নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়া আমাদের ঐতিহ্য নয়। নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়াকে \'না\' বলুন!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭


পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রানের উৎসব। আবহমান বাংলার সবচেয়ে বড় অসাম্প্রাদায়িক ও সার্বজনীন উৎসব। দিনটিকে উদযাপন করতে উৎসব করেন। কিন্তু পান্তা-ইলিশ খাওয়াকে 'না' বলুন। নিম্নোক্ত কারনে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বন্ধ করা উচিতঃ
* নববর্ষে পান্তা খাওয়া আমাদের ঐতিহ্য নয়। ১০-১৫ বছর আগেও এটা নিয়ে এত মাতামাতি হতো না। কিছু মুনাফা লোভী সাময়িক ব্যবসায়ীরা ১লা বৈশাখে মানুষের আবগকে পুঁজি করে রমনায় উচ্চ মূল্যে এই পান্তা ইলিশ বিক্রি করার ব্যবসা ফাঁদে। আর সাম্প্রতিক বছর গুলোতে মিডিয়া আধিক্য হওয়ার কারনে তা অত্যধিক মাত্রায় দেখানো হয়। আর হুজুগে বাঙালী এখন পান্তা ইলিশকেই তাদের সংস্কৃতি মনে করছে। তবে হ্যাঁ, বাংলা নববর্ষে ভাল খাবার খাওয়ার একটা প্রচলন ছিল, সেটা পান্তা-ইলিশ নয়।
* পান্তা কোন স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। পান্তা হচ্ছে বাঁসি ভাত পানি দিয়ে রাখা যা পঁচে যেতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।
* সাধারণত দরিদ্ররা পান্তা খায়। দরিদ্রদের এই পান্তা খাওয়া কিন্তু কোন শখের বিষয় নয়। তারা খায় ঠেলায় পড়ে তাদের দূরবস্থার কারনে। আমাদের উচিত আমাদের সাফল্য এবং ভাল জিনিস গুলোকে লালন করা। যেহেতু এটা আমাদের কিছু লোকের জন্য দুরবস্থার বিষয় তাই এটাকে লালন করার কোন মানে হয় না। আমাদের এমন কিছু করতে হবে যেন আমাদের 'ভাল' কে লালন করার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
আমরা চাই না কোন দরিদ্র পান্তা খাক। আমরা চাই সারা বছর যেন তারা গরম ভাত এবং ভাল খাবার খেতে পারুক। কারো দূর্দশার চিত্রকে উদযাপনের অংশ বানানো উচিত নয়। আর দূর্দশার বিষয়কে বয়ে বেড়ানো, লালন, পালন করাও উচিত নয়। কারন এতে করে আমাদের মনে আমাদের নিজেদের সম্পর্কে খারাপ ধারনা বা নিচু ধারনা সৃষ্টি হয় যা অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্থ করে। কেউ যদি ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ঢাকা ছাড়তে হবে। ঢাকা না ছেড়ে কখনোই নিউ ইয়র্ক যাওয়া যাবে না। তেমনি আমরা যদি চাই যে বাংলার মানুষ দূর্দশাগ্রস্থ না হোক এবং পান্তা না খাক তাহলে এই ধরনের পান্তা খাওয়ার প্রচলন বন্ধ করতে হবে। এমনকি মজা করার নামে এই একদিন খাওয়ারও একটা মানসিক প্রতিক্রিয়া আছে। এটি প্রতীকি হিসেবে কাজ করে আমাদের ব্রেইনে। ভাল কিছু পেতে হলে অবশ্যই আমাদের খারাপটাকে ত্যাগ করতে হবে। দূরবস্থাকে আঁকড়ে ধরে থাকলে হবে না।


* এই সময় ইলিশ মাছের প্রজনন সময়। এই ইলিশ খাওয়ার ধূমের কারনে ডিমওয়ালা এবং জাটকা ইলিশ ধরা হচ্ছে প্রচুর পরিমানে। এতে করে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অমূল্য সম্পদ। বাড়তে পারছে না ইলিশের বংশ। আমাদের এই ফালতু আবেগের মূল্য দিতে হচ্ছে বাংলার সম্পদ ইলিশ ধ্বংস করে। মনে রাখবেন, ইলিশ হচ্ছে এমন একটি মাছ যা সারা বিশ্বের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে পাওয়া যায়। আর একবার এটা হারিয়ে গেলে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমরা একটু সচেতন হলেই এর বিলুপ্তি রোধ করা সম্ভব।
* এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ইলিশের গলাকাটা দাম নিচ্ছে। মানে আপনি ঐসব অসাধু ব্যাবসায়ীকে আপনার গলা কাটার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বাংলাদেশে যে জিনিসের দাম একবার বেড়ে যায় তা শুধু বাড়তেই থাকে। আমরাই আমাদের আবেগের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য দূরবস্থা ডেকে আনছি, বাড়িয়ে দিচ্ছি দাম। অসাধু ব্যাবসায়ীদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছি আমাদের গলা কাটার। এই দিন-ই ইলিশ খেতে হবে কেন? এই দিন ইলিশ না খেলে কি হয়? এই দিন না খেলে কি সারা বছরে অন্য দিনে আর খাওয়া হবে না?
* বেশি দাম দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা, বেশি দাম দিয়ে পান্তা ইলিশ কিনে খাওয়া বাহুল্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাইরিয়া হোক

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুনছি একটা ইলিশের দাম নাকি তিন চার হাজার টাকা। তাহলে এক পিস ইলিশের দাম পড়বে তিনশ/চারশ টাকা। পান্তা খেতে পারবো, কিন্তু ইলিশ খামু ক্যামনে? মাফ কইরা দ্যান ভাই।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৯

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আচ্ছা, পান্তাভাত গরীব মানুষের খাবার হয় কিভাবে? যাদের রাতে ভাত খাওয়ার পরেও আরো ভাত থেকে যায় তারাইতো পান্তাভাত বানাতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.