নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ ড.আবুল আহসান চৌধুরীর ৬৬তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৫


বাংলার লোকসংস্কৃতির চর্চা ও লোক-ঐতিহ্য-অন্বেষণের ক্লান্তিহীন এক শিল্প-শ্রমিকের নাম ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি লেখালেখি করে আসছেন। লালন সাঁই, বাউল, লোকসংস্কৃতি, মীর মশাররফ হোসেন, কাঙাল হরিণাথসহ নানা বিষয়ে গবেষণাধর্মী লেখালেখির কারণে তাঁর নাম বাঙালি পাঠকসমাজে পরিচিত। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও তাঁর পরিচিতি কম নয়। তাঁর সম্পাদিত ও লিখিত উল্লেখযোগ্য বইসমূহের মধ্যে রয়েছে লালনসমগ্র, স্বদেশ আমার বাংলা, রবীন্দ্রনাথ সংগৃহীত লালনের গানের পাণ্ডুলিপি, কালান্তরের পথিক লালন, অন্তরঙ্গ অন্নদাশঙ্কর, মীর মশাররফ হোসেন নাট্যসমগ্র, রবীন্দ্রনাথ : কবিতায় লোকজ অনুষঙ্গ, কবির অন্তরমল : তিরিশের দশকের কবিদের পত্রাবলি। গবেষণার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ছাত্র থাকাবস্থা থেকেই বড় বড় কবি, সাহিত্যিক, উচু দরের লোকদের সাথে তার উঠাবসা। তার ভেতরে মেধা, প্রতিভা ও অধ্যাবশায় ছিলো। সেই শক্তিই তাকে এতদুর আসতে প্রেরনা যুগিয়েছে।তিনি স্বাধীন বাংলা সাহিত্যিক, শিল্পী বুদ্ধিজীবি সংগ্রাম পরিষদ ১৯৭১ এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন, সভাপতি ছিলেন ডঃ আনোয়ারুল করীম। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে এই সংগঠনের মাধ্যমে আবুল আহসান চৌধুরী বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।তাঁর লেখার বিষয়বস্তু লোকসাহিত্য, উনিশ শতকের কবি-সাহিত্যিক, আধুনিক সাহিত্য এবং ইতিহাস। লালন, কাঙাল হরিনাথ, মীর মশাররফ হোসেন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তিনি বিশদ গবেষণা করেছেন। গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। আজ ড.আবুল আহসান চৌধুরীর ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৩ সালের আজকের দিনে তিনি কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ ড.আবুল আহসান চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

কবি, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, গবেষক, শিক্ষাবিদ ডঃ আবুল আহসান চৌধুরী ১৯৫৩ সালের ১৩ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার মজমপুরে নিজ পিত্রালয়ে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা ফজলুল বারী চৌধুরী, মাতা সালেহা খাতুন। আবুল আহসান চৌধুরী কুষ্টিয়া মিশন স্কুল, কুষ্টিয়া জেলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে পড়াশুনা করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ অনার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তার পিতা সাহিত্যিক ও অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুল বারী চৌধুরীর প্রেরনায় তার সাহিত্যের চর্চার হাতেখড়ি। ছাত্রাবস্থায় কয়েকখানি কাব্য ও গবেষনা গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করে বিশেষ কৃতিত্বের প্রদর্শন করেন। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে একটা নেতৃত্ব ভাব পরিলক্ষিত হত। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯৬৯-১৯৭০ সালে নাট্য ও সমাজকল্যান সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি স্বাধীন বাংলা সাহিত্যিক, শিল্পী বুদ্ধিজীবি সংগ্রাম পরিষদ ১৯৭১ এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন, সভাপতি ছিলেন ডঃ আনোয়ারুল করীম। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে এই সংগঠনের মাধ্যমে আবুল আহসান চৌধুরী বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

বাংলা একাডেমী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং দেশে বিদেশে নানা প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে লালন শাহ্‌, মীর মোশাররফ, কাঙাল হরিনাথ ও লোকসংস্কৃতি সম্পর্কিত গবেষনা দেশে বিদেশে সমাদর ও স্বীকৃতি পেয়েছে। গবেষনা ও সাহিত্য কীর্তির জন্য তিনি দেশ বিদেশ থেকে নানা সম্মান ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। ১৯৯৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ লালন মেলা সমিতি তাকে লালন পুরস্কার প্রদান করে। তার রচিত গ্রন্থ সমূহ – স্বদেশ আমার বাংলা কাব্য ১৯৭১ কলকাতা থেকে প্রকাশিত, সংক্ষিপ্ত কুষ্টিয়া পরিচিতি [পুস্তিকা ১৯৭২], লালন স্মারকগ্রন্থ [সম্পাদনা ১৯৭৪], কুষ্টিয়ার বাউল সাধক [১৯৭৪], মীর মোশাররফ হোসেনের সংগীত লহরী [সম্পাদনা ১৯৭৫], নীলকন্ঠ জীবন তুমি [কাব্য ১৯৭৫]। ডঃ আবুল আহসান চৌধুরী বাংলা একাডেমী, বাংলা ইতিহাস পরিষদ, বাংলাদেশ ফোকলোর সোসাইটি ও বাংলাদেশ ফোকলোর পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য। ডঃ আবুল আহসান চৌধুরী বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। এর আগে বাংলা বিভাগের সভাপতি এবং মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ডঃ আবুল আহসান চৌধুরী কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর অদ্যাবধি নির্বাচিত সম্পাদক। গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ২০০০ সালে পশ্চিমবঙ্গ লালনমেলা সমিতি থেকে লালন পুরস্কার, ২০০১১ সালে ফরিদপুর থেকে সৈয়দ আব্দুর রব সংবর্ধনা এবং ২০১০ সালে গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। আজ ড.আবুল আহসান চৌধুরীর ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ ড.আবুল আহসান চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম উনার সম্পর্কে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জানার জন্য।
তবে জানতে হলে পড়ার
বিকল্প নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.