![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!
ফাঁসি কার্যকর করার আগে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতকার শেষে বেরিয়ে আসার পর দুই শীর্ষ রাজাকার আল বদর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও একাত্তরের 'চট্টগ্রামের ত্রাস' সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীরকে তাদের শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু এর জবাবে তারা কিছুই জানায়নি। পরে তাদেরকে খাবার দেয়া হয়। সেই খাবারে মধ্যে ছিল ভাত, সবজি, মুরগির মাংস এবং ডাল। ওই মুহূর্তে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী খাবার খেলেও মুজাহিদ তা ফিরিয়ে দেন।
মুজাহিদের পরিবার বের হওয়ার আগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তওবা পড়ানো হয়। আর পরিবারের সদস্যরা বের হওয়ার পর তওবা পড়ানো হয় মুজাহিদকে। তাদেরকে তওবা পড়ান লালবাগ তারা মসজিদের ইমাম মনির হোসেন।
পরে আলী আহসান মুজাহিদ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত পেছনের দিকে বেঁধে ফেলা হয় এবং জমটুপি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয় তাদের মুখমণ্ডল। সামনে একজন এবং পেছনে দুইজন জল্লাদ দিয়ে তাদেরকে পৃথকভাবে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যায়।
তবে সাকা চৌধুরীকে কনডেম সেল থেকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য তিন জল্লাদ তার কাছে গেলে জোর-জবরদস্তি করেন তিনি। পরে জল্লাদরা জোর করে যখন তার মাথায় জমটুপি পরিয়ে দেয় তখন কিছুটা শান্ত হয়ে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। যখন ফাঁসির মঞ্চে তোলা হচ্ছিল তখন আরেকবার পা শক্ত করে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকা। জল্লাদরা শেষবারের মতো ধরে জোর করে ফাঁসির মঞ্চে তোলে তাকে।
১২টা ৩৬ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চে মূল কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে ১২টা ৪২ মিনিটে তাদেরকে মঞ্চে তুলা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) কর্নেল ফজলুল কবির, সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা, ডিবি (ডিসি-উত্তর) নাজমুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন্স) গোলাম হায়দার, জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেসার আলী, ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সশস্ত্র কারা পুলিশ, ৮ জন সিভিল পুলিশ এবং ৬ জন ডেপুটি জেলার (এর মধ্যে একজন ছিলেন নারী)।
ফাঁসির মঞ্চটি কারাগারের পুরোনো মঞ্চ নামেই পরিচিত। এই মঞ্চেই জেএমবির সাবেক প্রধান সায়েক আব্দুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
(তথ্যঃ বাংলামেইল২৪ডটকম)
এই নরঘাতকরাই মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, নারী-শিশু সহ বহু মানুষকে হত্যা করেছে। আজ তার শাস্তি পেলো তারা। পাপ করলে আজ হোক কাল হোক সৃষ্টিকর্তা তার বিচার করবেই।
এমন করে একে একে সকল যাদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে এই বাংলার মাটিতে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪
অচেনা হিমালয় বলেছেন: ঠিক বলেছে...
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন
ওরা অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। নিশ্চিত।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
আসল পাগল বলেছেন: রাজাকারের ফাঁসির মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো ।আরও যারা রয়ে গেছে তাদেরও একই পরিণতি চাই।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০
অচেনা হিমালয় বলেছেন: একে একে সকল যাদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে এই বাংলার মাটিতে। এটাই দেখার অপেক্ষায়
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পায়ের নিচের মাটিটা আজকে একটু বেশি পরিস্কার লাগছে।