নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরার্থই মহত্ত্ব

শান্তিবাদ

নুরুলইসলাম খান

নুরুলইসলাম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান : ২৮ রোজায় ঈদের চাঁদ দেখতে বললেন সৌদি সুপ্রিম কোর্ট!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

এ বছর সৌদি আরবে রমজান ২৮ দিনেই শেষ হতে পারে। এ জন্য গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সৌদি সুপ্রিম কোর্ট। চাঁদ দেখা গেলে আজ বুধবার সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে ঈদের পরদিন আরেকটি রোজা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতারা। তবে রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁদ দেখামাত্রই নিকটস্থ আদালতে জানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না গেলে আজ বুধবারও চাঁদ দেখতে হবে।

এ বিজ্ঞপ্তির ফলে মুসলিম তীর্থভূমি হিসেবে স্বীকৃত দেশটিতে ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ২৮ রোজার শেষে কিভাবে ঈদ হবে, গতকাল সেই প্রশ্ন ছিল সৌদি নাগরিকদের মুখে মুখে।

আরবি চান্দ্র বর্ষ অনুযায়ী রমজান মাস সম্পন্ন হয় ২৯ অথবা ৩০ দিনে। মাসটি কবে শেষ হবে, সেটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে ২৯ রমজানের সন্ধ্যায় (সূর্যাস্তের পর) নতুন চাঁদ দেখতে পাওয়া বা না পাওয়ার ওপরে।

চাঁদের গতিবিধি জ§ দিয়েছে ২৮ রমজানের শেষে চাঁদ দেখার এই বিশেষ প্রয়োজনীয়তা। এর আগে একই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল হিজরি ১৪০৪ সালে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টাব্দ অনুযায়ী সেটা ছিল ১৯৮৪ সাল)।

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতারা একমত হয়েছেন, হিজরি ১৪০৪ সালের রমজানের মাস গণনার নিয়মটি সঠিক ছিল না। শুরুতেই ভুল করা হয়েছিল। এ কারণে সে বছরও ২৮ রোজার শেষে ঈদের চাঁদ উঠতে দেখে সৌদি আরবের মানুষ। সে বছরও স্বাভাবিক নিয়মে ২৮ রোজা শেষে মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরের রোজাটি রাখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই সেহরি খাওয়ার ব্যবস্থা করছিল। অনেকে রাতের কাজ সেরে ঘুমিয়েও পড়েছিল। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে সন্ধ্যার আকাশে দেখা দিয়েছিল শাওয়ালের চাঁদ। সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় সেই চাঁদ দেখতে পেয়ে বিচলিত হয়ে যায় স্থানীয় মানুষ। এরপর ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে তুমুল আলোচনা শেষে পাওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে মধ্যরাতে পর দিন ঈদ হওয়ার ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি এতটা আধুনিক না হওয়ায় খবরটা সারা দেশের মানুষকে তারা জানাতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। একই সঙ্গে বিষয়টা ভীষণ বিভ্রান্ত করে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে। আরব দেশগুলোতে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা। ফলে কোথাও সরকার ঘোষিত দিনে কোথাও বা এর পরদিন পালিত হয় ঈদ উৎসব। মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় নেতারা সৌদি আরবের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেন। সে দেশে ২৯ রোজার শেষেই পালিত হয় ঈদ।

সেই বিতর্কে ছিল দুটো দিক। ধর্মীয় বিধান অনুসারে শাওয়ালের চাঁদ দেখা দিলে পরদিন ঈদের নামাজ পরার যেমন নিয়ম আছে পাশাপাশি রোজা ২৯ বা ৩০টি করতে হবে এমন নিয়মও পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। সৌদি ধর্মীয় নেতারা ফতোয়া দেন, যেহেতু ২৮ রোজা শেষে ঈদ হয়েছে আর ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী রোজা হতে হবে কমপক্ষে ২৯টি তাই অবশিষ্ট রোজাটি ঈদের পরে রাখতে হবে। এর বিপরীতে উদারপন্থী ফতোয়াও দিয়েছিলেন আরেক দল ধর্মীয় নেতা। তাঁরা বলেন, যে রোজাটি বাদ পড়ে গেছে সেটি পালন না করতে চাইলে ১০ জন ফকির-মিসকিনকে খাওয়াতে হবে।

চান্দ্র বর্ষ অনুযায়ী ৩০ বছর পরে এবার এসেছে সেই বছর। তাই সৌদি আরবে এই উদ্বেগ। চাঁদ দেখা গেলে আজ সৌদি আরবে যদি ঈদ শুরু হয় তবে এর প্রভাবে গোলমালে পড়ে যাবে পুরো মুসলিম বিশ্ব।

(তথ্য সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার লিঙ্ক Click This Link

)





মুছলিম বিশ্ব যদি চাঁদের এ ফাঁদ হতে কোরানিকভাবে মুক্তি পেতে আগ্রহী থাকে তবে ‌ইয়ং মুছলিম সোসাইটি’র নীচের লিঙ্ক থেকে সমাধান নিতে পারেন:







Click This Link

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

আহলান বলেছেন: ঈদের পরে আরো একটি রোজা তো আমরাও রাখছিলাম যেদিন হাসিনা বুবু রাত ১০টায় চাঁদ দেখার ঘোষণা দিছিলেন ....১৯৯৮ সালে

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

িভৃতচারী বলেছেন: আহলান বলেছেন: ঈদের পরে আরো একটি রোজা তো আমরাও রাখছিলাম যেদিন হাসিনা বুবু রাত ১০টায় চাঁদ দেখার ঘোষণা দিছিলেন ....১৯৯৮ সালে

:D :D :D :D :D

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: complicated B:-)

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

ফেরদাউস দেশী বলেছেন: সহজ বিষয় এত জটিল করে দেখা হচ্ছে কেন!

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: কোরানের আলোকে ইয়ং মুছলিম সোসাইটি'র সমাধানটি একে বারেই সহজ সরল। কিন্তু মেনে নিতে কেন এত গড়িমসি?

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: যদি প্রতিপদ (জন্মলগ্ন) -এর কারণে চাঁদ দেখা নিয়ে কোন সমস্যা তৈরি হয় আর এর জন্য রোজা ২৮ টা হয় তবে সহজ সমাধান হলো অবশিষ্ট রোজাটি ঈদের পরে রাখতে হবে।

এটা নিয়ে এত ঘাপলা করার কিছু নেই।

ইয়ং মুছলিম সোসাইটি এই সাইটটি সম্ভবত বাতিল বাহাই ধর্মের যারা মুসলিম সেজে বসে আছে।

এই সাইটে কেউ যেয়ে নিজের মাথা নস্ট করবে না বলে আসা করি।

এই সাইটে তাদের উদ্দেশ্যের ২নম্বর ধারায় নিচের কথা লেখা আছে।
''২. যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আল্লাহ প্রেরিত সকল রাছুল-নবী, সকল ঐশী গ্রন্থের ওপর সমভাবে বিশ্বাস স্থাপন না করে এবং পুনঃপুনঃ রাছুল-নবী আগমনে বিশ্বাসী না হয়।''

পুনঃপুনঃ রাছুল-নবী আগমনে বিশ্বাসী হওয়া মানে মহানবী (সা:) কে শেষ নবী না মানা।

সাইটটি দেখে আমার মনে হলো তারা হাদীস বাদ দিয়ে কোরআন বুঝার চেস্টায় আছে , এটাও কোন মুসলমানের কাজ না।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: আমি সা : লেখার সময় কোন ভুলে কিছু একটা হয়েছে তাই ওই কমেন্ট মুছে ফেলে নিচেরটা রাখুন।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: যদি প্রতিপদ (জন্মলগ্ন) -এর কারণে চাঁদ দেখা নিয়ে কোন সমস্যা তৈরি হয় আর এর জন্য রোজা ২৮ টা হয় তবে সহজ সমাধান হলো অবশিষ্ট রোজাটি ঈদের পরে রাখতে হবে।

এটা নিয়ে এত ঘাপলা করার কিছু নেই।

ইয়ং মুছলিম সোসাইটি এই সাইটটি সম্ভবত বাতিল বাহাই ধর্মের যারা মুসলিম সেজে বসে আছে।

এই সাইটে কেউ যেয়ে নিজের মাথা নস্ট করবে না বলে আসা করি।

এই সাইটে তাদের উদ্দেশ্যের ২নম্বর ধারায় নিচের কথা লেখা আছে।
''২. যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আল্লাহ প্রেরিত সকল রাছুল-নবী, সকল ঐশী গ্রন্থের ওপর সমভাবে বিশ্বাস স্থাপন না করে এবং পুনঃপুনঃ রাছুল-নবী আগমনে বিশ্বাসী না হয়।''

পুনঃপুনঃ রাছুল-নবী আগমনে বিশ্বাসী হওয়া মানে মহানবী (সাঃ ) কে শেষ নবী না মানা।

সাইটটি দেখে আমার মনে হলো তারা হাদীস বাদ দিয়ে কোরআন বুঝার চেস্টায় আছে , এটাও কোন মুসলমানের কাজ না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.