নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মিষ্টি মেয়ে ক্ষণজন্মা রহস্যকন্যা দিব্যা ভারতীর ৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭


‘সাত সামুন্দার পার’ কিংবা ‘অ্যায়সে দিওয়ানে হি’ গান শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে যে মিষ্টি মেয়ের মুখ তিনি দিব্যা ভারতী। তার অভিনয় আর কোমল চেরাহায় সুমিষ্ট হাসি নজর কাড়ে সবার। '৯০ দশকের শুরুর দিকে বলিউডে সাড়া জাগানো অন্যতম অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। ‘ ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে বাণিজ্যিকভাবে সফল হিন্দি এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যা ভারতী। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা সুপার হিট হওয়ায় রাতারাতি তারকা বনে যান দিব্যা। স্বল্পায়ু এই অভিনেত্রী মাত্র ৫ বছর অভিনয় জীবনে প্রায় ২১টি সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক ঘটে এবং সেই বছরই অর্জন করেন ‘ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অভিষেক পুরস্কার’। দিব্যা ভারতী নামের অপ্সরী নব্বই দশকের সফল অভিনেত্রী এবং রহস্যকন্যা। তিন বছরের ক্যারিয়ারে দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা, ছিলেন সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্তদের একজন। ক্ষণজন্মা এ অভিনেত্রী অনেক রহস্যের জন্ম দিয়ে ওপারে পাড়ি জমান মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল। 'মাত্র ১৯ বছর বয়সে ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী এ রহস্যকন্যার চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারেনি। ছোট্ট বলিউড ক্যারিয়ারে সিনেমা ছিল তেরোটি এর মধ্যে ৩ টি সুপারহিট,২টি হিট এবং ৩টি এভারেজ। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার নিউ ডেবিউ এবং লাক্স নিউ ফেইস অ্যাওয়ার্ড।আজ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর ৪৫তম জন্মবার্ষিকী। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মিষ্টি মেয়ে দিব্যা ভারতীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

(বাবা-মা ও ভাই কুনালের সাথে দিব্যা ভারতী)
ভারতী ১৯৭৪ সালে ভারতের মুম্বইয়ে জন্ম নেন। তার বাবা ওম প্রকাশ ভারতী একজন বীমা কর্মকর্তা এবং মা মীতা ভারতী, যিনি তাঁর বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তাঁর কুনাল নামে একটি ছোট ভাই এবং বাবার প্রথম ঘরের দুই জন ভাইবোন ছিলো। তিনি সুদ্ধভাবে হিন্দি, ইংরেজি এবং মারাঠি বলতে পাতেন। প্রাথমিক জীবনে ভারতী তাঁর বুদ্ধিদিপ্ত ব্যক্তিত্বর জন্যে পরিচিত ছিলো। তিনি অভিনেত্রী কাইনাত অরোরার দ্বিতীয় পিসতুত বোন ছিলেন। ভারতী জুহু, মুম্বাইয়ে মানিকজী কুপার উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। ছোট থেকেই দিব্যার অভিনয় জগতে ভীষণ আগ্রহ ছিল। অল্প বয়সেই হিন্দি গানের সাথে নাচে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। স্কুলের পড়া বাদ দিয়েই তিনি অনুশীলন করতেন অভিনয় আর নাচ। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি বেশ কিছু বলিউড সিনেমার প্রস্তাব পান, তবে অল্প বয়সের কারণে তার অভিনয়ে পরিপক্কতা না আসায় অডিশনেই বাদ পড়েন তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে তেলেগু ছবির বিখ্যাত প্রযোজক ডি রামানাইড়ু ‘ববিলি রাজা’ সিনেমার জন্য নিজের ছেলের বিপরীতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দেন দিব্যা ভারতীকে। মাত্র ৯ম শ্রেণীতে পড়াকালীন দিব্যার প্রথম সিনেমা ‘ববিলি রাজা’ মুক্তি পায়। সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে আশাতীত সাফল্য পায় এবং দিব্যার হাসিমাখা পুতুল সদৃশ চেহারা সকলের নজর কাড়ে। সেবছরই তামিল সিনেমা ‘নিলা পানি’ এবং ১৯৯১ সালে ‘না ইল্লে না সরগাম’, ‘রডি আলুডু’, ‘এসেম্বলি রোডি’, ‘ধর্ম ক্ষেত্রাম’ নামক ৪টি তেলেগু সিনেমায় কাজ করেন তিনি এবং প্রতিটি সিনেমাই বাণিজ্যিক সফলতা পায়। এরপর ১৯৯২ সালে সানি দেওলের বিপরীতে রাজিব রাই পরিচালিত ‘বিশ্বাত্মা‘ ছবির প্রস্তাব পান তিনি। মুক্তির পর সিনেমাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে, বিশেষ করে সিনেমাটির প্রতিটি গানই জনপ্রিয়তা লাভ করে। ‘সাত সামুন্দর’ গানের সুর ও কথায় বাংলাদেশেও তৈরি হয় ‘নীল সাগর পার হয়ে’ গানটি, যার চিত্রায়নে সালমান শাহ ও সোনিয়াকে দেখা যায়। ‘বিশ্বাত্মা’ সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রশংসা প্রাপ্তির সাথে সুন্দর চেহারার নায়িকা হিসাবেও বেশ আলোচিত হন তিনি। বিভিন্ন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও জায়গা করে নেয় দিব্যার ছবি।

পরবর্তী বছর মুক্তি পায় ‘দিল কা ক্যায়া কাসুর’, সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও অভিনয়ের জন্য দিব্যা বেশ প্রশংসিত হন। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় ডেভিড ধাওয়ানের ‘শোলা অউর শবনম’, এ সিনেমাটিতে গোবিন্দের বিপরীতে দেখা যায় দিব্যাকে। ছবির এক দৃশ্যে সাঁতারের পোশাকে আবির্ভূত হয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে দিব্যা। তবে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয় ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিওয়ানা’ সিনেমাটি। নবাগত শাহরুখ খানের বিপরীতে দিব্যার অনবদ্য অভিনয় আর ছবির গানগুলো বিশেষ করে ‘তেরা নাম রাখ দিয়া’ গানের জনপ্রিয়তায় বর্ষসেরা সিনেমার তকমা পায় ‘দিওয়ানা’। সেই বছরেই ফিল্মফেয়ার উৎসবে দিব্যা ও শাহরুখ দুজনেই ‘লাক্স ফেইস অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার অর্জন করেন। সেই বছরই আরো কিছু সফল সিনেমা খেতাব ঝুলিতে ভরেন দিব্যা। গোবিন্দের বিপরীতে ‘জান সে পেয়ারা’, নবাগত সুনীল শেঠির বিপরীতে ‘বলবান’, আরমান কোহলির বিপরীতে ‘দুশমন জমানা’, অবিনাশ ওয়াধাওয়ানের বিপরীতে ‘গীত’, মোহন বাবুর বিপরীতে তেলেগু ছবি ‘চিত্তামা মগোদু’ সবগুলো ছবিই ছিল ব্যবসাসফল। মিষ্টি হাসি আর অভিনয়ের দক্ষতায় অল্প দিনেই শাহরুখ খান, গোবিন্দ, ঋষি কাপুর, সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে জুটি বেঁধে প্রায় ১৩টি বাণিজ্যিকভাবে সফল হিন্দি সিনেমা উপহার দেন এবং বেশ প্রশংসিত হন। একই সাথে তেলেগু ও বলিউডে সমানভাবে রাজত্ব করতে থাকেন টানা কয়েকটি বছর।এরই মধ্যে দিব্যার সাথে পরিচয় হয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সাথে। গোবিন্দর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে ‘শোলা আউর শবনম’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন বেশ কয়েকবার দেখা হয় তাদের। সেখান থেকেই আলাপ এবং সম্পর্ক গড়ায় ভালবাসায়। ১৯৯২ সালের ১০ মে ইসলামী রীতিতে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পূর্বেই দিব্যা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তার নতুন নাম হয় সানা নাদিয়াদওয়ালা।

(স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সাথে দিব্যা ভারতী)'
জীবদ্দশায় তার মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ সিনেমা ‘ক্ষত্রিয়’। মৃত্যুর মাত্র ১০ দিন পূর্বে মুক্তি পায় এবং সিনেমাটিও ছিল ব্যবসাসফল। এছাড়া তার অসমাপ্ত কাজ তেলেগু ছবি ‘থোলি মুডধু’ এবং হিন্দি ‘রং’ ও ‘শতরঞ্জ’ মুক্তি পায় তার মৃত্যুর পর, সিনেমা তিনটিই অন্য অভিনেত্রীদের দিয়ে ডাবিং করে হয়েছিল। তবে খ্যাতির শিখরে অবস্থানকালে আকস্মিক তার মৃত্যুর খবর সকলের কাছে ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এপ্রিল ৫, ১৯৯৩ সালের ভারসোভা, মুম্বই তাঁর ৫ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নিচে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তিনি মূলত ভারসাম্য হারানোর ফলে ব্যালকনি থেকে নিচে পড়ে যান। তবে তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু, দুর্ঘটনাজনিত হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা তা আজও সকলের কাছে রহস্য। কী ঘটেছিল সেই রাতে তা নিয়ে আজও অনেক বিতর্ক রয়েছে। সত্যিই আত্মহত্যা নাকি নেহায়েত দুর্ঘটনা ছিল তা নিয়েও চলেছে অনেক তদন্ত। তদন্তের সেসব তথ্য আর পুলিশের সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুযায়ী জানা যায়, সেই রাতে মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পাঁচতলা ভবন তুলসীতে আরো তিনজন উপস্থিত ছিলেন- দিব্যার পোশাক ডিজাইনার ও বান্ধবী নিতা লুলা, তার স্বামী ড. শ্যাম লুলা ও বাসার পরিচারিকা। পরদিন অনেক ভোরে আউট ডোর শুটিং থাকায় নিতা নুলাকে বাসায় ডেকে পাঠান তিনি। তবে দিব্যার স্বামী সেদিন বাসায় ছিলেন না। লিভিং রুমে দুই অতিথির সাথে গল্প করছিলেন আর পরিচারিকা অমৃতা তাদের খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত ছিল। সাক্ষী নিতার ভাষ্যানুযায়ী, দিব্যা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাড়ির সব জানলায় গ্রিল থাকলেও লিভিং রুমের লাগোয়া জানালাটিতে কোনো গ্রিল ছিল না। তখন প্রায় রাত ১১:৪৫ মিনিট, দিব্যা অমৃতার সাথে কিছুটা উচ্চস্বরে কথা বলতে বলতে জানলার পাশে গেলে হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যান। গাড়ি পার্কিংয়ের মাটিতে আছড়ে পড়ে তার দেহ। শোরগোলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে। সেখানকার ইমার্জেন্সি বিভাগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শরীরের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত তার মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিশ্চিত করেন ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারেরা। তবে অনেকের মতে, দিব্যার উচ্চতা ভীতি ছিল। তাই খোলা জানলার কাছে নিজ ইচ্ছায় যাওয়াটা সকলের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।

আবার শোনা যায়, শ্বাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কের বেশ টানাপোড়ন চলছিল। সেজন্য তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থানকালে কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে এটাও আত্মীয়দের কাছে ছিল ভিত্তিহীন। অন্যদিকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করার মাত্র ১১ মাস পরই তিনি আত্মহত্যা করবেন এমন মানসিক কষ্টের কোনো প্রমাণ মেলেনি স্বজনদের বক্তব্য থেকে। এছাড়া পরদিন নতুন সিনেমার শুটিং এ যাওয়ার জন্য বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন দিব্যা- এমনটাই বলেন অমৃতা। আত্মহত্যার উদ্দেশ্য থাকলে তিনি কখনই নীতা ও তার স্বামীকে ডেকে আনতেন না। তবে দিব্যা ভারতীর অধিকাংশ ভক্তদের ধারণা, এটা ছিল তার স্বামী সাজিদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সাজিদ, নীতা ও তার স্বামীর মাধ্যমেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে বেশ গুঞ্জন ওঠে। তদন্তের সময় এই মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে মুখোমুখি হতে হয়েছিল আরো অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনার। গুজব আছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের আবু সালেম বা দাউদ ইব্রাহিমের সাথে সংযোগ ছিল সাজেদের। ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ, মুম্বাইয়ে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের কোনো তথ্যের সাক্ষী ছিলেন দিব্যা, যার ফলে তাকে মেরে ফেলা জরুরি ছিল এমনও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছিল তখন। কারণ অনেকের মতে, তদন্তের রিপোর্ট ছিল টাকা দিয়ে সাজানো। তাই সেদিন রাতে ওই দুইজন ছাড়া সেখানে কেউ ছিল কিনা এ বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। দিব্যার ভক্তদের মনে আজো প্রশ্ন জাগে, সেদিনের ঘটনা কেবল আত্মহত্যা নাকি হত্যা নাকি কেবলমাত্র দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। 'আজ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর ৪৫তম জন্মবার্ষিকী। বলিউডের আকাশে ক্ষণস্থায়ী উজ্জ্বল এই নক্ষত্র মাত্র ১৯ বছরেই অর্জন করে গেছেন নাম, খ্যাতি আর ভক্তদের অপরিসীম ভালবাসা। আর এই ভালবাসাই সদা হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণোচ্ছল, মায়াবী চেহারার দিব্যা ভারতীকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে সকলের মাঝে। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ক্ষণজন্মা রহস্যকন্যা দিব্যা ভারতীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুদর্শন অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর ৪৫ তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবুহেনা ভাই
আপনাকে ধন্যবাদ
অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর
জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: তার অভিনীত প্রথম মুভিটা আমি দেখেছি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিও দেখেছি রাজীব ভাই
আমারও প্রিয় অভিনেত্রী ছিলো
দিব্যা ভারতী।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এ তো দেখি পুরাই হট নায়কা!!! বেচারা এভাবে মরলো কেন!!??:(

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কারণ দর্শানো আছে
অনুগ্রহ করে আর একবার চোখ বুলান।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আত্মহত্যা করা মহাপাপ।আমি আত্মহত্যাকারী ব্যাক্তিকে শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না নুরু ভাই।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: বলিউডের আমার সবচেয়ে পছন্দের নায়িকাকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে মন থেকে ধন্যবাদ দিলাম, নূরু ভাই। তখন পড়তাম স্কুলের ক্লাস নাইন বা টেনে! কি যে ক্রেজ ছিল দিব্যার! মোটামুটি দিওয়ানা বলতে পারেন! ওর কোন হিন্দী ছবি আমি দেখা বাদ দেইনি। তামিল বুঝতাম না তখন, সাউন্ড কমিয়ে দিয়ে শুধু তামিল ছবি দেখতাম ওকে দেখার জন্য। my most adorable sweetheart in film industry! ওর মারা যাবার নিউজ শুনার পর হিন্দী সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। আজও হিন্দী সিনেমা আমি দেখি না বা দেখা কোন ইচ্ছেও হয় না।

পোস্ট লাইকড এবং সোজা প্রিয়তে। আমার এত কিউট sweetheart নিয়ে লিখবেন আমার প্রিয়তে থাকবেনা তাই হয় নাকি!!!
ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.