নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতীক্ষা

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

প্রতিদিনের মত আজও সন্ধ্যা নামছে।ঝিমিয়ে এসেছে রোদ্দুর। লাল হয়ে যাওয়া চোঁখের মত রক্তাক্ত আকাশ।মিনু ছাদে বসে আছে।ধীরে ধীরে অন্ধকার এসেছে।গালে হাত দিয়ে আনমনে তাকিয়ে আছে মিনু।কখন আঁধার নেমে এসেছে টের পায়নি।হঠাৎ মৃদু ধাক্কায় ঘোর কাটলো।ফিরে দেখে মিতা দাড়িয়ে। একই কলেজে পড়ে।মিনুরা তিন আর মিতারা পাঁচ তালায় থাকে।কিরে কার কথা ভাবছিস? মিতা জিজ্ঞেস করে।মিনু উত্তর দেয়না।আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে আনমনে।উজ্জ্বল সন্ধ্যা তারা চাঁদের সাথে ছুটছে মেঘ চিরে।
মার্চে সাধারণ ছুটি ঘোষনা হওয়ায় খুশিই হয়েছিলো মিনু।মা-বাবার সাথে দীর্ঘ সময় কাটাতে পারবে।মিতা আবার ধাক্কা দেয়।কিরে,মন খারাপ? কিছু হইছে?কথা বলিস না ক্যান?।মিনু মুচকি হাসে।কিছু হয়নি।মাথা দুলিয়ে উত্তর দেয়।মিতা জোর করে।কিছু একটা হইছে বল,কি হইছে বল?মিনু মাথা নুইয়ে চুপ করে থাকে।

কোন কথা নেই।নিস্তব্ধতা বিরাজ করে।বাতাসও নেই,আকাশটা থমকে আছে ভ্যান গগের "স্টারি নাইটের" মত।চার-পাঁচটা মেঘের দল স্থবির হয়ে আছে চাঁদটাকে ঘিরে।দু'জনেই দেখে।মেঘেরাও নড়েনা।হঠাৎ মিনু বলে ওঠে "বড় হলে মা-বাবার মুখ অনেকদিন সহ্য হয়না।মিতা চোঁখ বড় করে তাকায়।হা হয়ে থাকে।বুঝতে পারেনা কিছুই।মিতার কোলে মাথা রেখে বিলি কেটে দিতে বলে মিনু।মিতা বুঝতে পারেনা চঞ্চল মেয়েটির কি হলো হঠাৎ! বিলি কেটে দেয়।বাসা থেকে ডাক আসেনা কারোরই।
মিতা মিনুকে হাসানোর জন্য গাল ধরে টান দেয়।ওর আঙ্গুলগুলো উষ্ণ অশ্রুতে ভিজে যায়।মিনু তুই কাঁদিস! কিরে কথা বল? উঠে দাড়ায় মিনু।ওড়না দিয়ে মুছে নেয় চোখের জল।মিতাকে বল্ল ভালো লাগছে না,চল বাসায় যাই।মিতা ওকে চুমু খায়।তারপরে ঘরে ফেরে।নিজের রুমে ঢুকে টেবিলে বসে।প্রতিদনকার মত ওর বাবা আর ছোট ভাইটা সোফায় বসে খেলা দেখে।ওপাশের বেলকনি থেকে ওর মায়ের হাসির আওয়াজ ভেসে আসে।ছোট ভাইটা উকি দিয়ে দেখে।ওর বাবা মানিক সাহেব শুনেও না শোনার ভান করে,একটা গোলের উল্লাসের জন্য মুখিয়ে থাকে।কাজের মেয়েটা খাবারের জন্য ডাক দেয় 'মিনুপা খেতে আসেন।মিনুর ভাল লাগেনা।মোবাইল স্ক্রলিং করতে করতে সংবাদগুলো সামনে আসে প্রতিদিন।২১ বছরের যুবকের সাথে পালালো ৩৮ বছরের মহিলা।সাংবাদিক রসিয়ে তাদের প্রেমের গল্প লেখে পত্রিকায়।মিনুর মেজাজ খারাপ হয় এদের জন্য।বেলকনি থেকে ইমোর টোন ভেসে আসে।মিনু উঠে দরজা ভিজিয়ে দিয়ে উপুর হয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। মনে মনে প্রার্থনা করে অফিস, কলেজ যেনো কালকেই খুলে দেয়।তার বাবার দীর্ঘশ্বাসের প্রয়োজন।

১৭,আশ্বিন,১৪২৭
ঝালকাঠী,সদর।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য আমি সংবাদ দেখা বাদ দিয়েছি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

অধীতি বলেছেন: হুম।এখন সংবাদগুলোর উপস্থাপনা এগুলোকে প্রমোট করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.