নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী বসন্তের চিরন্তন রূপ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

এক. আমাদের ষড়ঋতুর দেশ। ফাল্গুন ও চৈত্র এ দু’মাস বসন্তকাল। প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে দৈনন্দিন জীবনে ঘটমান বসন্ত স্মৃতি ও অনুভূতি জাগ্রত হয়ে থাকে। বসন্ত আসে আবেগঘন ও বর্ণিল আনন্দবার্তা নিয়ে আপন মহিমায়। ঋতুর পরিবর্তনে গাছের কচি ডালে নতুন পত্রপল্লব হয়ে ওঠে সুশোভিত। এভাবে বসন্তের তাপদ্রোহে শীতের শ্রীহীনতাকে নিক্ষেপ করে দূরে, অনেক দূরে। সুরভিত সমীরণে গানের পাখি কোকিলের মনকাড়া মধুর কণ্ঠে উচ্চারিত সুমধুর গান। আম্রকাননে কোকিলের কুহু কুহু সমধুর সুরে সব ঘুমন্ত হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে। এ ঋতুতে গানের পাখি ‘বউ কথা কও’ এর সমধুর সুর তোলে। তাছাড়া গানের পাখির মৌ মৌ গানে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রকৃতি। পুষ্প কাননে জুই, চামেলী, রজনীগন্ধ্যা, শিমুল, হাসনাহেনা, গোলাপ সহ, কৃষ চূড়ার সবুজ ডালে শোভাবর্ধন করে রক্তের মতো লাল ফুল। ফুটন্ত ফুলের মাঝে রকমারি প্রজাপতি রঙিন ডানা মেলে মধু সংগ্রহ করে। সেসব মনোরম দৃশ্য দেখে মনের ক্যাম্পাসে বারবার দোলা দিয়ে ওঠে।

দুই. বসন্তকাল মানে মহাশান্তি বা প্রশান্তির কাল। এ ঋতু প্রশান্তির মহাডালি নিয়ে হাজির হয়। প্রশান্তি মানে, না আছে শীত আর না আছে গরম। তাই আমরা বাঙালি জাতি ‘বসন্তকাল’ কে জীবনের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। এ সময় পৃথিবী ও প্রকৃতি মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ থাকে। প্রতিটি প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ে সহানুভূতি বা ভালোবাসার আর্বিভাব ঘটে। মনের জড়তা কেটে সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। মুক্ত হৃদয় নিয়ে ভালোবাসার বাঁধন খোলে। কেননা, বসন্তকালে প্রকৃতির অনুভূতিটা হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে থাকে।
বসন্তকালে কবি সাহিত্যিকরা বসন্তের রঙকে হলুদ রং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সে জন্য সবাই বলে ‘বসন্তের রং হলুদ’। বসন্তকালে ‘বসন্ত মেলা’ বসন্ত বরণসহ সব অনুষ্ঠানে মেয়েরা হলুদ রঙের শাড়ি পরে। হলুদ শাড়ি পরে তারা বসন্তকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে থাকে।
তাই স্রষ্টার সুনিপুন কলা কৌশলে তৈরি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে ভরা বসন্তকে ঋতুরাজ বলে থাকি। বসন্তকাল মানে হৃদয় পাগল করা কাল। এ সময়ে প্রতিটি মানুষের জীবন, যৌবন এবং প্রেমসহ বিচ্ছিন্ন উচ্চারণে সব হৃদয় মুক্ত থাকে। বসন্তকালে গ্রামের বাড়িতে যেতাম। শহর থেকে দূরে, অনেক দূরে। সেখানে সবুজ শ্যামল গাছের পাতায়, আর কচি কচি লতা পাতায় বসন্তের চিরন্তন রূপ দেখে বিমুগ্ধ হতাম। কি অপূর্ব সুন্দর সেসব দৃশ্য যা দেখে হৃদয় মন ভরে যায়।

তিন. ফাল্গুন মাস। ফুলের মাস। ফুল ফোটার মাস। কবি বলেছেন, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক এখন যে বসন্ত’...।
সময়টা যে ফুলের সৌরভে সুরভিত। দেশব্যাপী ফুলের সুরভিত শীতল সমীরণে ঢেউ তুলে। প্রবাহ মান নদীর স্রোতের মতো বসন্তের উল্লাস সবার জীবনে প্রবাহিত হয়ে থাকে । ফাল্গুন মাস এলে-যুগ যুগান্তরে হরেক রকম পাখি, গোধূলিময় পৃথিবী ক্রমে শীতল ছায়া,অজস্র রোদের অচিন্তনীয় বিস্তারে প্রাণ ভরে ওঠে। তাই বসন্তের অপরূপ সৌন্দর্যে, সুরভিত ঘ্রানে ভরে উঠুক সবার হৃদয় প্রাণ। এই কামনা করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.