নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিমূর্ত!

অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব'

ফাহাদ চৌধুরী

মেঘ কোকিলের শহরে আমি সিসিফাস

ফাহাদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়ান কবি ভ্লাদিমির মায়কোভস্কি’র কবিতার অনুবাদ ও আত্মহত্যা প্রসংগ

০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩০





১/



একটা পেরিয়ে গ্যাছে ঘড়ির কাটা



একটা পেরিয়ে গ্যাছে ঘড়ির কাটা, তুমি নিশ্চয়ই শুয়ে পড়েছ ।

রাতজাগা দুধালো বৃত্তের স্রোতস্বীনিতে বয়ে যায় রুপার লহর ।

আকস্মিক বার্তায় তোমাকে ঞ্জাগরিত কিংবা উৎকন্ঠিত করার

কোন অভিপ্রায় আমার নেই, যদিও আমার কোন ব্যস্ততা নেই,

এবং তারা সবাই যেভাবে বলে, ঘটনার নথিপত্র স্তগিত করা হয়েছে ।

জীবনের যাতাকলে ভালোবাসার নৌকার হয়েছে ভরাডুবি

সময় এসেছে তোমার-আমার ছাড়াছাড়ির, তবে কি প্রয়োজন

দুজনের অতীতের দুঃখ, যন্ত্রণা ও ক্ষতগুলোকে কাটাছেড়ার ।

বিস্মিত নয়নে চেয়ে দ্যাখো পৃথিবীর শুনশান নৈঃশব্দ্য ।

আকাশের বেদীতে তারাদের অর্ঘ্য নিবেদন করে রাত ।

এমন সময়, একজন জেগে উঠে কথা বলে

সময়, ইতিহাস এবং বিশ্বলোকর সাথে ।



(১৯৩০)



(কবিতাটি আত্মহত্যার পর তার নোটবুকের কয়েক পেজ স্ক্রিবল লাইনের মাঝে পাওয়া গিয়েছিল, ধারনা করা হয় এই কবিতাটি তার At the top of my voice কবিতাটির ধারাবাহিকতায় লিখা )



২/



জ্যোৎস্নালোকিত রাত



সেখানে চাঁদ থাকবে,

এরই মাঝে উদীয়মান

এক টুকরো,

আর এখন পুর্নিমার চাঁদ ভাসছে শূণ্যে...

সম্ভবত সে-ই ঈশ্বর

ঐশ্বরিক ঐশ্বর্যমন্ডিত

রুপোর চামচ,

সুপের বাটিতে খুজে ফেরে তারার মাছ ।



(১৯১৬)



৩/



শোন!



শোন!

অবশেষে, তারারা যদি আলো ছড়ায়

তবে নিশ্চিত, কেউ তাদের প্রয়োজন বোধ করেছিল

কেউ হয়তো কামনা করেছিল আকাশে তাদের উপস্থিতি

তবে কেউ নিশ্চয়ই মনেপ্রানে চেয়েছিল

মুক্তোদানার নিঃসরন ।



এবং মুহুর্মুহু নিঃশ্বাসের শব্দ,

শেষ বিকেলে ধুলিঝড়ের ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে খেতে

সে ত্বরিতে ছুটে যায় ইশ্বরের কাছে,

এরই মধ্যে বিলম্বিত, এইভেবে সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়

এবং অঝোরে কেঁদে কেঁদে

ইশ্বরের মাংসল হাতে চুম্বন করে,

এবং তারার উপস্থিতির নিশ্চয়তা অনুনয় করে

বলতে থাকে, তারাহীনতার বিষাদ হবে অসহনীয় ।

অতপর, উদ্বিগ্নতায় সে পায়চারী করতে থাকে

দৃশ্যত, সে ছিল শান্ত ।

এবং কাউকে বলে উঠলো

‘অবশেষে সব ঠিকঠাক,

কিছুতে তোমরা ভীতসন্ত্রস্ত নও,

তাই নয় কি?



শোন!

যদি তারারা আলো ছড়ায়-

তবে নিশ্চিত, কেউ তাদের প্রয়োজন বোধ করেছিল

তবে, তাদের উপস্থিতি অপরিহার্য

এভাবেই প্রতিটি সন্ধায়

অন্তত একটি তারা

দালানের চুড়ায় উদিত হবে ।



(১৯১৪)



সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও আত্মহত্যাঃ



গত শতাব্দির শুরুতে রুশ বিপ্লবের অন্যতম পথিকৃত মায়াকোভস্কিকে বলা হয় রাশিয়ান কবিতার 'raging bull' । ওভারকোট আর হ্যাট মাথায় দীর্ঘদেহী মানুষটি পুঁজিবাদী সমাজের শোষণ, মানুষে মানুষে অসাম্যের কথা বলেছেন । তার কবিতা অনূদিত হয়েছে পৃথিবীর নানান দেশে, নানান ভাষায়। অসাধারণ সুন্দর আবৃত্তি করতেন মায়াকোভিস্ক । তার কবিতায় রয়েছ এক ধরনের বিমর্ষ চিৎকার । তার কবিতায় সে চিৎকারগুলো কাগজবন্দী শব্দে পরিনত হয় আর শব্দগুলো সৃষ্টি করে গভীর অর্থদ্যোতনা । আর সমাজে একজন আর্টিস্টের ভুমিকাকে তিনি পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছেন, নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন ।



১৮৯৩ সালের ১৯ জুলাই প্রখ্যাত লেখক, কবি, নাট্যকার ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি সোভিয়েত রাশিয়ার জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন । ১৪ বছর বয়সেই মায়াকোভস্কি সক্রিয়ভাবে সোশ্যালিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯০৬ সালে তার বাবার অকাল মৃত্যুর পর তিনি মা ও দুই বোন সহ মস্কোতে চলে আসেন । মস্কোয় মায়াকোভস্কি মার্কসিস্ট সাহিত্যের প্রতি ঝুঁকে পড়েন । ১৯০৮ সালে বিধ্বংসী কর্মকান্ডের জন্য ১১ মাস কারাগার যাপনকালে তিনি প্রচুর বই পড়েন । তখুনি তিনি কবিতা লিখা শুরু করেন জেলযাপন কালে । তার কবিতায় সমাজবাদের জোরালো সুর রয়েছে । সে বছরই তিনি মস্কো আর্ট স্কুলে ভর্তি হন যেখানে তিনি রাশিয়ান ভবিষ্যবাদী আন্দোলনের অনেকের সাথে পরিচিত হন । লেলিনের বোলসেভিকের(RSDLP) সমর্থক ছিলেন তিনি । তিনি ছিলেন গতিশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী জাতীয় বীর । তার পলিটিক্যাল কবিতা কৃত্রিম উপদেশাত্মক ছিল না, বরং তা ছিল impressionistic । অক্টোবর রেভ্যুলিউশনের পর তিনি ছিলেন সোভিয়াত রাশিয়ার গুরুত্বপুর্ন প্রতিনিধিস্থানীয় পথপ্রদর্শক ।



প্রকৃতি তাকে যতটা না উদ্ভুদ্য করেছিল তার চেয়ে প্রযুক্তি তাকে বেশি আলোড়িত করত । তার আত্মজীবনীর বর্নায় রয়েছে আলোকিত রাতের শহরের রিভেটের ফ্যাক্টারি দেখে তার উপলব্ধি "lost interest in nature. Not up to date enough." । কবিতা গুলো ছিল অনেকটা স্বীকারোক্তিমুলক । তার কবিতার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল ভালবাসায় প্রতিদানহীনতা, অপ্রাপ্যতা, দুর্ভাগ্য, বিষাদ । তিনি ছিলেন সুদর্শন ও বিখ্যাত কবি । নারীরা স্বভাবতই তার প্রতি আসক্ত হত । ১৯১৫ সালে লিলিয়া ব্রিকের প্রেমে পড়েন, লিলিয়া ব্রিককে বলা হয় ‘muse of Vladimir Mayakovsky’ । অসিপ মাক্সিমোভিচ ব্রিক ছিল লিলিয়া ব্রিকের স্বামী । আবার অসিপ ছিল মায়াকোভিস্কর প্রকাশক । "The Backbone Flute" কবিতাটি তিনি লিলিয়া ব্রিককে উৎস্বর্গ করেন ।



ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ মায়াকোভিস্কর জীবনের শেষ বছরটি ছিল ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। ১৯২৯ সালের ১৩ মে, রেসের মাঠে অসিপ এর মাধ্যমে তার পরিচয় হয় অভিনেত্রী ভেরোনিকা পোলানস্কায়া এর সাথে । শেষ বছরটিতে তিনি ভেরোনিকা পোলানস্কায়ার প্রেমে পড়েন। সম্পর্কের টানপোড়েন তাকে ভীষণরকম বিমর্ষ, অধৈর্য আর বিপর্যস্ত করে তোলে । পোলানস্কায়াও ছিল বিবাহিত । ১৯৩০ সালের শুরুর দিকে ইয়ানশিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের করে এবং থিয়েটার ছেড়ে দিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলেন মায়াকোভস্কি । এপ্রিলের শুরুতে ‘nervous exhaustion’ এর কারনে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় । ১৯৩০ সালের ১২ এপ্রিলে তাদের কথা হয় যে এর পরের দু-দিন তাদের মাঝে শুধু ফোনালাপ হবে । ১৩ এপ্রিল বিকালে পোলানস্কায়া এর সাথে কিছু অসস্তিকর ঘটনা ঘটে তার । পোলানস্কায়ার ভাষ্যমতে সে সময় মায়াকোভিস্ক নিযের শিল্পভাবনার শক্তি নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে । ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে আটটার দিকে মায়াকোভিস্কর সাথে পোলানস্কায়া দেখা হয় । এরপর সকাল ১০:১৭ তে মায়াকোভিস্ক রিভলবারের গুলিতে আত্মহত্যা করেন ।



লিলি ব্রুকের ভাষ্যমতে সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি তার মাঝে স্বভাবজাত ছিল । এছাড়াও তার আত্মহত্যার অনেক কারন বিভিন্ন রেফারেন্সে উল্লেখ রয়েছে । ১৯২৯ সালে তিনি তাতিয়ানা নামের এক মডেলের প্রেমে পড়েছলেন । তাতিয়ানা একজন ফ্রেঞ্চকে বিয়ে করার ঘটানায় তিনি ব্যাথিত হন । ফিউচারিষ্ট দ্বারা গঠিত Left Front of Art (LEF) এর সাথে RAPP এর দ্বন্দ সে সময় প্রকট হিসাবে দেখা দেয় । এর সাথে ১৯২৮ সালে তার ‘The Bedbug’ বা ‘The Bathhouse’ নাটকদুটি ততকালীন কমুনিজমের আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্বকে উপস্থাপন করে যা সুবিধাভোগী আমলাদের উদ্গিগ্ন করে । যে আদর্শের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন তার অবনমন তাকে ব্যাথিত করে । ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় ছিলেন তিনি । এসব বিবেচনা করে অনেকে তার মৃত্যুকে গুপ্তহত্যা হিসাবেও গন্য করেন ।



সুইসাইড নোটে তিনি লিখেনঃ



“Do not blame anyone for my death and please do not gossip. The deceased terribly dislike this sort of thing. Mamma, sisters and comrades, forgive me - this is not a way out (I do not recommend it to others), but I have none other. Lily - love me…Comrades of VAPP - do not think me weak-spirited. Seriously - there was nothing else I could do.”



তার মৃত্যুর পর সারা রাসিয়ায় শোক নেমে আসে । ১৫০০০০০ মানুষের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান!



১৯১৫ সালে মায়কোভস্কি মেক্সিম গোর্কিকে তার ‘ক্লাউড ইন ট্রাউজার্স’ কবিতা থেকে কিছু পংতি আবৃতি করে শুনিয়েছিলেন । । তার মৃত্যুর পর গোর্কি লিখেছিলেনঃ



‘I liked his verses and he read very well: he even broke into sobs, like a woman, and this alarmed and disturbed me. He complained that a human being is ‘divided horizontally at the level of the diaphragm.’ When I told him that in my opinion he had a great but probably hard future, and that his talent called for a lot of work, he answered gloomily, ‘I want the future today,’ and again, ‘Without joy I don’t need any future, and I feel no joy.’ He behaved very nervously and was clearly deeply disturbed. He seemed to speak with two voices, in one voice he was a pure lyricist, in the other sharply satirical. It was clear that he was especially sensitive, very talented, and—unhappy



=============





রাশিয়ান থেকে ইংরাজী অনুবাদের জন্য অনুসরিতঃ





লিঙ্ক-১



লিঙ্ক-২

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪২

অথৈ সাগর বলেছেন: ভালো লাগল । তাই আওয়াজ দিয়া গেলাম । :P

০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: থ্যাংস অ্যা বাঞ্চ! ভাল থাকুন সবসময়!!

২| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৯

সায়েম মুন বলেছেন: কবি ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি’র জীবন বৃত্তান্ত জানা হলো। তবে এ ধরনের মহান ব্যক্তিত্বের আত্মহত্যার প্রভাব কিন্তু ভক্তদের মাঝেও পরে। দৃষ্টান্তটা খুব খারাপ। তিনি অবশ্য বলে গেছেন I do not recommend it to others.

মেক্সিম গোর্কি বলেছেন I liked his verses and he read very well: he even broke into sobs, like a woman, and this alarmed and disturbed me.
------------একজন মানুষের এরকম ক্যারেক্টারের না হওয়াই। তারপরো মানুষ বলে কথা। অনেক মানুষের মাঝে আবেগটা অনেক জেকে বসে। তার মাঝে সেটা প্রবল ছিল বুঝা যায়।

আর কবিতাগুলোর অনুবাদ অসাধারণ হৈছে।

০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: এপ্রিল ইজ দ্য ক্রুয়েলেস্ট মান্থ! এলিয়টের বলা কথা! এপ্রিলকে ধরা হয় নির্মমতা, বিষাদ ও শুন্যতাম মাস!

এপ্রিলে মৃত্যু বরনকারীদের লিষ্টঃ

১ এপ্রিলঃ জন উইলমন্ট, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ পোয়েট লোরেট করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ।
৩ এপ্রিলঃ জুলিয়াজ স্লোয়াক্কি
১০ এপ্রিল: চার্লস সুইনবার্ন (৯ এপ্রিল বোদলেয়ারের জন্ম)
১৪ এপ্রিলঃ ভ্লাদিমির মাযকোভস্কি
১৯ এপ্রিলঃ লর্ড বায়রন
২৩ এপ্রিলঃ উইলিয়াম ওয়ার্ডওয়ার্থ (জন্ম ৭ এপ্রিল), পিটার পোর্টার, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (জন্ম ও মৃত্যু উভয়ই), রুপার্ট ব্রুক
২৭ এপ্রিলঃ রালফ এমারসন, হার্ট ক্রেইন

উইকিতেই খুজলে আরো ডিটেইল পাওয়া যাবে ।

=======

আত্মহত্যাকারী শিল্পী ও সাহিত্যিকের তালিকাটি বিশাল! ভিনসেন্ট ভ্যানগগ, ভার্জিনিয়া উলফ, সিলভিয়া প্লাথ, রবার্ট ক্রেন, ডন কার্পেন্টার, ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি, সিগমুন্ড ফ্রয়েড, ইয়াজুনারি কাওয়াবাতা, জন বেরিম্যান, তাদেউশ বরোস্কি (মাত্র ২৮ বছর বয়সে), ইয়োকিউ মিশিমা, হ্যারি মার্টিনসন, মেরিনা তসভেতেইভা, স্টিফেন জোয়েগ এবং আরও অনেকে!

========


প্রতিভাবানদের মধ্যে ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার’ বা স্থায়ী বিষাদগ্রস্ততা বা ‘ম্যানিক ডিপ্রেশন’ এর নজির দেখা যায়! ‘মুড’ বা ভাবের পরিবর্তনে ম্যানিয়া বা ‘ইলেশন’ থেকে ‘ডিপ্রেশন’-এ চলে যেতে যান!

=====

১৯২৫-এর ২৮ ডিসেম্বর সর্গেই ইয়েসেনিন একটি হোটেল কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। যে কক্ষে অবস্থান করছিলেন সেখানে দোয়াতের কালির ছিল শুকনো। তিনি হাতের কবজি কেটে ফেলেন। ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্তে কলমের নিব চুবিয়ে লিখে ফেলেন সুইসাইড নোট!

অ্যানি সেক্সটন এর কবিতার অন্যতম থিম নিজের আত্মহত্যা প্রবণতা, বিষণ্নতা, ব্যক্তিগত জীবনের হতাশা ও ব্যর্থতা । 'বাইপোলার ডিজঅর্ডার' ছিল তার । ৪ অক্টোবর, ১৯৭৪ দিনভর কবিবন্ধু ম্যাক্সিম কুমিনের সঙ্গে প্রকাশিতব্য এ কাব্যগ্রন্থটি সংশোধন ও পুনর্সজ্জা করেন। বাড়ি ফিরে তার মায়ের পুরনো পশমি কোট গায়ে চাপান। এক গ্গ্নাস ভদকা খেয়ে গাড়ির গ্যারেজে ঢুকে ভেতর থেকে তালাবন্ধ করে দেন। তারপর গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে বসে থাকেন। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করতে করতে তার মৃত্যু হয়।

সিলভিয়া প্লান্থ এর ফামিলিতেও এই প্রবনতা আছে! বিষণ্নতা ও তার দ্বৈত সত্তার জটিল মানসিকতা অবশেষে তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়। অবশেষে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সাল, প্লাথ তার মাথা গ্যাস ওভেনে সম্পূর্ণ ঢুকিয়ে দিয়ে গ্যাস চালু করে দেন। এতেই তার মৃত্যু হয় 1

আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের সুইসাইডের প্রতি আটট্রাকশন ফ্যামিলিগত! ১৯৬১-এর ২ জুলাই ভোরবেলায় ডাবল ব্যারেল শটগানের গুলিতে আত্মহত্যা করেন! মৃত্যুর ক'দিন আগে তিনি হতাশা ও বিষণ্নতায় ভুগছিলেন

জীবনানন্দ দাশ মৃত্যুর ট্রামের চাকায়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি এ ব্যাপারে শক্ত যুক্তি আছে!

=======


ধন্যবাদ আপনাকে, সায়েম ভাই! আপনি কেমন আছেন?

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৪

পারভেজ আলম বলেছেন: দারুন লিখছেন তো। এই জাতীয় লেখা ব্লগে মিস করি। মায়কোভস্কির মতো মানুষেরা বড় বেশি সত্যবাদী হয়, আর বড় বেশী সৎ হয়, এই কারণে প্রচলিত রাজনীতিতে তাদের সপ্নভঙ্গ হয়।

০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৮

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

পাঠে অসংখ্য ধন্যবাদ! মায়কোভস্কি একাধারে পেইন্টার, ফিল্ম ডিরেক্টর, আবৃতিকার, নাট্যকারও ছিলেন!

ভাল থাকুন , সবসময়!!

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৮

আহসান জামান বলেছেন:
চমৎকার কাজ, কবিতা অনুবাদ অপূর্ব। ভালো থাকবেন কবি।

০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৪

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস আহসান ভাই!

আশা রাখি ভালো আছেন!!

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২৮

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: কবিতাগুলো ভালো লাগলো বিশেষ করে ১ ও ৩।
যারা পথ প্রদর্শক তাদের এই ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়। হয়ত ব্যাক্তিগত এবং রাজনৈতিক দুই দিকেই স্বপ্নভঙ্গ এর কারন।
ভালো লাগলো আপনার লেখাটি

০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪৪

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: পড়ার জন্য অজশ্র ধন্যবাদ!

শুভরাত্রি!

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আজ আসবেন তো?

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

:(

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ++++++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংস, ইমন ভাই!

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৫০

লিটল হামা বলেছেন: এরকম পোস্ট ারো চাই। ব্লগে এ জাতীয় পোস্টের খুবই অভাব। গ্রেট জব মিশ্লয়েড।

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ হামা ভাই!

ট্রাই করুম!

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৫

সায়েম মুন বলেছেন:
আপনার লিষ্ট থেকে তো দেখলাম অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তিই আত্মহত্যা করেছেন। আমার মনে হয় প্রতিভাবানরা অনেক বেশী আবেগপ্রবণ। না পাওয়ার হিসেবটা মেলাতে না পেরে তারা আত্মহননের পথ বেঁচে নেন।

আমি ভাল আছি ফাহাদ ভাই। আশা রাখি আপনিও ভাল আছেন। শুভকামনা রইলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০১

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
ভাল আছি, সায়েম ভাই!

ভাল থাকুন সবসময়!!

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৮

কবির চৌধুরী বলেছেন: ++++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০১

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংস অ্যা লট!!

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯

নস্টালজিক বলেছেন: দুরন্ত পোয়েট!

অনুবাদ খুব ভালো হইসে।

আমার খুব ভালো লাগেসে শোন!

বিস্মিত নয়নে চেয়ে দ্যাখো পৃথিবীর শুনশান নৈঃশব্দ্য ।
আকাশের বেদীতে তারাদের অর্ঘ্য নিবেদন করে রাত ।
এমন সময়, একজন জেগে উঠে কথা বলে
সময়, ইতিহাস এবং বিশ্বলোকর সাথে ।



কংগ্রেটস ফর আ গ্রেইট পোস্ট!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৭

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস বস!

ম্যালা খাটুনি যায়, এরাম পুষ্ট তৈরি কর্তে!!

আপনে ফেসবুকে নাই ম্যালাদিন? :(

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২১

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: বাহ, দারুণ পোস্ট! কিছুই জানা ছিলো এত বড় একজন কবি সম্পর্কে। অনেক কিছু জানা হলো, সুন্দর কিছু অনুবাদও পড়া হলো। ক্যারি অন, ব্রো!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৮

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস সিষ্টার!!

আফনের কাছে একটা খাওন পাওনা আছে, মনে আছে তো?

১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৮

ডেইফ বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম আজ লেখাটি পড়ে।
কবিতাগুলো আসলেই অনেক ব্যতিক্রম।

এমন একটি পোস্টের জন্য লেখকের প্রতি ধন্যবাদ রইল। আসুক আরও এমন লেখা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:১৩

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস ডেইফ!


মায়কোভস্কির কবিতার অনুবাদ বেশ টাফ মনে হয়েছে আমার কাছে! ভাষাগত প্রব্লেম অন্যতম কারন! তার তার কবিতার মুলভাবের সাথে, মেটাফরগুলোর সাথে রিলেট করা জরুরী । তার কবিতাগুলো ততকালীন ফিউচারিষ্ট বা কমুনিষ্ট মেনিফিষ্টোর প্রকাশ করে! উপহাস বা বিদ্রুপ্রের টোন মায়কোভস্কির কবিতার অন্যতম অনুসঙ্গ! কবিতায় স্ট্রিট ল্যাংগুয়েজের ইউজ বেশি মনে হয়েছে!

পড়তে পারেন তার অন্য কবিতা গুলো!!


শুভরাত্রি!

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৯

মেঘবাজি বলেছেন: পৃথিবীর তাবৎ বিষাদগ্রস্ত কবিদের ঘরে আমার টুপি উড়ে গেল...

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংস!!

অ্যা ফুল গ্লাস অফ মেলাঙ্কোলিয়া ফর ইউ!!

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:

আমার মাঝে মাঝে খুব আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে, আত্মাকে নিয়ে ডুবে থাকতে আর ভালো লাগেনা। সাহসও পাইনা। এরচেয়ে মুক্ত করে দেয়াই বেশ ভালো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩৬

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:


আমারও সেইম অবস্থা, বস! কার্ট কোবিনের মত মনে হয় ইটস বেটার টু বার্ন আউট দ্যান ফেড আওয়ে!

ম্যালা দিন পর আপনার সাথে কথা হচ্ছে, আশা রাখি ভাল আছেন!!

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১১

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: হাহাহা! হ্যাঁ নিশ্চয়ই মনে আছে, থাকবে না কেন? ফ্রি হৈলেই আওয়াজ দিবেন। :)

০৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: :D B-)

অচিরেই!! :!>

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩

শিরীষ বলেছেন:
অনেকদিন পর পোয়েট !!
............
...............

সবগুলোই ভাল লাগল তবে 'শোন'- স্রেফ অ-সা-ধা-র-ণ।

শুভেচ্ছা।

০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৪

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংস বস!!


অনেক দিন পর আপনার সাথে কথা হচ্ছে!! ভাল আছেন আশা করি!

রিসেন্ট লিখা আপনার কবিতা গুলো পড়েছি! ব্লগে রেগুলার হলে কমেন্ট করবোয!!

শুভরাত্রি!!

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:০০

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: ব্লগে এই ধরনের লেখা মিস করি লিখবেন নিশ্চয় এই ধরনের লিখা ।ভালো থাকবেন

০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৭

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
লেখার ট্রাই করবো অবশ্যই!!

ধন্যবাদ !!

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪০

আহাদিল বলেছেন: শোন!
যদি তারারা আলো ছড়ায়-
তবে নিশ্চিত, কেউ তাদের প্রয়োজন বোধ করেছিল
তবে, তাদের উপস্থিতি অপরিহার্য


বাহ! চমৎকার পোস্ট!
কবিতার সাথে কবিকে জানা তার লেখার উপলব্ধি বা অনুভূতিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়!


(বইসা বইসা আত্মহননকারী মহাপুরুষদের লিস্টি বানানো তো খুব খারাপ কথা! মনে মনে ভাবেন বুঝি যে, আমিও মহান পুরুষ- আমারো আত্মহত্যা করিতে মন চায়! :-P )

০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৩৯

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

আফায় বিরাট কমেন্ট করছে!! B-)


থ্যাংকু!


B-) B-)

মায়কোভস্কির অন্য কবিতাও পড়তে পারেন! আমার জোস লাগছে!!!

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২১

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট। বাংলায় অনুবাদ কে করেছেন? ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য যথেষ্ঠ নয়। তবু দিয়ে গেলাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!!


শুভ মাঝরাত্রি!!

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনার পোস্ট মানেই তো অন্যরকম কিছু...

এখানেও তাই ... কবিতা ভাল লাগল...

তবে তার আত্ম হত্যার জন্য খারাপ লাগল...
আমরা কেমন মানুষ যে আমাদের চারপাশে থাকা একজন মানুষ আত্মহনন করবে...!! আর আমরা কীকরব তার জন্য... এর জন্য কী আমার চারপাশ দায়ী নয়...

কেমন আছেন?

২২| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনার পোস্ট মানেই তো অন্যরকম কিছু...

এখানেও তাই ... কবিতা ভাল লাগল...

তবে তার আত্ম হত্যার জন্য খারাপ লাগল...
আমরা কেমন মানুষ যে আমাদের চারপাশে থাকা একজন মানুষ আত্মহনন করবে...!! আর আমরা কীকরব তার জন্য... এর জন্য কী আমার চারপাশ দায়ী নয়...

কেমন আছেন?

০৮ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অজশ্র ধন্যবাদ, সুপান্থ!

আশা করি ভাল আছেন, আমি ভাল!


শুভ সন্ধা!!

২৩| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৫

নস্টালজিক বলেছেন: শুভ জন্মদিন, পোয়েট!

১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংস বস!

শুভ রাত্রি!!

২৪| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৯

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: শুভ জন্মদিন ফাহাদ :)

১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:১৯

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস অ্যা লট!

নিকের নামটা দারুন তো!!

২৫| ১২ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:২৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ওয়ে ওয়ে ওয়ে!

হ্যাপ হ্যাপ হ্যাপি বার্থডে মাই ব্রাদার!!

১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

থ্যাংকু, থ্যাংকু!

২৬| ১২ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৪৫

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: শুভ জন্মদিন

১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন!!

২৭| ১২ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

আহাদিল বলেছেন: মিশু......শুভ জন্মদিন......মিশু

পার্টি কই? !:#P !:#P
পালাইসেন নিশ্চয়ই!

১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২১

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

হৈব একটা শিউর! অচিরেই!! :-B

২৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৪১

ফাইরুজ বলেছেন: রাশিয়ান সাহিত্য পড়ার সুযোগ খুব কম পেয়েছি। তাও যে কটা পড়েছি এত এত কঠীন লেগেছিল যে পরে আর পড়ার আগ্রহ বোধ করিনি।
কিন্তু আপনার অনুবাদ গুলো খুব সহজ আর প্রাঞ্জল হয়েছে তাই পড়তেও খুব ভাল লাগলো। বাড়তি পাওনা লেখক সম্পর্কেও কিছু জানলাম।
শুভ জন্মদিন(দেরীতে দেবার জন্য দুঃখীত)

১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:১২

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
থ্যাংস অ্যা লট!

রাশিয়া লিটারেচার সত্যি কিছুটা টাফ আমাদের জন্য!

শুভ মাঝরাত্রি!

২৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৩

জুন বলেছেন: রাশিয়ান সাহিত্য পড়া আমার প্যাশন ফাহাদ। কারন অনেক খুটিয়ে খুটিয়ে বার বার পড়ে বুঝতে হয়, তারপরই এক অসম্ভব ভালোলাগায় জড়িয়ে পরা।
তবে কবিতা খুব কম পড়েছি। মায়াকোভোস্কির কথা অনেক শুনেছি। কবিতা পড়া হয়নি।
তোমার কল্যানে পড়া হলো। এটাই বার বার প্রমানিত হয় যে অতিরিক্ত প্রতিভাবান দের একটা অস্বাভাবিকতা থাকে।
অনেক ভালোলাগা।

১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:১৫

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন, বার বার পড়তে হয়!

মায়কোভস্কির একজন ফিল্ম ডিরেক্টর হিসাবে পরিচিতি আছে!


হুম! প্রতিভাবানরা সবসময় ডিফ্রেন্ট!


থ্যাংস অ্যা লট!

৩০| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:২১

সেলিম তাহের বলেছেন:
ভার্জিনিয়া উলফ ও সিলভিয়া প্লাথ-এর আত্মহত্যার ধরন রোমহর্ষক, আতঙ্ক জাগানিয়া।

ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি।

২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩১

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
পোষ্ট টা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!!

=====



উপন্যাস বিটুইন দ্যা অ্যাক্টস’র পাণ্ডুলিপি শেষ করার পর ভার্জিনিয়া মারাত্মক এক বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। ১৯৪১ সালের ২৮ মার্চ গায়ে ওভারকোট চাপিয়ে পকেট ভর্তি করে নেন পাথরে, তারপর বাড়ির কাছে আউস নদীতে ডুবে আত্মহননের মধ্য দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ভার্জিনিয়া!

‘আমি নিশ্চিত, আমি আবার পাগল হয়ে যাচ্ছি। বুঝতে পারছি এই ভয়ংকর অসহনীয় সময়টা এ যাত্রা আমি আর পার করতে পারব না। এবার আর আমি সেরে উঠব না। আমি মৃতদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি চারপাশে, কোনো কিছুতেই আমি মনোযোগ বসাতে পারছি না। কাজেই এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম পথটাই আমি বেছে নিচ্ছি...স্বামীকে লেখা শেষ চিঠি!



======

রাশিয়ার কবি, সার্গেই এসেনিন আত্মহত্যা করেন ১৯২০'র মাঝামাঝি কোনো এক সময়। নিজের হাতের শিরা কেটে সেই রক্ত দিয়ে লিখেন -
Goodbye, dear friend, goodbye
My love, you are in my heart.
It was preordained we should part
And be reunited by and by.
Goodbye: no handshake to endure.
Let's have no sadness furrowed brow.
In this life to die is nothing new
and, in truth, to live, is not much newer.

মারা যান তার পরদিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে।

এই সময়েরই কবি মায়াকোভ্স্কি। অসম্ভব বিরক্ত হন এসেনিনের মৃত্যুতে। তাঁর ধারণা ছিল শ্রমিক শ্রেণীর কাছে এইসব আত্মহত্যা জাতীয় জিনিস খুবই ডিমোর‌্যালাইজিং। উঠে পড়ে লাগেন কিভাবে ঐ শেষ দুটো পংক্তির থেকে সব অনুভূতি, সব আবেগ, সব গভীরতা, যেটুকু অবশিষ্ট সৌন্দর্য, তাকে নিংড়ে ফেলে দিতে। এবং লেখেন -

In this life it is not hard to die,
to mold life is more difficult

নিজেই বলেন, ওনার উদ্দেশ্য, ঐ শেষ দুই লাইনকে প্যারালাইজ করা, "to make Esenin's end uninteresting" । বক্তব্য ছিল, ওয়ার্কিং ক্লাসের কাছে জীবনের বাণী পৌছনো অনেক বেশি দরকার। মৃত্যু অনেক সুবিধেবাদী, সহজ রাস্তা। কম্যুনিজমের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু তাতে জীবনের সৌন্দর্য্য, আনন্দ অনেক বেশি।


===


মায়াকোভ্স্কির এই আত্মহত্যা নিয়ে প্রচুর কন্ট্রোভার্সি আছে। লিলি ব্রিকের প্রতি ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি না স্তালিনের পরিকল্পিত খুন। লিলি ব্রিকের নিজের বিশ্বাস ছিল মায়াকোভ্স্কি আত্মহত্যাই করেছেন- "একটা ঘুন ধরা অসুখের মত, আত্মহত্যার চিন্তা কবিকে কুরে কুরে খেত।"

======

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:২৫

সেলিম তাহের বলেছেন: উপরের তথ্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভার্জিনিয়া উলফ প্রসঙ্গে The Hours ছবিটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমার দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ হতাশাব্যঞ্জক ছবি। মনে পড়ে, ছবিটা প্রথম দেখার পর বেশ কয়েকদিন আমি হতবিহ্বলতার মধ্যে কাটিয়েছিলাম। Nicole Kidman অনবদ্য অভিনয় দেখে মনে হয়েছে যেন বা তিনি ছাড়া এই ছবিতে ভার্জিনিয়াকে আর কেউ এতো নিঁখুত আবেগের জায়গা থেকে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না। অবশ্য The Hours ছবিটা দেখার আগে Virginia Woolf -এর Mrs Dalloway উপন্যাসটা পড়ে নেয়া ফরজ ব'লে আমি মনে করি।

সিলভিয়া প্লাথ-এর বেদনাক্লিষ্ট আত্মহত্যার বর্ণনা নীচের ক'টি লাইন থেকেই বুঝা যেতে পারেঃ
"They found Plath dead of carbon monoxide poisoning in the kitchen, with her head in the oven, having sealed the rooms between herself and her children with wet towels and cloths." (সূত্র )

০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

মুভিটা দেখতে হবে! এখুনি ডাউনলোডে দিলাম!

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.