নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাক্তন ছাত্র নেতা ও সাংবাদিক পথিক সাহার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১২


স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সাহসী ছাত্রনেতা পথিক সাহা। সাংবাদিকতা পেশায় আসার আগে ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন পথিক। প্রাক্তন এই ছাত্র নেতা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনেও সম্পৃক্ত ছিলেন পথিক। তবে '৯০ পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়ন ভাঙার পেছনে পথিককেও দায়ী করা হয়। ওই সময় মূলধারার বাইরে গিয়ে সংগঠনটির আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো, যাতে তিনি সাধারণ সম্পাদক হন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দু’বারের সাধারণ সম্পাদক পথিক সাহা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদক ও বিশেষ প্রতিনিধি এবং মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রাস্টি (পরিচালনা পর্ষদের সদস্য) ছিলেন।। ২০১১ সালের আজকের দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যানসাংবাদিক পথিক সাহা। আজ তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রাক্তন ছাত্র নেতা ও সাংবাদিক পথিক সাহার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

পথিক সাহার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায়। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও আদর্শ এবং অনুকরনীয় সাংবাদিক। পথিক সাহা শুধু সাংবাদিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন রাজনৈতিক, সংগঠক সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের অগ্রদূত। তিনি আমাদের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও পথিক সাহা দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। দেশের কালো আইনের জন্য আমরা প্রতিবাদ করি কিন্তু প্রেসক্লাবে কালো আইনের ব্যাপারে আমরা কোন কথা বলি না, কিন্তু সাংবাদিক পথিক সাহা প্রেস ক্লাবের কালো আইনের প্রতিবাদ স্বরূপ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি গঠন করেন। প্রেসক্লাবের কালো আইনের কারণে অনেক সাংবাদিক ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সদস্য হতে পারেননি। যে কারণে রিপোটার্স ইউনিটি গঠন করা হয়। আজকে রিপোর্টার্স ইউনিটি একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

আজ সাংবাদিক পথিক সাহার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর লালমাটিয়ার এশিয়াটিক কার্ডিয়াক হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান পথিক সাহা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলেঅ মাত্র ৪৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা শিল্পী সাহা (মনিকা), একমাত্র সন্তান প্রসূন প্রদীপ সাহা (কুট্টুস), মা বীণা সাহা, বড় ভাই বিশিষ্ট শিশুসংগঠক-শিক্ষক প্রণয় সাহা, ছোট ভাই শিশুসংগঠক ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী-শিল্প পরিবার আল-আমিন গ্রুপের সহকারি মহাব্যবস্থাপক প্রবীর সাহা, তিন বোন ও তিন ভগ্নিপতিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সতীর্থ-সহকর্মি, বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে যান। অকালপ্রয়াত মেধাবী সাংবাদিক ও রাজনীতিক পথিক সাহার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

পবন সরকার বলেছেন: পথিক সাহার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.