নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান এবং বাস্তবতা

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২


প্রতিবছর সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র মাহে রমজান। পৃথিবীর সব দেশেই আসে। লোভ, হতাশা, সংকীর্ণতা, কাম, ক্রোধ, দুর্নীতি অসততা ইত্যাদি অসৎগুণাবলি সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। এগারো মাস চলে আসা এ পঙ্কিল জীবন থেকে মুক্তির পথ বাতলে দেয় সিয়াম। সিয়াম কুপ্রবৃত্তিগুলোকে দমন করে নির্লোভ, নিরহঙ্কার, সমাজ হিতৈষী, হতাশামুক্ত জীবন গঠনে সহায়তা করে। সালাতের পরই সার্বজনীন গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত রমজান মাসের সিয়াম। এর মধ্যে আত্মিক বা আধ্যাত্মিক এবং স্বাস্থ্যগত দ্বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। সিয়ামে অসৎগুণাবলি থেকে যেমন আত্মাকে রক্ষা করা যায় তেমনি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রিত হয়ে স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। সারাবছরের পাপ ও আত্মশুদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মাগফেরত কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বিগত দিনের ভুলত্রুটি ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু আমাদের মাঝে আসা এই পবিত্র রমজান যেন হাজির হয় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। রমজান আসলেই যেন এদেশের বাজারে আগুন লাগে। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে সে আগুন আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টা করলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব চেষ্টা ও কলা কৌশল। "মজুদদার-মুনাফাখোর-তোলাবাজদেও গ্রেফতার কর, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া রুখো" এই সকল শ্লোগান ধ্বনিত হয় সর্বত্র। প্রতিবছর রমজানের আগে এই মহড়ার পূনরাবৃত্তি ঘটলেও মজুদার,মুনাফাখোর-তোলাবাজরা অঘোষিত আর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নিজ নিজ দায়ত্ব পালনে থাকেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে সাধারণ জনগন প্রতি রমজানেই পুড়তে থাকে এক অদৃশ্য অনলে। মহান আল্লাহর দরবারে তার এবাদত বন্দেগী দ্বারা তার পাপ মোচন করতে পারলেও বাজারের আগুনে সে ঝলসাতে থাকে প্রতিনিয়ত। এর থেকে তার কোন পরিত্রান নাই। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মূল্যবৃদ্ধির জুয়া খেলা কেবলমাত্র আমাদের দেশেই সম্ভব। বিশ্বের আর সব মুসলিম দেশেই শুনেছি পবিত্র রমজান এলে জিনিষপত্রের মূল্য কমে, সকল জনগণের মাঝেই সংযম বাড়ে। আর আমাদের দেশে মানুষের মাঝে অসংযমতা বৃদ্ধি পায় আর সেই সুযোগে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধিপায়। জনগণ যেন এই মাসে বেহিসেবীর মত খরচ করতে পিছপা হন না। তারা ভুলে যান রমজান সংযমের মাস। এ থেকে মনে হয় মানুষ মানুষকেই বেশি ভয় করে, আল্লাহকে নয়। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারী ও সেহরীতে বাহুল্য অতিআয়োজন ও অপচয় করার নাম সংযম বা রোজা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।

এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত রাখা হয়। ফলে অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে অপরাধের সংখ্যা থাকে কম। কিন্তু পবিত্র এ মাস বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে আবারও অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কারণ সমাজব্যবস্থায় এমন সব অপরাধের ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত, ব্যক্তি যা থেকে কখনও নিষ্কৃতি পায় না। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করো না।’ (২: ২০৭) সিয়ামের আধ্যাত্মিক শিক্ষা নিয়ে আসুন আমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করি। তবেই শয়তান অন্য মাসে আমাদের ধোঁকা দিতে পারবে না। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কি তাদেরকে (কাফের মুশরেক) ভয় কর? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে বেশি প্রয়োজন যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সূরা তাওবা : ১৩), প্রকৃতপক্ষে প্রবৃত্তির অনুসরণ, সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষার নামে কুসংস্কৃতির প্রসার ও মনগড়া নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করার ফলে নিজের আত্মা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাকি এগারোটি মাস আত্মাকে সংযমে রাখা যাচ্ছে না। তাই আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বৃথাই হয়ে যাচ্ছে। কেবল আহার থেকে বিরত থাকলেই সিয়ামের উদ্দেশ্য হসিল হয় না। বরং জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্তে প্রত্যেকটি খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মাকে পবিত্র রাখাই সিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। সুদ, ঘুষ, জিনা, ব্যভিচার, মিথ্যা, প্রতারণা, গিবত, জালিয়াতি, ভেজাল, দুর্নীতি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের জন্যই সিয়াম পালনের নির্দেশ।

আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শন করে প্রকৃত আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হই।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: নূরু ভাই, রোজাদার বান্দা বাজারের আগুনে প্রতিদিন ঝলসাতে থাকে , মোক্ষম বলেছেন।
প্রতিদিন শরবত বা বেগুনি না খেলেও রোজা হয়। সবাই মিলে এসব কিনলে বাজারে কিছু চাপ পড়বে। তবে কিছু দ্রব্য , যেগুলো বাইরে থেকে আসে এবং যেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমে না। ছোলা, তেল, চিনি এসবের দাম বাড়ার কারণ অজানা।
আপনাকে গত এক সপ্তাহ দেখিনি। আজ একটা বিশেষ দিন । এই উপলক্ষ্যে আপনার পোস্ট আশা করেছিলাম, দুপুর পর্যন্ত না পেয়ে নিজেই পোস্ট করেছি। আপনি পোস্ট করলে আমারটা ড্রাফটে নিয়ে নেব।
আল্লাহ আমাদের সংযম পালনের তৌফিক দিন । অনেক শুভেচ্ছা।

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম
আহলান সাহলান মাহে রমাজান।
আপনার উপর সৃষ্টিকর্তার করুনা বর্ষিত হোক।
লক্ষ্য করে থাকবেন যে আমি ব্লগে লেখা কমিয়ে দিয়েছি।
তা্ই বিশেষ দিনের আপনার লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ করলাম।
শুভকামনা মাননীয় প্রাধানমন্ত্রীর জন্য। ভালো থাকবেন।

২| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই মাসে শয়তানকে শৃংখলিত রাখা হয় ", এই ধরণের বিতর্কিত প্রচারণা মানুষের মাঝে ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে: শয়তান একজন খারাপ ফেরেশতা, যাকে দেখা যায় না; শিকল হলো লৌহ বা অন্য কোন ধাতুর তৈরি বস্তু, যা দেখা যায়; ফলে, লজিক মিলে না; মানুষ ইহাকে গরুত্ব দেয়ার কথা নয়।

বাংলাদেশের মানুষের কথা ও কর্মে মিল নেই; ফলে, তারা ধর্মের কথা বললেও, কাজে মিল নেই।

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু,
তর্কে বহুদূর।

রমজান মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এ মাসে অভিশপ্ত শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান উপস্থিত হয়, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুষ্ট শয়তানদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ১০৭৯)

প্রশ্ন জাগে, রমজান মাসে শয়তান শিকলে আবদ্ধ থাকলে মানুষ রমজানে কিভাবে পাপ করে? এর বেশ কিছু জবাব হাদিসবিশারদরা দিয়েছেন।

এক. কাজি ইয়াজ (রহ.) বলেন, শয়তান শিকলে আবদ্ধ থাকার অর্থ আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থেই হতে পারে। রূপক অর্থে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রমজানে শয়তানের ধোঁকা-প্রবঞ্চনার হার কমে যায়, অন্যায় কাজ কম হয় এবং মানুষের মধ্যে আল্লাহর বিধান পালনের প্রতি আগ্রহ প্রবল থাকে। এ অর্থে উল্লিখিত হাদিসে বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যার বাস্তবতা আমরা সবাই স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে থাকি। (ইকমালুল মুলিম : ৪/৬) আর আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করা হলে হাদিসের অর্থ হলো, মানুষ পাপ করে দুই কারণে—১. তার কুপ্রবৃত্তি ও বদ-অভ্যাসের কারণে; ২. শয়তানের প্ররোচনায়। রমজানে শয়তান বন্দি থাকলেও কুপ্রবৃত্তির কারণে মানুষ পাপ করে থাকে। (ফাতহুল বারি : ৪/১১৪)

দুই. আল্লামা আইনি (রহ.) বলেন, শয়তানকে ওই সব রোজাদার থেকে দূরে আবদ্ধ রাখা হয়, যারা রোজার আদব ও শর্ত সঠিকভাবে পালন করে। কিন্তু যারা সেসবের ধার ধারে না, তাদের থেকে শয়তানকে আবদ্ধ না-ও রাখা হতে পারে। (উমদাতুল কারি : ১০/২৭০)

তিন. রমজানের আগে কৃত পাপের প্রভাবে মানুষ পাপ করে থাকে। যেমন একটি লোহা দীর্ঘক্ষণ আগুনে রাখার পর তা থেকে বের করা হলেও বেশ কিছুক্ষণ তার প্রভাব বাকি থাকে, একইভাবে গাড়ির চাকা দীর্ঘ সময় চলার পর থামানো হলেও কিছুদূর পর্যন্ত চলতে থাকে; ঠিক তেমনি ১১ মাসের পাপের প্রভাবে রমজানেও কারো কারো কাছ থেকে পাপ হয়ে থাকে।

চার. কোনো কোনো হাদিস ব্যাখ্যাকারী বলেছেন, রমজানে সব শয়তানকে বন্দি করা হয় না, অতিরিক্ত দুষ্ট শয়তানকে বন্দি করা হয়। তাই অন্য শয়তানদের প্ররোচনায় মানুষ পাপ করে। (ফাতহুল বারি : ৪/১১৪)

পাঁচ. মহান আল্লাহ কোরআনের সুরা নাসে বান্দাদের মানুষ শয়তান ও জিন শয়তান উভয় থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যারা মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে মানুষের মধ্যেও এক ধরনের শয়তান রয়েছে, যারা মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। রমজানে জিন শয়তানকে বন্দি রাখা হলেও মানুষরূপী শয়তানদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।

ছয়. কারো কারো মতে, রমজানে বন্দি থাকার কারণে শয়তানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকলেও পরোক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকে না। তাই মানুষ পাপ করে। (বিস্তারিত দেখুন : শরহুন নববী আলা মুসলিম : ৭/১৮৭, শরহুস সুয়ূতি আলা মুসলিম : ৩/১৮৩, মিরকাতুল মাফাতিহ : ৪/১৩৪১, ফয়জুল বারি : ৪/৩২৭)

শয়তান খারাপ ফেরেশতা তাকে দেখা যায়না
সুতরাং তার বেশ ভূষা বা তার শৃংখলিত অবস্থাও
দেখা যায়না। আমরা না দেখেই সৃষ্টিকর্তাকে
বিশ্বাস করি এবং তার বানী ও বিশ্বাস করি।
এখানে লজিক মিলাতে যাইনা।
আপনিও যদি না দেখে বিশ্বাস করতে না চান
তা হলে বলার কিছু নাই। আপনি কি যানেন আপনার পিতাকে?
আপনি না দেখেই শুধু মাত্র আপনার মাযের উপর বিশ্বাস করেইতো
আপনি আপনার পিতাকে স্বীকার করেছেন তাই না?
সব বিষয়ে তর্ক করতে হয়না।

আমি আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইনা
কারণ আমি রোজাদার।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আল্লাহ নিরাকার।
যখন বলা হয় আল্লাহ আমাদের দেখেন তখন আল্লাহর একটা আকার আমাদের কল্পনা করে নিতে হয়। যে আকারের চোখ আছে, সেই চোখ দিয়ে আল্লাহ আমাদের দেখছেন।
আরবি একটি উচ্চ সাহিত্যমান সম্পন্ন ভাষা। আল্লাহ বান্দার সকল কর্ম সম্পর্কে অবগত আর আল্লাহ আমাদের দেখেন এক কথা নয়।
অনুবাদ কারকদের শব্দ চয়েন ভুলের কারনে 'আল্লাহ আমাদের দেখেন' বা শয়তানকে শৃঙ্খলিত' এই সব শব্দ এসেছে বলে আমার ধারনা।
তবে সুন্দর পোস্টের জন্য নুরু ভাইকে ধন্যবাদ ।
(মা হাসান ভাই বলতে না বলতেই দেখি নুরু ভাই হাজির)

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।
কারন তুলনামূলক ভাবে এ মাসে অন্যান্য মাস থেকে পাপাচার কম হয়,
মুসল্লীর সংখ্যা বেড়ে যায়, নামাজীদের ভীরে মসজিদে তিলধারনের ঠাই
থাকে না। এ থেকেই বোঝা যায় শয়তান বন্দি আছে আল্রাহর কুদরতে।

শয়তান শিকলাবদ্ধ থাকার অর্থ কি মানুষ এ দিনগুলোতে কোনো ধরনের পাপ কাজে লিপ্ত হবে না?
অবশ্য তা নয়। শয়তান বিভিন্নভাবে মানুষকে পাপ কাজে লিপ্ত করতে উদ্বুদ্ধ করতে চাইবে ঠিকই;
কিন্তু একজন মোমিন ব্যক্তি যে রোজা রেখে অধিক হারে ইবাদতে রত থাকবে
তাকে শয়তান কিছুই করতে পারবে না। যে ব্যক্তির রোজা শুরু হয় তাহাজ্জুদের
নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আর দিন অতিবাহিত হয় খোদার স্মরণে, তার ওপর
কোনোভাবেই শয়তান ভর করতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন,
'হে মানবজাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে তা হতে তোমরা
আহার করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিও না,
নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।' (সূরা বাকারা; আয়াত :১৬৮)।

শয়তান যেহেতু আমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তাই আমরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে
রোজা রাখি ও নেককর্ম করতে থাকি, তাহলে সে আমাদের কোনো ক্ষতিই
করতে পারবে না। কিন্তু আমরা যদি রোজা রেখে রোজার হক আদায় না করি,
তাহলে শয়তান আমাদের ওপর ভর করবে আর আমাদের দ্বারা মন্দকাজ সংঘটিত হবে।
আমাদের প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং এর ওপর
আমল করা থেকে বিরত থাকে না, আল্লাহতায়ালার জন্য তার উপবাস থাকা এবং
পিপাসার্ত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।' (বোখারি)। অর্থাৎ যখন মানুষ রোজার
প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে গাফেল হয়ে যায় তখন সে শুধু নিজেকে উপবাসই রাখে,
যা আল্লাহতায়ালার জন্য কোনো প্রয়োজন নেই। আসলে যে ব্যক্তি রোজা রেখে
বৃথা কাজকর্ম করে, মিথ্যা কথা বলে, ধোঁকা দেয়, ব্যবসায় অধিক মুনাফা করে এবং
প্রতারণা করে, সেটি মূলত তার জন্য রোজা নয় বরং শুধু উপবাস থাকার নামান্তর।
আল্লাহ মানুষের অন্তর দেখেন। কোন নিয়তে সে রোজা রাখছে এটাই মূল বিষয়।
আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজান থেকে কল্যাণমণ্ডিত হয়ে তার প্রিয়দের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমিন।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বহুদিন পর নুরু ভাই.....

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য।
রমজানে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে,
সময় করে উঠতে পারছিনা

৫| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের সকল কর্ম মানুষের ভাবনাশক্তি থেকে সম্পাদন করা হয়; আদি মানুষ নিজের অপকর্মকে ও অন্যের অপকর্মকে ৩য় জনের ঘাঁড়ে চাপাতে গিয়ে "শয়তান" নামের চরিত্র আবিস্কার করেছিলেন; আজকের সভ্যতায় এই ৩য় জন আর নেই, নিজের কর্মের জন্য নিজেই দায়ী।

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শয়তান নামের চরিত্র আবিস্কার হয়নি
বরং আল্লাহর আদেশ অমান্য করার পরিনতি।
মাটির আদমকে অবহেলা ও অবজ্ঞার শাস্তি

৬| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: শয়তান শৃঙ্খলিত থাকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বড় বড় শয়তানে রুপান্তর হয়

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যুক্তি আছে আপনার মন্তব্যে।
তা না হলে ইফতারীতে ভেজাল
দেবার দুঃসাহস দেখাতো না।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: যারা সংযম করছে না মৃত্যুর পর আল্লাহ তাদের কঠিন শাস্তি দিবেন।

৮| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:১৬

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: এসব ব্যবসায়ীরাই হলো রমযান মাসের প্রকৃত শয়তান।

৯| ১৮ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অসাধারন বিষয়ে একটি দারুণ লিখা উপহার দিলেন।মনটা আনন্দে ভরে গেল।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

১০| ১৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সঠিক সময়ে ভাল বিষয় তুলে ধরেছেন।
সংযমের মাসে সংযম আমাদের দেহ ,মনে এবং কথাতেও।

আপনি ইদানিং খুব কমিয়ে দিয়েছেন ব্লগে আসা। ব্যস্ততা বা যেটাই থাকুক মনে, আমরা যে আপনাকে আগের অবস্থায় দেখতে চাই।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় নুরু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.