নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নির্দেশনা ও কিছু জানতে চাওয়া

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০

অনেক কিছু না জানার অপরাধে বেশ দ্বিধায় ভুগি।এমন কিছু বিষয় আছে যেটা প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে ভালো কিন্তু পরোক্ষভাবে মারাত্মক ক্ষতিকর আবার প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে খারাপ কিন্তু পরোক্ষভাবে উপকারী। যেমন ধরা যাক আমলকি,তিতার পরে মিঠা সাথে খাবার রুচিও বৃদ্ধি করে।এবার আসি আসল প্রসঙ্গে।
মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে।
সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে "অফিস চলাকালীন পুরুষ টাখনুর উপরে এবং মহিলা হিজাব সহ টাখনুর নীচে পোষাক পড়বে।"
কোড করা হয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের।
এখন কথা হলোঃ
১/ পোশাকের ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন কিনা।
২/সেখানে কর্মরত মুসলিমদের ভেতর কারো আপত্তি আছে কিনা।
৩/আপত্তি থাকলে সেটা অফিস কিভাবে গ্রহন করেছে।
৪/ঐটা নিয়ে আমরা চেচামেচি কেনো করছি।



নিজস্ব মতামত

যারা মুসলিম তাদের জন্যই করা হয়েছে।আমি জানিনা উনি এই নির্দেশ জারি করতে পারেন কিনা।এক্ষেত্রে কারো আপত্তি থাকলে সে আপত্তি জানাতে পারে।কিন্তু আমাদের তো আপত্তি থাকার কথা না।আপনার অফিস যখন করবে তখন আপনি আপত্তি জানালে ঠিক ছিলো।অথবা এমন হতো যে ওখানকার কর্মচারীরা আপত্তি করছে কিন্তু অফিস শুনতেছে না সেক্ষেত্রে সবাই কথা বলার সুযোগ পেতো। কারো আপত্তিই আসলোনা সেক্ষেত্রে অন্তত এভাবে টিটকারি মূলক পোস্ট করার যৌক্তিকতা দেখিনা।

ভুমিকায় বলেছি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ে।
এটা বলা এজন্য যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক বিস্ফোরণ হয়েছে।আমাদের দেশে প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা একটি সহজ এবং নৈমিত্তিক বিষয়।তো এই ইন্সটিটিউটের নির্দেশনাটি বাহ্যিক দিক থেকে ভালো দেখালেও ভেতরে যে অন্য কিছু নেই সেটা অস্বীকার করছিনা। যেমন দেখা গেলো যিনি নির্দেশনা জারি করলেন তিনি ইতোমধ্যে বহু নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করেছেন এটা হতে পারে এবং এরকমই হচ্ছে। তাই বলে একটা নির্দেশনা নিয়ে এভাবে হৈ চৈ করাটা কতটুকু যুক্তিসম্মত?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের প্রশাসনের মানুষগুলো দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে চলেছে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অফিসটা তো সরকারি ।
ঐহুজুরের নিজের অফিস না ।
তার নিজের দোকান ও না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪২

অধীতি বলেছেন: এটা কোন যৌক্তিক কথা না। আপনি আগে জানেন যে প্রজ্ঞাপন উনি জারি করার বৈধতা রাখেন কিনা। ওনার নিজের কিনা সেটা পরের বিষয়।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চুপচাপ থাকুন ভাই। হাদিস বিকৃতকারী কোরানের আয়াত পরিবর্তন কারী বেশ কিছু মানুষ আসল নিক মাল্টি নিক দিয়ে সজ্ঞানে অজ্ঞানে ব্লগে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে আগুনে ঘি ঢালবেন না। আমার জানা মতে এমন প্রজ্ঞাপন জারি করার ক্ষমতা জনস্বাস্থ্যের তিনি রাখেন না, উচিত অনুচিত তো অনেক অনেক পরের ব্যাপার।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

অধীতি বলেছেন: ঘি ঢালার কোন ব্যাপার আমার পোস্টে দেখছিনা। এখন স্বেচ্ছাচারীতার সময় চলতেছে।আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে দিন।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: এটা ফাজলামো ছাড়া আর কিছুই না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৫

অধীতি বলেছেন: এই মুহূর্তে এরকমটা স্বাভাবিক, যে যেখানে যার ইচ্ছেমত যা ইচ্ছে করতেছে।কিন্তু এই নির্দেশনা দেয়ার বৈধতা তিনি রাখেন কিনা সেটাই জানতে চাওয়া।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৮

আলআমিন১২৩ বলেছেন: অনেকদিন পর চাদগাজি সাহেবের একটি মন্তব্য ভালো লাগলো। এর সাথে একটু যোগ করতে চাই। প্রশাসনের লোকেরা যা করে তা হাইকমান্ডে সবুজ সিগনালেই করতে হয়। কবে যেন টয়লেটে গেলেও হাইকমান্ডের অনুমতি নিতে হয় কে জানে?

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছে

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১০

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ১। না ভাই, আইনগতভাবে তিনি পোশাকের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।
২। এটা আমি জানিনা।
৩। এটাও আমি জানিনা।
৪। সমাজের উপরের তলার লোকজনের ভাবসাবে সমাজের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। এমন সমাজ অনেকেই চায় না যেখানে একজন আরেকজনের উপর অনধিকার চর্চা করবে। সেই কারণেই আমরা চিল্লাফাল্লা করতেছি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৯

অধীতি বলেছেন: যাক তাও কিছুটা যুক্তি সংগত উত্তর পেলাম। অনধিকার চর্চার ভাবনা থেকেই ২ ও ৩ নাম্বার প্রশ্নটা করা।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা অফিসের ড্রেস-কোড থাকতে পারে। সরকারিভাবে সব অফিসের জন্য কমন ড্রেস-কোড আছে বলে আমার জানা নেই। তবে, থাকলেও সাপলিমেন্টারি ইন্সট্রাকশন দিয়ে ড্রেস-কোডের নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে। এখানে যদি বলা হতো, নারীদের জন্য শাড়ি এবং পুরুষের জন্য ফুল-স্লিভ্‌ড শার্ট ও কালো প্যান্ট পরতে হবে- তাহলে কি এরকম রিপারকাশন হতে বলে মনে হয়? মনে হয় হতো না। কিন্তু, মুসলিমদের জন্য এই ইন্সট্রাকশন জারি করা হয়েছে বলেই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে গেছে। ইসলাম ও মুসলমানিত্বের প্রতি আমাদের এলার্জি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে, এজন্য এই নির্দেশনা গাত্রদাহের কারণ হয়েছে। আদারওয়াইজ, এই নির্দেশনার মধ্যে খারাপ তো কিছু দেখি না। বলা হয় নি 'উলঙ্গ' হয়ে অফিস করতে হবে, কিংবা এমন কোনো উগ্র ড্রেসের কথাও বলা হয় নি, যাতে নোংরামি বা অসভ্যতার প্রমাণ পাওয়া যেত। এই ড্রেসে শালিনতারই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। টাকনুর উপর প্যান্ট পরা আর থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের মধ্যে পার্থক্য খুবই মার্জিনাল। উন্নত দেশগুলোতে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট (টাইসহ) পরে অফিস করা খুবই কমন ফেনোমেনা। আমাদের টাকনুর উপর প্যান্ট পরাও তেমনি সাধারণ একটা ব্যাপার হতে পারতো।

তবে, এই নির্দেশনা শুধু এই কর্তাব্যক্তির আদেশেই হয়ে থাকবে, সার্বজনীন হলে তো উর্ধতন অফিস থেকে আদেশ আসতো।

তার ব্যক্তি-চরিত্র অন্যরকম হলে তিনি এরকম নির্দেশনা দিতেন বলে আমার মনে হয় না। তবে, মানুষের মনের খবর তো আমরা জানি না। এর অন্তরালে অন্য কিছু আছে কিনা বলা মুশকিল। আমার কাছে এটাকে দোষের মনে হয় না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩১

অধীতি বলেছেন: এখন সবার ভেতরেই সমস্যা। সামাজিকীকরণ উঠে যাচ্ছে। এই ড্রেস কোডে কেউ আপত্তি করত না,সমস্যা এটা মুসলিম ও ইসলামের সাথে সামঞ্জস্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.