![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল লাগে কবিতা আর গল্প লিখতে। স্বপ্ন দেখি সাহিত্যকে নিয়ে অনেক দুর যাবার। বিশ্বাস করি মানুষকে ভালবাসার চেয়ে বড় কোন ইবাদত নেই। সামনে দাড়িয়ে সমালোচনা করি যা কিছু খারাপ লাগে তার। নিশ্চয় আল্লাহ আমার সাথে আছে সব সময়। সম্প্রতি তুমি এলে বাদল দিনে নামে আমার একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে
তিন দিন পরের ঘটনা।
ইচ্ছে করেই সেদিন কলেজে যাইনি। সাইফের কাছে শুনেছি মাসুদ ১২টার দিকে ক্রিকেট ক্লাবের সামনে কেরাম খেলে। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেয়। যদিও মাসুদ মামাকে কখনো ক্রিকেট খেলতে দেখিনি। তার যে আয়েসি ফিগার সেটা দিয়ে লুডু কেরাম বা ভিডিও গেমস ছাড়া অন্য কিছু খেলা যাবেনা।তার দিকে তাকালে মনেহয় সিনেমার চকলেট হিরো। তবে তার সারা বুক জুড়ে লোমগুলি দেখতে ভাললাগে। লোমওয়ালা পুরুষদের নাকি মায়া দয়া বেশি হয়! কিন্তু মাসুদ আমার সাথে এমন করছে কেন?
ক্লাবের মাঠের দক্ষিন কোনে বড় একটা বট গাছ। কালের স্বাক্ষি হয়ে চুপ করে দাড়িয়ে আছে বহু বছর যাবত। তার নিচে বাঁশের খুটির উপর কেরামের র্বোড বসানো হয়েছে। ৮/১০ জন ছেলে ছোকরার সাথে মাসুদ কে সেখানে দেখলাম। ও খেলায় মগ্ন ছিল। আমার ডাক শুনে মাসুদ আঁতকে উঠে পেছনে তাকালো। আমাকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠলো।
বরিক পাউডার হাত থেকে মুছতে মুছতে আমার সামনে এসে অপরাধীর মত করে দাড়ালো সে। তার চাহনিতে বিব্রত ভাব লক্ষ করলাম। আমি নতুন কোন পাগলামো করে যদি তার বন্ধুদের সামনে তাকে বিব্রত করি তাই হয়ত সে আতংঙ্কীত স্বরে বললো, তুমি মাঠে এসেছো কেন! চল সামনের দিকে যাই। আজ কলেজে যাও নাই?
রাগে আমার গা জ্বলতে ছিল। আমার মত একটা সুন্দরী মেয়ে কলেজে না গিয়ে ওনার মত বেকুপের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে আর তার কিনা সামান্যতম আগ্রহ নেই আমাকে নিয়ে! তবে আমার ভেতরের আকুলতা আমি প্রকাশ করতে চাইনা তার কাছে তাই বেশ স্বাভাবিক গলায় বলি, আম্মা পাঠালো আপনাকে খুজতে। মা আপনাকে বিকেলে আমাদের বাড়িতে যেতে বলেছে।
মাসুদ এদিক ওদিক তাকিয়ে আমাকে অগ্রাহ্য করে বললো, কৈ? আমার সাথে তো গতকাল সন্ধায় বাজারে তোমার আম্মার সাথে দেখা হল, সেতো কিছুই বললো না।
বুঝতে পারছি সে বানিয়ে বানিয়ে বলছে। আমাকে অপমান করতে চাইছে সে। তাই আমিও প্লাটা আঘাত হেনে আরো স্বাভাবিক গলায় বললাম
- মামা আপনি মিথ্যা বলছেন কেন? আম্মার তো জ্বর, দু’দিন হল সে বিছানা থেকেই উঠতে পারে না।
মাসুদের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে যায় সে। রণে ভঙ্গ দিয়ে সে হাটতে থাকে। অনেক দুরে চলে আসার পর মাসুদ বলে
- তুমি কি আইসক্রিম খাবে?
আমি ওর মুখের দিকে তাকাই। ভেজা বেড়ালটা ঠিকই বুঝতে পারছে সব। আইসক্রিম আমার খুব প্রিয়। কিন্তু এখন তা খাওয়ার কোন মানে নেই। বিরক্তি নিয়ে বলি
Ñ আপনি দেখছেন না আমি গলায় মাফলার বেঁধে আছি।
Ñ ও আচ্ছা, আমি খেয়াল করিনি। ঠা-া বাধিয়েছো কি করে?
খেয়াল করবেন কি করে? আমিতো আর সুন্দরী নই! আমার দিকে তাকানোর সময় কৈ আপনার? করিৎকর্মা!
- কি বলছো এসব! তুমি এখন যাও। আমি বিকেলে তোমাদের বাসায় আসবো।
- হুম,
মাসুদ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। আমি ধির পায়ে সামনে এগুতে থাকি। কিছুদুর গিয়ে পিছন ফিরতেই দেখি সে দাড়িয়ে আছে। আমি তাকে চিৎকার করে ডাকি। সে আমার কাছে আসে।
আমি তাকে বিদ্রুপ করার ভংঙ্গিতে হাসতে থাকি। তারপর বলি
- শোনেন মামা আমি আমি সেদিন ফান করে কথাটা বলে ছিলাম। আমি মোটেও আপনাকে পছন্দ করি না। আপনি যে একটা প্রথম শ্রেনির গাধা তা বেশ বুঝতে পারছি। আমার মত এমন সুন্দরী একটা মেয়ে আপনার মত গাধা ছেলের প্রেমে পড়বে এটা ভাবলেন কেমনে?
মাসুদের মুখটা কালো হয়ে যায় তীব্র অপমানে। আমার আচমকা আক্রমনে সে দিশাহারা হয়ে যায়। আমি তার দিকে তাকিয়ে খুব মজা পাই। ভাললাগে শয়তানটাকে বেশ সায়েস্তা করা গেছে। আহারে বেচারা!
ভালবাসার মানুষ নিয়ে খেলতে এত্ত মজা আমার জানা ছিলনা। কথা না বাড়িয়ে আমি এই দৃশ্য হতে বেড়িয়ে যাই।
২.
আমাদের জয়েন্ট ফ্যামেলি। সারাক্ষন বাড়িতে হইচই। কত কথা, কত আনন্দ। বড়দের অকারন শাষন। ভাইবোনদের হাসাহাসি হইহুল্লোড়! কোন কিছুই আমাকে স্পর্শ করতে পারতে ছিলনা। আমার সারা হৃদয় জুড়ে শুধু মাসুদ আর মাসুদ। আমি সাধারণতো খুব বেশি সাজগোজ করিনা। কিন্তু সেদিন বিকেলে আমি খুব করে সেজে ছিলাম। মন বলছিল বিকেলে নিশ্চয় মাসুদ আসবে।
সেই বিকালটা ছিল অনেক দীর্ঘ। সময় পেরুতে চাইছিলনা। অপেক্ষার প্রহর এতবেশি যন্ত্রনার হয় সেই প্রথম বুঝে ছিলাম। বিকেল শেষে নীল আকাশে বুকে ডুবে যাওয়া লাল আলোকে মনে হল আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরন যেন। সে আসেনি। সন্ধা হয়ে যাবার পর যখন বুঝলাম ওর আর আসবে না। রাতটায় একবারের জন্য চোখের পাতা বন্ধ করতে পারিনি। বুকের ভেতর কিয়ে যন্ত্রনা হচ্ছিল! ভালবাসার মানুষের জন্য কিয়ে বিরহ। কিয়ে আকুলতা একটা নারীর হৃদয় জুড়ে থাকে সেদিনই প্রথম বুঝলাম।
কেন যে তারে ওভাবে অপমান করতে গেলাম? মনে মনে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। বললাম, হৃদয়ের রাজপুত্র তুমি কষ্ট নিওনা। ওসব ছিল আমার ছল। মেয়েরা ছল করতে ভালবাসে বলেই করে। এসব ছোট খাটো কথায় তুমি কষ্ট পেওনা। তোমার চোখে দেখেছি আমি ভালবাসার এক মহা সমুদ্র। তোমার হৃদয়ের ভেতর থাকতে চাই অনন্তকাল। তোমার লোমশ বুকে মাথা রেখে আমি স্বপ্নের জগতে ডুব দিতে চাই। এমন অনেক কথাই তারে মনে মনে বলে ছিলাম।
পরের দিন তারে অনেক খুজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। যুবতি মেয়ে হয়ে একজন ছেলেকে খোজা খুব সহজ কাজ না। বিশ্রি লাগছিল। রাস্তায়, চায়ের দোকানে ক্লাবের মাঠে, কোথাও নেই সে। ভয়াবহ খারাপ অবস্থা হয়ে গেল আমার।
দুই দিন পর বন্ধু সাইফ খবর আনলো মাসুদ ওর দুলাভাইয়ের বাড়ি ফরিদপুরে বেড়াতে গিয়েছে।
তার বিরহে আমার খুব খারাপ লাগতে ছিল। রাতে ভাল ঘুম হতনা। খাবারেও অরুচি লাগতো। প্রথম প্রথম প্রেমে পড়লে কত যন্ত্রনাযে হয়!
চোখের নিচে কালি জমেছিল। কারো সাথে কথা বলতে ভাল লাগতো না। মনে হচ্ছিল আমি পাগল হয়ে যাবো। অনেক কেঁদে ছিলাম।
মাসুদ এক মাস পর আমাদের বাড়িতে এসে ছিল।
ডোয়িং রুম হতে তার হাসির শব্দ ভেসে আসতে ছিল আমার রুমে। কিন্তু আমি গেলাম না। খুব অভিমান হচ্ছিল। বুক ভেঙে কান্না আসতে ছিল। নিরবে চোখ থেকে ঝরুক অশ্রু, তাকে দেখানোর দরকার দরকার নেই। তারপরও আশা ছিল সে আমার খোজ নিতে আসবে। কিন্তু সে আসলো না। এমনকি কারো কাছে আমার কথা সে জিজ্ঞাসাও করেনি। মনে মনে কসম কাটলাম আর কোন দিন তার সাথে কথা বলবো না।
পরদিন কলেজে যাবার পথে তাকে খেয়াল করলাম কানুদার চায়ের দোকানে। দুর হতে আড়চোখে দেখে নিলাম। কাছে দিয়ে যাবার সময় এমন ভান করলাম যেন তাকে চিনিনা আমি। ফেরার পথেও দেখলাম। এভাবে পাঁচ দিন কেটে গেল। কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছিলাম না। খুব কষ্ট হচ্ছিল। প্রতি দিনই আশা করতাম মাসুদ এসে সামনে দাড়িয়ে বলবে, কেমন আছ সম্পা?
বিকেলে কোচিং করে আসতে ছিলাম। কলেজ থেকে আমাদের বাসার দুরত্ব পনেররো মিনিটের পথ বলে বেশির ভাগ সময় হেটে হেটেই যেতাম। রাস্তায় হঠাৎ করেই মাসুদকে দেখলাম। ও সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে হেসে কথা বলছে আর হাটছে। রাগে দুঃখে ভেতরটা বিষিয়ে উঠলো। কি করবো ভেবে পেলাম না। ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল ওর এমন হেংলামী দেখে। একবার ভাবলাম চলে যাই পরক্ষনে ভাবলাম দেখি কি হয়। দ্রুত হেটে গিয়ে ওদের কাছে চলে গেলাম। তারপর পিছন থেকে ডেকে বললাম,
- এই যে হিরো সাহেব একটু শুনবেন?
মাসুদ আমাকে দেখে এমন ভান করলো যেন কিছুই হয়নি। আমি ওরে এত্ত ভালবাসি আর হারামীটা একটা মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! মনে মনে ওরে চরম শিক্ষা দেওয়ার শপথ নিলাম। তবে মুখে একটা হাসি হাসি ভাব জোর করে ধরে রাখলাম। যেন আমারও কিছু এতে যায় আসে না। মাসুদ বললো
- কোথাও যাচ্ছি না, এমনি ঘুরছি। তুমি না একটু আগে কোচিং এ গেলে?
- ক্লাস হয়নি। তাই ফিরে এলাম। ওনি কে?
- ওহ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি ও হল আমার খালাতো বোন সায়মা। আর সায়মা এটা হচ্ছে সম্পা, আমার বন্ধু শামিমের ভাগ্নি।
সায়মা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। তারপর আমাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে বললো, আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগলো। মাসুদ ভাই আপনার কথা অনেক বলেছে আমাকে।
মাসুদ আমার কথা ওরে বলেছে শুনে আমি ভীষণ বিব্রত হচ্ছিলাম। নিশ্চয় মাসুদ ওনার কাছে বলেছে যে আমি তাওে অফার কওে ছিলাম। আর ওনি সাধু পুরুষ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা এসব নিয়ে খুব অহঙ্কার বলে জানি। মেয়েরা কোন ছেলের দিকে এক নজর তাকালেই ছেলেদের পা যেন মাটিতে পড়তে চায় না। বন্ধুদের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে কত্ত কথা!
নিজেকে খুব অসহয় লাগতে ছিল তখন। সায়মা আইসক্রিম খাচ্ছিল। সে মাসুদের হাতে টান দিয়ে বললো,
- এই তুমি যাও ওর জন্য একটা আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসোতো।
- সম্পাতো আইসক্রিম খায় না।
- আপনাকে কে বলেছে? আইসক্রিম আমার প্রিয় খাবার।
- সেদিন না বললে!
- তখনতো আমার ঠা-া লেগেছিল। তবে আমি আপনার কেনা আইসক্রিম এখন খাব না।
মাসুদ আমার কথা পুরোটা না শুনেই পিছনের দিকে হাটতে থাকে। এই সুযোগে আমি সায়মাকে প্রশ্ন করি
- আচ্ছা ওনি আমার সর্ম্পকে আপনাকে কি বলেছে?
গায়মা আমার প্রশ্ন শুনে হাসতে থাকে। মেয়েটার হাসিটা অসাধারণ। হাসলে ওর গালে টোল পড়ে। সাদা থ্রীপিছ পড়েছে সায়মা। তাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। সায়মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো, জানো আমি এক সময় মাসুদকে অনেক পছন্দ করতাম। সেও আমাকে পছন্দ করতো। কিন্তু সেটা ছিল কিশোর প্রেম। তাই টেকেনি। বাবা মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিল। কিছুই করার ছিলনা। আসলে ওরকম বয়েসের প্রেমগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাথ্য হয়। আর আত্মীয়দের ভেতরের প্রেম গুলি আরো বেশি অসফল হয়। সায়মা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। আমার কথাগুলো শুনে আরো বেশি খারাপ লাগে। দমবন্ধ হয়ে আসতে চায়। খুব অস্থির লাগে বুকের ভেতর। কেন এমন লাগছে আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা।
- কি হলো তোমার? শরীর খারাপ লাগছে? আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে সায়মা।
- না, না এমনিতেই একটু মাথা ব্যাথা করছে। ও কিছুনা। আপনি বলুন তারপর?
- শোনো, আপসেট হবার কিছু নেই।
গায়মা আমার হাত ধরে বলে, আমার একটা মেয়ে আছে। আমি আমার সংসার নিয়ে সুখেই আছি। তোমার মাসুদকে কেড়ে নেবার ইচ্ছে নেই! শব্দ করে হেসে উঠে সায়মা। তবে সেই হাসিতে কোন প্রাণ ছিলনা। কৃত্তিম হাসিটা দেখে আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। ওর চোখে অশ্রু টলমল করে। দুরে মাসুদকে দেখা যায় আইসক্রিম হাতে আসছে। সায়মা আমার কাধে হাত রেখে খুব চেনা বন্ধুর মত বলে,
- মাসুদ অনেক ভাল ছেলে। সেও তোমাকে অনেক পছন্দ করে। ও দ্বিধায় আছে। সেটাই স্বাভাবিক। আমার হাতে মৃদ্যু চাপ দিয়ে বলে, তোমরা হেরে যেওনা। ভালবাসায় মনের শক্তিটাই বড়। সাহস করে যুদ্ধটা চালিয়ে যেও। তাহলে বাকি জীবনে বুকে বিরহের অনল নিয়ে কাটাতে হবে না।
সায়মার চোখ হতে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। সে দ্রুত ওড়না দিয়ে চোখ মুছে নেয়।
দুঃখিত এত বড় গল্প পড়ানোর জন্য।
আশা করছি আগামী শেষ পর্বে পাশে থাকবেন।
আর এরকম আরো কিছু গল্প নিয়ে একটি গল্পের বই প্রকাশের আশা রাখছি
বই মেলায় আমার প্রথম গল্পের বই ৪৭৫ও ৪২১নাম্বার স্টলে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২২
এম এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: সায়মা হল নায়কের এগর প্রেমিকা। নায়িকা হল সম্পা। পড়ার জন্য শুভেচ্ছা
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: আরে নায়িকার নাম পড়ে মজা পেলাম ভাইয়া।