![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!
বসনিয়ার গণহত্যা মানতে পারো কিন্তু ৭১ এর গণহত্যা মানতে পারো না।
পাকিস্তান সরকার অবশেষে ঘোষনা দিয়েছে যে ১৯৭১ সালে কিছুই হয়নি, সবই গুজব। এটা নতুন কিছু না, পাকিস্তানি মানেই শুয়োর। তারা একদিন যে এই ধরনের ঘোষনা দিবে এটা হিসাবের ভেতরেই ছিল। কারন এদেশে তাদের কথাকে জায়েজ করার জন্য একদল ডান্ডুচোষক সমর্থক সবসময় ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
অনলাইনে প্রায়ই তর্ক হয় ১৯৭১ সালে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে। ডান্ডুচোষকেরা কখনোই স্বীকার করে না ত্রিশ লক্ষ শহীদের কথা। তারা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বেড়ায়ঃ নিহতদের সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি হতেই পারে না। তাদের দাবি এই তিন লক্ষ নাকি নিহত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে। বাঙালিরা নাকি যুদ্ধ করে নাই।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় আমরা বাঙালিরা সিংহভাগ সময় ধরে ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করেছি। ভারত যুদ্ধে যোগ দেয় একদম শেষের দিকে। ২৫শে মার্চ কালো রাতে ঘুমন্ত ঢাকাবাসীর উপরে যখন নির্বিচারে ট্যাংক চালানো হয়েছিল তখন প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি সদস্যরা। কোন ইন্ডিয়ান আর্মি সাহায্য করতে আসে নাই। এটা সম্পূর্ণ আমাদের যুদ্ধ ছিল। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে এই বাঙালিদের হাতেই বেদম মার খেয়েছিল ইন্ডিয়ান আর্মি। কাজেই মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি সহায়তা করার চিন্তা তারা কোনদিনই করে নাই। যারা মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের চক্রান্ত, ভারতের পরিকল্পনা বলে দাবি করে তাদের হয়ত জানা নেই যে, এটা যদি ভারতের পরিকল্পনাই হত তাহলে এদেশের ৮০% মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াত না। পাকিস্তানিরা সবসময় বাঙালিদের নিম্নশ্রেণীর প্রাণী হিসাবে দেখে এসেছে। আমাদের দেশের পাট বেচা টাকা দিয়ে তারা করাচি শহরের উন্নয়ন করেছে। সাইক্লোনে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সহায়তা দেবার বদলে তারা মরুর বুকে সেচ দিয়েছে। যারা আমাদের সম্পদ লুটে নিয়ে আমাদের উপরেই হামলা করে তারা তো বর্বর। পাকিস্তানিদের ঘৃণা করার মত যথেষ্টরও বেশি কারণ আমাদের ছিল।
কেউ কেউ বলে ভারত না থাকলে নাকি আমরা স্বাধীনই হতে পারতাম না। তাদের বলি, ভারত যুদ্ধে যোগ দেয় একদম শেষের দিকে। তারা যুদ্ধে এমন সময় যোগ দেয় যখন পাকিস্তান আর্মির আর পাল্টা মার দেবার ক্ষমতা ছিল না। শত্রুর দুর্বল মুহূর্তে হামলা চালানো শুধু ভারতীয় আর্মি কেন দুনিয়ার যেকোন দেশের আর্মি একই কাজ করত।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অনেক ব্রীজ, রাস্তা, রেললাইন স্যাবোটাজ করে পাকবাহিনীর ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ভারতের সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেবার কোন দরকারই ছিল না। তারা যদি কেবল আকাশসীমা অবরোধ করে রাখত কেবল তাহলেও হত। নাতসিরা রাশায় যে মারটা খেয়েছিল, সেই পরিনতিই হত পাকিস্তানের। তেলের অভাবে গাড়ি চলে না। অয়েল সাপ্লাই লাইন নষ্ট। রসদ সাপ্লাই বন্ধ, অস্ত্রবাহী জাহাজ ধ্বংস। অপরিচিত ভৌগলিক এলাকা। এতগুলো ফ্যাক্টর মাথায় রাখলে কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না যে পাকিস্তানিদের হার ছিল সময়ের ব্যাপার।
এখন আমাদের এই ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে যখন পাকিস্তান অস্বীকার করে তখন আমাদের কি উচিত না যে আমাদের দেশ থেকে পাকিস্তানকে অস্বীকার করা??
পাকিস্তানি দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হোক। পাকিস্তানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। এদেশে ইজরায়েলের দূতাবাস নাই, পাকিস্তানেরটাও না থাকলে কোন সমস্যা হবে না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
অচেনা হিমালয় বলেছেন: আমাদের মহান স্বাধীনতা নিয়ে পাকি শুওরদের কথার প্রতিবাদ না করে উলটো ভিয়েতনাম-আমেরিকার উদাহরন টানা শুধুমাত্র দুষিত পাকি বীর্যে জন্ম অমানুষদের পক্ষেই সম্ভব। আর এইসব অমানুষ ছাগুদের কাছে চেতনার নিয়ে কথা বলার নুন্যতম রুচি আমার নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: ভিয়েতনাম কি তার দেশে তাহলে আমেরিকার দুতাবাস
বন্ধ করে দিবে?
চেতনা কি চুইয়া পড়ে?