![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!
বিলেতি রীতির বিয়ের কেক বানিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিকই এবার জিতে নিয়েছেন 'গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ প্রতিযোগিতার শিরোপা।
বুধবার রাতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর বিবিসি ব্রেকফাস্ট শো'কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান জুনের শেষ দিকেই ট্রফিটি দেয়া হয় তাকে।
“এরপর কাগজে মুড়ে, সেটি প্রথমে একটি বাক্সে রাখি। তারপর সে বাক্সটি আরেকটি বড় বাক্সে এবং সেটিও আরেকটু বড় বাক্সে ঢুকিয়ে রাখি। আর এই বড় বাক্সটি সুটকেসে ভরে শোবার বিছানা অর্থাৎ খাটের নিচে রেখে দিয়েছিলাম।”
কেক বানিয়ে এতো বড় পুরস্কার লাভকেই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন তিন সন্তানের জননী ৩০ বছর বয়সী নাদিয়া হুসেইন।
বুধবার রাতে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত লড়াই দেখতে বিবিসি ওয়ানে চোখ রেখেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় দেড় কোটি দর্শক। টান টান উত্তেজনার মধ্যে যখন বিজয়ীর নাম ঘোষিত হল, তিন সন্তানের জননী নাদিয়া আনন্দে কেঁদে ফেললেন।
তিন সন্তানের মা নাদিয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পছন্দের প্রার্থী ছিলেন।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন ছিল একটি তাঁবুর মধ্যে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নাদিয়া বলেন, “আমি ভেতরে গিয়েছিলাম চার ফুট ১১ ইঞ্চির ‘সবচেয়ে ছোট’ বেকার হিসাবে, আর বের হলাম বিশাল হয়ে।”
যুক্তরাজ্যে রান্না বিষয়ক টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ দারুণ জনপ্রিয়। সুযোগ পেলে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও।
ষষ্ঠ সিজনের ১২ প্রতিযোগীর মধ্যে ১০ সপ্তাহ ধরে লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন তিনজন। এদের মধ্যে নাদিয়াকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ক্যামেরন। তিনি বলেছিলেন, “চাপের মধ্যেও সে দারুণ ধীরস্থির।”
চূড়ান্ত পর্বে ক্লাসিক ব্রিটিশ কেক তৈরির জন্য নাদিয়া বেছে নেন ‘ওয়েডিং কেক’। তিনটি কেক তৈরি করে স্ট্যান্ডগুলো তিনি সাজান বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী শাড়ি দিয়ে। নীল আর লাল রংয়ের সেই শাড়ির সজ্জায় ফুটে ওঠে ব্রিটিশ পতাকা।
চূড়ান্ত পর্বের অপর দুই প্রতিযোগী ইয়ান কামিং ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত তমাল রায়কে পেছনে ফেলে বিজয়ীর মুকুট মাথায় তুলতে নাদিয়ার খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর গ্রামের জমির আলী ও আসমা বেগমের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে তৃতীয় নাদিয়ার জন্ম ব্রিটেনেই। লন্ডন থেকে চল্লিশ মাইল দূরে লুটন শহরে শৈশব কাটলেও স্বামী আবদাল হোসেইন আর সন্তানদের নিয়ে এখন থাকেন উত্তর ইংল্যান্ডের লিডসে।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অভিনন্দন নাদিয়া , চলমান সাফল্য অব্যহত থাকুক ।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৭
মানবী বলেছেন: অনেক অনেক অভিনন্দন নাদিয়া!
অনেক অভিনন্দন গ্রেট ব্রিটেন তথা ইংল্যান্ডকেও। কি ভীষণ বর্ণবাদী এক জাতির এক অভুতপূর্ণ বৈষম্যহীন অবস্থানে উন্নয়ন!
নাদিয়া বিজয়ী হয়েছে বলে নয়, প্রত্যেক প্রতিযোগির সাথে এমন নিরপেক্ষ আচরন সচরাচর কোন রিয়্যালিটি শো তে এমন দেখা যায়না!
এমনকি বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক যে কয়টি অনুষ্ঠান দেখেছি কোন না কোন ক্ষেত্রে পক্ষপাত দুষ্ট মনে হয়েছে, ভারতীয় অনুষ্ঠানের কথা না বলাই ভালো, পক্ষপাত ছাড়া তাদের কোন অণুষ্ঠানই নেই!
অদ্ভুত সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়া একটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল! নাদিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো করেছেন, তাঁর কাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো প্রতিটি বেকড খাবারের স্বাদের সাথে সাথে ছিমছাম ভাবে সাজানো।
ফাইনালের ওয়েডিং কেকটি ছিলো ব্রিটিশদের ঐতিহ্যবাহী টুপির আদলে যা বাংলাদেশী শাড়ী আদলে ঘেরা ছিলো! চমৎকার!
পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ অচেনা হিমালয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিনন্দন নাদিয়া।