নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!
শুক্রবার দুপুরবেলা আমার ঘরে শুয়ে বিশ্রাম করছিলাম। খোলা জানালা দিয়ে মসজিদের জুমার খোতবার আওয়াজ ভেসে আসছিল। ওয়াজের কোন এক প্রসঙ্গে হুজুর বললেন, মানুষের কাছে কখন কিভাবে হেদায়েত চলে যাবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সকালে খোলা তলোয়ার নিয়ে হযরতকে (মহানবী (সঃ)কে) মারতে বের হলেন। সেই উমর দুপুর বেলা হযরতের পায়ে পড়ে ইসলাম কবুল করে ফেললেন।
কথাটা আমার কাছে নতুন নয়, এই কাহিনী আগেও শুনেছি। কিন্তু তবুও সেদিন হুজুরের ওয়াজ শুনে আমার মনে অন্যরকম একটা ভাবনা এলো।
আমার কাছে এটা ভাবতে খুবই অবাক লাগে, কখন মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার মোড় ঘুরে যায়/যাবে তা মানুষ নিজেও জানে না। আজ যে লোকটিকে আমার কাছে খুবই বিশ্বস্ত মনে হচ্ছে, কাল তাকেই মনে হতে পারে ঠগির সর্দার। যাকে আজ আমার কাছে ঘৃণ্য মনে হচ্ছে হয়তো সেই লোকটাকেই বেছে নিতে হবে সারাজীবনের জন্য। যে গানটিকে আজ আমার কাছে অতীব সুরেলা লাগছে, হয়তো আরেকদিন এই গানের কলিগুলোকে আমার মনে হতে পারে পাগলের প্রলাপ। যে গান পথে ঘাটে প্রত্যহ শুনছি, যেই গান দূরে কোথাও বাজলেও আমার কাছে বড় বিরক্ত লাগে, সেই গান হয়তো কোন এক সময় আমার কাছে সুধা অমৃতের মত ভালো লেগে যাবে।
কিভাবে যে মানুষের বিশ্বাসের ভরকেন্দ্র পাল্টে যায়, ভাবতেই অবাক লাগে। এই পাল্টে যাওয়া যদিও অহরহ ঘটে না, তবে যখন ঘটে তখন আমাদের অবাক করে দেয়। এমনও হতে পারে এই ব্লগের ব্লগার উদাসী স্বপ্ন বলে ফেলতে পারেন, ‘ধুর, এতদিন যা বলেছি যা করেছি সবই ভুল। ইসলাম একমাত্র খাঁটি ধর্ম।’ হয়তো তা হবে না, হয়তো বরং নতুন নকিব বলে বসতে পারেন, ‘ধুর, এতদিন শুধুশুধু মক্কা মদিনায় ঘুরেছি, এসব করে আমার কোন লাভই নেই।’ আবার চাঁদগাজী বলে বসতে পারেন, ‘আমার কমান্ডার মেজর জিয়া ছিলেন এই দেশের একমাত্র প্যাট্রিয়ট,আর সব ভুয়া, সব স্বার্থপর।’ (এগুলো নিছক উদাহরণ। কেউ অন্য মিন করবেন না প্লিজ।)
আমার বাবা মা বিয়ের আগে থেকেই একে অন্যকে চিনতেন। মায়ের কাছে একদিন জানতে চেয়েছিলাম, ‘আচ্ছা মা, তোমার আর বাবার দেখা হয়েছিল কিভাবে?’
মা বলেন, ‘খুব স্বাভাবিকভাবে হয়েছিল।’
-‘খুব স্বাভাবিকভাবে মানে কিভাবে?’
-‘মানে ড্রামাটিক কোন ব্যপার ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শত শত ছেলে মেয়ের দেখা হয়, পরিচয় হয়, সেভাবেই আমাদের দেখা হয়েছিল। একে অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল সেভাবেই। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পরেই ধীরে ধীরে সবকিছু অস্বাভাবিক হয়ে গেলো।’
কি অমোঘ সত্য! প্রথমে স্বাভাবিক, পরে সব অস্বাভাবিক। মানবের মন, সবকিছুই এখানে সম্ভব।
আমার ব্লগকে আমি একটি ডিজিটাল ডায়েরী হিসেবে গ্রহণ করেছি। এখানে আমি আমার মনে কথাগুলো লিখতে থাকবো। সেই কথাগুলো অন্যদের কাছে ভালো লাগতেও পারে, আবার নাও লাগতে পারে। আমি চাইলে সবার কাছে ভালো লাগে এরকম লেখা পোস্ট করতে পারি, এতে আমার জনপ্রিয়তা বাড়বে। কিন্তু এভাবে সবাইকে কেয়ার করে লিখতে থাকলে নিজের মনের কথামালা লিখতে দ্বিধা বোধ হবে। লেখার আগে বসে বসে ভাববো, এই টপিকে লেখা উচিৎ হবে? এই টপিকে লিখলে সবাই পছন্দ করবে? তখন আমার মনের অব্যক্ত কথামালা অব্যক্তই থেকে যাবে। আমি এখন থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাষায় লিখে যাবো। আমার বিশ্বাস এবং চিন্তা চেতনার সাথে হয়তো অনেকের মিল থাকবে না। হয়তো দুয়েক জনে অপছন্দ করতে পারেন, তবুও লিখে যাবো।
আরও একটা কথা, এখন থেকে কোন কোন লেখা আমি প্রথম পাতায় দেবো না, শুধু আমার ব্লগের পাতায় শেয়ার করবো। কারণ আমি ব্লগকে সত্যিই আমার ভার্চুয়াল ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করছি। যাঁদের কাছে আমার লেখা ভালো লাগে, তাঁরা প্লিজ আমার ব্লগের পাতায় নিয়মিত চোখ রাখুন। সবাইকে অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি। আমার ব্লগে আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিতে কখনো ভুল করবেন না প্লিজ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
রক বেনন বলেছেন: চমৎকার সিদ্ধান্ত ম্যাম। শুধু অন্যের জন্যেই নয়, মাঝে মাঝে নিজের জন্যেও লিখা প্রয়োজন। তাহলে মাঝে মাঝে অলস দুপুরে পেয়ারা চিবোতে চিবোতে কিংবা মাঝ রাত্রিতে গরম কফির মগ নিয়ে ডায়রির পাতায় চোখ বুলানো যাবে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২
অচেনা হৃদি বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্য!
অলস দুপুরে পেয়ারা শুধু এই সিজনেই চিবোতে পারবো মিস্টার অয়েস্টার্ন! সিজন শেষ হবার পর?
আর রাতে গরম কফি খেলে সারারাত ছাদের দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকতে হবে। ঘুমাতে হবে না, কফি খেলে আমার ঘুম শেষ!
অবশ্য দুপুরে পেয়ারা আর রাত্রিতে গরম কফি যদি আপনার নিজের ব্যপারে বলে থাকেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই। পেয়ারা, কফি, ব্লগিং- চালিয়ে যান।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে মারতে নয় কতল করতে বের হয়েছিলেন। কারণ কতল করলে ১০০ উট পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ।
পোস্ট পড়ে বিনোদিত হলাম ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
অচেনা হৃদি বলেছেন:
স্যরি ভাইয়া। আমার ক্লিয়ারলি জানা ছিল না।
বিষয়টা জানিয়ে দেয়ায় কবি সেলিম ভাইয়াকে ধন্যবাদ।
পোস্ট পরে বিনোদিত হয়েছেন জেনে সেইরকম ভালো লাগলো! শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া!
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা ।
তবে প্রথম পাতায় না দিয়ে ডিজিটাল ডায়েরী বা নিজের ব্লগে দেওয়ার মধ্যে কিঞ্চিৎ অভিমান রয়ে গেল।
কামনা করবো হৃদয়ের আনাচেকানাচে নূতন সূর্য পৌঁছে যাক। স্বেচ্ছা নির্বাসনের অবসান ঘটুক।
তবে আমরা যাবো সময় পেলে ঢুঁ মারবো।
শুভকামনা রইল।।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
অচেনা হৃদি বলেছেন: না না ভাইয়া! রাগ অভিমান কিছু নেই। এমনি নিজের পাতায় দেবো! আর তাছাড়া আমার নিজের পাতায় দিলেও পোস্টে ৪০০ বার ক্লিক হয়। তাহলে প্রথম পাতা আর নিজের পাতার পার্থক্য কি রইল?
আমার পাতায় আপনারা অবশ্যই আসবেন।
শুভকামনা সত্য হোক।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা ভালো ছিল কিন্তু তিনজন ব্লগারকে টেনে না আনলেও পারতেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
অচেনা হৃদি বলেছেন:
সুন্দর এবং মনমাতানো একটি কমেন্ট করায় আপনাকে অভিনন্দন ভাইয়া!
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১
অচেনা হৃদি বলেছেন:
অচেনা হৃদির বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
ল বলেছেন: আপনার ভাচুর্য়াল ডায়রীতে আমার কাইকরিও শুভেচ্ছা।
সাথে আছি
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
অচেনা হৃদি বলেছেন:
হায় আল্লাহ! লতিফ ভাইয়া দেখি শব্দটা মনে রেখে দিয়েছেন!
সাথে থাকার জন্য হৃদিপূর্ণ ভালোবাসা ভাইয়া!
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
জান্টু,
সামুর নতুন অ্যাপে আমার প্রোপিকটা দেখতে যা কিউট লাগছে না...
আমার তরিকা দেখঃ
১. কিছু লেখা প্রথম পাতায় যাবে। (এগুলো সবাই পড়বে)
২. কিছু লেখা শুধু নিজের পাতায় থাকবে। (যার পছন্দ হবে সে পড়বে)
৩. কিছু লেখা ড্রাফটে থাকবে। (এসব তাঁরছেড়া লেখা, তোমার পোস্টের মত)
@ রাজীব নুরবলেছেন: পোষ্ট টা ভালো ছিল কিন্তু তিনজন ব্লগারকে টেনে না আনলেও পারতেন।
সহমত।
(উদার সমস্যা আছে। তার পরিবর্তন হলে সবাই খুশি হবে। বাঁকি দুজন ঠিক আছে।)
ফির মিলেঙ্গে...
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: ফির মিলেঙ্গে... এটা কোন ভালো কথা নাকি কোন অশ্লীল কথা কিছুই বুঝিনি। আমি হিন্দি উর্দু এসব ভাষা বুঝি না। অচেনা হৃদির বাংলা ব্লগে অনলি বাংলা ইজ এক্সেপ্টেড। ওকে?
রাজীব নূর ভাই কখন কি বলে বসেন কোন ঠিক ঠিকানা বুঝি না। আপনি উনাকে রেফারেন্স দিচ্ছেন? আপনি তো মস্ত এক গাড়ল!
উদাসী ভায়ার সাথে আপনার লাস্ট ডায়ালগ খুব এপিক হইছে। দেখে আমার খুব ইয়ে লেগেছে!
আপনার তরিকা আমার পছন্দ হইছে। আমি এভাবেই ব্লগে পোস্ট করব। আপনি তরিকা বলে না দিলেও এভাবেই করতাম।
জে, আপনার প্রো পিক তো বিশাল সুন্দর! এই শহরের বড় বড় বিলবোর্ডগুলোতে আপনার প্রো পিক লাগিয়ে দিলেও খুব কিউট লাগবে।
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লেখা ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯
অচেনা হৃদি বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া!
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ডিজিটেল ডায়েরী ভাবনা কাজে লাগবে।
জেনারেল জিয়াকে যারা কাছে থেকে দেখেনি, তাদের কাছে তিনি রূপকথা, আমার কাছে উনি জেনারেল, যিনি হত্যাকান্ড চালিয়ে জাতিকে কক্ষ্যচ্যুত করেছে, নিজের প্রাণ দিয়ে নিজের অন্যায়ের মুল্য পরিশাধ করেছে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার ডিজিটেল ডায়েরী ভাবনা কাজে লাগবে। ধন্যবাদ জনাব! এটা তো ভালো কথা, আমার ভাবনা যদি কাজে লাগে তবেই আমি সফল।
জেনারেল জিয়াকে যারা কাছে থেকে দেখেনি, তাদের কাছে তিনি রূপকথা এই ব্যপারে আমার নিজের কোন মত ব্যক্ত করব না। আমার মনে হয় সামুতে জিয়ার অনেক ভক্ত আছেন। তাঁরা প্রায়ই আপনার পোস্টে জিয়ার ব্যপারে ইতিবাচক মত ব্যক্ত করে থাকে। আমি জিয়াকে দেখিনি, উনার ব্যপারে সবই কেবল শুনেছি।
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
আলআমিন১২৩ বলেছেন: সম্ভবত এখানে আমার একটি মন্তব্য ছিল। এখন সেটি দেখছিনা। কেন এমন হল ঠিক বুঝতে পারলাম না। আরো বঝতে পারছিনা এ লিখায় চাদগাজীর জিয়া বিষয়ক মন্তব্যটি।এটি এ লেখার মন্তব্য হিসাবে অপ্রাসঙ্গিক।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনি কি শিউর? আমার মনে হয় আপনি ভুল করছেন। কারণ আমি কারো কমেন্ট ডিলিট করি না। এখানেও কোন কমেন্ট ডিলিট করিনি। হয়তো আপনার কমেন্ট সাবমিট হয়নি। বিশেষ করে মোবাইল থেকে কমেন্ট করলে সমস্যা হয়।
চাঁদগাজীর মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক নয়। পোস্টে উনার ব্যপারে যা বলেছি তার উত্তরেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন!
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১
শায়মা বলেছেন: আমি কিন্তু লেখাটা প্রথম পাতাতেই পেয়েছি হৃদিমনি!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: হা হা, প্রথম পাতাতেই তো পাবেন আপু। আমি যে লেখাটি প্রথম পাতায় পোস্ট করেছি!
মাঝে মাঝে কিছু কিছু লিখা দেবো, সেগুলো আমার একান্ত আত্মকথন। সেগুলো নিজের পাতায় শেয়ার করবো। আবার এমনও কিছু লিখা আসতে পারে যেগুলো প্রথম পাতায় যাওয়ার ব্যপারে সামু কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকতে পারে, সেধরনের লিখাও আমি কেবল নিজের পাতায় শেয়ার করবো!
এনিওয়ে, শায়মাপুর মন্তব্য অলটাইম কিউট! এমনকি তা এক লাইনের হলেও... ধন্যবাদ!
১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপু, শুভেচ্ছা রইলো; আজ নিজের একটা পোস্ট ছিল তাই আপনার পোস্ট পড়তে একটু দেরী হয়ে গেল৷আসলে মানুষের মন হলো চলন্ত এটি রূপকথার ঘোড়ার মত; এর মতি গতি পাওয়া মুশকিকল৷আপনার লেখার হাত খুব ভাল৷পরিপক্বতা আছে৷লেখালেখির অভ্যাস অনেক দিনের না হলে এভাবে লেখা সম্ভব নয়৷তবে, ব্লগে লেখা প্রসঙ্গে নিজের একটা ভাবনার কথা বলি৷আমি কখনো ব্যক্তিগত ভাবনাকে নিয়ে ব্লগ লিখতে আগ্রহী নয়৷তার বেশ কিছু কারণ আছে৷তবে, আমি প্রধান দুটি কারণ বলবো৷(১) প্রথমত, আমার এতো পরিশ্রমের লেখাটার স্থায়িত্ব যদি খুব কম হয় তাহলে এ পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায়৷এজন্য নিজের ভাবনাগুলো দিয়ে একটা বিষয় সিলেক্ট করে বিস্তারিত লেখি৷(২) দ্বিতীয়ত, আমি যখন কোন বিষয়ের গভীরে গিয়ে লেখার চেষ্টা করবো তখন চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটে৷একজন লেখকের জন্য তা বড়ই দরকার৷
আপনার লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আরেকটু সিরিয়াস হলে দেখবেন একটা সময় কঠিন কঠিন সাহিত্যের বিষয় নিয়ে লেখতে পারবেন৷আমার ধারণা সে ক্ষমতা আপনার আছে ৷(ধন্যবাদ)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
আপনি আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করছেন এটাই আসল কথা! কখন করছেন তা ফ্যাক্টর নয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমি বিদেশি কয়েকজন বিখ্যাত ব্লগারের ব্লগ দেখলাম। উনারা নিজেদের ব্লগকে ডায়েরীর মত ব্যবহার করছেন। তাই ডিজিটাল ডায়েরী ধারনাটা মাথায় এসেছে। আমি ব্লগকে ডায়েরী হিসেবে নেবো। আর যদি ভালো লেখালেখির কথা বলেন, তাহলে সেরকম লিখব পত্র পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে। আপনি জেনে হয়তো খুশি হবেন, আমার কয়েকটি লেখা ইতিমধ্যে একটা জাতীয় ম্যাগাজিনে এসে গেছে! এখানে এই ব্লগে ছদ্মনামের আড়ালে সুন্দর সাহিত্য লিখব, আর আমার সাধের সাহিত্যখানা ভার্চুয়াল জগতে কপি পেস্ট হতে থাকবে- এটা আমি একদম হতে দেবো না। এখানে আমি এমন সব লেখা পোস্ট করব যেগুলো কোন ম্যাগাজিন ছাপাবে না। এখানে এমন লেখা দেবো যেই লেখা কেউ কপি পেস্ট করে সুবিধা করতে পারবে না।
আমি ব্লগে ব্যক্তিগত ভাবনা অবশ্যই শেয়ার করবো। তবে তা সতর্কতার সাথে করবো। মন চাইলো তাই উথাল পাতাল পোস্ট করে দশ মিনিট পর ডিলিট মেরে দিতে হবে এরকম কোন ভাবনা আর শেয়ার করবো না। অর্থাৎ, অস্থায়ী কোন জিনিস নয়, স্থায়ী ভাবনা শেয়ার করবো। কিছু কিছু কথা থাকবে যেগুলো অনেকে পড়ে বুঝবেও না, এধরনের লেখাগুলো আমি নিজের পাতায় দিয়ে দেবো। যাঁদের ভালো লাগবে এখানে এসে পড়বে, মন চাইলে মন্তব্য করবে নয়তো চুপচাপ ভেগে যাবে!
আপনার লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আরেকটু সিরিয়াস হলে দেখবেন একটা সময় কঠিন কঠিন সাহিত্যের বিষয় নিয়ে লেখতে পারবেন৷আমার ধারণা সে ক্ষমতা আপনার আছে ৷
এই কথাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে সিরিয়াস হবার মত টাইম যে নাই। একটুখানি সিরিয়াস হবার মত সময়ও নেই আমার। আমি তো চাঁদগাজী সাহেব বা খায়রুল আহসান স্যারের মত অবসর পাইনি, উনাদের মত হলে সিরিয়াস হতে পারতাম, নিরবচ্ছিন্ন ভাবার সময় থাকতো। এখন আমার সামনে ক্যারিয়ার গড়ার তাড়া আছে। আমাকে সেটা নিয়েই তো সিরিয়াস হওয়া উচিৎ। আর হ্যাঁ, বলেছি, আবারো বলছি, সাহিত্য নিয়ে সিরিয়াস হয়ে যদি কিছু লিখি তবে তা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য লিখবো। ব্লগের জন্য সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই। এই ব্লগে অনেকেই লিখছে, আপনারা দুয়েক জন ছাড়া কেউই লেখায় কাঙ্ক্ষিত মান ফুটিয়ে তুলতে পারছে না। এখানে ভালো সাহিত্যিক খেতাব পাবার কোন সুফল দেখছি না। যদি সুফল থাকতো তাহলে ভালো গল্পকারেরা ব্লগ ছেড়ে যেতেন না। তাঁরা গল্প লিখলে ব্লগেই লিখতেন।
আবারো ধন্যবাদ!
১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি তো ভাবলাম ব্লগ হায়াটাসে আছেন।
যাই হোক আপনার কথা অনেক ভাবছি। একসময় মনে করছিলাম ধর্ম ব্যাপার নিয়ে লিখবো না আর। শুধু কমেন্ট পর্যন্তই। জেফ বাকলেকে নিয়ে একটা পোস্ট লিখছিলাম। কিন্তু আজ সকালে মাঈদুলের প্রচ্ছন্ন থ্রেট টা দেখে আর মাথা ঠিক নাই। সরি, আপনার অনুরোধ রাখতে পারলাম না। দুই টাকার অশিক্ষিত চামচিকা মাথায় উঠলে হাত বেধে বসে থাকা অসম্ভব।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
অচেনা হৃদি বলেছেন: সেরকমই, আমি আসলেই হায়াটাসে আছি। আগের মত ব্লগিংকে আহামরি মনে হচ্ছে না। এখন আমি দিনের খুব অল্প সময়ই ব্লগে দিচ্ছি।
আপনি আমার কথা নিয়ে ভেবেছেন জেনে খুব অবাক হলাম। বড় বড় ঝানু ব্লগারেরা আপনাকে নমনীয় করতে পারেনি, আর আমি কি এমন যাদু করে ফেলেছি যাতে আপনি ধর্ম নিয়ে আর লিখবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন! সত্যিই আশ্চর্য হয়েছি।
একটা মজার কথা বলি আপনাকে? বলতেও ভয় লাগে, তবুও বলি।
এই তিন মাসে ব্লগে আমি অনেক ‘ধর্মীয়’ লেখক দেখেছি। ধর্ম নিয়ে যারা লিখে থাকেন এদের মাঝে হাতে গোনা দুই এক জন আছেন যারা ধর্ম সম্পর্কে ভালো জানেন। এই দুই একজন ছাড়া বেশির ভাগ ধর্মীয় লেখকের জ্ঞান আসলেই শুন্য! উনাদের লজিক, আইকিউ লেভেল, বুদ্ধিমত্তা খুবই নিচুমানের। বেশিরভাগ ধর্মিয় লেখক নিজেরা না জেনেও ব্লগে ধর্মীয় জ্ঞান বিতরন করছেন। গতকাল একটা পোস্টে দেখলাম এক লোক লিখেছেন, কোরানে বলা আছে পৃথিবীর শেষ যুগে ইমাম মেহেদী ঢাল তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করবেন! এই পোস্টে ইসলামের কয়েকজন বিশিষ্ট অনুরাগী ইতিবাচক মন্তব্য পেশ করলেন। পোস্ট দেখে আমি আমার কাছের একজনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম সত্যিই কি কোরানে এরকম কোন কথা আছে? জানতে পারলাম, কোরানে নাকি কোথাও এধরনের কোন প্রেডিকশন নেই! এমনকি কোরানে ইমাম মেহেদী নামের কোন ব্যক্তির কথা বলাই হয়নি। এবার তাহলে বুঝে নিন এদের জ্ঞান কত সীমাবদ্ধ! এই লোকগুলোর সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যা হল, এরা একে তো জানেন কম বুঝেন কম, কিন্তু তাঁরা যে কম জানেন এটাও তাঁরা স্বীকার করতে চান না। ব্লগে এধরনের আঁতেল লোকদের দৌরাত্ম দেখে ব্লগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। আপনি তাঁদের চক্রে পড়ে গেলেন। নিজে একজন তথ্যানুসন্ধানি সত্যানুসন্ধানি হয়েও ‘দুই টাকার চামচিকা’দের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
একটা ঘটনা উল্লেখ না করে পারছি না।
আমার পরিচিত আঙ্কেল সম্পর্কীয় এক লোক খুব ধার্মিক। কোন এক রহস্যময় কারণে তিনি জাকির নায়েককে খুব মন্দসন্দ বলতেন। ফেসবুকে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বড় বড় স্ট্যাটাস দিতেন। আমি মনে করতাম জাকির নায়েক ইসলামি লোক, তাকে তো আমার ধার্মিক আঙ্কেল লাইক করার কথা। উল্টা ডিসলাইক কেন করেন। একদিন জানতে চাইলাম তিনি কেন জাকিরকে অপছন্দ করেন। আঙ্কেল জবাব দিলেন- জাকির নায়েক ডাইরেক্ট ইহুদিদের দালাল। সে ইসলামের আড়ালে কৌশলে ইহুদী ধর্মের বাণী প্রচার করছে। আমি টাশকি খেয়ে গেলাম! অবশ্য হতেও পারে, আমি এসব ব্যপারে বেশি জানি না। কিন্তু কয়েকদিন পরে দেখলাম আমার আঙ্কেল জাকির নায়েকের পর্দা সংক্রান্ত একটা বক্তৃতা এডিট না করে সম্পুর্ন অক্ষত কপি পেস্ট করে ফেসবুকে নিজের নামে স্ট্যাটাস দিয়ে দিলেন!
কি বুঝলেন?
আমি কি বুঝলাম জানেন? আমার আঙ্কেলের মত এদেশের ইসলাম পালনকারি লোকেরা একটা মারাত্মক আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে। তাঁরা না পারছেন ইহুদিদের থেকে দূরে থাকতে, আর না পারছেন ইহুদিদের কাছে যেতে। না পারছেন মধ্যযুগে যেতে, না পারছেন আধুনিক হতে। এরা নিজেরাও জানে না, তাঁদের সম্বল হল- মিথ, মিথ আর মিথ! (এই ধরনের ক্রাইসিস সিন প্রথম দেখেছিলাম অরহান পামুকের লেখা দ্যা হোয়াইট ক্যাসল উপন্যাসে) তবে আপনার মত আমি কখনো তাঁদের ভুল ধরিয়ে দিতে যাবো না, আমার যুক্তি একসেপ্ট করার মত বুদ্ধিমত্তা তাঁদের মগজে নেই। বরং আমি তাঁদের কথা আর কার্যকলাপকে বিনোদন হিসেবে গ্রহণ করব। মাঝে মাঝে বিনোদনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে চলব। মাঝে মাঝে আপনার মত লোকদের সামনে তাঁদের সাপর্ট দেব। এমনকি আমার মা বাবা যদি আমাকে কোন ধার্মিক লোকের সাথে বিয়ে করিয়ে দেন তখন আমিও ধার্মিক হয়ে যাবো। কারণ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা সহজ সরল লোকদের নাকে রশি দিয়ে ঘোরানোর মজাই আলাদা! এদের বিশ্বাসের রশি বড় মজবুত! কিন্তু বাঁধন খুবই আলগা। একটু কৌশল করতে পারলে এই মজবুত রশির বাঁধনকে ইচ্ছেমত টাইট কিংবা ঢিল করা যায়। আর সেই রশিটাও হাতে রেখে দেয়া যায়।
এনিওয়ে, আপনি একজন বুঝের লোক। কি লিখবেন কি লিখবেন না তা আমি বলে দেব না। কিন্তু আমি আগেও বলেছি, আপনার লেখার স্টাইল বদল করা দরকার!
জেফ বাকলে নিয়ে লেখা পোস্টটা সম্পুর্ন করুন প্লিজ। সেটা ছেড়ে দেবেন না।
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: নট ওকে,
ফির মিলেঙ্গে মানে, আবার দেখা হবে(see you)
"রাবনে বানাদি জোড়ি" সিনেমার ডায়লাগ এটা।
"হামহে রাহি পেয়ার মে, ফির মিলেঙ্গে চালতে চালতে..." গানটা দেখলে বুঝতে পারবে। সবাই আমার হিরোইন কেন....
নুর ভাই জাতে মাতাল তালে ঠিক। উনি যে না পড়েও মন্তব্য করেন এটাও ঠিক।।
উদার হয়ে ওকালতি করলে তোমারে ধরে ঠ্যাঙামু..
উদার সাথে অনেক টক-মিষ্টি-ঝাল কথা হয়েছে। তুমি কোনটা ধরেছ মনে নেই। তবে আসল কথা, তেল মারতে গিয়ে উদা আছাড় খেয়েছে।
@উদাসী স্বপ্ন,
উদাজ্বী, আপনি যা খুশি লেখুন, নো প্রবলেমো।
এদিকে আমাদের দুই গরুর প্রেম কিন্তু হয়েই গেল। আপনি একটা বেবীডল কিনে নিন, আর আমাদের জন্য দোয়া/বদদোয়া করেন। ছাগলের দোয়া কবুল হলে হতেও পারে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
অচেনা হৃদি বলেছেন: এক্সকিউজ মি! গরু দুইটা কই পাইলেন? আমি তো গরু একটাই দেখছিলাম। আমি কিন্তু গরু টরু না।
উদা আছাড় খাইছে না দিছে তা আমি স্বচক্ষে অবলোকন করিয়াছি। আমাকে বলিতে হইবে না!
নুর ভাই জাতে মাতাল তালে ঠিক। উনি যে না পড়েও মন্তব্য করেন এটাও ঠিক। কিসের মইধ্যে কি? পান্তা ভাতে ঘি! আর আমার এই পোস্টে নূরূ সাহেব!
আচ্ছা, আপনি এতো হিন্দি বলেন কেন? হিন্দি ছবি/কার্টুন বেশি দেখেন নাকি ভাই? হিন্দি কি আপনার প্রিয় ভাষা? আপনি একটা ব্লগ চালু করবেন যে ঐটা কি বাংলা ভাষার ব্লগ হবে নাকি হিন্দি ব্লগ হবে? হিন্দি ব্লগ খুলতে চাইলে আরও বেশি বেশি হিন্দি কার্টুন দেখে হিন্দি শুদ্ধভাবে শিখে লন। মাঝে মইধ্যে যে দুই এক লাইন হিন্দি বলেন এগুলাতে অনেক ভুল আছে। ভুল হিন্দির ব্লগ পাবলিকে নিবো না।
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ডিজিটাল ডায়েরী পড়তে খারাপ না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
অচেনা হৃদি বলেছেন:
ধন্যবাদ! ডায়েরী পড়ুন। পারলে সুচিন্তিত মতামত দিন।
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: অধ্যায় ২৮ - হযরত উমর (রা:-) কিভাবে ইসলাম গ্রহন করলেন
http://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30235949
এখানে বিস্তারিত দেয়া আছে। একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন! সত্য জেনে রাখাটা ভালো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: উপরে কবি সেলিম আনোয়ার (৩ নং মন্তব্য) বললেন, আসলে মারতে নয় কতল করতে বের হয়েছিলেন। কারণ কতল করলে ১০০ উট পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল । কিন্তু আপনার পোস্টে এই কথাটি নেই। বরং সেখানে একটু অন্য রকম ইনফরমেশন পেলাম। হয়তো আপনি সেলিম আনোয়ারের কথাটি আপনার লেখাতে মিস করে গেছেন!
এনিওয়ে, আমার লিখা পড়ে মন্তব্য দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
সেইসাথে, অচেনা হৃদির বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: লক্ষণ সুবিধের না, প্রথম পাতায় পোষ্ট করা হবেনা যে লেখাটা সেটা আবার পড়ার আমন্ত্রণ জানানো। এমন কথাবার্তা মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ। দোদল্যমনাতার লক্ষণ। দোয়া করি মন যেন স্থির হয়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
অচেনা হৃদি বলেছেন: আরে নাহ, সবই ঠিক আছে। এখন আমার কোন অস্থিরতা নেই। কিছু লেখা এমনিতেই নিজের ব্লগে সেভ রাখবো। ের পেছনে কোন বড় কারণ নেই।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সিনো রিটা,
বড় বড় মন্তব্যে দু একটা ছোট ছোট ভুল তো হতেই পারে।
কার্টুন-সিনেমা, ১৮ সব চলে..
দিল তো বাচ্চা হে জ্বীইইই!
নুর/রাজীব নুর(রানু) আর নূরু ভাই কি এক??
[তুমি কি আমার মত বুঝেও, না বোঝার ভান করো? নাকি উদার মত না বুঝে ফাল পাড়ো??]
উদাসীর চুয়েটিয়ান হবার খবর শুনে মডুদের মত তুমিও কি গলে গিয়েছো?
উদা সবাইকে দু'পয়সার লোক ভাবে, অথচ ব্লগে তার ইমেজ কত পয়সার? সে কি জানে??? (lol. গাধারাই অন্যকে গরু-ছাগল ভাবে। উদার বনবাসের কাহিনী শুনে নিও।)
কিছু একটা হয়েছে!
নোটিফিকেশন তো পাচ্ছি না,
কাভি অর ফাঁসো তো, বাতানা......
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
অচেনা হৃদি বলেছেন: আবারো হিন্দি?
দেখুন, এই সপ্তাহ কিন্তু আপনার জন্য ভালো যাচ্ছে না। আপনি মোডারেটর এর হাতে বাঁশডলা খেয়েছেন। উদাসীও আপনাকে ডলা দিয়েছে। আমি ছোটখাট মানুষ, আমার হাতে আপনি ইজ্জত হারাবেন এটা কিন্তু মেনে নেয়া যায় না।
উদা চুয়েটিয়ান হলে আমার কি? এর আগে ঢাবিয়ান যে আমার হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছে তা কি সহজে ভুলে গেছেন? ঢাবিয়ান, চুয়েটিয়ান, কুয়েটিয়ান সবাইকে আমি থোড়াই কেয়ার করি। যার কথায় যুক্তি আছে আমি যামু তার সাইডে!
রাজীব নূর ভাই জাতে মাতাল? গুড, ভালো একটা ইনফরমেশন দিলেন। থ্যাংক ইউ!
২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
মাহের ইসলাম বলেছেন: প্রথম পাতায় না দেয়ার আইডিয়াটা পুনর্বিবেচনা করা যায় না ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
অচেনা হৃদি বলেছেন: নাহ ভাইয়া। এখানে পুনর্বিবেচনার কিছুই নেই। আমি সেফ হবার পরেও অনেক লেখা ইচ্ছে করেই নিজের পাতায় সীমাবদ্ধ রেখেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। কিছু লেখা আমি অবশ্যই শুধু নিজের ব্লগে, মানে নিজের পাতাতে পোস্ট করব।
আন্তরিক একটি মন্তব্য করার জন্য ভাইয়াকে ধন্যবাদ।
২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
কোন এক গল্পের পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
অচেনা হৃদি বলেছেন:
চিন্তার কিছু নেই। চলে আসবে। লেখালেখির মাঝে মন বসাতে পারছি না।
ধন্যবাদ।
২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,
মানুষের মন কিম্বা চিন্তাদের যখোন বাগুল্লায় পায় তখন এমন হলেও হতে পারে -----
অচেনা হৃদি "চেনা হৃদি" হয়ে এলোমেলো হৃদিকথনের ক্যাতা পুড়ে গোছানো হৃদিকথন লিখতে শুরু করলো আর কেবল হৃদিব্লগ এর পাতায় না লিখে ব্লগের প্রথম পাতা থেকে শুরু করে শেষ পাতা ভরিয়ে ফেললো কিম্বা মহল্লার দেয়ালে দেয়ালে তার লেখার চিকা মারলো !!!!!!!!!!!!!!!!!
মনের তো দোষ নাই , এ পাড়া সে পাড়ায় ঘুরতে যেতেই পারে ..........................
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০
অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...
আহমেদ জী এস ভাইয়া ,
আপনার লেখা পড়ে সত্যিই হেসেছি। যে আন্তরিকতা আপনার কমেন্টে ফুটে উঠেছে তা আমার জন্য অবারিত রাখুন। ব্লগে খুব বেশি লোক আমাকে মন্তব্য করুক চাই না, তবে আপনার মত কিছু লোকের মন্তব্য আমি প্রাণপণে পেতে চাই।
অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,
ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যে ।
তবে চিন্তা ও চেতনার মোড় ঘুরে গিয়ে এমন যদি হতো , ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই ; তবে ধন্যবাদ দিতুম না ।
তবে "ব্লগে খুব বেশি লোক আমাকে মন্তব্য করুক চাই না," এমন কথা বলার পরে আপনার চিন্তার মোড় ঘুরে যাক এমনটা কিন্তু চাইবো ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: চিন্তার মোড় নিয়ে চিন্তিত হবেন না। আমি তো বলেছি 'কিছু লেখা নিজের পাতায় দেবো', সব লেখাই নিজের পাতায় দেবো এমন তো নয়। প্রথম পাতায় দেবার উপযোগী লেখা প্রথম পাতায় যাবে, সীমাবদ্ধ মানের কিছু লেখা থাকবে শুধুই আমার ব্লগের পাতায়।
শুভেচ্ছা!
২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার ডিজিটাল ডাইরি পড়তে আসলাম কিন্তু কই?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
অচেনা হৃদি বলেছেন:
হেই ম্যান, জাস্ট অয়েট!
লিখবো, সবই লিখবো!
হৃদি কেমনে জন্মেছে, কেমনে মরেছে, কেমনে কি করেছে সবই এই পাতায় উঠে আসবে।
চোখ রাখুন।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! ডিজিটাল ডায়রি কনসেপ্ট ভালো লেগেছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার পোস্টে সামুর বয়বৃদ্ধা মনিরা আপুকে পেয়ে ভালো লাগলো।
আমি ভাবছিলাম কিভাবে ব্লগকে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করা যায়। এলক্ষ্যে আমি বিশ্ব বিখ্যাত কয়েকজন ব্লগারের ব্যক্তিগত ব্লগ পড়ে দেখেছি। পৃথিবীর কনিষ্ঠ নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই থেকে শুরু করে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্লগার ড্যাগনি কার্লসনের ব্লগ দেখলাম। এই ব্লগারগণ যেভাবে ব্লগ ব্যবহার করেন, তাতে মনে হয় যেন উনারা ব্যক্তিগত নোটবুক লিখছেন। কিন্তু সামুতে আমরা কি করি? কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সব এখানেই লিখছি। দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি এমন অনেকে লিখছেন যাঁদের লেখায় কাঙ্ক্ষিত মান নেই। আমি নিজেও এতো ভালো লেখক নই। কিন্তু ব্লগে লিখলেই শুধু বাহবা পাচ্ছি।
তাই আমার মাথায় চিন্তা এলো, আমি যদি ভালো গল্প কবিতা লিখতে পারি তা পত্রিকায় দেব। যদি তারা ছাপায় তাহলে বুঝবো আমি ভালো লেখক।
আর অন্যদিকে এই ব্লগে আমি আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করবো।
এই চিন্তা থেকেই 'ডিজিটাল ডায়েরী'র ধারণার সুত্রপাত।
আমার ধারণা আপনার মত অভিজ্ঞ ব্লগারের ভালো লাগায় বেশ তৃপ্তি অনুভব করলাম। ধন্যবাদ আপু।
২৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কখন মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার মোড় ঘুরে যায়/যাবে তা মানুষ নিজেও জানে না।
সহমত।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
অচেনা হৃদি বলেছেন:
ধন্যবাদ।
২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ এই তিন মাসে ব্লগে আমি অনেক ‘ধর্মীয়’ লেখক দেখেছি। ধর্ম নিয়ে যারা লিখে থাকেন এদের মাঝে হাতে গোনা দুই এক জন আছেন যারা ধর্ম সম্পর্কে ভালো জানেন। এই দুই একজন ছাড়া বেশির ভাগ ধর্মীয় লেখকের জ্ঞান আসলেই শুন্য! উনাদের লজিক, আইকিউ লেভেল, বুদ্ধিমত্তা খুবই নিচুমানের। বেশিরভাগ ধর্মিয় লেখক নিজেরা না জেনেও ব্লগে ধর্মীয় জ্ঞান বিতরন করছেন। গতকাল একটা পোস্টে দেখলাম এক লোক লিখেছেন, কোরানে বলা আছে পৃথিবীর শেষ যুগে ইমাম মেহেদী ঢাল তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করবেন! এই পোস্টে ইসলামের কয়েকজন বিশিষ্ট অনুরাগী ইতিবাচক মন্তব্য পেশ করলেন। পোস্ট দেখে আমি আমার কাছের একজনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম সত্যিই কি কোরানে এরকম কোন কথা আছে? জানতে পারলাম, কোরানে নাকি কোথাও এধরনের কোন প্রেডিকশন নেই! এমনকি কোরানে ইমাম মেহেদী নামের কোন ব্যক্তির কথা বলাই হয়নি। এবার তাহলে বুঝে নিন এদের জ্ঞান কত সীমাবদ্ধ! এই লোকগুলোর সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যা হল, এরা একে তো জানেন কম বুঝেন কম, কিন্তু তাঁরা যে কম জানেন এটাও তাঁরা স্বীকার করতে চান না। ব্লগে এধরনের আঁতেল লোকদের দৌরাত্ম দেখে ব্লগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। আপনি তাঁদের চক্রে পড়ে গেলেন। নিজে একজন তথ্যানুসন্ধানি সত্যানুসন্ধানি হয়েও ‘দুই টাকার চামচিকা’দের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
একটা ঘটনা উল্লেখ না করে পারছি না।
আমার পরিচিত আঙ্কেল সম্পর্কীয় এক লোক খুব ধার্মিক। কোন এক রহস্যময় কারণে তিনি জাকির নায়েককে খুব মন্দসন্দ বলতেন। ফেসবুকে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বড় বড় স্ট্যাটাস দিতেন। আমি মনে করতাম জাকির নায়েক ইসলামি লোক, তাকে তো আমার ধার্মিক আঙ্কেল লাইক করার কথা। উল্টা ডিসলাইক কেন করেন। একদিন জানতে চাইলাম তিনি কেন জাকিরকে অপছন্দ করেন। আঙ্কেল জবাব দিলেন- জাকির নায়েক ডাইরেক্ট ইহুদিদের দালাল। সে ইসলামের আড়ালে কৌশলে ইহুদী ধর্মের বাণী প্রচার করছে। আমি টাশকি খেয়ে গেলাম! অবশ্য হতেও পারে, আমি এসব ব্যপারে বেশি জানি না। কিন্তু কয়েকদিন পরে দেখলাম আমার আঙ্কেল জাকির নায়েকের পর্দা সংক্রান্ত একটা বক্তৃতা এডিট না করে সম্পুর্ন অক্ষত কপি পেস্ট করে ফেসবুকে নিজের নামে স্ট্যাটাস দিয়ে দিলেন!
কি বুঝলেন?
আমি কি বুঝলাম জানেন? আমার আঙ্কেলের মত এদেশের ইসলাম পালনকারি লোকেরা একটা মারাত্মক আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে। তাঁরা না পারছেন ইহুদিদের থেকে দূরে থাকতে, আর না পারছেন ইহুদিদের কাছে যেতে। না পারছেন মধ্যযুগে যেতে, না পারছেন আধুনিক হতে। এরা নিজেরাও জানে না, তাঁদের সম্বল হল- মিথ, মিথ আর মিথ! (এই ধরনের ক্রাইসিস সিন প্রথম দেখেছিলাম অরহান পামুকের লেখা দ্যা হোয়াইট ক্যাসল উপন্যাসে) তবে আপনার মত আমি কখনো তাঁদের ভুল ধরিয়ে দিতে যাবো না, আমার যুক্তি একসেপ্ট করার মত বুদ্ধিমত্তা তাঁদের মগজে নেই। বরং আমি তাঁদের কথা আর কার্যকলাপকে বিনোদন হিসেবে গ্রহণ করব। মাঝে মাঝে বিনোদনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে চলব। মাঝে মাঝে আপনার মত লোকদের সামনে তাঁদের সাপর্ট দেব। এমনকি আমার মা বাবা যদি আমাকে কোন ধার্মিক লোকের সাথে বিয়ে করিয়ে দেন তখন আমিও ধার্মিক হয়ে যাবো। কারণ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা সহজ সরল লোকদের নাকে রশি দিয়ে ঘোরানোর মজাই আলাদা! এদের বিশ্বাসের রশি বড় মজবুত! কিন্তু বাঁধন খুবই আলগা। একটু কৌশল করতে পারলে এই মজবুত রশির বাঁধনকে ইচ্ছেমত টাইট কিংবা ঢিল করা যায়। আর সেই রশিটাও হাতে রেখে দেয়া যায়।
**** অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। +++++++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার নিক দেখে একটু টাশকি খেয়েছিলাম,
এনিওয়ে, অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে সাগতম!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।