেলাম। শেষের উপদেশটা মানতে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু ওজন যে বেড়ে যাচ্ছে!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাঝে মাঝে গতানুগতিকের বাইরে
২/১টি পোষ্ট ভারসাম্য বজায় রাখতে
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ যোখার সারনায়েভ

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আরে এই পোষ্ট কে দিল!!!
শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম না!! জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সব সময় শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাতে হবে
এমন দিব্যি কে দিলো?
মাঝে মাঝে নিন্দাও জানান তা হলে
ভারসাম্য বজায় থাকবে।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমার পেশী শক্তি কম ভাই, আমি কিছু বলবো না।
আমি দর্শক !!!! B-)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খেলার মাঠে দর্শকদের ভুমিকা
ছোট করে দেখার উপায় নাই।
খেলোয়া্র খেলে. দর্শক দেখে !
দর্শক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ
খেলোয়ারদের কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.