![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা কিছু চেয়েছিলাম, আর চাইবো বলে ভেবেছিলাম, সবকিছু হারিয়ে গেছে শেষ পথটার বাঁকে.....
অপেক্ষা (পর্ব - ১)
অপেক্ষা (পর্ব - ২)
সকাল থেকেই দিনটা খারাপ যাচ্ছে। এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আরিফ। আজকের নেশা করার টাকাটা এখনো হাতে পায়নি। ২/৩ বার চেষ্টা করেছিল কিন্তু একবারও সফল হয়নি। আজকাল মানুষজন খুব চালাক হয়ে গেছে। টাকা-পয়সা, মোবাইল সবকিছুই খুব সাবধানে সামলে রাখে। হাতই দেয়া যায় না। এখনো যদি কিছু যোগাড় করতে না পারে তাহলে আজকে রাতটা তার যে কিভাবে কাটবে সেটা ভাবতেও ভয় হচ্ছে।
এইচ.এস.সি পর ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারে খুব upset হয়ে পড়ে আরিফ। তখনই এলাকার কিছু বাজে ছেলের পাল্লায় পড়ে ড্রাগস নেয়া শুরু করে। প্রথম প্রথম ভালোই লাগতো কিন্তু দিনকে দিন সেটা যখন নেশার পর্যায়ে চলে যায় তখনই বাবা-মার কাছে ধরা পড়ে যায় সে। প্রথম দিকে তার পরিবারের লোকজনের তাকে সুস্থ করার চেষ্টার অন্ত ছিল না। কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারলো যে এতে কোন লাভ হবে না, তখনই হাল ছেড়ে দিল।
নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আরিফ, তাই তার পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসা কিংবা নেশা কোনটার অর্থই ব্যয় করা সম্ভব হয়নি।
এখন আরিফ নিজের খরচ নিজেই চালায়। নিজের খরচ বলতে নেশার খরচ। ওই জিনিসটাই এখন তার সবকিছু। হঠাৎ নজরে পড়লো ফুটপাত দিয়ে একটা ছেলে প্রায় ছুটতে ছুটতে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই কোন তাড়া আছে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগানো যায়। ভাবামাত্রই কাজে নেমে পড়লো সে।
বাহ দারুন। এতো সহজে কাজটা হয়ে যাবে সে ভাবতেও পারে নি। অবশ্য পকেট সাফাই এর কাজ সে যে খুব ভালোই পারে তাতে তার কেন কারোই সন্দেহ নেই।
একটার পর একটা কল আসছে। কল রিসিভ করার প্রশ্নই আসে না। মোবাইলটা অফ করে সে হাঁটা শুরু করলো।
মোবাইলটা ভালো দামেই বিক্রি করা গেছে। সেটটা দামী-ই ছিল। ঘরে ফিরে কি মনে হতেই সে সিমটা তার মোবাইলে ঢুকিয়ে অন করলো। একগাদা মেসেজ। সেই মেয়েটা, যে বিকাল থেকে কল দিয়ে যাচ্ছে। মেসেজগুলো পড়ার লোভ সামলানো গেল না। দুটো মেসেজ পড়তেই আবার কল এলো। কৌতুহলটা দমিয়ে রাখা গেল না। শেষ পর্যন্ত কলটা রিসিভ করলো সে।
: হ্যালো, নিলয়।
: হুমম।
: কি হয়েছে তোমার? আজকে আসলেনা যে? একটা খবর তো দিবে...
: আসলে একটা সমস্যায় পড়ে গেছিলাম। তাই জানাতে পারিনি। (মনে মনে ভাবলো মেয়েটার ভয়েস খুব সুন্দর)
: কেন কি হয়েছে? বাসায় কিছু হয়েছে? আংকেলের কিছু?
: হুমম, বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লো। তাই তোমাকে জানাতে পারিনি। রাগ কোরোনা প্লিজ।(বাহ, আমি তো ভালোই অভিনয় করতে পারি)
: তোমার ভয়েস এমন শোনাচ্ছে কেন?
: (সেরেছে কি বলবো) না মানে, ঠাণ্ডা লেগেছে।
: ও। আচ্ছা ঠিক আছে। রাখি এখন।
: শোন, তুমি আর এই নম্বরে ফোন কোরো না। আমি তোমাকে নতুন একটা নম্বর দিচ্ছি। এখন থেকে আমি ওই নম্বরটাই use করবো।
: কেন?
: না, তেমন কিছু না। উল্টা-পাল্টা কিছু ফোন আসছে কয়দিন ধরে, তাই।
: Okk. Bye.
পুরোনো সিমটা ফেলে দিয়ে নিজের নম্বরটা অবনীকে sms করে দেয় আরিফ...
অপেক্ষা (পর্ব - ৪)
অপেক্ষা (শেষ পর্ব)
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪
অচিন রুপকথা বলেছেন: আমার নিজেরই রাতে ঘুমালে সকালে উঠার পর গলা দিয়ে সাউন্ড বের হয় না...
আমি নিজেই তো মানতে বাধ্য...অন্যের কথা কি বলবো ভাইয়া...
তাছাড়া নতুন করে লেখা শুরু করছি...কিছু ভুল-ত্রুটি তো থাকবেই...ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে নেক্সট টাইম থেকে ঠিকভাবে লেখার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ..
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩০
রিক্তের বেদন২০১০ বলেছেন: আরিফতো দেখি মহা টাঙ্কি বাজ ! ধৈররা পিডানোর কাম
তাছাড়া নিলয়ই বা কেমন বেআক্কেল ! মোবাইল হারিয়েছে তো কি ! অবনীর নাম্বারটাতো ওর মুখস্তই !! কল করে জানানো গেলনা যে "আমার ফোন আল্লাহরওয়াস্তে গেছে " !! কিপ্টা নাকি !!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬
অচিন রুপকথা বলেছেন: হইতেও তো পারে কিপ্টা...আমার মতো...
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৪
তেরো বলেছেন: রিক্তের বেদন @ ঠিক আগের টাতে কমেন্ট দিছিলাম যে ছেলে দোকান থেকে কল দেয় না কেন।
লেখক@আশা করি পরের পর্বটাতে নিলয় রিএকশন জানা যাবে। অপেক্ষা।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭
অচিন রুপকথা বলেছেন: আল্লাহ তোর আশা পূর্ণ করুক...
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৫
তেরো বলেছেন: নিলয় এর*
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
অচিন রুপকথা বলেছেন: বুঝে নিছি...
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
সরলতা বলেছেন: সাত মাস ধরে কথা বলেও অবনী কেন গলার স্বর চিনতে ভুল করবে? প্রত্যেক মানুষের-ই কিন্তু কথা বলায় একটা নিজস্বতা থাকে। আর নিলয়ের উচিত অবনীকে বাইরে থেকে ফোন করে জানানো।
যাই হোক,সাবলীল গল্প। ভাল লাগছে আপু।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
অচিন রুপকথা বলেছেন: মানছি আপু..প্রত্যেক মানুষের-ই কথা বলায় একটা নিজস্বতা থাকে...
কিন্তু দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে তো কোন সম্পর্ক তৈরী হয় না...তাহলে অবনী কিভাবে বুঝবে যে ছেলেটা আসলেই নিলয় নয়...যেখানে তার কন্ঠস্বর কিংবা কথা বলার ধরন ছাড়া আর কোন বাস্তব প্রমান নেই তার কাছে...
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু...
ভালো থাকবেন
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৬
রিক্তের বেদন২০১০ বলেছেন: @ তেরো :
@ লেখিকা : প্রকৃত প্রস্তাবেই আপনি কিপ্টা , এবং সেইটা জায়গা মতো !!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৪৯
অচিন রুপকথা বলেছেন: মানুষতো জায়গামতোই কিপটা হয়...সব ব্যাপারে তো আর কিপটা হওয়া যায় না...এটাই তো স্বাভাবিক...
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫
তেরো বলেছেন: তো দেরী করা হচ্ছে কেন? দিয়া দে পরের পর্ব।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩
অচিন রুপকথা বলেছেন: লেখা হয় নাই এখনো...
দেখি...দিয়ে দেবো...অপেক্ষা...
৮| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মাই গড! শয়তান আরিফ!
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৬
অচিন রুপকথা বলেছেন: চরম শয়তান...
৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৬
চশমখোর বলেছেন: ওরে এ কি কাহিনী?
আপনার গল্প লেখার স্টাইল ভালো লাগলো কিন্তু ৭ মাস একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে কথা বলার পরও তার ভয়েস চিনতে পারলো না এই ব্যাপারটা কেমন কেমন জানি লাগলো। আর সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসতো। ভালোবাসার মানুষের কথার স্টাইল থেকে শুরু করে সব কিছুতো মুখস্থ হয়ে যাবার কথা। তাই নয় কি?
যাইহোক পরের পর্ব পড়তে যাচ্ছি।
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৯
অচিন রুপকথা বলেছেন: ধন্যবাদ...
পরের পর্বে তো যাচ্ছেনই...গেলেই বুঝতে পারবেন...
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৪
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: আপনার গল্প লেখার স্টাইল খুবই ভাল কিন্তু সমস্যা হল কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার অজুহাত মেয়েটা মানবে কেন? তারচেয়ে একদিন বা দুইদিন পরে হলে ভাল হত না?