![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনটা যেন এক পথের পথিক, সীমানার শেষ নেই। শুধু পথ অতিক্রম করা যায়, তবুও সীমান্ত পাওয়া যায় না।
বাসর রাতের সাথে বিড়ালকে জড়িয়ে প্রবচন লোকমুখে প্রচলিত হলেও দুই শ্রেণীর পুরুষ এই বিড়ালকে বাঘের মত ভয় পায়। এক, যারা মানসিক ভাবে দুর্বল। দুই, যাদের চোখ রাস্তার “দশ দিনে যৌনরোগ মুক্তির” বিজ্ঞাপন দেখে কলিজা দুই ইঞ্চি লাফিয়ে উঠে। আবিদ দুই শ্রেণীর কোনটার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। তারপরও সে নতুন বউকে শো'পীচের মত ফুলশয্যায় সাজিয়ে রেখে ঝুলবারান্দায় বসে গোটা এক প্যাকেট সিগারেটের পূর্ণ মালিকানা কড়ায় গণ্ডায় উসুল করে চলছে। আবিদের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী এখনো বিছানার উপর গা ভর্তি গহনা আর শাড়ীর আঁচল ছড়িয়ে স্বামী দেবতার সঙ্গ কামনা করছে।
বহুল প্রতীক্ষিত এই বাসর রাতে ঘণ্টা খানিকের ভিতর হিসাব চুকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বারান্দায় কাটানো সত্যি অস্বাভাবিক নয় কি?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে পনের দিন আগে এক সকাল বেলায় আবিদের বাসায় নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসতে হবে।
প্রতিদিনের মত আজও মা-ছেলেতে নাস্তা চলছে। আবিদ মায়ের প্রশ্নে খানিকটা উত্তেজিত হয়ে জবাব দিল,
-অসম্ভব! আমি এইভাবে বিয়ে করবো না।
-কেন!!
-মা, তুমি বুঝতে চেষ্টা কর, চিনিনা-জানিনা হুট করে তিন কবুল বলে একটা মেয়েকে ঘরে তুলে আনবো?
-তোর তিন পুরুষ কি ভাবে তুলেছে?
-মা প্লিজ, আবার সেই পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটো না তো। তিন পুরুষ মনের চেয়ে মানবিকতা আর সামাজিকতার বেঁধে দেয়া নিময়ে বলি হয়েছে বিঁধায় আমাকে হতে হবে?
-কি বললি তুই?
-কিছু না।
প্রায়দিনের মত আজও আবিদ আধ-খাওয়া নাস্তা টেবিলে ছেড়ে নিজের ঘরের দিকে চলে যায়। সকালের সতেজ ফুরফুরে মেজাজ মায়ের কথায় গরম তেলে পানি ঢালার মত ছ্যাঁত করে উঠে। আবিদ ইতিমধ্যে অনেক বার মাকে বলেছে, যে ললনা তার অর্ধাঙ্গিনী হবে, দুই হাত চার করার আগে মেয়ের সবকিছু তাকে জানতে হবে। সবকিছু বলতে রেশমি সুতোয় সুঁইয়ের গুঁতোয় নকশী কাঁথা ভুনতে পারা কিংবা রকমারি তেল মসলার হরেক রকমের রান্না জানা নয়। আবিদ ঘুমানোর সময় বিছানার চাদর গায়ে চড়ায় সুতারং তার হাতের কাজ জানা শিল্পী দরকার নেই। রান্নার জন্য সফুরার মা তো থাকছেই। আর রইল টুকিটাক কর্ম, টাইয়ের নট সে বাঁধতে জানে, দুইদিন চেষ্টা করলে আয়রন ডলা দিয়ে জামা কাপড় ভাঁজ করাটাও শিখে নিতে পারবে। আবিদের কথা হল নির্মলেন্দু গুণের মত,
“এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি”
আবিদের চাই একজন সহযাত্রী, একজন ভালো বন্ধু, সুখ-দুঃখের সাথী। যে তাকে বুঝবে নিজের মত করে। যে তার চোখের ভাষা কবির মত পড়তে পারবে। সর্বোপরি তার দরকার, রবীন্দ্রনাথের “উর্বশীর” মত কেউ,
“নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, নহ সুন্দরী রুপসী, হে নন্দনবাসিনী উর্বশী।
সেই উর্বশীর মাঝে দ্যা ভেঞ্চির মোনালিসার বিখ্যাত হাসি কিংবা জীবনানন্দ দাশের বনলতার “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা” না থাকলেও চলবে। সাদামাটা শ্যামবর্ণের কোন বাঙ্গালি ললনাতেই সই। তবে মোবাইল কোম্পানি গুলোর মত শর্ত প্রযোজ্য: কন্যাকে অবশ্যই সাহিত্য-মনা হতেই হবে।
স্কুল জীবন থেকে এই অব্ধি তার রাত জেগে লেখা সব অপ্রকাশিত কবিতার খাতা সেই উর্বশীর হাতে সমর্পণ করতে চায় আবিদ। রাত-বীরাতে তাদের সংলাপের বিষয় বস্তু হবে, চাল ফুরিয়ে এসেছে কি বোতলের ভিনেগার শুকিয়ে গেছে নয়, বরং “পাহাড় চূড়া” কবিতায় সুনীল এত বড় নদীর বিনিময়ে পাহাড় কিনতে কেন চায় নিয়ে হবে।
সেই উর্বশী কয় গণ্ডা ছানা পোনা কিংবা উষ্ণ বাহুডোরে আবদ্ধ হওয়ার প্রত্যাশার চেয়ে দুই চরণ কবিতার লাইন আশা করবে তার কাছ থেকে। অফিস শেষে ক্লান্ত দেহে বাসায় ফিরে মসলা আর নুনে হলুদ মাখা ঘ্রাণে নয়, তার নারীকে সে আবিষ্কার করতে চায় রবীন্দ্রনাথের গানে গুনগুনানিরত অবস্থায়। যেমন,
“আমার বেলা যায় সাঁজ বেলা তে তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে”
অথবা
“একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনে”
কিন্তু সেই নারীর খোঁজ আবিদ এখন অব্ধি পায়নি। এই পর্যন্ত শ’খানিক তো দেখা হয়েছে। সবাই রবোটিক কর্পোরেট কিংবা সামাজিক গৃহবধূ হতে এক কথায় রাজী, কিন্তু কেউই মনের মত সাহিত্য-মনা বন্ধু বা তার কবিতার নারী হতে চায় না।
দরজার ঠক ঠক শব্দে আবিদের চিন্তার সুতোয় টান পড়ে। দরজায় তাকিয়ে মাসুদকে দেখে আবিদ মটেও অবাক হয়নি।
-কত পেলি?
-কি?
-ঘুষ!
-কিসের ঘুষের কথা বলছিস?
-সাত সকালে নিজের অফিসে না গিয়ে বাড়ি বয়ে বন্ধুর বাড়ী আসার মত সময় এবং মানসিকতা কোনটাই যে তোর নেই তা আমি জানি। মা তোকে ফোন করে আনিয়েছে সেইটা তুই না বললেও বুঝতে পারি।
-ঘুষ নিব কেন? আর মিথ্যাও বলছি না। হ্যাঁ, অ্যান্টি ডেকেছে তা ঠিক, তবে অ্যান্টির কথা তোকে শোনাতে আমি এইখানে নয়।
-তবে?
-শোন, ভাবছি তোর সাহিত্য-মনা কবিতার নারী খুঁজতে আমি তোকে সাহায্য করব।
-সেইটা কি ভাবে?
-বনজঙ্গলে, পাহাড়-পর্বতে সব জায়গায়।
-নদী-নালা বাদ দিলি যে? সকাল সকাল মুণ্ড ভাঙার রসিকতা ছাড় তো।
-আরে আরে, চটে যাচ্ছিস কেন? তুই চাইলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিতে পারি। শুধু পাত্রী চাই এর আগে সাহিত্য-মনা গেঁড়ে দিলে চলবে তো?
-আবার!!
-আবিদ আমার মা কি বলতেন জানিস? “বউ হল পাকানো আটার মোয়া, চাইলে তিন কোনার চমুচা বানাতে পারিস অথবা বেলুনির তলায় ডলা দিয়ে রুটি”
-গম ভাঙিয়ে আটার বস্তা বাড়ীতে আনা আর বিয়ে করে বউ আনা এক জিনিষ নয়। আর ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও চাই না আমার বউ আমার চাহিদার গণ্ডীতে আবদ্ধ থেকে রবীন্দ্রনাথের “হৈমন্তী” হোক। আমি চাই “শেষের কবিতার” লাবণ্যকে। দোস্ত শোন, আমি তথাকথিত গড় বাঁধা গৃহপালিত সামাজিক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বিশ্বাসী নই। আমার কাছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হল মুক্ত আকাশ, সবুজে ঘেরা বিশাল মাঠ অথবা প্রবহমান তন্বী নদী, যাতে আমি সাঁতার কাটবো যখন চাঁদের কিরণে জলের উপর থাকবে মুক্তোর ঝিকিমিকি।
-তুই আসলে কোন ধরনের মেয়ে খুঁজছিস দয়া করে বলবি?
-এমন কাউকে খুঁজি,
যে হবে আমার
বোধের অংশীদার;
এমন কাউকে খুঁজি
যার চোখ দেবে কর্মে প্রবর্তনা;
এমন কাউকে খুঁজি
যার মুখে চেয়ে
জীবনকে আগলাবো;
এমন কাউকে খুঁজি
যে বাড়াবে তার
কম্পিত ঠোঁট-জোড়া;
এমন কাউকে খুঁজি
যার হাত ধরে শিল্পে সাহস পাবো;
-বাহ, ভালো বলেছিস তো। এখন বানালি বুঝি?
-আরে নাহ, ধার করা । রফিক আজাদের লেখা।
-দোস্ত তোর ভালোবাসা আর চাহিদার কথাত শুনলাম। কিন্তু এমন একটা মেয়ে খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর। আর যদি না খুঁজে পাস, তবে কি মাথায় পাগড়ি তুলবি না বলে মাথার দিব্যি খেয়েছিস?
-ঠিক তা না, তবে চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।
-কি বললি? চেষ্টা? আমিও তো তাই বলছি। এতদিন চেষ্টা করতে করতে কন্যাদের বাড়ীতে পায়ের ধুলো তো কম ফেলিসনি। একদিন দেখবি মেঘে মেঘে বেলা গড়িয়ে নাগালের বাহিরে চলে গেছে, আর তখন গার্নিয়ার কিংবা মার্লিন মেখেও সফেদ চুল ঢাকতে পারবি না।
-সে আমি বুঝবো।
-দোস্ত রাগ ঝাড়িস না, যা বলছি বুঝতে চেষ্টা কর। তুই যেরকম নারীর সন্ধানে আছিস তা তোকে চায়না থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনতে হবে। হেঁয়ালি রেখে সোজা কথায় আসি, কিছুটা ছাড় দিয়ে বিয়েথা সেরে ফেল দোস্ত। দেখবি আস্তে আস্তে তোর মত করে গড়ে নিতে পারবি তাকে। আরে লোহার মত শক্ত ধাতু চুম্বকের সাথে অনেকদিন থাকলে চুম্বকে পরিণত হয়। আর এ তো মানুষ। দেখবি চাইলে তুই সমরেশের “দীপাবলি” কিংবা হুমায়ুনের “রুপা” যা ইচ্ছা বানাতে পারবি।
শুকনো কথায় চিঁড়া না ভিজলেও মাসুদের কথায় সেইদিন আবিদের মন নরম হয়। বৃদ্ধা মায়ের মুখের দিকে চেয়ে আবিদ বিয়ের জন্য সায় দেয়। অবশেষে আবিদ আজ বিয়ে করল।
একটু আগে বাসর ঘরে ঢুকার সময় এক বুক স্বপ্ন হামাগুড়ি দিয়ে আবিদের সাথে চলেছিল প্রতীক্ষিত বাসর ঘরে। সেই কৈশোর থেকে প্রতিটি স্বাভাবিক যুবক তার জীবনসাথীকে কল্পনা করে। কোলবালিশ বুকে ঠেকিয়ে নানান রঙ্গের রঙ দিয়ে তার অস্পষ্ট শরীর পূর্ণ করে তুলে। আবিদও তাই করেছে। বাসর রাতে কি কি করবে, প্রথমে কোন বাক্যটা দিয়ে শুরু করবে সব কিছুর সূচীপত্র মাথায় গুছিয়ে সে নূতন বউকে নিজের ঘরে রেখে কামরার দরজার সিটকানি লাগিয়েছিল। বাসরে ঢুকার আগে তার বন্ধু মাসুদ তাকে বলে দিয়েছিল, আজকের রাত জীবনে একবার আসে। তাই এই রাতকে অবহেলা বা শুধুই শরীর কামনায় ব্যয় করা ঠিক না। তাকে রোম্যান্টিক কিছু করতে হবে নূতন স্ত্রীর সাথে। মাসুদ নাকি তার বউকে রোমান্টিকতা উপহার দেয়ার জন্য বেসুরা গলায় “কাভি কাভি মেরে দিল মে” গেয়ে শুনিয়েছিল। তাই আবিদও যেন তেমন কিছু করে। আর সাথে যেন পান সুপারি আর মিষ্টি থাকে। মাসুদের কথায় আবিদ হেসে প্রশ্ন তুলেছিল, রোম্যান্টিক হতে হবে বুঝলাম কিন্তু পান দিয়ে জিহ্বা লাল করার কি দরকার? আবিদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে মাসুদ আবিদকে বাসর ঘরে ঠেলে দেয়। মাসুদের সামনে না বললেও আবিদ ভিতর ভিতর ঠিকই বউকে উপহার দেয়ার জন্য একটা কবিতা গুছিয়ে রেখেছিল রবি ঠাকুরের “চেয়ে থাকা”
মনেতে সাধ যে দিকে চাই
কেবলি চেয়ে রব।
দেখিব শুধু, দেখিব শুধু,
কথাটি নাহি কব।
পরানে শুধু জাগিবে প্রেম,
নয়নে লাগে ঘোর,
জগতে যেন ডুবিয়া রব
হইয়া রব ভোর।
প্রাথমিক কথোপকথন সেরে আবিদ বউয়ের হাতটা বুকে ধরে কবিতার কথাটা বলে। বউ কবিতার কথা শুনে মুখ দিয়ে যত বড় হাই তুলল তাতে আবিদের কবিত্ব বলাৎকার হয়ে মূর্ছা খেয়ে আঁচড়ে পড়ে।
আবিদ আর কিছু না বলে হিসাব মেলাতে এখন বারান্দায় বসে আছে। টবে লাগানো হাসনাহেনার গন্ধ আর নিকোটিনের গন্ধ মিলিয়ে বীভৎস এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে বারান্দায়। আবিদ ভাবছে, তার সমস্ত জীবনের গচ্ছিত সব আকাঙ্ক্ষা জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে সামাজিক বাস্তবতার বেঁধে দেয়া নিয়মের কাছে। সত্যি আজ সে দারুণ ভাবে পরাজিত। বিয়ে করা বউ হয়তো তার নামের পরে আবিদের নাম গেঁথে স্বাভাবিক ভাবেই সংসারী হবে। কিন্তু তার হৃদয়ে যে সাহিত্য আর শিল্পের চাষ ছিল সেই বীজ বোধহয় অঙ্কুরে বিনষ্ট হবে। বউ হয়তো তার শারীরিক চাহিদা গুলো বিন্দু বিসর্গ শুদ্ধ পূরণ করবে কিন্তু মানসিক প্রশান্তি কি মিশ্রিত থাকবে তাতে? তার ভীষণ রাগ হচ্ছে নূতন বউয়ের উপর। হেলাল হাফিজের হৃদয়ের ঋণ কবিতার মত বলতে ইচ্ছা করছে,
“আমার জীবন ভালবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে”
সিগারেটের আগুন দিয়ে সিগারেট ধরিয়ে ঠাণ্ডায় মাথায় ভাবতে লাগল আবিদ। এতে তো বউয়ের দোষ নেই। পৃথিবীর সব মানুষের মন যে সাহিত্য আর শিল্পে মননিবেশ থাকবে তা তো নয়। কিন্তু তার জীবনে হয়তো অন্য কেউ ছিল। যে তার শিল্প গুনের মর্ম বুঝত।
এক বছর পর,
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবিদ সেইদিন বাসর ঘরে স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়েছিল। এখনো তার নামের অর্ধাংশ স্ত্রীকে উৎসর্গ করে হাসি মুখে সংসার করে চলছে। শুধুই সমাজের ভয়ে এখনো স্ত্রীর সাথে একই বিছানা শেয়ার করছে। হয়তো কয়দিন পর দেশের ষোল কোটি মানুষের মাঝে আরও একজনকে জন্মনিবন্ধন করাবে আবিদ। সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলছে, চলবে। কিন্তু আবিদের মনের খোরাক সারাজীবন অপূর্ণই থেকে যাবে। তার কবিতা আর শিল্পের নারীর দেখা সে আ-মৃত্যু পাবে না। এই এ্যরেঞ্জ ম্যারেজ যেন শরীরের সাথে শরীর মেলানোর জন্য সম্পর্ক গড়ে একই সাথে মনের সম্পর্কের দরজা সিলগালা করে দেয়। অন্য আট দশ জন গৃহপালিত স্বামীর মত আবিদেরও কেটে যাবে ছোট্ট এই জীবন। শুধু ভীতর ভীতর আর্তনাদ করে খুঁজবে নজরুলের অ-নামিকাকে,
তোমারে বন্দনা করি
স্বপ্ন-সহচরী
লো আমার অনাগত প্রিয়া,
আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ার তৃষ্ণা-জাগানিয়া!
তোমারে বন্দনা করি।।
হে আমার মানস-রঙ্গিণী,
অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তন বাসনা-সঙ্গিনী!!
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
নীল লোহীত বলেছেন: নিষ্কর্মা, ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন, অনেকদিন আগে পড়েছিলাম তাই লাইনটা ঠিক মত মনে ছিল না। তবে এখন ঠিক করে দিয়েছি।
উচিৎ ছিল পোস্ট করার আগে আরও একবার দেখে নেয়া।
পরের বার বিষয়টা মাথায় রাখবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
ভালো থাকুন।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লেগেছে।+++
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
নীল লোহীত বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লিখছেন
শুভ কামনা
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৪
আমি সাজিদ বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।
এরেঞ্জ ম্যারেজ করবো না ভাবতেসি, হাহাহ !
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পে কবিতার ব্যভার ভালো লেগেছে।
কেমন আছেন আপনি ?
শুভকামনা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: রবী ঠাকুর থেকে দেওয়া উদ্ধৃতিটা ভুল বলে এর পরে আর পড়া হয় নাই। স্মরণ থেকে বলছি, উনি লিখেছিলেন, "নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধু সুন্দরী রূপসী / হে নন্দনবাসিনী উর্বশী"। দয়া করে একবার মিলিয়ে নেবেন।