![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!
না ফেরার দেশে চলে গেলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য গেলে সৈয়দ হকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে কিছু দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিলে জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন তিনি।
সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে সদর্প বিচরণকারী সৈয়দ হকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হকও মনোরোগ চিকিৎসার পাশাপাশি লেখালেখিতে সক্রিয়।
কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্রসহ সাহিত্যের সব শাখায় স্বচ্ছন্দ্য সৈয়দ হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া এই সাহিত্যিকের হাত দিয়ে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নীল দংশন’, ‘মৃগয়া’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ বহু পাঠকপ্রিয় বই এসেছে।
তার লেখা নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ও ‘নুরুল দীনের সারাজীবন’ বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে।
তার অসাধারন লেখনির মাঝেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক অমর হয়ে রইবেন।
সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে চিরশান্তিতে রাখেন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা, চিরন্তন।
©somewhere in net ltd.